১। কতটি দাগাবেন ঠিক করে যাবার কিছু নেই। প্রশ্নের উপর নির্ভর করে। ৩৫ এ ৮৫ তেই প্রিলিতে টিকেছিলো আর ৩৬ এ ১১৫ (আনুমানিক)। তাই ১২০-১৩০ রেইঞ্জ টাকে সেইফ ধরতে পারেন।
২। যে প্রশ্নের কোন অপশান ই চেনেন না, বুঝেন ও না ওই গরম প্রশ্ন উত্তর করে হাত পোড়ানোর দরকার নাই।
৩। যেই প্রশ্নে ৫০-৫০ চান্স কনফিউজড সেটা ছেড়ে আসার দরকার নাই। এতটুকু রিস্ক না নিলে কেমনে?
৪। প্রথমে একটানে সিউর শট গুলো দাগান। পারলে ২ মিনিটে গুনে দেখুন কয়টি পারলেন। সেইফ রেইঞ্জ এর কাছাকাছি চলে আসলে আর বেশি রিস্ক নেয়ার দরকার নেই।
৫। যদি দেখেন পড়ালেখা করেও অনেক কম পারছেন তাহলে ধরে নিবেন প্রশ্ন সবার জন্যই কঠিন হয়েছে। সেক্ষেত্রে কাট মার্ক্স অবশ্যই কমবে।
৬। ২৫০০০০ পরিক্ষার্থীর মাঝে আপনার পাশের পরীক্ষার্থীর টেকার সম্ভাবনা কতটুকু সেটা যাচাই করার দায়িত্ব আপনার। নিজ দায়িত্বে নিজের ভবিষ্যৎ আরেকজনের হাতে ছাড়ার মানে হয়না।
৭। প্রশ্নের সিরিয়াল দেখে উত্তর করবেন। প্রতিটা প্রশ্নের ক খ গ ঘ এই অপশানগুলা প্রশ্নের পাশাপাশি যাচ্ছে নাকি উপরে নিচে যাচ্ছে প্রথমেই খেয়াল করে নিবেন। নাম্বার এর সিরিয়াল টা বারবার খেয়াল করে দাগাবেন। কয়েক টা মিস হয়ে যেতেও পারে। অনেকের ই হয় শুনেছি।
৮। যাদের প্রিপারেশান মোটামুটি আছে তাদের বেশিভাগের ই প্রিলি তে কাট মার্ক্স তোলার মত শুদ্ধ উত্তর থাকে যেটা মাইনাস মার্কিং এর কারণে হারিয়ে যায়। শুদ্ধ উত্তরের সংখ্যা কারো ১২০-১৩০ হয়ে গেলে দরকার কি শুধু শুধু রিস্ক নেয়ার?
৯। হাতঘড়ি, ক্যালকুলেটার নেয়া মানা। আপনার রুমে একটা বড় ঘড়ি দেয়া থাকবে। (গতবার ছিলো)
১০। যারা অনেক সিরিয়াস পরিক্ষার্থী এবার একটু আস্তে পড়েন। নার্ভাস ব্রেক ডাউন যেনো না হয়।
১১। জানা জিনিস যেনো ভুল না হয় এজন্য প্রতিটা প্রশ্ন একটু ভালো ভাবে পড়ার পর সবগুলা অপশান দেখে তারপর দাগান যত সহজ উত্তর ই হোক না কেনো! একবার ভুল দাগালে সে দু:খ মোচনের সুযোগ কই?
রিস্ক নেয়ার জন্য আমি এই টেকনিক টা ফলো করতাম। ট্রাই করে দেখতে পারেন। ধরুন আপনি শিউর শট গুনে দেখলেন আপনার সঠিক উত্তর হলো ১০০। আপনি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা করছেন যে আর ৫ মার্কস দরকার। সেক্ষেত্রে আপনি সে সাবজেক্টে স্কিলড অথবা আপনি যেগুলাতে ৫০-৫০ কনফিউজড ওইরকম ১০ টা প্রশ্ন সিলেক্ট করুন। ৫ নাম্বারের জন্য ১০ টা প্রশ্ন ওইভাবে উত্তর করুন। আশা করি নেগেটিভ হবে না। তাই বলে ২০ নাম্বারের জন্য ৪০ টা কনফিউশান উত্তর করলে এই পদ্ধতি খাটবে না। কয়েক নাম্বার এভাবে বৃদ্ধি পেতেও পারে। ভালো থাকুন। খাওয়া দাওয়া আর পরিমিত ঘুমের মাধ্যমে সুস্থ থাকুন। সবার জন্য শুভকামনা।