বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির পূর্ণ গাইডলাইন
Full guidelines for BCS written preparation
------------------------------------------------------
Written by Palash Sadhu
(34th BCS CADRE)
© ইংরেজি: ২০০ নম্বর
১. মূল পার্থক্য এই বিষয়েই হবে, তাই একে মোটেও অবহেলা করবেন না
২. যত পারুন প্র্যাকটিস করুন- অনুবাদ, প্যাসেজ
৩. লেটার লেখার নিয়ম যেন ভুল না হয়
৪. চলমান ইস্যুর ওপর ইংরেজি আর্টিক্যাল পড়ার অভ্যাস করুন; অনুবাদ, রচনায় কাজে আসবে। এ ক্ষেত্রে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, সম্পাদকীয় সমাচার ভাল সোর্স হতে পারে।
৫. যথেচ্ছ ভোকাবুলারি মুখস্থ না করে বরং প্যাসেজ, অনুবাদ সলভ করতে গিয়ে যেগুলো সামনে পড়ে সেগুলোই ভালভাবে শিখুন।
© বাংলা: ২০০ নম্বর (বই অগ্রদূত বাংলা লিখিত)
১. কোনও প্রশ্নের উত্তরে লেখকের নাম কিংবা যেকোনও বানান ভুল হলে ০ পাবেন।
২. ব্যাকরণ, বাংলা সাহিত্য, গ্রন্থ সমালোচনার ওপর জোর দিন
৩. ব্যাকরণ (৩০):
৩.১. বিগত সালের অনুশীলন: শব্দ গঠন, বানান/বানানের নিয়ম, বাক্যশুদ্ধি/প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, প্রবাদ-প্রবচন, বাক্য রূপান্তর
৩.২. বোর্ড ব্যাকরণ বই থেকে: অন্যান্য ব্যাকরণের নিয়ম একবার হলেও দেখে যাবেন
৪. ভাব সম্প্রসারণ: ৩-৪ পৃষ্ঠা লিখতে হবে
৫. সারমর্ম: ৩-৪ লাইন লিখতে হবে
৬. বাংলা সাহিত্য (৩০):
৬.১. প্রত্যেক প্রশ্ন কমপক্ষে ১ পৃষ্ঠা লিখতে হবে
৬.২. প্রিলির পড়াগুলো ভালভাবে ঝালাই করে যেতে হবে
৬.৩. চার ধরনের প্রশ্ন আসে:
ক) প্রাচীন ও মধ্যযুগ
খ) সাহিত্য- সমালোচনা/ মূল বক্তব্য/ চরিত্র বিশ্লেষণ
গ) সাহিত্যিক- বৈশিষ্ট্য, উপাধি, ছদ্মনাম
ঘ) মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, যুগ, আন্দোলন, পত্রিকা
৭. সংলাপ (১৫): ২-৩ পৃষ্ঠা
৮. পত্র লিখন (১৫): ২ পৃষ্ঠা, নিয়ম যেন ভুল না হয়
৯. অনুবাদ (১৫): অনুশীলন
১০. গ্রন্থ সমালোচনা (১৫):
১০.১. ২-৩ পৃষ্ঠা লিখতে হবে
১০.২. চার ধাপে লিখতে হবে
ক) গ্রন্থ পরিচয়: এটি কী, কার লেখা, কী নিয়ে লেখা
খ) প্রশংসা: গাম্ভীর্যপূর্ণ প্রশংসা, ঘটনাপ্রবাহের প্রশংসা, যুগ অনুসন্ধান, ঐ যুগের অন্য সাহিত্যের সাথে তুলনা
গ) সীমাবদ্ধতা: যুগের সাথে যায় কিনা, উদ্দেশ্য সফল কিনা, চরিত্রচিত্রণ সফল কিনা, কোন চরিত্রের প্রতি Biased কিনা
ঘ) আবার প্রশংসা: বাকি প্রশংসা, বিশ্ব সাহিত্যের সাথে তুলনা করে তাদের পর্যায়ে তোলা, কালজয়ী/অন্যান্য বিশেষণ দেওয়া, বইটা সবার পড়া উচিত কিনা সেটা বলা
১০.৩. ক্যাটাগরি ধরে ধরে শেষ করুন। যেমন- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস (রাইফেল রোটি আওরাত), ভাষা আন্দোলনভিত্তিক গ্রন্থ/ উপন্যাস (আরেক ফাল্গুন), রাজনৈতিক উপন্যাস (গোরা) ইত্যাদি।
১১. রচনা লিখন: কমপক্ষে ১২ পৃষ্ঠা।
©বাংলাদেশ বিষয়াবলি: ২০০
১. সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, অর্থনৈতিক ডাটা, ভিশন/প্ল্যান/উদ্যোগ হলো আপনার হাতিয়ার
২. সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ- গাইডের পাশাপাশি রেফারেন্স বই পড়ুন
৩. কমপক্ষে দুটি গাইড পড়ুন
৪. সাম্প্রতিক তথ্য/ডাটা একটা খাতায় লিখে রাখুন।
বাংলাদেশ বিষয়াবলির সব ডাটাই হয় রচনা বা essay, না হয় প্রযুক্তি, না হয় আন্তর্জাতিক, না হয় ইংরেজি কম্প্রিহেনশনে কাজে লাগবে।। মনে রাখবেন এই ২০০ বেশ থ্রেট। আপনি ডাটা, ট্যাবল, গ্রাফ, উক্তি ও সোর্সসহ লিখলে ৭০% নম্বরও পাবেন। না হলে ৪০-৫০%
©আন্তর্জাতিক: ১০০
১. তারেক শামসুর রাহমানের 'বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি' 'নয়া বিশ্বব্যবস্থা', সুলতান মাহমুদের 'বিশ্ব রাজনীতি', আব্দুল হালিমের 'আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতি' এবং শাহ মো. আবদুল হাইয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গাইড অবশ্যই পড়বেন।
২. সাম্প্রতিক বিষয়- কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ফিচারগুলো পড়ুন
৩. কমপক্ষে দুটি গাইড পড়ুন।
©বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ১০০
১. জোর দিন বিগত প্রশ্নে
২. পড়লেই কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিকস এর (২৫+১৫) কমন পড়ে
৩. বাকি ৬০ নম্বর: ৩৫-৩৮ এর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখুন কোন কোন অধ্যায় থেকে কিভাবে আসে। যেমন- ক থেকে যদি ৩৫-৩৮ প্রতিবারই আসে, তবে এটা অবশ্যই পড়বেন। কিন্তু খ থেকে ৩৬, ৩৮ এবং গ থেকে ৩৫, ৩৭- তো বুঝতেই পারছেন গ গুরুত্বপূর্ণ।
©গণিত: ৫০
১. বিজ্ঞানের মতোই অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে কিছু অধ্যায় বাদ দিন।
২. অবশ্যই ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ ও উচ্চতর গণিত বই থেকে অংক দেখে যাবেন
৩. বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা যদি পড়তে চান, তবে উচ্চ মাধ্যমিক গণিত বই অথবা Assurance.
©মানসিক দক্ষতা: ৫০
১. বিগত (প্রিলি+লিখিত) প্রশ্ন অনুশীলন,Assurance
২. Indiabix website, Sawaal website, youtube থেকে ট্রিকস শিখতে পারেন।
যারা প্রথমবার লিখিত পরীক্ষায় বসবেন:
যারা প্রিলিমিনারি পাস করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা সময় নষ্ট না করে এখন থেকেই লিখিতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিন। কারণ রেজাল্টের পর লিখিত প্রস্তুতির জন্য সময় পাবেন খুব কম। লিখিত পরীক্ষায় ভাল নম্বর অর্জন করতে পারলে আপনি যে ক্যাডার হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যাই হোক লিখিত নিয়ে কিছু বিষয় শেয়ার করছি আশা করি একটু হলেও উপকৃত হবেন-
১. ৩৫ থেকে শুরু করে বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো বেশ কয়েকবার দেখুন।এতে আপনি প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।প্রশ্ন সংগ্রহে না থাকলে লাইব্রেরি থেকে বিগত বছরের বিসিএস লিখিত পরীক্ষাসমূহের প্রশ্নব্যাংক কিনে নিন।এখানে আপনি বিগত বিসিএসসমূহের সব প্রশ্ন একত্রে পেয়ে যাবেন।
২.বাড়তি বই না কিনে যেকোন ভাল প্রকাশনীর একসেট বই কিনুন।
৩. রিটেনের জন্য যত বেশি বই কিনবেন ততবেশি ধরা খাবেন।কারণ অল্পসময়ে সব পড়তে গিয়ে শেষে আর কোনটাই পড়া হয় না। তাই অন্যের কথায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত বই কেনা থেকে অন্তত এসময়টাতে বিরত থাকুন। যে কয়টা বই কিনবেন তা খুব ভাল করে পড়বেন। আপনার দরকার ক্যাডার হওয়া, বিসিএস বিশেষজ্ঞ হওয়া না।
৪.এখন থেকেই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং ও অনুবাদ চর্চা শুরু করে দিন। প্রতিদিন ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং চর্চা আপনার লেখার কোয়ালিটিকে অনেক বাড়িয়ে দিবে।
৫.অনুবাদ চর্চার সময় আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করতে চেষ্টা করুন। অনুবাদ চর্চা প্রথমদিকে একটু বিরক্তিকর ও কঠিন মনে হলেও নিয়মিত চর্চা করতে থাকলে দেখবেন যেকোন বিষয়ে অনুবাদ করার পারঙ্গমতা আপনার মধ্যে চলে আসছে।
৬. প্রতিদিন অন্তত দশটি Appropriate preposition ও দশটি ইংরেজি শব্দের অর্থ শেখার চেষ্টা করুন।অনুবাদের সময় এটা অনেক কাজে দিবে।
৭.যারা বিজ্ঞানে একটু দুর্বল তারা ইউটিউবে বিজ্ঞানের বেসিক বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো দেখুন।ইউটিউবে বিসিএসের সিলেবাসের সাথে রিলেটেড অসংখ্য ভিডিও রয়েছে।এগুলো আপনার বিজ্ঞানের বেসিক বৃদ্ধিতে বেশ সহায়তা করবে বলে অামার বিশ্বাস ।
৮.প্রতিদিন পত্রিকা পড়ার অভ্যাস না থাকলে এখন থেকেই পড়ার চেষ্টা করুন। পত্রিকা পড়ার সময় শুধু বিসিএসের সাথে রিলেটেড -সম্পাদকীয়,অর্থনীতি,সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড,জলবায়ু পরিবর্তন,নতুন প্রণীত অাইন,অান্তর্জাতিক,বিভিন্ন দেশের সাথে সমঝোতা স্মারক, চুক্তি,বিভিন্ন অান্তর্জাতিক সম্মেলনের গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রভৃতি বিষয়গুলো পড়ুন।দুনিয়ার সব খবর রাখতে গেলে অাপনার অযথা সময় নষ্ট হবে।
৯.ডাটা, উদ্ধৃতির জন্য একটি হ্যান্ডনোট করুন।পত্রিকা পড়া কিংবা গাইডবই পড়ার সময় যেসব ডাটা ও উদ্ধৃতি অাপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে তা হ্যান্ডনোটে লিখে রাখুন।হ্যান্ডনোট করার সুবিধা হলো একসাথে গোছানো থাকলে ডাটা, উদ্ধৃতি সহজে মনে থাকে ও পরীক্ষার খাতায় লেখা সহজ হয়।
১০.বিগত বছরের ও পরীক্ষায় অাসার মত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ নিয়ে নিজের জন্য একটি প্রশ্নব্যাংক তৈরি করুন। প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নব্যাংকের জন্য অালাদা খাতা সংরক্ষণ করুন।
বিসিএস লিখিতের জন্য প্রচুর তথ্য মনে রাখতে হয়। এই অল্পসময়ে অসংখ্য তথ্য মনে রাখাটাও খুব কষ্টের।প্রত্যেকেই এজন্য কিছু ইউনিক সিস্টেম ফলো করে।বিভিন্ন বিষয়ের তথ্যসমূহ মনে রাখতে অাপনি নিজেই নিজের জন্য কিছু কৌশল খুঁজে বের করা।
১. প্রথমেই বলি, লিখিতর ট্রাম্প কার্ড ৩টি সাবজেক্ট। গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি। ইংরেজিতে ১২০+, গণিত ও বিজ্ঞানে ৭৫+ নম্বর সাধারণ ক্যাডারের জন্য উপযুক্ত নম্বর। পাশাপাশি বাংলা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকে ৫৫-৬০% নম্বর পেলেই চলবে (যেহেতু কোটা নাই)। তাই প্রথমেই ঐ তিনটি সাবজেক্টে ৭৫% সময় রাখবেন।
২. আপনি পরেরবার প্রিলি পরীক্ষা ভালো নাও দিতে পারেন এমন ভেবে লিখিত প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখবেন না। ছোট খাটো সব কাজ বাদ দিন। দরকার হলে লোন করে বসে বসে ৪-৫ মাস পড়েন। মনে রাখবেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা ঘুম আর ২/৩ ঘণ্টা খাওয়া ও প্রার্থনা ছাড়া বাকী ১৪/১৫ ঘণ্টা শুধুই লিখিত নিয়া চিন্তা থাকবে।
৩. পার্ট টাইম জব, টিইশনি বাদ দিবেনই। মনে রাখবেন যে ১৫-২০ হাজার টিকবে তার মধ্য থেকে ৮/৯ জনে ১ জন ক্যাডার এবং অন্তত ৫ জন নন ক্যাডার জব পাবেন।
৪. পত্রিকায় ডুবে থাকতে হবে। সব পাতা, সব ছবি, সব খবর পড়তে হবে। ড্যাটার খাতা বানিয়ে তাতে অর্থ ও বাণিজ্য, সারাবিশ্ব ও প্রথম পাতা থেকে প্রাপ্ত তথ্য তারিখসহ লিখে রাখতে হবে। দরকার হলে কেটে গাম দিয়ে রাখতে হবে। [প্রথম আলো, বণিক বার্তা, ইত্তেফাক ও স্টার ভালো হেল্পফুল হবে। অর্থ ও বাণিজ্য পাতায় বেশি গুরুত্ব দিবেন]
কোচিং করবেন কি না?
১. বাসা থেকে কোচিং কাছে হলে (২০/৩০ মিনিটের পথ হলে)
২. লেখার অভ্যাস না থাকলে
৩. খুব বেশি অগোছালো মনে হলে
৪. কোন সাবজেক্টে বেশি উইকনেস থাকলে। ধরুন, ম্যাথ, বিজ্ঞান বা জিকে নিয়ে সমস্যা থাকলে ওসবের নোটের জন্য ক্লাস করতে পারেন।
লিখিত প্রস্তুতিতে কীভাবে এগিয়ে থাকবেন?
💥 তাদের জন্য কিছু টপিকস দিচ্ছি যেগুলো প্রিলির রেজাল্টের অাগে পড়লে, অাপনি এগিয়ে থাকবেন।💥বাকিগুলো নতুন বই বের হলে পড়বেন, রেজাল্ট দেওয়ার পর।
১) ইংরেজি:
-বাংলা টু ইংলিশ ট্রান্সলেশন
-ইংলিশ টু বাংলা ট্রান্সলেশন
- ভেকাবুলারি পড়া রেগুলার
২) গণিত
- সিলেবাস দেখে ৯-১০ শ্রেনীর সাধারন গনিত বই
- উচ্চতর গনিত মাধ্যমিক থেকে কিছু টপিক্স সিলেবাস দেখে
- ইন্টারের এস ইউ অাহমদ স্যারের বই থেকে বিন্যাস, সমাবেশ এবং সম্ভবতা
-💥মানসিক দক্ষতা প্রিলি রিটেন একই
৩) বাংলাদেশ বিষয়াবলী
-মুক্তিযুদ্ধ ডিটেলস( মোজাম্মেল হক স্যারের বই, পৌরনীতি ও সুশাসন)
- সংবিধান ডিটেলস( অারিফ স্যারেরটা পড়ছিলাম)
৪) অান্তর্জাতিক
- পত্রিকা পড়বেন
- Assurance লিখিত
৫) বাংলা এবং বাংলা ২য়
- অগ্রদূত বাংলা লিখিত থেকে বানান শুদ্ধি, বাক্য শুদ্ধি, প্রয়োগ অপপ্রয়োগ (প্রিলি)
- বাগধারা
৬) বিজ্ঞান
- কম্পিউটার পার্টটা প্রিলির বই পড়লেই হবে।
- সাধারণ বিজ্ঞান ৯-১০ শ্রেনীর বই সিলেবাস মিলিয়ে
- বিজ্ঞান হ্যান্ডবুক বানিয়ে নিবেন
রেজাল্টের অাগে এগুলো পড়লে, অাপনি অনেক এগিয়ে থাকবেন। লিখিত এর সিলেবাস বুঝতে অনেক সময় চলে যাবে।। সকলে অনেক অনেক বইয়ের রেফারেন্স দিবে, সত্যি বলতে এগুলো পড়তে গেলে পাগল হয়ে যাবেন।
💥তাই শুধু গুরুত্বপুর্ন টপিক্স গুলো এগিয়ে রাখুন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
১.অবশ্যই প্রত্যেক বিষয়ের বিগত সকল প্রশ্ন (লিখিত+ পারলে প্রিলি) পড়ে ফেলতে হবে***
২. যেকোন কিছু লিখতে গেলে গুছিয়ে লিখুন (ভূমিকা, মূল উত্তর, উপসংহার)
৩. গতানুগতিক নয়; নিজের মতো করে লিখুন
৪. বেশি না লিখে বরঞ্চ বেশি ডাটা, চিত্র, ম্যাপ দিন; নীল রঙের কলমের ব্যবহার শিখুন
৫. নম্বর অনুযায়ী উত্তরের সাইজ যেন সমান হয়; যেমন- ৫ নম্বরের উত্তরে এক প্রশ্নে ৪ পৃষ্ঠা অন্য প্রশ্নে ১ পৃষ্ঠা যেন না হয়
৬. উত্তর করার ক্ষেত্রে নম্বর অনুযায়ী সময় দিন; যেমন- ২০০ মার্কসের জন্য ২৪০ মিনিট সময় থাকলে প্রত্যেক মার্কসে কত মিনিট সময় আছে সেটা মাথায় রেখে উত্তর লিখুন
৭. একই পৃষ্টায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর লেখার অভ্যাস বাদ দিন। প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর যেন নতুন পৃষ্টায় শুরু হয়
৮. কোনও প্রশ্নের উত্তরই ছেড়ে আসবেন না
৯.ইংরেজিতে ১২০ পেলে তাকে আটকানো টাফ হবে।
১০.গণিত ও বিজ্ঞানে যারা ১৫০+ পাবেন ক্যাডারের তালিকায় থেকে যাবেন।
১১.ডাটা, টেবিল, ছক, মানচিত্র দিতে পারলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকে ৩০/৪০ শতাংশ মার্কস বেশি পাবেন।
DO NoT STOP When u'Re Tired
STOP when u havE DoNE
লক্ষ্য করুন :
কী কী পড়বেন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন। কম পড়বেন কিন্তু সিলেবাস বুঝে গুছিয়ে পড়বেন,তাহলে চাকরির পড়া সহজ হয়ে যাবে।
কোচিং না করেও বিসিএস ক্যাডার হওয়া যায় যদি অংক ইংরেজীতে দক্ষ হন।
Palash Sadhu
®৩৪-তম বিসিএস ক্যাডার