Pages

আজারবাইজান, আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাতের কারণ কী?

আজারবাইজান, আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাতের কারণ কী?

(সংঘাতের কারণ,
 নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল কোথায়?
 প্রথম সংঘাত,
 আর্মেনিয়ার সহায়তা,
 মাঝেমধ্যেই সংঘাত,
 আবার কেন সংঘাত? 
 এবারের সংঘাত কতটা বড়?
 রাশিয়া, তুরস্ক যুক্ত হবে?
 রাশিয়ার সুযোগ, 
 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া,
 যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে তুরস্কের সমর্থন চায় রাশিয়া,
 আর্মেনিয়ার অভিযোগ,
 
সর্বশেষ খবর___
রাশিয়ার মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের

পরিশেষে, কোন দেশের সামরিক শক্তি কেমন? এবং
দুই দেশের মধ্যে সামরিক শক্তির প্রধান পার্থক্যগুলো কোথায়?)

সংঘাতের কারণ:

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০) থেকে রাশিয়ার মিত্র আর্মেনিয়া ও তুরস্কের মিত্র আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত চলছে৷ এর কারণ নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল৷

নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল কোথায়?

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ৷ পাহাড় ও বন ঘেরা দুর্গম এই অঞ্চলে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাস করেন৷ তাদের বেশিরভাগই আজারবাইজানের শাসনের বিরোধী আর্মেনীয়৷ অঞ্চলটির আয়তন প্রায় চার হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার৷

প্রথম সংঘাত:

গত শতকের আশির দশকের শেষদিকে যখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার প্রক্রিয়া চলছে, তখন থেকেই নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাতের শুরু৷ ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে এই সংঘাত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রাণ হারান প্রায় ৩০ হাজার মানুষ৷ সংঘাতের কারণে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আর্মেনীয়দের হাতে৷

আর্মেনিয়ার সহায়তা:

১৯৯৪ সালের পর থেকে নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে আর্মেনিয়া৷ এছাড়া সারা বিশ্বে থাকা আর্মেনীয়রাও ঐ অঞ্চলের জন্য দান করে থাকেন৷  কারাবাখের সবচেয়ে বড় শহর হচ্ছে  স্টেপানাকিয়ার্ট ৷

মাঝেমধ্যেই সংঘাত:

যুদ্ধবিরতি চললেও নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সৈন্যদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ ২০১৬ সালে এক সংঘাতে প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারায়! এছাড়া গত জুলাইতেও মোটামুটি বড় আকারের সংঘাত হয়েছিল৷ রবিবার শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন৷ নিহতদের অন্তত ১১ জন বেসামরিক নাগরিক৷

আবার কেন সংঘাত?

জুলাইয়ের সংঘাতের সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার সমাধানে ততটা আগ্রহ দেখায়নি৷ অতীতে রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ঐ অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে মধ্যস্থতা করলেও বর্তমানে করোনা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, বেলারুশ, লেবানন পরিস্থিতি ইত্যাদির কারণে নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দিকে পর্যাপ্ত মনোযোগ দেয়া যায়নি৷ তাই রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছে!

এবারের সংঘাত কতটা বড়?

‘জর্জিয়ান স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিসিস সেন্টার’-এর সিনিয়র ফেলো গেলা ভাসাদজে বলছেন, ১৯৯০ দশকের পর এই ‘প্রথম’ আর্মেনিয়া ও কারাবাখ ঐ অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক যান জড়ো করছে৷ আজারবাইজানও সামরিক আইন জারি করেছে৷ এছাড়া আকাশ থেকে হামলা চালানোর সিস্টেম, ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি সবকিছুর ব্যবস্থা করছে দেশটি৷

রাশিয়া, তুরস্ক যুক্ত হবে?

খ্রিস্টানপ্রধান আর্মেনিয়ার সবচেয়ে বড় বন্ধু রাশিয়া৷ তাদের সঙ্গে সামরিক চুক্তিও আছে দেশটির৷ আর মুসলমানপ্রধান দেশ আজারবাইজানের সঙ্গে সামরিক চুক্তি আছে তুরস্কের৷ তবে বিশ্লেষক গেলা ভাসাদজে বলছেন, রাশিয়া ও তুরস্ক হয়ত সরাসরি এই সংঘাতে যুক্ত হবে না, কারণ, এতে যুক্ত হয়ে খুব বেশি লাভ নেই৷ বরং এর ফলে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷

রাশিয়ার সুযোগ:

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে সমর্থন জানিয়ে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের বিরোধী নাভালনিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ সমালোচনার মুখে আছে রাশিয়া৷ এই অবস্থায় রাশিয়া যদি আলোচনার মাধ্যমে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে, তাহলে বিশ্বমঞ্চে রাশিয়া প্রশংসিত হতে পারে৷ পুতিন ইতিমধ্যে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে৷

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়৷ জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’র ডাক দিয়েছেন৷

যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে তুরস্কের সমর্থন চায় রাশিয়া:

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ করতে কাজ করার জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। চলমান এই সংঘর্ষে আজারবাইজানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে টানা চতুর্থ দিনের মতো রক্তক্ষয়ী সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া বুধবারও লড়াই চালিয়ে গেছে উভয় দেশের সেনারা। এরইমধ্যে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছে (পরিসংখ্যান ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত)। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। অন্যদিকে এ সংঘাত থেকে তুরস্ককে দূরে রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা সব পক্ষকে বিশেষ করে মিত্র দেশ তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভাব্য সব কিছু করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও পক্ষকে যে কোনও ধরনের সমর্থন ও সামরিক কর্মকাণ্ড জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালবে নিশ্চিতভাবে।

আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছে, আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক সংঘাতে ভাড়াটে সেনা পাঠাচ্ছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে আঙ্কারা।

তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মধ্যে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশগুলোর একটি সামরিক জোটের সদস্য রাশিয়া। যে জোটে আর্মেনিয়া রয়েছে এবং দেশটিতে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো।

পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিন দেশের সঙ্গেই নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। 

সর্বশেষ খবর___
রাশিয়ার মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের:

বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে চলমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার জন্য রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। রবিবার শুরু হওয়া এই সংঘাত টানা চতুর্থ দিন বুধবারও অব্যাহত রয়েছে। উভয়পক্ষের নিশ্চিত হতাহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমস এখবর জানিয়েছে।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনের সংঘাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার আর্মেনিয়া অভিযোগ করে তুর্কি বিমান হামলায় তাদের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশগুলোর একটি সামরিক জোটের সদস্য রাশিয়া। যে জোটে আর্মেনিয়া রয়েছে এবং দেশটিতে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। আর আজারবাইজানকে সমর্থন করছে তুরস্ক।

যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে রাশিয়া ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোও এতে যুক্ত হতে পারে।  

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা সব পক্ষকে বিশেষ করে মিত্র দেশ তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভাব্য সব কিছু করার জন্য।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পশিনিয়ান বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা যথার্থ হবে না।  পশিনিয়ান রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন, ‘তুমুল লড়াইয়ের এই সময়ে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্মেলনের কথা বলা একেবারে অযথার্থ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতি প্রয়োজন।’

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজানি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও রাশিয়ার মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাশিয়ান টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন কারাবাখ তাদের ভূখণ্ড। তাহলে আমরা কোন ধরনের সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করব?

সংঘাতের চতুর্থ দিন উভয় পক্ষই ব্যাপক হতাহতের দাবি করেছে। তবে তৃতীয় পক্ষ বা স্বতন্ত্রভাবে কোনও পক্ষের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ এবং এই বছরের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ।

কোন দেশের সামরিক শক্তি কেমন?

বিশ্বে দেশগুলোর সামরিক শক্তির যে তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার, তাতে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের শক্তির একটি ধারণা পাওয়া যায়।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে আজারবাইজানের অবস্থান ৬৪, অন্যদিকে আর্মেনিয়ার অবস্থান ১১১-এ।

আজারবাইজানের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৬ হাজার হলেও আর্মেনিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৩০ লাখ ৩৮ হাজার। আয়তনের দিক থেকেও যেখানে আর্মেনিয়া মাত্র ২৯,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার, সেখানে আজারবাইজানের আয়তন প্রায় তিনগুণ ৮৬, ৬০০ বর্গকিলোমিটার।

দুই দেশের মধ্যে সামরিক শক্তির প্রধান পার্থক্যগুলো কোথায়?

সৈন্য সংখ্যা:
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ইনডেক্স অনুযায়ী, আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনীর মোট সদস্য ১ লাখ ২৬ হাজার। তাদের সংরক্ষিত বাহিনীতে রয়েছে ৩ লাখ কর্মী।

সেই তুলনায় আর্মেনিয়ার সৈন্য সংখ্যা অর্ধেকের কম। দেশটিতে কর্মরত সৈন্য রয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার। সংরক্ষিত সেনা সদস্য হিসাবে রয়েছে ২ লাখ সদস্য।

প্রতিরক্ষা বাজেট:
এই ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে সামরিক খাতের বাজেটেও অনেক পার্থক্য রয়েছে। আজারবাইজানের সামরিক বাজেট আর্মেনিয়ার প্রায় দ্বিগুণ।

আজারবাইজান যেখানে সামরিক খাতে ব্যয় করে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার, সেখানে আর্মেনিয়া ব্যয় করে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার।

এয়ারক্রাফট:
আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীতে মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা ১৪৮টি। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার এয়ারক্রাফট রয়েছে ৬৪টি।

এর মধ্যে আর্মেনিয়ার কোন যুদ্ধবিমান নেই, তবে হামলায় ব্যবহার উপযোগী অ্যাটাক এয়ারক্রাফট রয়েছে নয়টি।

অন্যদিকে আজারবাইজানের যুদ্ধবিমান রয়েছে ১৭টি। এর বাইরে তাদের অ্যাটাক এয়ারক্রাফট আছে ১২টি।

হেলিকপ্টার:
হেলিকপ্টারের সংখ্যার দিক থেকে আজারবাইজান এগিয়ে থাকলেও আক্রমণকারী হেলিকপ্টারের তালিকায় এগিয়ে রয়েছে আর্মেনীয়।

আজারবাইজানের হেলিকপ্টার রয়েছে ৮৮টি, যার মধ্যে ১৭টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার।

আর আর্মেনিয়ার হেলিকপ্টার রয়েছে ৩৭টি। তার মধ্যে ২০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার।

সামরিক যান:
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, সাঁজোয়া যানের দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে আজারবাইজান।

তাদের ট্যাংক রয়েছে ৫৭০টি আর আর্মাড কার রয়েছে ১, ৪৫১টি।

আর্মেনিয়ার ট্যাংকের সংখ্যা অনেক কম। তাদের মাত্র ১১০টি ট্যাংক রয়েছে। অন্যদিকে তাদের আর্মাড কারের সংখ্যা ৭৪৮টি।

আর্টিলারি:
আর্টিলারির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে আজারবাইজান।

দেশটির স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান রয়েছে ১৮৭টি আর ফিল্ড আর্টিলারি রয়েছে ২২৭টি।

আর্মেনিয়ার স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান রয়েছে ৩৮টি আর ফিল্ড আর্টিলারি রয়েছে ১৫০টি।

আজারবাইজানের যেখানে রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ১৬২টি সেখানে আর্মেনিয়ার আছে অর্ধেকের কম, ৬৮টি।

নৌযান:
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ইনডেক্স অনুযায়ী, আর্মেনিয়ার কোন রণতরী নেই। তবে আজারবাইজানের নৌ বাহিনীর মোট ৩১টি রণতরী রয়েছে।

এর মধ্যে আজারবাইজানের একটি ফ্রিগেট, চারটি সাবমেরিন রয়েছে। আর্মেনিয়ার এসব কোন নৌযান নেই।

এছাড়া আজারবাইজানের মাইন অপসারণে সক্ষম সাতটি যুদ্ধজাহাজ আর উপকূলে টহল দিতে সক্ষম ১৩টি পেট্রল বোট আছে।

দুই দেশের কারোই বিমানবাহী রণতরী কিংবা ডেস্ট্রয়ার নেই।

অন্যান্য:
আর্মেনিয়ায় মোট ১১টি বিমানবন্দর রয়েছে, যেখানে আজারবাইজানে রয়েছে ৩৭টি।

আর্মেনিয়ার কোন বাণিজ্যিক জাহাজ নেই, তবে আজারবাইজানের বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে ৩১৩টি।

সড়কপথ, রেলপথ, বন্দরের দিক থেকেও আর্মেনিয়ার চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে আজারবাইজান।

আজারবাইজান তেল সম্পদে সমৃদ্ধ। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বড় একটি অংশ তারা রপ্তানি করে। তবে আর্মেনিয়ার তেল নেই। চাহিদার পুরোটাই তাদের আমদানি করতে হয়।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, সামরিক দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। শীর্ষ ১০দেশের মধ্যে আরো রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, মিশর এবং ব্রাজিল।

সামরিক শক্তির দিক থেকে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা ৪৬তম।

সূত্র:  রয়টার্স, মস্কো টাইমস, আল জাজিরা, রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স, বাংলা ট্রিবিউন, ডয়েচে ভেলে,  বিবিসি বাংলা, এপি।

সম্পাদনা: প্রশান্ত কর্মকার, সাংবাদিক।
★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন