৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি,শেষ সময়ে করণীয়
By দিদার নূর
এএসপি(৩৭তম বিসিএস)
-------------------------------------------------------------------
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জিনিষ শেয়ার করছি।অাশা করছি সবার কাজে লাগবে।
১.যা পড়া হয়েছে তা বারবার রিভাইজ দিন।এসময় নতুন কিছু পড়া থেকে বিরত থাকুন।
২.অতিসাম্প্রতিক তথ্য পড়া থেকে বিরত থাকুন।এগুলা অাপনার মাথা ভারী করার জন্য যথেষ্ট।বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অতিসাম্প্রতিক থেকে সর্বোচ্চ ২/১ টা প্রশ্ন অাসে যা না পারলেও অাপনি ঠিকই প্রিলি পাস করে যাবেন।
৩.বাসায় বসে প্রতিদিন ২/১ টা মডেল টেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন।এটা অাপনার অাত্নবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে।
৪.মডেল টেস্ট দেয়ার সময় সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন।নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করার চেষ্টা করুন।
৫.এসময় কোচিং সেন্টারে যাওয়া থেকে পারতপক্ষে বিরত থাকুন।যেটুকু সময় অাছে তার সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
৬.সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে অনেককিছু শেয়ার করবে, যা অাপনার পড়া হয়নি এগুলো পড়া থেকে বিরত থাকুন।
৭.কে কি পড়লো না পড়লো এটা নিয়ে ডিসকাস করা থেকে বিরত থাকুন।ডিসকাস করার সময় কোনকিছু জানা না থাকলে নিজের প্রস্তুতিকে অসম্পূর্ণ মনে হবে যা অাপনার অাত্নবিশ্বাস কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৮.বীজগণিত,পাটিগণিত,জ্যামিতির সূত্রগুলো বারবার দেখে নিন।সূত্র মনে রাখলে অনেক অংকের উত্তর প্রদান সহজ হয়।
৯.গনিত,বিজ্ঞান,সংবিধান,কম্পিউটার,ইংরেজির উপর বেশি বেশি চোখ বুলান।
১০.বাংলা,বাংলাদেশ ও অান্তর্জাতিক বিষয়াবলী যা পড়া হয়েছে তার বাইরে অার নতুন করে কিছু না পড়াটাই শ্রেয়।
১১.ব্রেণ শার্প রাখার জন্য এসময় পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটা জরুরি।এদিকটায় খেয়াল রাখুন।
১২.এসময় অতিরিক্ত প্রেসার নিবেন না।অতিরিক্ত মানসিক প্রেসার কখনোই ভাল কিছু বয়ে অানে না।
১৩.পরীক্ষার কেন্দ্রের নাম ও অবস্থান ভাল করে জেনে নিন।অনেকে দেখা যায় ভুল করে ভিন্ন কেন্দ্রে চলে যায় তখন অার চোখের পানি ফেলা ছাড়া অার করার কিছু থাকবে না।
১৪.পরীক্ষার অাগের রাতেই প্রয়োজনীয় কাগজ,কলম একটা ফাইলে গুছিয়ে রাখুন।অার পরীক্ষার অাগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি।তাই বেশি রাত জাগা থেকে বিরত থাকুন।
১৫.পরীক্ষার ১ ঘন্টা অাগে কেন্দ্রে পৌছানোর চেষ্টা করুন।কেন্দ্রে পৌছার পর কারো সাথে পড়ালেখা নিয়ে অালাপ অালোচনা না করাটাই শ্রেয়।
১৬.উত্তরপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখা ও বৃত্ত ভরাট করার সময় এডমিটের সাথে ভাল করে মিলিয়ে নিন এবং ক্রস চেক দিন।
১৭.প্রশ্নের সেট নম্বর পূরণ করার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।কমপক্ষে তিনবার চেক করুন প্রশ্নে প্রদত্ত সেটের সাথে অাপনার উত্তরপত্রে পূরণ করা সেট নম্বরের মিল অাছে কিনা।সেট ভুল হয়ে গেলে কিন্তু অাপনার প্রিলি ফেল কেউ ঠেকাতে পারবে না।
১৮.অংক এবং ইংরেজি সবশেষে উত্তর করার চেষ্টা করুন।প্রথমেই অংকে হাত দিলে সময় মেইনটেইন করা অাপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
১৯.যে প্রশ্নের উত্তরগুলো অাপনার ১০০% জানা অাছে সেগুলো অাগে বৃত্ত ভরাট করে ফেলুন।
২০.জানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর একবারে শেষে কিছু সময় কনফিউজিং প্রশ্নের জন্য রাখুন।
২১.যদি দেখা যায় ১২০/১৩০ টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর অাপনি দাগিয়ে ফেলেছেন তখন অনুমান নির্ভর দাগানো থেকে বিরত থাকুন।নেগেটিভ মার্কিং অাপনার পাসকে ফেল বানাতে যথেষ্ট।
২২.প্রশ্ন যত সহজ বা কঠিন হউক না কেন ১২০ পেলে অাপনি ইনশাল্লাহ প্রিলি পাস করবেনই।তাই কাঙ্ক্ষিত নম্বরের উত্তর দাগানো শেষ হয়ে গেলে অনুমাননির্ভর দাগানো থেকে বিরত থাকুন।
২৩.সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন।ভাগ্যে থাকলে বিসিএস অাপনার হবেই।
সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
অাল্লাহ হাফেজ।
দিদার নূর
এএসপি(৩৭তম বিসিএস)
