ত্রিকোণমিতি গণিতের একটি শাখা, যাতে ত্রিভুজের কোণ, বাহু ও তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়। ত্রিকোণমিতি শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Trigonometry। এই শব্দটি আবার গ্রিক শব্দ
trigōnon "ত্রিভুজ" এবং metron "পরিমাপ" থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ত্রিকোণমিতির অপেক্ষকগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন মানের পাল্লার প্রতিরূপ দেয়া যায় বা বারবার পুনরাবৃত্ত হয়। এগুলো পুনরাবৃত্ত প্রতিভাসের প্রতিরূপে যেমন দোলকের গতি অথবা পরিবর্ত্য তড়িৎ প্রবাহের বিশ্লেষণে উদ্ভূত হয়। ত্রিকোণমিতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে। এটি ব্যবহার করে দৈর্ঘ্যের এক বিশাল জালি পাওয়া যায় যা সাধারণ পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহার করে মাপা যায় না।
#ইতিহাস
ত্রিকোণমিতির জন্ম প্রাচীন মিসরে হলেও এর উদ্ভাবক কিন্তু একজন গ্রিক। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে গ্রিক জ্যোতির্বিদ হিপারচুস গ্রহ-নক্ষত্র বিচার করতে গিয়ে এই বিদ্যার চর্চা শুরু করেন। তিনি কাজ করতেন আলেকজান্দ্রিয়ার একটি জাদুঘরে। তবে আমরা বর্তমান যুগে ‘সাইন’, ‘কস’, ‘থেটা’, ‘কোসাইন’, ‘কোসেক’ ইত্যাদি দিয়ে যে ত্রিকোণমিতি করে থাকি, তার উদ্ভাবক কিন্তু মুসলিম গণিতবিদেরা। নবম খ্রিষ্টাব্দে আবু আবদুল্লাহ আল-বাতানি, হাবাস আল-হাসিব ও আবুল ওয়াফা আল-বুজানি নামের তিন গণিতবিদের যৌথ উদ্যোগের ফসল আজকের ত্রিকোণমিতি। তাঁরা কিন্তু গ্রিক জ্যোতির্বিদ হিপারকাসের মূল ধারণার ওপর ভিত্তি করেই এ বিষয়টিকে আরও আধুনিক করে গড়ে তুলেছিলেন।
#সংক্ষিপ্ত_বিবরণঃ
যদি ত্রিভুজের এক কোণ সমকোণ হয় এবং অপর কোণের মান জানা থাকে তবে তৃতীয় কোণের পরিমাপ নির্ণয় করা যায়। এবার আমরা জানি ত্রিভুজের তিন কোনের সমষ্টি ১৮০ ডিগ্রি। কাজেই সমকোণ বাদে বাকি কোণদ্বয়ের সমষ্টি ৯০ ডিগ্রি। তিনটি কোনের পরিমাপ জানা থাকলে ত্রিভুজের বাহুত্রয়ের পরিমাপের নির্ণয় করা যায়। আর যেকোনো এক বাহুর দৈর্ঘ্য জানা থাকলে বাকি বাহুর দৈর্ঘ্যও জানা যায়। এই অনুপাতগুলো জানা যায় কোন θ এর ত্রিকোনোমিতিক ফাংশন থেকে।
সাইন ফাংশনঃ (এটি ত্রিভুজের লম্ব ও অতিভুজের অনুপাত প্রকাশ করে)
sinθ = লম্ব/অতিভুজ
কোসাইনঃ (এটি ত্রিভুজের ভূমি ও অতিভুজের অনুপাত প্রকাশ করে)
cosθ = ভূমি/অতিভুজ
ট্যানঃ (এটি ত্রিভুজের লম্ব ও ভূমির অনুপাত প্রকাশ করে)
tanθ= লম্ব/ভূমি = লম্ব/অতিভুজ x অতিভুজ/ভূমি = sinθ/cosθ.