Pages

পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা সমূহ

🌐 পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা সমূহ 🌐

             পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সভ্যতার উদ্ভব মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন। সভ্যতার ক্রমান্বয়ে উন্নতির ফলেই মানুষের জীবনযাত্রা সহজ থেকে সহজতর হয়েছে। আজকের আধুনিক যুগও সভ্যতার কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে। বন্যতা থেকে বর্বরতা এবং বর্বরতা থেকে মানুষ ধীরে ধীরে সুশৃংঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। মানবগোষ্ঠী তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দ্বারা জীবন প্রবাহের মানোন্নয়ন করতে থাকে। বিশেষ সময়-কালের পরিপ্রেক্ষিতে তা সভ্যতা নামে অভিহিত হয়। প্রাচীন কালে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বহু সভ্যতা গড়ে ওঠে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সভ্যতা নিচে তুলে ধরা হলো। 


=>>> মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা:- 

পৃথিবীর প্রাচীনতা  সভ্যতার অন্যতম। মধ্যপ্রাচ্যের ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদী-বিধৌত অতি উর্বর উপত্যকায় এ দুটি নদীর মধ্যবর্তী দোয়াব অঞ্চলে নাম মেসোপটেমিয়া (বর্তমান ইরাক)। এখানে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০০ এবং ৩০০০ অব্দের মধ্যে এক অতি উন্নত সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছে। এ সভ্যতা অবিমিশ্র কিছু ছিল না। সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয় ও অ্যাসেরীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিরও অপরিমেয় অবদান রয়েছে এর সামগ্রিক বিকাশ ও পরিপুষ্টি সাধনে।
মেসোপটেমিয়ার বসতি স্থাপনকারী আদি অধিবাসীদের প্রধান খাদ্য ছিল গম । খেজুর গাছকে তারা অভিহিত করত 'জীবনদায়িনী বৃক্ষ' বলে। খেজুর থেকে তারা তৈরি করত ময়দা ও মধু।  প্রথমদিকে জলাভূমির আগাছা দিয়ে তৈরি করা হতো কুঁড়ে ঘর। পরে এ কাজে ব্যবহার করা হতে থাকে এঁটেল মাটির ইট।
এ সভ্যতার শুরুতে যেমন খাল খনন, বাঁধ নির্মাণ, পানি সেচ ও পানি সঞ্চয়সহ সুবিন্যস্ত পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার প্রসার ঘটে, তেমনি জমিকর্ষণ কাজে কোদালের ব্যবহার শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে এ সভ্যতা ছিল কৃষি ও পুশুচারণভিত্তিক।
শহর এলাকায় বসবাস করত কারিগরি শ্রেণীর লোকজন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের মধ্যে তারা তামা , সোনা,  ব্রোঞ্জ ও পরে লোহার ব্যবহার আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়। ফলে কৃষিকাজ ও হস্তশিল্পে ব্যাপক বিকাশ ঘটে। গড়ে ওঠে দাস, স্বাধীন চাষী, কারিগরি ও ধনী দাসমালিকদের সমবায়ে ছোট-বড় বহু নগর ও রাষ্ট্র।খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে মিশরে হায়ারোগ্লিফিক বা চিত্রলিপি নামে এক উন্নত লিখন পদ্ধতির উদ্ভব হয়। শর বা নলখাগড়া জাতীয় গাছের মজ্জা থেকে তৈরি প্যাপিরাস নামের এক ধরনের কাগজের উপরে তারা লেখার কাজ সম্পন্ন করত। ফসলের পরিমান নিরূপণ করতে গিয়ে প্রাচীন মিশরে জন্ম হয় গণিত শাস্ত্রের। খাল খনন, ভূমির দৈর্ঘ ও প্রস্থের পরিমাণ, পিরামিডের পাথরের আয়তন ও কোণের পরিমাপ করতে গিয়ে উদ্ভব ঘটে জ্যামিতির। ক্যালেন্ডার তৈরি করার প্রথম কৃতিত্বও তাদের। তারাই প্রথম ৩৬৫ দিনে বছর গণনা শুরু করেন। ফারাওদের মৃতদেহ পঁচনের হাত থেকে রক্ষার জন্য মিশরীয়রা মমি (পিরামিড) তৈরি করে। পিরামিডগুলো আজ অবধি স্বমহিমায় দাড়িয়ে আছে। তাদের সবচেয়ে বড় পিরামিডের নাম হল ফারাও খুফুর পিরামিড।  অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মেসোপটেমিয়াই মানবসভ্যতার আদি লীলাভূমি। 



=>>> সুমেরীয় সভ্যতা :-

মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশে আক্কাদ ও দক্ষিণাংশে সুমের। এ সুমেরকে কেন্দ্র করেই আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ নাগাদ মেসোপটেমিয়ায় এক উন্নত সভ্যতার উন্মেষ ঘটে। জাতিতে অসেমিটিক সুমেরবাসীই আদি মেসোপটেমিয়ার জনক। আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সেমিটিক জাতির একটি শাখা দজলা ফোরাত (বর্তমানে টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস) উপত্যকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। সমাজ ও সভ্যতার দিক দিয়ে অনগ্রসর এই সেমিটিক শাখাটিই স্থানীয় সুমেরীয়দের ঘরবাড়ি তৈরি, জলসেচ সর্বোপরি লিখন পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে। সুমেরীয়রা সুসভ্য জাতি হলেও সুসংহত রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়নি। বস্তুত সুমের অধ্যুষিত প্রাচীন বেষ্টিত এই সব নগর ছিল সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রত্যেক নগররাষ্ট্রে জাগতিক ও আধ্যাতিক উভয় ক্ষেত্রে রাজাই ছিল সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তবে কেন্দ্রিয় রাজশক্তির অভাবে প্রভুত্ব স্থাপনের জন্য রাজ্যগুলো পারস্পরিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত থাকত। সুমেরীয়দের সমাজে অর্থনৈতিক কাঠামো জটিলতার বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল না বরং সহজ-সরল ছিল। বাণিজ্য ছিল সুমেরীয়দের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক উৎস। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক দু’ধরনের বাণিজ্যই চালু ছিল। বাণিজ্যে বেসরকারী উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হতো সমুদ্র ও স্থল পথে সুমেরীয়রা নীল কান্তমনি, লালপাথর ও অন্যান্য পাথর এবং কাঠ আমদানি করতো। বয়নজাত দ্রব্য, অলংকার, যুদ্ধের অস্ত্র, প্রভৃতি রপ্তানি করতো। সুমেরীয়রা বহু দেব-দেবীতে বিশ্বাসী ছিল। তাদের প্রধান দেব-দেবী ছিল শামাস, এনলিল, ইশতার, নারগল ও এনকি। সুমেরীয় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অবদান লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে সুমেরীয়রা পিকটোগ্রাফিক নামে লিখন পদ্ধতির সূত্রপাত ঘটায়। তারা বছরকে ১২ মাসে, দিন-রাত্রিকে ঘন্টায় এবং ঘণ্টাকে মিনিটে বিভক্ত করেছিল। দিন ও রাতের সময় নিরূপণের জন্য সুমেরীয়রা পানিঘড়ি ও স্বর্ণঘড়ি আবিষ্কার করে। তারাই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ১দিন ও ৭ দিনে ১ সপ্তাহ নিয়ম প্রবর্তন করে। সুমেরীয়রা সূর্য ও চন্দ্রের আপেক্ষিক অবস্থিতি নির্ণয় করেছিল এবং গ্রহের সময় নিরূপণ করতে সক্ষম হয়েছিল। 


=>>> ব্যাবিলনীয় সভ্যতা : 

প্রাচীন কালে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে যে সকল সভ্যতা গড়ে ওঠেছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ব্যাবিলনীয় সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ অব্দে সুমের আক্কাদ বা প্রাচীন ব্যাবিলন সাম্রাজ্য স্থাপিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রথম সারগন। রাজা হাম্বুরাবী ছিলেন সভ্যতার শ্রেষ্ঠ শাসক। হাম্মুরাবী দুর্ধর্ষ যোদ্ধা, সংগঠক, প্রশাসক, ও আইন সংকলক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত নগর রাষ্ট্রকে একত্রিত করেন। প্রায় ৪২ বছর (১৭৯২-১৮৫০ খ্রি:পূর্বাব্দ) ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে তিনি সমগ্র মেসোপটেমিয়া ভূমধ্যসসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ও এশিয়ার উপর কর্তৃত্ব করে ‘সর্বাধিপতি’ উপাধি ধারণ করেন। তাঁর রাজত্বকালে শুধু বিজয়ই নয় বরং শক্তিশালী কেন্দ্রিয় শাসন, আইনসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য ব্যাবিলনের ইতিহাস ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবে পরিচিত। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ মেধার পরিচয় দেন। প্রাচীন ব্যাবিলনে ‘কিউনিফর্ম’ অর্থাৎ কীলক আকারের লিখন পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। এই পদ্ধতি প্রাচীন মিশনের ‘চিত্রলিখন’ পদ্ধতি অপেক্ষা উন্নত ছিল। ব্যাবিলনীয় ভাষা ছিল ৩০০ ধ্বনি চিহ্ন বিশিষ্ট। ব্যাবিলনীয়রা অসংখ্য দেব-দেবীর পূজা করত। সূর্যদেব মারদুক ছিল তাদের শ্রেষ্ঠ দেবতা।ব্যাবিলনের বিখ্যাত ‘শূন্য উদ্যান’ পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ব্যাবিলনীয়রা উন্নত ছিল। কাঁচ শিল্পের উন্নতি সাধন ও প্রসারে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। চিত্রাঙ্কন বিদ্যা, জ্যোতিষ শাস্ত্র, অঙ্ক শাস্ত্র এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তাদের অতুলনীয় পারদর্শিতা ছিল। গ্রহ-নক্ষত্রাদি সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের সীমা বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছিল। সূর্য ও জলঘড়ির সাহায্যে তারা সময় নিরূপণ করত। চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ সম্পর্কেও তাদের ধারণা ছিল যথাযথ। সেই সুদুর প্রাচীনকালে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির গণনা ব্যাবিলন থেকেই প্রসার লাভ করে। 


=>>>> অ্যাসেরীয় সভ্যতা : 

মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশে অ্যাসেরীয়রা প্রাধান্য বিস্তার করে। ক্যাসাইটদের আক্রমণে প্রাচীন ব্যাবিলন সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে তারা এই সভ্যতার উত্তরাধিকার লাভ করে। খ্রিস্টপূর্ব ১৩০০ অব্দের মধ্যেই অ্যাসেরীয়রা সমগ্র উত্তর মেসোপটেমিয়া দখল করে নেয়। অ্যাসেরীয়রা মূলত ব্যাবিলনীয় সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত হলেও সভ্যতার ইতিহাসে তাদের নিজস্ব অবদানও কম নয়। স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা, কারুশিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের মৌলিক উদ্ভাবনী ক্ষমতার ছাপ সুস্পষ্ট। অ্যাসেরীয়রা প্রথমদিকে ব্যাবিলনের কিউনিফর্ম লিপির ব্যাপক ব্যবহার করে। পরে তারা আর্মেনিয় ভাষাও বেশ ব্যবহার করে। অ্যাসেরীয় রাজারা প্রাচীন ঐতিহ্য সংরক্ষণেও সচেতন ছিলেন। রাজা সেনাচেরি তার রাজধানী নিনেভায় কাদার চাকতি সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি বিশাল গ্রন্থাগার গড়ে তোলেন। তবে রাজা আসুরবানিপাল প্রতিষ্ঠিত নিনেভায় গ্রন্থাগারকে এশিয়ার প্রথম গ্রন্থাগার বলা হয়। এখানে ২২,০০০ এর বেশি কাদার চাকতির পুস্তক ছিল। এগুলো অধিকাংশই ব্রিটিশ যাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। 


=>>> চৈনিক সভ্যতা : 

চীনা সভ্যতা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও নদীকেন্দ্রিক সমৃদ্ধ সভ্যতা। অনেকের মতে, এর উদ্ভব চীনের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের তারিম উপত্যকায়। কুয়েন্ডলুং পর্বত অতিক্রম করে হোয়াংহো নদীর তীর বরাবর গড়ে উঠেছিল এই সভ্যতা। উত্তর চীনে বর্তমানে যে জাতীয় মানুষের বসবাস, প্রস্তর যুগেও তাদের আকার আকৃতিবিশিষ্ট জনগোষ্ঠীর বসতি ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা ব্যবহার করত পাথরের তৈরী ছুরি, তীরের ফলা, কুঠার ও হাড়ের তৈরি নানাধরণের অস্ত্রশস্ত্র। কাপড় বোনা ও মাটির পাত্র নির্মাণ পদ্ধতিও তাদের আয়ত্তে ছিল। চীনা সভ্যতা মূলত কৃষিভিত্তিক। এখানকার প্রাচীন জনগোষ্ঠী হোয়াংহো নদীর দু’পাশের উর্বর এলাকাজুড়ে চাষ করতো জব, গম, ধান ও নানা ধরনের শাকসবজি। পালন করতো বিভিন্ন জাতের পশু, তারা রেশমকীটের চাষাবাদ পদ্ধতিও জানত। এর সুতো দিয়ে তারা মজবুত ও সুন্দর বস্ত্রাদি বানাতো। খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দ পর্যন্ত চীনে বহু খণ্ড-বিখণ্ড রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। এরা বিভিন্ন রাজবংশ ও তাদের শাসনামল দ্বারা বিভক্ত। খ্রিস্টপূর্ব ২২১ অব্দে যুদ্ধমান রাজ্যসমূহের বিভক্তি ও বিচ্ছিন্ন অবস্থার অবসান ঘটে। যুদ্ধোদ্যমের সর্বাত্মক সাফল্যের জন্য দিগি¦জয়ী মহাবীর শিহুয়াংতিকে চীনের নেপোলিয়ন বলা হয়ে থাকে। তিনি দেশকে মঙ্গোলীয়দের পৌণঃপুনিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য গড়ে তোলেন চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীর, যা চীনের মহাপ্রাচীর নামে খ্যাত এ প্রাচীর বিশ্বের প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। চীনারা খ্রিস্টিয় প্রথম শতকে আবিষ্কার করে কাগজ ও কম্পোজার। খ্রিস্টের জন্মের আগেই চীনের মাটিতে বারুদ ও খ্রিস্টিয় তৃতীয় শতকে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার মানব সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশে প্রভূত অবদান রেখেছে। চীনে বহু বিশ্ব-বিশ্রুত মনীষী, ধর্মগুরু ও দার্শনিকের আবির্ভাব ঘটেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন -কনফুসিয়াস, লাও-তসু ও সিনাৎসিয়ান। চীনা লোক কাহিনী, লোকগীতি ও পুরানকথার অনেক কিছুই কালজয়ী সাহিত্য কর্মের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রাচীন চীনা চিকিৎসকগণ বিভিন্ন ব্যাধি ও ক্ষত নিরাময়ের ভেষজ ও শল্য চিকিৎসা জানতেন। চীনা আকুপাংচার পদ্ধতি এখনো প্রচলিত। প্রাচীন চীনের ধর্ম ছিল অনেকটা অবিন্যস্ত ও অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাস তাদের মধ্যে লক্ষ করা যায়নি। তাদের ধর্মীয় জগত স্বর্গীয়, প্রাকৃতিক ও আধ্যাত্মিক প্রভাবে প্রভাবিত ছিল। 



=>>> সিন্ধু সভ্যতা : 

সিন্ধু সভ্যতা বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম। খ্রিস্টের জন্মের আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার অব্দে এর গোড়াপত্তন হয়। সিদ্ধু সভ্যতার দুটি প্রধান কেন্দ্র বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার মহেঞ্জোদারো এবং পাঞ্জারের ইরাবতী নদীর তীরে হরপ্পা। সিন্ধু সভ্যতার উৎপত্তি সিন্ধু নদীর তীরে, পরে তা পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে বহুদূর বিস্তৃত হয়। বলা হয়, এটি ১৫ লক্ষ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। এই সভ্যতার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য লক্ষ করা যায় সুমেরীয় সভ্যতার। কৃষিকর্মের উন্নতি সত্ত্বেও এটি ছিল নগর ও বাণিজ্যভিত্তিক সভ্যতা। অনেকের ধারণা, চীন, সুমেরীয় ও মিশরের প্রাচীন সভ্যতার তুলনায় সিন্ধু সভ্যতা ছিল বেশি অগ্রসর ও উন্নত। মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পাতে খনন কাজ চালিয়ে পাওয়া গেছে উন্নত পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ও পোতাশ্রয়ের সন্ধান। সুপরিকল্পিত রাস্তাঘাট, আগুনে পোড়ানো ইট, পাথরের মন্দির, সমাধিস্থান ও শিক্ষায়তনের নিদর্শন ও পাওয়া গেছে এখানে। সিন্ধু সভ্যতায় ছিল সুবিন্যস্ত শাসন ব্যবস্থা এবং ছিল নিজস্ব চিত্রলিপি ও লিখন প্রণালী। ওদের পোশাক পরিচ্ছদের অন্তর্ভুক্ত ছিল কার্পাস সুতোর বস্ত্র, চাদর ইত্যাদি। দেহের শোভাবর্ধন করার জন্য তারা সোনা, রূপা, শঙ্খ ও মূল্যবান পাথরের অলঙ্কার, পশুর হাড়, হাতির দাঁতের চিরুনি, আয়না, ক্ষুর ইত্যাদি ব্যবহার করতো। সিন্ধু সভ্যতার গোড়াপত্তন কারা করেছিল এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় এখানে প্রোটে অস্ট্রালয়েড মেডিটেরিনিয়ান, আলপাইন, ও মঙ্গোলয়েড জনগোষ্টীর কঙ্কাল পাওয়া গেছে। নৃতাত্ত্বিকদের ধারণা, মেডিটেরিনিয়ান বা দ্রাবিড় গোষ্ঠীই এ সভ্যতার প্রবর্তক। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের কাছাকাছি সময়ে আর্যদের আক্রমণে এ সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়। 


=>>>> হিব্রু সভ্যতা : 

হিব্রু সভ্যতার উৎস ভূমি মধ্যপ্রাচ্যে। এ সভ্যতা আজকের ফিলিস্তিন ও ইসরাইল অঞ্চল কেন্দ্রিক গড়ে ওঠেছিল। জাতিগত ভাবে হিব্রুরা ছিল একটি মিশ্রিত জাতি। কুটনীতি, স্থাপত্য এবং চিত্রকলার দিক থেকে হিব্রুরা সভ্যতার ইতিহাসে খুব অল্পই ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু নৈতিকতা ও ধর্মীয়ক্ষেত্রে বিশ্বসভ্যতায় হিব্রুদের অবদান ছিল যুগান্তকারী। হিব্রুদের মূল নামের উৎপত্তিগত শব্দ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রচলিত একটি মতে, খাবিরু বা হাবিরু নাম থেকেই হিব্রু হয়েছে। হিব্রু অর্থ বিদেশী, নিম্নবংশীয় বা যাযাবর। অধিকাংশ পণ্ডিতের মতেই হিব্রুদের আদিবাস ছিল আরবভূমিতে। তাদের প্রথম বসতি গড়ে ওঠে উত্তর-পশ্চিম মেসোপটেমিয়াতে। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দে ইব্রাহীম (আ:) এর নেতৃত্বে হিব্রুদের একটি দল এখানে বসতি গড়ে তোলে। পরবর্তীতে ইব্রাহীম (আ:) এর ছেলে ইসমাইল (আ:) এর নেতৃত্বে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় থেকে তারা ইসরাইলি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। 


=>>> গ্রীক সভ্যতা : 

মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে ক’টি দেশের মানুষ তাদের উজ্জ্বল অতীতের জন্য ঈর্ষণীয় গৌরবের অধীকারী গ্রিকরা তাদের অন্যতম । গ্রিক নামটি রোমানদের দেয়া। গ্রিসে জন্ম নিয়েছেন তাদের মধ্যে মহাকবি হোমার, জ্ঞানতাপস সক্রেটিস, স্থাপত্য-ভাস্কর্যের অবিস্মরণীয় দিকপাল ইকটিনাস ও ফিডিয়াস, রাজনীতি মঞ্চের অপ্রতিদ্বন্ধী কৌশলী থেমিস, টকলস, এরিস্টাইডিস ও পেরিক্লিস, সাহিত্যের অনির্বাণ জ্যোতিষ্ক সফোক্লিস, এরিস্টোফেলেস, ইউরিপাইডিস, দর্শনের শিখাগ্নী প্লেটো ও এরিস্টটল, ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস, থুকিডিডিস প্রমুখ মনীষীর আবির্ভাব এই গ্রিক সভ্যতায়। শিল্প, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন ও সাহিত্য প্রতিটি ক্ষেত্রে এর অবদান বিশ্ব সভ্যতায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। এ সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে আকিয়ানসহ দোরিয়ান ও আয়োনিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সাল নাগাদ তারা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে গ্রিসে প্রবেশ করতে শুরু করে। খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ থেকে ১১৩০ অব্দ সময়সীমার মধ্যে মিকোনাই, টিরিনস ও পিলস অঞ্চল বিকশিত হয় এক অগ্রসরমান ব্রোঞ্জ সভ্যতায়। গ্রীস সে সময় ছোট বড় কতগুলো স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল। গ্রীক সভ্যতা ও সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্যভাবে নগররাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত। এই সভ্যতা বিকাশ লাভ করে প্রথমে ইজিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, এশিয়া মাইনরের ইজিয়ান উপকূলবর্তী শহরগুলোতে, এথেন্সে, তারপর সিসিলি, দক্ষিণ ইতালির গ্রিক উপনিবেশগুলোতে গ্রিকদের ধর্ম বিশ্বাস ছিল প্রবল। তাদের দেব-দেবীর সংখ্যাও ছিল অনেক। তাদের বিশ্বাস ছিল, এসব দেব-দেবী তাদের ভাগ্যের নিয়ন্তা। গ্রীক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ কাল হচ্ছে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চাশ শতক থেকে শুরু করে কয়েক দশক পর্যন্ত স্থায়ী এথেন্সে পেরিক্লিসের শাসনামল। এই সময় বিজ্ঞান, সাহিত্য, শিল্পকলা দর্শন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম সাফল্য অর্জিত হয়। এথেন্স হয়ে ওঠে এই সভ্যতার পীঠস্থান। বিশ্ব সভ্যতার ক্ষেত্রে রঙমঞ্চ বা থিয়েটার প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক অবদান গ্রীকদেরই, ইতিহাস শাস্ত্রের সূচনা হয় প্রাচীন গ্রীস থেকেই। ষষ্ঠ শতাব্দীতে গ্রীক দর্শনের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত করেন আলেস। গণিত শাস্ত্রের সূচনা করে পিথাগোরাস অমর হয়ে আছেন। হিপোক্রেটিস চিকিৎসা শাস্ত্রকে কুসংস্কার মুক্ত করে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করান। 



=>>>>> হাইলাইটস:-

# গ্রীক সভ্যতা কোন নদীর তীরে গড়ে উঠেনি।
# গ্রীকদের অবদান ছিল সভ্যতার সকল ক্ষেত্রে ।
# গ্রীক সভ্যতায় প্রথম নগর রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে।
# চিকিৎসা শাস্ত্র, গণিত ও জ্যামিতিতে গ্রীকদের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।
# গ্রীসের রাজধানী এথেন্স।




=>>> রোমান সভ্যতা : 

রোমান সভ্যতা বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ সভ্যতা। রোম, গ্রীস, কার্থেক ও প্যালেস্টাইন সহ ভূমধ্যসাগর অঞ্চল জুড়ে বিদ্যমান সকল রাষ্ট্রকে এটি যেমন অধিকার করে, তেমনি অধিকৃত রাষ্ট্রসমূহের শিল্প সংস্কৃতি ও ধ্যান-ধারণা আত্মস্থ করে নিজস্ব অবদানে তা সমৃদ্ধও করে। বিশ্ব সভ্যতার ক্ষেত্রে রোমান সভ্যতার প্রধানতম অবদান রাজনৈতিক ও সরকার পরিচালনা ব্যবস্থা সংক্রান্ত রীতি পদ্ধতি। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে রোম শহরের পত্তন হয়। কালক্রমে টাইবার নদীর মোহনায় সাতটি পার্বত্য টিলাকে কেন্দ্র করে এই নগরীর বিস্তৃতি ঘটে। এই সাতটি নগরীকে নিয়ে পরে গড়ে তোলা হয় একটি একক নগররাষ্ট্র। 
খ্রিস্টপূর্ব ২৮০ অব্দ নাগাদ রোমানরা বিভিন্ন জাতির সমন্বয়ে স্বাধীন মিত্রদের একটি শক্তিশালী সংঘ গঠন করে। রোম সাম্রাজ্যকে সুসংহত ও বিস্তৃত করতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তারা হলেন জুলিয়াস সিজার, পাম্পে দ্য গ্রেট, আউগুস্তুস ও তাইবেরুস। রোমেই প্রথম আবিষ্কৃত হয় কংক্রিট। ফলে বিশাল ও আড়ম্বরপূর্ণ দালান কোঠা, খিলান ও গম্বুজ নির্মাণ করা সম্ভব হয় রোমক ভাস্কর্য শিল্পও এই সমৃদ্ধ সভ্যতার অন্যতম পরিচায়ক। চিকিৎসকগণ ল্যাটিন ভাষায় ঔষুধ পত্রের যে সব নাম লিখে থাকেন, তার মূলে ও রয়েছে এই সভ্যতার অবদান। এছাড়া বছরের বার মাসের নাম এখনো রয়েই গছে ল্যাটিন ভাষাতেই। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত জার্জিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম ও ইতালিতে ইউরোপ মহাদেশের প্রধান ভূখণ্ডের দেশগুলোতে আইনী ব্যবস্থার বিকাশে রোমক আইনের অবদান অপরিসীম। এখনো দেশে দেশে রোমান আইন স্বতন্ত্র মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। গোথ, হুন ও ভান্ডালদের পৌনঃপুনিক আক্রমণে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে রোম সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। 


=>>>> মায়া সভ্যতা : 

মেসো শব্দটা গ্রিক। অর্থ, ‘মধ্য’। যেমন, মেসোপটেমিয়া। এর মানে: দুই নদীর মধ্যেখানের অঞ্চল। তেমনি, মেসোআমিরিকায় বলতে বোঝায় মধ্যআমেরিকাকে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যবর্তী অঞ্চলটিকে (প্রধানত মেক্সিকো) । তো, মেসোআমেরিকায় কতগুলি সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল। যেমন, ওলমেক, অ্যাজটেক, মায়া। এর মধ্যে মায়া সভ্যতার উদ্ভ ও বিকাশ ছিল অভূতপূর্ব। বর্তমান মেক্সিকো, গুয়েতেমালা, বেলিজ ও হন্ডুরাসজুড়ে ছড়িয়ে ছিল মায়া সভ্যতা। লিখিত ভাষাসহ মেসোআমিরিকার সবচে উন্নত সভ্যতা ছিল মায়া সভ্যতা। মায়া সভ্যতা নিয়ে বিস্তর গবেষনা হয়েছে। এখনও চলছে। মায়া সভ্যতার উত্থানকাল ধরা হয় ২৫০ খ্রিস্টাব্দ। নগর সভ্যতা অবশ্য বিকাশ লাভ করেছিল ৯০০ শতক এর দিকে। এবং তা স্পানিশ বিজয় পর্যন্ত বিকাশ লাভ করে চলেছিল। ২৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রথম ৬৫০ বছর মায়ার সভ্যতারক্লাসিক পিরিয়ড ধরা হয়। এই সময়ে মেক্সিকো, গুয়েতেমালা ও উত্তর বেলিজে কমবেশি ৪০টি নগর গড়ে উঠেছিল। বেলিজ দেশটা কারও কারও কাছে নতুন মনে হতে পারে। উন্নতির শীর্ষে মায়া সভ্যতার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২০ লক্ষ । বেশির ভাগই বাস করত এখনকার গুয়েতেমালায়। নগরগুলি আসলে ছিল ধর্মীয় কেন্দ্র। বেশির ভাগ মায়া বাস করত নগরের বাইরে –গ্রামে, কৃষিজীবনে।৯০০ শতকের পর গুয়েতেমালার মায়া নগরগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। দক্ষিণের নগরগুলি জনশূন্য হয়ে যায়। ঐতিহাসিকদের মতে যুদ্ধের কারণে বানিজ্যপথের পরিবর্তনই নাকি এর অন্যতম কারণ। তবে মেক্সিকোর ইউকাটন উপদ্বীপের চিচেন ইটজা, উক্সমাল এবং মায়াপান সংস্কৃতির বিকাশ অব্যাহত থাকে ১৫১৯ অবধি। ষোড়শ শতকে যখন মেসোআমেরিকায় স্পেনিশ লুটেরারা এল তখন বেশির ভাগ মায়াই গ্রামীণ কৃষিজীবনে সম্পৃক্ত। 
মায়ারা চাষ করত ভূট্টা, বীন ও লাউ। মাংসের মধ্যে খেত টার্কি, তাপির, খরগোশ, বানর ও ম্যাকাও পাখি।স্পেনিয়রা মায়াদের রোমান ক্যাথলিজমে ধর্মান্তরিত করে। মায়ারা আজও আছে। দক্ষিণ মেক্সিাকোয়, গুয়েতেমালায় ও বেলিজে। 
মায়ারা আজ রোমান ক্যাথলিজমে বিশ্বাসী হলেও পূর্বেকার মায়া বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, দেবদেবী ও গৃহস্থালী পরব পালন করে আজও। মায়ারা অনেক দেবতায় বিশ্বাসী ছিল। সে দেবতা ভালো কি মন্দ হতেন। ইটজামনা ছিলেন প্রধান দেবতা। তিনি সৃষ্টিকর্তা, আগুন ও উনুনের দেবতা। অন্যএকজন হলেন পালকযুক্ত সরীসৃপ;কুকুলকান। ইনি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের দেবতা। মায়াদের উপসনালয়ে এর মূর্তি পাওয়া গেছে। মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাসী ছিল মায়ারা। মৃত্যুর পর আত্মার বিপদজনক ভ্রমন শুরু হত পাতালদেশে। পাতালের অধিকর্তা দেবতা অমঙ্গলকর। সে দেবতার প্রতীক জাগুয়ার। জাগুয়ার রাত্রিরও প্রতীক। স্বর্গে তারাই যাবে যাদের উৎসর্গ করা হয়েছে। আর যারা জন্মের সময়ই মারা গেছে। 
গণিত ও জ্যোর্তিশাস্ত্র অভূতপূর্ব উন্নতি করেছিল। অবশ্য সে জ্ঞান অর্জন ছিল ধর্মীয় কৃত্যের সঙ্গে জড়িত । গণিতে শূন্যের ব্যবহার, পজিশনাল নোটেশন নির্ধারণ করেছিল মায়ারা; জ্যোর্তিশাস্ত্রে সৌর বৎসরের গননা, চন্দ্র ও শুক্র গ্রহের অবস্থান এমনকী সূর্যগ্রহনও আগেভাবে বলে দিতে পারত তারা! 
মায়ারা প্রকৃতির আবর্তন লক্ষ করেছিল। সময় নিয়ে অবসেসড ছিল। তারা মনে করত বিশ্বজগৎ ৫ বার সৃষ্টি হয়েছে আর ৪ বার ধ্বংস হয়েছে। বছরের কোনও কোনও দিন শুভ কোনও কোনও দিন অশুভ। একসময় ঐতিহাসিকদের ধারনা ছিল মায়ারা শান্তিপ্রিয় । ধর্মনিয়ে মগ্ন থাকে। মায়া হাইয়ারোগ্লাফিক লেখনি পড়তে পারার পর জানা গেল তারা প্রতিদ্বন্দি নগর আক্রমন 
করত। শাসককে বন্দি করত, টর্চার করত, তারপর তাকে দেবতার কাছে বলি দিত! 
নরবলি বা হিউম্যান স্যাক্রিফাইস ছিল মায়াদের ধর্মবিশ্বাসের মূলে।মায়ারা নরবলি দিত উর্বরতা, ধর্মনিষ্টা দেবতার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে । মায়া পুরোহিত বিশ্বাস করত দেবতা মানুষের রক্তে পুষ্ট হন! রক্তই দেবতাদের সঙ্গে যোগাযোগের উপায়। 


=>>> ইনকা সভ্যতা :  

পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর। এরপর আন্দেজ পর্বতমালার পুবমুখি বিস্তার। পেরু নামে একটি দেশ। এই পেরুর পুবেই কুজকো নগর। এসবই আন্দেজ পর্বতমালার মধ্যে। যে আন্দেজ পর্বতমালাটির বিস্তার উত্তর-দক্ষিণে ২,৫০০ মাইল! 
সেই কুজকো নগর ঘিরেই সূত্রপাত হয়েছিল কুজকো রাজ্যের (কিংডম অভ কুজকো) যা পরে হয়ে ওঠে দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম পরাক্রমশালী ইনকা সাম্রাজ্য। ইনকা সাম্রাজ্য ছড়িয়ে ছিল পেরু, বলিভিয়া, উত্তর আর্জেন্টিনা, চিলি ও ইকিউডোরে।এত বিশাল সাম্রাজ্য সড়ক পথে যোগাযোগ রক্ষা করত ইনকারা। এই উদ্দেশ্যে ইনকারা নির্মান করেছিল বিস্ময়কর সড়ক; যাকে বলে, ‘ইনকা ট্রেইল’। কৃৎকৌশলের দিক থেকে যা ছিল সময়ের তুলনায় অনেক অগ্রসর। মনোরম উপত্যকা ও দুর্গম গিরির ভিতর দিয়ে চলে গেছে ইনকা ট্রেইল। আজও ধ্বংসাবশেষ দেখে চেনা যায়। মূল ২টি পথ ছিল- উত্তর-দক্ষিণে .. কোনও কোনও পথ ১৬০০০ ফুট ওপেের। ৪০, ০০০ কিলোমিটার। সামরিক ও বেসামরিক উভয়শ্রেনির লোকই চলাচল করত। আর চলত লামা ক্যারাভান। সাধারণ লোকের সে পথে চলতে হলে ইনকা সম্রাটের অনুমতি লাগত। পথের মাঝে ছিল সেতু। সেতুতে টোলব্যবস্থা ছিল। ইনকাসাম্রাজ্য দীর্ঘস্থায়ী ছিল না। সাম্রাজ্যের সময়কাল ১২০০ থেকে ১৫৩৩। ১৫৩৩ সালেই তো স্প্যানিশ লুটেরারা এল ... ইনকা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতার নাম মানকো কাপাক। তিনি ও তার বংশধরের সময়েই ইনকা জাতি রচেছিল দক্ষিণ আমেরিকার বিস্ময়কর সভ্যতা। ইনকারা ওদের রাজ্যকে বলত তাহুয়ানতিনসুইউ। মানে চতুস্কোন ভূমি। 
ইনকা শাসকরা ছিলেন অভিজাত রাজকীয় বংশের। সম্রাটকে বলা হত ইনকা। পরে অবশ্য সভ্যতার নামই হয়ে যায় ইনকা। সম্রাটের অন্য নাম সাপা ইনকা। সাম্রাজ্য পরিচালনতা করত রাজকীয় পরামর্শসভা। পুরোহিত প্রাদেশিক শাসনকর্তা ও সেনাপতির সমন্বয়েই গড়ে উঠত রাজকীয় পরামর্শসভা। এরা সর্ম্পকে আত্মীয়। সম্রাটগন বিয়ে করতেন আপন বোনকে। পুত্রগনের মধ্যে উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করতেন। সাধারণত বড় ছেলেই সম্রাট হত। ইনকা অভিজাতদেরও কাউন্সিল ছিল। তারা সাম্রাজ্য পরিচালনায় সাহায্য করত। সমস্যা হলে সম্রাট প্রধান পুরোহিত এর যিনি সাধারনত সম্রাটের আত্বীয় ছিলেন। এই চাচা কি ...অন্যকেউ ...যুদ্ধ পরিকল্পনায় সেনাপতিরা। সেনাপতিও বন্ধু কি আত্মীয়ই হত সম্রাটের ।ইনকা যোদ্ধারা অন্য নগর আক্রমন করে জয় করলেও স্থানীয় শাসনকর্তাকে হত্যা করত না যদি সে শাসনকর্তা ইনকা আইন মেনে চলত, বিদ্রোহ না করত, কর দিত আর শষ্য ভান্ডার মজুদ রাখত। ইনকাদের কর ব্যবহা ছিল কঠোর। মেয়েদের নির্দিস্ট পরিমানে কাপড় বুনতে হত। পুরুষেরা কাজ করত সৈন্যবিভাগে কি খনিতে। জনগনও কর দিতে হত। হাতে পয়সা না থাকলে রাষ্ট্রীয় কাজ করে শোধ করে দিত। কিংবা সুতা পোষাক তৈরি করে বিক্রি করে কর দিত। জনগনকে শষ্যের একাংশ রাখতে হত সংরক্ষণের জন্য। খাদ্যশষ্য মজুদের কলাকৌশল রপ্ত করেছিল বলেই ইনকা সভ্যতা নাকি অত উন্নত স্তরে পৌঁছেছিল-ঐতিহাসিকদের এই মত। সাম্রাজ্যজুড়ে ছিল স্টোরহাউজ। ৩ থেকে ৭ সাত বছরের খাদ্যশষ্য মজুত থাকত সেখানে। মাংসও শুকিয়ে নোনা করে রাখত। 
চাষবাস হত উপত্যকায় আর পাহাড়ের ঢালে। ইনকাদের প্রধান খাদ্যই ছিল আলু ও ভূট্টা। আগেই বলেছি আমি মানবসভ্যতায় আলু ইনকাদের অবদান। আলু আর ভুট্টা ছাড়া খেত ওল। নীল শ্যওলাও নাকি খেত । কাঁচা। চাষ করত মরিচ । মাংসের মধ্যে খেত গিনিপিগ ও লামার মাংস। সামুদ্রিক। মাছও খেত। সাম্রাজ্যের পশ্চিমে প্রশান্ত সাগর। আর বিখ্যাত হ্রদ টিটিকাকা। ভূট্টা পিষে এক ধরনের পানীয় তৈরি করে খেত ইনকারা। পানীয়ের নাম: চিচা। 
ইনকারা পোশাক তৈরি করত লামার উল দিয়ে। সুতির কাপড়ও পড়ত। অভিজাতরা ধাতুর ঝুলিয়ে রাখত। মেয়েরা একধরনের শাল পরত-নাম মানতাস। নারীপুরুষ উভয়ই পরত স্যান্ডেল। 
সাধারন ইনকাদের বাড়িগুলো হত ছোট। সবাই একসঙ্গে থাকত। যৌথপরিবার আর কি। বাড়ি তৈরি করত পাথর ও মাটির ইট দিয়ে ... আর মেশাত ঘাসকাদা। ধনীরা অবশ্য বড়সরো পাথরের সুন্দর প্রাসাদে বাস করত। তাই তো হয়! এরাই ছিল উপত্যকার জমির মালিক। 
বিয়েটাও ইনকাদের ভারি অদ্ভূত। ২০ বছরের আগেই ছেলেদের মেয়ে চয়েস করতে হত। নইলে তার জন্যই মেয়ে দেখত গার্জেনরা। কোনও কোনও মেয়েকে ছোট থাকতেই বাগদত্তা হতে হত।বিয়ের দিন বর কনের হাত ধরে চন্দন বিনিময় করত। এরপর ভোজ। নতুন দম্পতিকে অন্যরাই ঘরদোর তুলে দেয় । যতক্ষন না তারা নিজের পায়ে না দাড়াচ্ছে । 
বহুদেবতায় বিশ্বাসী ছিল ইনকারা। ভিরাকোকা ছিলেন প্রধান দেবতা। তিনিই ছিলেন ইনকাদের স্রষ্টা। আরেকজন দেবতার নাম ছিল ইনতি। ইনি ছিলেন সূর্যদেব। ইনকাদের বলা হয়: "সূর্যের সন্তান।" ইনকা শব্দটি এসেছে এই ইন্তি শব্দ থেকেই। ইনকারা সূর্যপূজক বলেই উচুঁ পাহাড়ের ওপর তৈরি করত পাথরের মঞ্চ। ইনতিহুয়াটানা। ইন্তি শব্দটা লক্ষ করুন।ইনকারা ছিল ধর্মপ্রাণ। তারা ভাবত যেকোনও মুহূর্তেই অমঙ্গল হতে পারে। কাজেই পুরোহিতদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন ছিল ইনকা সমাজে। ইনকা সমাজে নারীপুরোহিতও ছিল। মেয়েরা ঋতুমতী হলে নারীপুরোহিতরা চুল আচড়ানো উৎসব করত। মেয়েটি তখন নতুন নাম নিত। সবচে সুন্দরী মেয়েটিকে পাঠানো হত কুজকোতে। মেয়েটি রাজকন্যা বা সম্রাটের স্ত্রী হবে! 




=>>>> হাইলাইটস:

# ইউফ্রেটিস ও তাইগ্রিস নদীর তীরে মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠে।
# মেসোপটেমিয়া সভ্যতার অবস্থান ছিল বর্তমান ইরাকে।
# পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হলো মেসোপটেমিয়া সভ্যতা।
# মেসোপটেমিয়ায় গড়ে উঠা সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হলো সুমেরীয় সভ্যতা।
# সুমেরীয় সভ্যতার সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল লিখন পদ্ধতি।
# ব্যাবিলিয়ন সভ্যতার স্থপতি হলো আ্যামেরাইট নেতা হাম্বুরাব্বী।
# ব্যাবিলয়ন সভ্যতার অবদান ছিল আইন প্রণয়ন।
# ব্যাবিলিয়ন সভ্যতা সর্ব প্রথম পুঞ্জিকার প্রচলন শুরু করেন।
# অ্যাসেরীয়রা বৃত্তে ৩৬০ ডিগ্রি কোণ আবিস্কার করেন।
# পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম গোলন্দাজ বাহিনীর গঠন করেন আসেরীয়রা।
# আ্যাসেরীয় সভ্যতার লোকেরা সর্বপ্রথম পৃথিবীকে অক্ষাংশ  ও দ্রামিাংশে ভাগ করেছিল।
# মিশর সভ্যতা গড়ে উঠে নীল নদের তীরে।
# মিশরীয় সভ্যতার প্রথম অবদান কৃষিকাজ।
# পিড়ামিড, লিখন পদ্ধতি, জ্যোতবিদ্যা মিশরীয় সভ্যতাদের অবদান।
# মিশরীয়দেরকে ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নির্মাতা বলা হয়।
# হেরোটোডাস মিশরকে নীল নদের দান বলে অভিহিত করেছেন।
# মিশরীয়রাই ৩৬৫ দিনে বছর এবং ৩০ দিনে মাসের গণনা শুরু করেন।
# সিন্ধু সভ্যতার সাথে সুমেরীয় সভ্যতার মিল রয়েছে।
# সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠে পাকিস্তানের মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পাতে।
# সিন্ধু সভ্যতায় পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থার নির্দশন পাওয়া যায়।
# ১৯২২ সালে সিন্ধু সভ্যতা আবিস্কৃত হয়।
# স্যার রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়, স্যার জন মার্শাল ও দয়ারাম সাহনী সিন্ধু সভ্যতার আবিস্কারক।
# সিন্ধু সভ্যতায় প্রথম বাটখাড়ার ব্যবহার শুরু হয়।
# ক্যালেডিয় সভ্যতার নতুন নাম হলো নতুন ব্যাবিলিয়ন সভ্যতা।
# ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান হলো এই সভ্যতার অবদান।
# নেবুচাঁদ নেজার ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান তৈরি করে।
# ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান বর্তমানে ইরাকে অবস্থিত।
# সাত দিনে এক সপ্তাহ গণনা শুরু করেন ক্যালেডীয় সভ্যতার লোকেরা।
# জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে হিব্র“ সভ্যতা গড়ে উঠে।
# পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা হলো হিব্র“ভাষা।
# হিব্র“ শব্দের অর্থ হলো যাযাবর।
# বর্তমান ইরান ছিল প্রাচীনকালে পারস্য নামে পরিচিত।
# পারস্য সভ্যতার অবদান ছিল ধর্ম সংস্কার।
# ফিনিশীয় সভ্যতার বড় অর্জন হলো লিখন পদ্ধতি আবিস্কার।
# ফিনিশীয়দের বর্ণমালা ছিল ২২টি।
# ফিনিশীয়দের আরো একটি অবদান ছিল নৌকা তৈরি ও ব্যবসা বাণিজ্য করা।


                  “প্রশ্নোত্তরে বিশ্ব সভ্যতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস"

বিসিএস ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রিলিমিনারি এক্সামগুলোতে "বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস" থেকে কোন প্রশ্ন পড়লে মোটামুটি নিচেরগুলোই উল্টে পাল্টে পড়ে। সুতরাং অধিক গুরুত্ব দিতে দেখে নিতে পারেন নিচের প্রশ্নগুলো.......↓↓↓ 


প্রশ্ন: প্রাচীনতম সভ্যতাগুলো কি কি?  উঃ সিন্ধু সভ্যতা, মিসরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা, পারস্য সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা,রোমান সভ্যতা, ইজিয়ান সভ্যতা


।প্রশ্ন: বিশ্ব সভ্যতার কবে যাত্রা শুরু হয়?  উঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ থেকে।


প্রশ্ন: পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা বলা হয় কোন সভ্যতা কে?  উঃ মিশরীয় সভ্যতাকে।

উৎস:- বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

সংগ্রহে :-  সুজন আহমেদ 































★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন