বাংলাদেশের সংবিধান
ডা. সব্যসাচী মজুমদার শিমুল
বিসিএস পুলিশ (সুপারিশপ্রাপ্ত)
৩৮ তম বিসিএস
একটা পরিবার চালাতে হলেও কিছু নিয়ম শৃঙ্খলার মাঝে থেকেই চালাতে হয়। একটা দেশের জন্যও এমন কিছু বেসিক নিয়ম নীতি থাকবে যার উপর নির্ভর করেই দেশের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। আর এই সকল বেসিক নিয়ম নীতিকেই আমরা বলতে পারি সে দেশের সংবিধান।
#সংজ্ঞাঃ
আমাদের সংবিধানের আলোকেই সংবিধানের সংজ্ঞা দেয়া যায়।
"This constitution is as the solemn expression of the will of the people, the supreme law of the republic, and if any other law is inconsistent with this constitution that other law shall, to the extent of its inconsistency, be void."
Article 7(2).
এখান থেকেই বলা যায় - সংবিধান হল একটি রাষ্ট্রের জনগণের অভিপ্রায় স্বরূপ ঐ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, আর অন্য কোন আইন এই সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপুর্ণ হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
#উৎপত্তিঃ
মোটামুটি ভাবে চারটি উপায়ে সংবিধানের জন্ম হয়-
১) অনুমোদন (By grant- সচারচর রাজার নির্দেশ)
২) সুপরিকল্পিত রচনা (Deliberate creation)
৩) বিপ্লব (Revolution)
৪) বিবর্তন (Evolution)
এখনকার দিনে সুপরিকল্পিত রচনা পদ্ধন্তি অনুসরণ করেই সংবিধান রচিত হয়। এই উপায়ে রচনার উপায় দুইটি- গণপরিষদের মাধ্যমে এবং আইন পরিষদের মাধ্যমে
১) গণপরিষদ (Constituent assembly): শুধু মাত্র সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে গঠিত পরিষদ।
২) আইন পরিষদ (Legislative assembly): রাষ্টীয় যেকোন আইন তৈরি, সংশোধন এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত পরিষদ।
#বাংলাদেশের_সংবিধান_রচনার_ইতিহাসঃ
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে মূল সংবিধান রচনার আগেও আমরা দুইটি অন্তরবর্তীকালীন সংবিধান পাই।
১) স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (Proclamation of independence)
২) অস্থায়ী সংবিধান আদেশ (Provisional constitutional order)
অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারী হয় ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি। যার উপর নির্ভর করে দেশের রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, যিনি ১৯৭২ সালের ২২ মার্চ The constituent assembly order of Bangladesh (গণপরিষদ আদেশ) জারী করেন। এর উপর নির্ভর করে গণপরিষদ গঠিত হয়। ১৯৭০ এর নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে জাতীয় ও আঞ্চলিক পরিষদে নির্বাচিত হন মোট ৪৬৯ জন সদস্য। যাদের মাঝে মৃত্যু, দেশ বিরোধী কাজ, সরকারি চাকুরি লাভ সহ বিভিন্ন কারণে ৬৬ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে মোট ৪০৩ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয় গণপরিষদ।
১০ এপ্রিল তারিখে এই পরিষদের প্রথম বৈঠক হয় এবং গঠিত হয় সংবিধান রচনা কমিটি। যে কমিটির মোট সদস্য ৩৪ জন যার সভাপতি হন ড. কামাল হোসেন। ১৯৭২ সালের১২ অক্টোবর তারিখে এই কমিটি খসড়া সংবিধান উত্থাপন করে যা ওই বছর ৪ নভেম্বর তারিখে গৃহীত হয়। ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর তারিখে এই সংবিধানে স্বাক্ষর করেন গণপরিষদের সদস্যরা। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই সংবিধান কার্যকর হয়। উল্লেখ্য প্রথম সংবিধান হাতে লেখা ছিল যা লিখেন আব্দুর রউফ আর প্রতিটি পাতা ছিল সুন্দর ভাবে নকশা সজ্জিত। এই নকশা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
#লিখিত_সংবিধানঃ
নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত, সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ সংবিধানকে বলা হয় লিখিত সংবিধান। যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান।
#দুষ্পরিবর্তনীয়_সংবিধানঃ
যে সংবিধান সংশোধনের জন্য কোন দেশের সাধারণ আইন সংশোনের রীতির বাইরে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় তা হল দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান।
**প্রিলির জন্য আলোচনাঃ
#সংবিধানে ১ টি প্রস্তাবনা, ১১ টি অধ্যায়, ১৫৩ টি অনুচ্ছেদ, ৭ টি তফসিল, ১৭ টি সংশোধনী রয়েছে৷ সংবিধানের মোট ভাষা দুইটি।
১ম অধ্যায়- প্রজাতন্ত্রঃ
১)প্রজাতন্ত্র- বাংলাদেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
২)রাষ্ট্রীয় সীমানা।
২ক) রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম
৩)রাষ্ট্রভাষা বাংলা
৪)
জাতীয় সংগীত
জাতীয় পতাকা
জাতীয় প্রতীক
নোট- জাতীয় প্রতীকের চারটি তারকা দেশের চার মূলনীতিকে নির্দেশ করে।
৪ক) জাতির পিতার প্রতিকৃতী রক্ষণ ও প্রদর্শনের বিধান।
৫) রাজধানী ঢাকা
৬)জনগণ জাতি হিসেবে বাংগালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী।
৭)
সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।
সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন।
৭ক) সংবিধান কোন অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে বাতিল, স্থগিত করা যাবে না।
৭খ) সংবিধানের মৌলিক বিধান সংশোধন করা যাবে না।
২য় অধ্যায়- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিঃ
৮) জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি এবং এগুলো থেকে উদ্ভুত নীতি হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনিতি।
৯) জাতীয়তাবাদ
১০) সমাজতন্ত্র
১১) গণতন্ত্র
১২) ধর্মনিরপেক্ষতা
১৩) মালিকানার নীতি- তিন ধরনের মালিকানা থাকবে (রাষ্ট্রীয়, সমবায়ী, ব্যাক্তিগত)
১৪) কৃষক ও মেহনতী মানুষের মুক্তির প্রচেষ্টা করা।
১৫) অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন সহ অন্য সকল মৌলিক প্রয়োজনের ব্যাবস্থা করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবে।
১৬) গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
১৭) বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা
১৮) জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা-
মাদক, জুয়া খেলা ও গণিকাবৃত্তি নিষিদ্ধ।
১৮ক) পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষা।
১৯) সুযোগের সমতা-
জাতীয় জীবিনের সর্ব স্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২০) অধিকার কর্তব্যরূপে কর্ম।
২১) নাগরিক ও সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য।
সকল সময়ে জনগণের সেবা করা সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য।
২২) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা।
২৩) জাতীয় সংস্কৃতি রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে রাষ্ট্র।
২৩ক) উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত ও নৃগোষ্ঠীয় সংস্কৃতি রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে রাষ্ট্র।
২৪) ঐতিহাসিক স্মৃতি বিনষ্ট বা অপসারণ করা যাবে না।
২৫) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তার উন্নয়ন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি (Foreign policy)
নোট ১- রাষ্ট্রীয় মূলনীতিঃ দেশ যে নীতির উপরে স্বাধীন হয়। বাংগালী জাতীয়তাবাদ, সমজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির উপরে নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় উদবুদ্ধ হয়। তাই এই চার নীতিই হল আমাদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি।
নোট ২- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিঃ রাষ্ট্র যে নীতির উপরে নির্ভর করে পরিচালিত হয়। এই নীতিসমূহ রাষ্ট্রীয় মূলনীতি থেকেই প্রাপ্ত হয়।
৩য় অধ্যায়- মৌলিক অধিকারঃ
২৬) মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কোন আইন করা যাবে না।
২৭) সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান।
২৮) নারী, পুরুষ, ধর্ম প্রভৃতি কারণে কোন ভেদাভেদ করা যাবে না।
২৯) সরকারি নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
৩০) রাষ্ট্রপতির অনুমতি না নিয়ে বিদেশি কোন খেতাব বা পদবী বা পুরষ্কার গ্রহণ করা যাবে না।
৩১) সবাই আইনের সমান আশ্রয় লাভ করতে পারবে।
৩২) জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ।
৩৩) গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবজ।
* গ্রেফতারের সাথে সাথে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে।
* গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মাঝে তাকে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে।
* Punitive detention (অপরাধ করার কারণে আটক) ও preventive detention (নিবর্তনমূলক আটক- অপরাধ করেনি, কিন্তু এমন অপরাধ করার সম্ভাবনা আছে যাতে জন বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে, তাই আটক) এই অংশে আলোচিত হয়েছে।
৩৪) জোর করে কাউকে দিয়ে কোন শ্রম দেয়ানো যাবে না।
৩৫) বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ।
Ex post facto- যখন যে আইন সে আইনে বিচার হবে
Double jeopardy - একই অপরাধে দুবার বিচার হবে না।
Open court- স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে বিচার হবে।
Self incrimimation- অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।
Cruelty punishment- নিষ্ঠুর বা অমানবিক কোন সাজা দেয়া যাবে না।
৩৬) চলাফেরার স্বাধীনতা
৩৭) সমাবেশের স্বাধীনতা
৩৮) সংগঠনের স্বাধীনতা
৩৯) চিন্তা, বিবেকের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।
৪০) পেশার স্বাধীনতা
৪১) ধর্মীয় স্বাধীনতা
৪২) সম্পত্তির অধিকার
৪৩) গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ
৪৪) মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্টে মামলা করা যাবে।
নোট ১- মৌলিক অধিকারঃ
যে সকল অধিকার সংবিধানে সংরক্ষিত থাকে এবং যা থেকে বঞ্চিত হলে কোন ব্যাক্তি মামলা করতে পারে সেগুলোই শুধু মাত্র ঐ দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার।
নোট ২- বাংলাদেশের সংবিধানে মোট মৌলিক অধিকার ১৮ টি। যার মাঝে বিদেশি এবং বাংলাদেশি জনগণ সবাই ভোগ করবেন মাত্র ৬ টি মৌলিক অধিকার। বাকি ১২ টি অধিকার শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকগণ ভোগ করতে পারবেন।
অধ্যায় ৪- নির্বাহী বিভাগঃ
৪৮) বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন। জিনি সবার উপরে অবস্থান করবেন।
যোগ্যতা- কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স, সংসদ সদস্য হবার যোগ্য, কখনও অভিশংসিত হননি।
৪৯) রাষ্ট্রপতি যেকোন ব্যাক্তির সাজা মৌকুফ বা শিথিল করতে পারবেন।
৫০) রাষ্ট্রপতির মেয়াদ কাল পাচ বছর এবং কোন ব্যাক্তি দুই মেয়াদের অতিরিক্ত রাষ্ট্রপতি থাকবেন না।
৫১) রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি।
৫২) রাষ্ট্রপতির অভিশংসন (Impeachment)
৫৫) মন্ত্রীসভা ( cabinet)- প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রীসভা থাকবে।
৫৭) প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ।
৫৯) স্থানীয় শাসন
৬১) প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগের সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি।
৬৩) যুদ্ধ ঘোষণা করবে জাতীয় সংসদ।
৬৪) এটর্নি জেনারেল।
৫ম অধ্যায়- আইনসভাঃ
৬৫) সংসদ- আইন প্রণয়ন ক্ষমতা থাকবে সংসদের উপর। যার নির্বাচিত সদস্য ৩০০ জন ও ৫০ জন থাকবে সংরক্ষিত মহিলা আসন।
৬৬) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার যোগ্যতা-
বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, বয়স হবে ২৫ এর বেশি।
হতে পারবে না-
পাগল (অপ্রকৃতিস্থ ব্যাক্তি),
দেউলিয়া,
বিদেশি নাগরিক,
ফৌজদারী দন্ডপ্রাপ্ত আসামী,
১৯৭২ সালের দালাল আইনে দন্ডিত ব্যাক্তি,
সরকারি কোন লাভজনক পদে আসীন কোন ব্যাক্তি।
৭০) Floor crossing- কোন দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হবার পরে ওই দল ত্যাগ করলে বা সংসদে ওই দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে।
৭২) রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন আওভান ও বাতিল করবেন।
৭৩) রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ ও বাণী প্রেরণ করতে পারবেন।
৭৬) স্থায়ী কমিটি।
মোট তিন ধরণের স্থায়ী কমিটি থাকবে- হিসাব, বিশেষ অধিকার ও কার্যপ্রণালী বিধিতে বর্ণিত অন্যান্য কমিটি।
৭৭) ন্যায়পাল
৮০) আইন প্রণয়ন পদ্ধতি।
৮১) অর্থবিল।
৮৪) সংযুক্ত তহবিল- সরকার কর্তৃক সংগৃহীত মোট কর, মোট ঋণ, ঋণ পরিশোধের অর্থ।
৮৭) জাতীয় বাজেট- বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি।
৯৩) অধ্যাদেশ বা ordinance জারী করবেন রাষ্ট্রপতি।
বিল- আইনের খসড়া রূপকে বলে বিল।
সরকারি বিল- সংসদে যে বিল কোন মন্ত্রী উত্থাপন করেন তা হল সরকারি বিল। এই বিল যেকোন দিন সংসদে উত্থাপন করা যায়।
বেসরকারি বিল- যে বিল কোন সংসদ সদস্য উত্থাপন করে তাকে বলে বেসরকারি বিল।
৬ষ্ঠ অধ্যায়- বিচার বিভাগঃ
৯৪) দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নাম সুপ্রিম কোর্ট।
৯৬) বিচারকদের সর্বোচ্চ বয়স হবে ৬৭ বছর।
১০২) হাইকোর্টের ক্ষমতা।
কোন ব্যাক্তি যদি মনে করেন তার মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে তাহলে তিনি ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্টে মামলা করতে পারবেন। এই মামলাকে বলা হয় রিট (Writ)
A) Writ of habeas corpus- বন্দী প্রদর্শন রিট
😎 Writ of Quo Warranto
C) Writ of prohibition
D) Writ of certiorari
E) Writ of mandamus
১০৮) কোর্ট অব রেকর্ড রূপে সুপ্রিম কোর্ট।
১১৭) প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল।
৭ম অধ্যায়- নির্বাচনঃ
১১৮) নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা
১২২) ভোটার তালিকায় নাম ভুক্তির যোগ্যতা।
৮ম অধ্যায়- মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকঃ
১২৭)মহা হিসাব নিরোক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা।
৯ম অধ্যায়- কর্মবিভাগঃ
১৩৭) কর্মকিশন বা PSC প্রতিষ্ঠা।
১৪১ক) জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
মেয়াদ ১২০ দিন। ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ নং অনুচ্ছেদ স্থগিত থাকবে।
১০ম অধ্যায়- সংবিধান সংশোধনঃ
১৪২) সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি।
১১শ অধ্যায়- বিবিধ।।
................................................................
#তফশিলঃ
অন্যান্য আইন থাকা সত্যেও যেগুলোকে সাংবিধানিক আইনের ন্যায় মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
মোট তফশিল ৭ টি
১) অন্যান্য বিধান থাকা সত্ত্বেও কার্যকর আইন।
২) বিলুপ্ত
৩) শপথ ও ঘোষণা
৪) ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধান
৫) ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখে জাতির পিতার ভাষণ।
৬) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণা।
৭) ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার কর্তৃক জারীকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
#সংশোধনঃ
সংশোধনের সাল-
৭৩-৭৩-৭৪-৭৫-৭৯-৮১-৮৬-৮৮-৮৯-৯০-৯১-৯১-৯৬-২০০৪-২০১১-২০১৪
প্রথম সংশোধনী- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা
দ্বিতীয় সংশোধনী- জরুরী অবস্থার বিধান।
তৃতীয় সংশোধনী- ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি (মুজিব ইন্দিরা চুক্তি) এর অনুমোদন।
চতুর্থ সংশোধনী-
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু।
এক দলীয় গণতন্ত্র চালু।
পঞ্চম সংশোধনী-
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের বৈধতা দান।
বিসমিল্লাহ সংযোজন।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ।
ষষ্ঠ সংশোধনী- লাগবে না
সপ্তম সংশোধনী- লাগবে না
অষ্টম সংশোধনী- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম
নবম সংশোধনী- লাগবে না
দশম সংশোধনী- লাগবে না
একাদশ সংশোধনী- লাগবে না
দ্বাদশ সংশোধনী-
সংসদীয় গণতন্ত্র চালু, উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত।
ত্রয়দশ সংশোধনী(বাতিল)- তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
চতুর্দশ সংশোধনী- লাগবে না
পঞ্চাদশ সংশোধনী-
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
*সংসদে পাশ হয় ৩০ জুন, ২০১১
৪ক সংযোজন।
বাংগালী জাতীয়তাবাদ।
৭ক, ৭খ সংযোজন
২৩ক সংযোজন
৫ম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফশিল সংযুক্ত।
----------------------------------------------------------
