Pages

রূপকল্প ২০৪১ : বদলে যাবে বাংলাদেশ || ড. মনসুর আলম খান

রূপকল্প ২০৪১ : বদলে যাবে বাংলাদেশ
 ড. মনসুর আলম খান 

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে ২০৪১ সালকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়েছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘রূপকল্প ২০৪১’।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় অনুমোদিত হয়েছে ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ণ : বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।

বছর অতিবাহিত হতে চললেও এ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কমই। আলোচনার টেবিলে করোনার আগমনে চাপা পড়ে গেছে সরকারের এ অতি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন দলিল। তবে নিশ্চয়ই অনুকূল সময়ে সম্মানিত অর্থনীতিবিদরা আলোচনা করবেন। চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে।

‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে হবে সেমিনার, কর্মশালা। তত্ত্ব-তথ্য দিয়ে দেখানো হবে এর শক্তি, দুর্বলতা, সম্ভাবনার দিক। কিন্তু আমরা যারা অ-অর্থনীতিবিদ তারা মোটা দাগে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি বুঝতে চাই। সরল বাক্যে বোঝার চেষ্টা করি, কী আছে ১৯৮ পৃষ্ঠার এ পরিকল্পনা দলিলে।

এর ভিত্তিমূলে রয়েছে দুটি প্রধান অভীষ্ট: ১. ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫০০ ডলারের বেশি, ২. বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা।

অভীষ্ট অর্জনের পথে আগামী দু’দশকে পরিবর্তন আসবে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যবসার ধরন এবং কর্মসম্পাদন পদ্ধতিতে। ধারাবাহিক এ পরিবর্তনের সুফল সমাজের সব স্তরে সুষম বণ্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এ ‘ভিশন দলিলে’। প্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা বিধৃত করা আছে মোট ১২টি অধ্যায়ে।

‘রূপকল্প ২০৪১ : একটি উচ্চ-আয় অর্থনীতি অভিমুখে’ শীর্ষক প্রথম অধ্যায়ে ‘উদ্দীপনাময় সূচনা’ হিসেবে ধারণ করা হয়েছে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ‘দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, দুর্নীতি ও শোষণহীন সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ গড়ে তোলা’কে।

এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে আগামী দু’দশকে ‘মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)’-এর গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯.০২ শতাংশ হারে। প্রবৃদ্ধির এ পথ ধরে ২০৩১ সালের বাংলাদেশ হবে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ।

তখন মাথাপিছু জাতীয় আয় হবে ৩,২৭১ ডলার। আর ২০৪১ সালের বাংলাদেশে সম্ভাব্য জনসংখ্যা হবে একুশ কোটি তিন লাখ। যাদের মাথাপিছু আয় হবে ন্যূনতম ১২৫০০ ডলার। চরম দরিদ্র লোক, যাদের দৈনিক আয় থাকবে ২.১৬ ডলারের কম এমন লোকের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে ০.৬৮ শতাংশে। আর দরিদ্র লোক, যাদের দৈনিক আয় থাকবে ৩.২০ ডলার, এমন লোকের সংখ্যা হবে ২.৫৯ শতাংশ। আপাতভাবে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করা।

এ লক্ষ্যে রফতানিমুখী শিল্পায়ন, কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নগরের বিস্তার, দক্ষ জ্বালানি ও অবকাঠামো, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ইত্যাদি কৌশলগত কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনার দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে দেশের ‘প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের’ অঙ্গীকার। এ পরিকল্পনা দাঁড়িয়ে আছে সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন, বিকেন্দ্রীকরণ এবং সক্ষমতা অর্জন-এ চারটি মৌলিক ভিত্তির ওপর। ‘রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান উন্নত’ করাকে দেখা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে। সময়ের আলোচিত ‘Why Nations Fail’ বইয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান’-এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।

রূপকল্প ২০৪১-এ ঠিক তেমনই আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। বিচারব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে, ‘স্বাধীনভাবে, সততা ও দক্ষতা’র সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই দেশে অর্জিত হতে পারে সুশাসন, বৈষম্যহীন উন্নয়ন।

অধ্যায় তিন-এর শিরোনাম ‘একটি উচ্চ আয় অর্থনীতির দিকে ত্বরান্বিত অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো’। আগামী দু’দশক ধরে ‘সামষ্টিক অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নিয়ামক’ যেমন: প্রকৃত খাত (জিডিপি, মুদ্রাস্ফীতি, বিনিয়োগ, জনসংখ্যা ইত্যাদি), আর্থিক খাত (রাজস্ব আদায়, উন্নয়ন ব্যয়), ঋণসংশ্লিষ্ট (অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণপ্রবাহ), বহিঃস্থ অর্থনীতি (রেমিটেন্সপ্রবাহ, আমদানি-রফতানি, বিনিময় হার, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স), মুদ্রাসংশ্লিষ্ট (ব্রড মানি, নিট সম্পদ) এসবের বছরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে এ অধ্যায়ে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, রাজস্ব আয়ে প্রত্যক্ষ করের বর্তমান অবদান মাত্র ৩০ শতাংশ। ২০৪১ সাল নাগাদ তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তোলা হবে। ২০৪১ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে জিডিপির ৪৬.৮৮ শতাংশ, যা বর্তমানে আছে ৩২.৭৬ শতাংশ। রফতানি আয় ২০২১ সালের কাঙ্ক্ষিত ৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০৪১ সালে করতে হবে ৩০০ বিলিয়ন ডলার।

শ্রদ্ধেয় ড. আকবর আলি খান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত ৪৯ বছরে ‘দারিদ্র্যের অনেক চিহ্ন বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে’। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ ‘একটি দারিদ্র্যশূন্য দেশ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে ‘ভিশন ২০৪১’-এর চতুর্থ অধ্যায়ে। ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’; এসডিজি’-এর এ মূলনীতিকে গ্রহণ করা হয়েছে অনুপ্রেরণা হিসেবে।

আগামী দিনের শ্রমবাজার হবে দক্ষতানির্ভর। তাই দ্রুত পরিবর্তনশীল আগামীর শ্রমবাজারে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য তাদের গড়ে তুলতে হবে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে। সমাজের আয়বৈষম্য (পালমা অনুপাত) কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ঋণবাজারের উন্নয়ন, সম্পদের সুষম বণ্টন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বৃদ্ধিকরণই হবে আগামী দিনের সরকারযন্ত্রের অন্যতম করণীয়।

ইউএনডিপির ২০১৯ সালের প্রতিবেদন মোতাবেক ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ সূচকে ০.৬১৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। এ সূচকের উত্তরণ ঘটানো অত্যাবশ্যক। ‘মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মানব উন্নয়ন এবং জনমিতিক লভ্যাংশ আহরণ’ শীর্ষক পঞ্চম অধ্যায়ে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিচর্যা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার-এসবের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ ২০১৮ সালে ছিল জিডিপির মাত্র যথাক্রমে ২.০ ও ০.৭৫ শতাংশ, ২০৪১ সালে এ ব্যয় যথাক্রমে ৪.০ ও ২.০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

উন্নত দেশগুলোয় জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান ৭০-৮০ শতাংশ। ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান ছিল মাত্র ৫১.৮২ শতাংশ। উন্নতির পথে আমাদের অর্থনীতির রূপান্তর হবে কৃষি থেকে শিল্প খাতে। এ জন্য দরকার হবে আন্তঃসম্পর্কিত বাণিজ্য ও শিল্পনীতির সমন্বিত প্রয়োগ। এ লক্ষ্যে ‘একটি ভবিষ্যদ্বাদী বিশ্বব্যবস্থায় শিল্পায়ন, রফতানি বহুমুখীকরণ ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সপ্তম অধ্যায়ে অঙ্গীকার করা হয়েছে অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, শ্রমশক্তির দক্ষতা মান উন্নয়ন, উৎপাদনের সব পর্যায়ে উদ্ভাবন বিস্তারে গবেষণা, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতিকরণ, পিপিপির মাধ্যমে অর্থের জোগান, জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিতকরণের।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্জিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। ২০১০ সালের ৫৮২৩ মেগাওয়াট উৎপাদন ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮,৯৬১ মেগাওয়াটে। আগামী দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে অব্যাহতভাবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৫১,০০০ মেগাওয়াট।

‘একটি উচ্চ আয় দেশের জন্য টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি’ শীর্ষক অষ্টম অধ্যায়ে বর্ণিত কৌশল মোতাবেক সে বছর ৫৬,৭৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। এ সময়ে বিদ্যুৎ খাতে যুক্ত হবে পারমাণবিক প্রযুক্তি। ২০৪১ সালে জ্বালানি বিন্যাস হবে ৩৫ শতাংশ গ্যাস, ৩৫ শতাংশ কয়লা, ১২ শতাংশ পারমাণবিক, ১ শতাংশ তরল তেল এবং ১ শতাংশ জলীয়। বাকি ১৬ শতাংশ করতে হবে আমদানি।

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসাধারণ সাফল্যের’ কথা তুলে ধরেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে অর্জিত হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি ‘আইসিটি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা লালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্ভাবনমুখী অর্থনীতি সৃজন’-এর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে নবম অধ্যায়ে। অঙ্গীকার করা হয়েছে বর্তমানের ‘নাগরিকের আইসিটি অভিগম্যতা’র স্কোর ৩৫.৭ থেকে বাড়িয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ ৮৫-তে উন্নীত করার মাধ্যমে বিশ্বে ২০তম স্থান অর্জনের।

‘অব্যাহত দ্রুত প্রবৃদ্ধির জন্য পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিনির্মাণ’ শীর্ষক দশম অধ্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামী দিনে রফতানি ভাণ্ডারে বৈচিত্র্য আনার জন্য দরকার হবে ভারী যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানির। দরকার হবে উৎপাদিত পণ্যের দ্রুত ও সময়মতো অন্তঃপ্রবাহ এবং বহিঃবাংলাদেশ যোগাযোগ।

নগর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এমআরটি ও মেট্রোরেলের সংযোগ, মহাসড়ক করিডোরের বর্তমানের গড় গতি ২৫-৩০ কিমি./ঘণ্টা থেকে ৮০-১০০ কিমি./ঘণ্টায় উন্নীতকরণ, সব রেললাইনকে ব্রডগেজ সিস্টেমে উন্নীতকরণ ও আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন, জাহাজের ‘নোঙর দিবস’ ও ‘গ্যাংশিফট’-এর উন্নয়ন, ড্রেজিং, নদীশাসন ও বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নাব্যতার উন্নতিসাধন, বিমানবন্দরে অতিরিক্ত রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে স্থাপন, মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে মাশুল আদায় ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে আগামী দু’দশক ধরে।

নগরায়ণ ও উন্নয়ন অত্যন্ত গভীর ও ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত। উচ্চ অর্থনৈতিক ঘনত্বের কারণে শহরাঞ্চলসমূহই প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। উন্নত দেশের মতো আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশেও মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোক শহরে বাস করবে। সে জন্য গৃহীত প্রস্তুতি বর্ণিত হয়েছে ‘একটি উচ্চ-আয় অর্থনীতিতে নগর পরিবর্তনশীলতার ব্যবস্থা’ শীর্ষক একাদশ অধ্যায়ে। সরকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ নীতির অধীন গ্রামাঞ্চলে শহরের সব সুবিধা প্রসারিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ঢাকাকেন্দ্রিক নগরায়ণের পরিবর্তে অনেক নগরকেন্দ্রের সুষম উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নগরের বায়ুর মান, গণপরিবহন, ট্রাফিক, পয়ঃনিষ্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বৃদ্ধি করা হবে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ।

‘একটি গতিশীল প্রাণবন্ত ব-দ্বীপে টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ ও জলবায়ু সহিষ্ণু জাতি বিনির্মাণ এবং সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা উন্মোচন’ শীর্ষক দ্বাদশ অধ্যায়ে জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টা বিধৃত হয়েছে। জোয়ারের স্ফীতি, লবণাক্ততা, বন্যা, নদীভাঙন, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশের নিয়মিত বৈশিষ্ট্য, যা উন্নয়নের অন্তরায়। প্রণীত ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’-এর আওতায় সুনীল অর্থনৈতিক সম্পদ (মৎস্য, সি-উইড, খনিজসম্পদ) আহরণ করতে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বর্তমান পরিকল্পনায়।

‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ নিঃসন্দেহে একটি সুলিখিত, উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন দলিল। খোলা চোখে তাতে হয়তো কিছু অসঙ্গতিও ধরা পড়বে। আজ থেকে বিশ বছর পরে হয়তো কিছু চাওয়া অধরাও থেকে যাবে। সম্মানিত অর্থনীতিবিদরা এসব নিয়ে প্রশ্ন করবেন। সমালোচনা হবে, হবে আত্মসমালোচনা।

এসব থাকুক। আমরা বরং বিগত দিনের অর্জন দেখে, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন দেখে আত্মবিশ্বাসী হই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’-কে মূল্যায়ন করেছেন-এ দলিল মূলত ২০৪১ সালের মধ্যে এক সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ অর্জনে সরকারের উন্নয়ন রূপকল্প, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহের একটি কৌশলগত বিবৃতি এবং তা বাস্তবায়নের পথ-নকশা’ হিসেবে। এই ‘পথ-নকশা’র পথ ধরেই ২০৪১ সালে অর্জিত হবে জাতির পিতার ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’।

ড. মনসুর আলম খান : জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর

monsuralamkhan@gmail.com
★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন