Pages

বিসিএস প্রস্তুতি ।। BCS Preparation - Episode Three

৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি 
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা

ওয়ালি-উর রেহমান
আমি তখন রোমে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলাম এবং হুমায়ুন রশীদ ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোম থেকে আমি জাতিসংঘের দ্বারা স্থাপিত Economic and Social Consequences of the Arms Race and of Military Expenditures (ESCAR) কমিটি মিটিংয়ে এলাম। আমাদের অফিস ছিল নিউইয়র্কের তুর্কিশ (Turkish) সেন্টারের ৮ম তলায়। একদিন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল পেরেজ দ্য কুয়েলার (Perez de Cuellar ) আমাকে ডেকে বললেন, তোমাদের সরকারকে বল আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনে কিছু সৈন্য দিতে। এতে তোমাদেরই দেশের নাম হবে। আমিও ভাবছিলাম কি করে বাংলাদেশের সৈন্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদান করানো যায়। এতে করে বাংলাদেশের সৈন্যদের নাম উজ্জ্বল হবে এবং দেশের সুনাম হবে। আমি বাংলাদেশ মিশনে ফিরে এলাম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললাম। তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে আমাকে ফোনে কথা বলতে বললেন, আমি বললাম আপনি বললে ভাল হয়। সে বলল আমি না তুমি কথা বল। তখন তাকে ফোন করে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রস্তাবের কথা বললাম। সে বলল আমরা কি করে সৈন্য দেব, এখানে অনেক আন্দোলন হচ্ছে, এখানে সৈন্যদের প্রয়োজন। আমি বললাম, স্যার, এটা দেশের জন্য ভাল হবে এবং সেনা সদস্যবৃন্দ খুশি হবে। তাদেরও জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য আয়ের পথ সুগম হবে। তখন তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ঠিক আছে, আমরা বেশি সৈন্য দিতে পারব না। তবে কিছু সৈন্য দেব, এটা তুমি সেক্রেটারি জেনারেলকে অবহিত কর। আমি রাষ্ট্রপতির কথা তাকে জানালাম। সেই মোতাবেক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি হলো। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অংশগ্রহণ করে UNIIMOG (United Nations Iran-Iraq Military Observer Group) মিশনে এটি তাদের প্রথম পদক্ষেপ।

এ ছাড়া কঙ্গো, মালি, সুদান, সাউথ সুদান, সাহারা, লেবানন, পূর্ব তিমুর প্রভৃতি স্থানে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল নাম। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে বিভিন্ন দেশের জাতিগত সংঘাত মোকাবেলা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো নির্মাণ ও চিকিৎসাসেবায় আমাদের শান্তিরক্ষীরা অনুকরণীয় দায়িত্ব পালন করায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছেন। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা এবং আন্তরিকতা আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতার পৌঁছে দিয়েছে।

আমি যখন ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হয়ে আফ্রিকা ভ্রমণে গিয়েছিলাম তখন আফ্রিকা, কেনিয়া, মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছিল। সবাই বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করল। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর অবদানকে। মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট বলেই বসলেন, আমাদের এখানে যখন অনেক বন্যা হয়েছিল তখন আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। আপনাদের পাঠানো বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছিল। বিশেষ করে রাস্তাঘাট নির্মাণ, ব্রিজ নির্মাণ, আরও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিল। তিনি বললেন, আপনি যখন দেশে যাবেন তখন আপনাদের সরকারকে বলবেন তিনি যেন আমাদের এখানে আবারও কিছু সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে দেয়।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, মানবাধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সেনাদের ভূমিকা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মহিলা পুলিশ দল সোচ্চার রয়েছেন সামাজিক-সম্প্রীতি সুসংহত করতে। আমি কোন মিশনে গেলেই উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের সেনাদের কথা বলি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে যুদ্ধরত সিরিয়ায় একটি মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে শান্তিরক্ষায় মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে তাঁর সরকারের বন্ধুত্ব স্থাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দেয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা প্রশংসিত হয়েছেন দেশ-বিদেশে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অর্জন জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষ অবস্থানটি ধরে রাখা। শান্তিরক্ষী হিসেবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা অনন্য ভূমিকা রাখছে। দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে তারা কাজ করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৯৮৮ সাল থেকে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারী মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি বলিষ্ঠ হয়েছে।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৪০ দেশের ৫৪ শান্তিরক্ষা মিশনে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৫৭ জন শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে জাতিসংঘের ইতিহাসে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আর এর পেছনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অনেক। তিনি তাঁর পিতার আদর্শকে ধরে রেখে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে পরিচালনা করে একটি রোল মডেলে পরিণত করেছেন।

সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের শান্তিরক্ষী সদস্যরা আগামী দিনগুলোতেও বিশ্ব শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার এই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে– এ প্রত্যাশা করি।

লেখক : সাবেক সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জনকণ্ঠ, ২৯মে ২০২১

=============================

বিসিএসের প্রস্তুতি নেবেন নাকি ব্যাংকের?

দুটি সেক্টরের চাকরির পরীক্ষা কাছাকাছি সময়ে হলে চাকরিপ্রার্থীরা বুঝে  উঠতে পারেন না কী করা উচিত। বিসিএসের প্রস্তুতি নেবেন, নাকি ব্যাংকের  চাকরির? অনেকে একসঙ্গে দুই সেক্টরের প্রস্তুতিই নিতে চান। আসলে কী করা উচিত  সে ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের  সহকারী পরিচালক ও ৩৮তম বিসিএসে (সাধারণ শিক্ষা) সুপারিশপ্রাপ্ত মো. আব্দুল আউয়াল। বিস্তারিত জানাচ্ছেন- এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা?

করোনা পরিস্থিতি সামলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে,  সামনে আরো পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। বিসিএস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ নানা  ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির এটাই  মোক্ষম সময়। করোনার কারণে এ বছর বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি কম প্রকাশিত  হয়েছে এবং নিয়মিত নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে আছে। ফলে চাকরিপ্রত্যাশীদের মাঝে  উৎকণ্ঠা থাকলেও সবার উচিত নিজেকে যথাযথ প্রস্তুত রাখা। করোনা পরিস্থিতি  অনুকূলে আসামাত্রই ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের  সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে আরো অনেক সরকারি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমন  পরিস্থিতিতে চাকরিপ্রত্যাশী অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান এই ভেবে যে কোনটির  প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক  প্রতিষ্ঠানের চাকরির প্রস্তুতি এবং বিসিএসের প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া উচিত  বা ঠিক হবে কি না? আমি মনে করি, ব্যাংক ও বিসিএসের প্রস্তুতি সাংঘর্ষিক নয়।  দুটির প্রস্তুতি একসঙ্গেই নেওয়া উচিত। কারণ ব্যাংক ও বিসিএসের প্রস্তুতি  অনেক ক্ষেত্রেই একে অপরের পরিপূরক।

সমন্বিত প্রস্তুতি যে কারণে

যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না  এবং দেশের চাকরির বাজার নানা কারণে বৈচিত্র্যহীন হওয়ায় অনেক বেশি প্রতিযোগী  ব্যাংক ও বিসিএসের পরীক্ষায় অংশ নেন। বিসিএসে নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ নানা ধরনের  জটিলতার কারণে নিয়োগ বিলম্বিত হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তিন বছরের বেশি সময়  লেগে যায়। এই দীর্ঘ সময় বেকার বসে থাকা আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে  সম্ভব হয় না। ব্যাংকের চূড়ান্ত নিয়োগপ্রক্রিয়া সাধারণত তুলনামূলক কম সময়ে  হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের নিয়োগ  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে আর চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন  হয় ২১ আগস্ট ২০১৯। পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছে।  অন্যদিকে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০ জুন ২০১৭ তারিখে আর ৩০  জুন ২০২০ তারিখে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশিত হলেও চূড়ান্ত  নিয়োগ এখনো সম্পন্ন হয়নি। নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হতে আরো কয়েক মাস লাগতে পারে।  কাছাকাছি মানের দুটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি এক মাসের ব্যবধানে প্রকাশিত হলেও  বিসিএসের নিয়োগ পেতে প্রায় দেড় বছর বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য  ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ আরো দ্রুত সম্পন্ন হয়। তাই বিসিএসের  প্রস্তুতির পাশাপাশি ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতিও নেওয়া উচিত বলে মনে করি।

প্রস্তুতিতে মিল-অমিল

বিসিএস ও ব্যাংকের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান এক না হলেও পরীক্ষার প্রশ্নের  ধরন প্রায় একই রকম। ব্যাংকে প্রিলিমিনারির পর দ্রুত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া  হয়। ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীকে অল-আউট পারফরম্যান্স করতে হবে।  পরীক্ষায় প্রার্থীদের মধ্যে খুব অল্প নম্বরের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়  বা কেউ কেউ অল্প নম্বরের জন্য বাদ পড়েন। তাই লেখার মান ধরে রেখে সব  প্রশ্নের উত্তর করা উচিত। অন্যদিকে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা হয় পাঁচ দিনব্যাপী  (সাধারণ ক্যাডার মোট ২১ ঘণ্টা, পেশাগত ক্যাডার ২৪ ঘণ্টা, উভয় ক্যাডার ২৫  ঘণ্টা)। এখানে একটি বিষয়ে প্রার্থী আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে না পারলেও  অন্য বিষয়ের মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে।
এ ছাড়া বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগের ভাইভার নম্বরের একটি বিশাল পার্থক্য  রয়েছে। বিসিএসের ভাইভায় ২০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে, যেখানে ব্যাংকের জন্য ২৫  নম্বর। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে—ব্যাংকের ভাইভার নম্বর কম হলেও তা বিসিএসের  ভাইভার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যথাক্রমে ২০০ ও ১০০ নম্বর আর  লিখিত পরীক্ষা যথাক্রমে ৯০০ ও ২০০ নম্বরের হয়। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা হয়  বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, সাধারণ বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি এবং গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতার ওপর। অন্যদিকে, ব্যাংকের  লিখিত পরীক্ষা হয় বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের ওপর।
বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে  দেখা যায়—উভয় পরীক্ষায় সমসাময়িক চিন্তা-ভাবনা বা বিষয়সমূহের হালনাগাদকৃত  তথ্য, তথ্য বিশ্লেষণ, কোটেশন, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন  বিষয় পরীক্ষায় কাজে লাগে, যা প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিকালে গুছিয়ে  নিলে উভয় পরীক্ষাতেই সমানভাবে কাজে লাগে।
বিসিএসের বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বাংলা ও ইংরেজির  প্রস্তুতি নিলে তার মাধ্যমে ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার ফোকাস রাইটিং অংশের  প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। আবার উভয় পরীক্ষায় ট্রান্সলেশন ও রিট্রান্সলেশন,  বিভিন্ন ধরনের চিঠি বা আবেদনপত্র লিখতে বলা হয়ে থাকে।
বিসিএসের বাংলা ও ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার রচনার জন্য পড়লে এবং সংশ্লিষ্ট  তথ্য সংগ্রহে রেখে আত্মস্থ করলে তা দিয়ে খুব সহজেই ব্যাংকের বাংলা ও ইংরেজি  ফোকাস রাইটিং অংশ উতরে যাওয়া যায়।

গণিতে বাড়তি নজর

গণিত অংশের দিকে নজর দিলে দেখা যায়—ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত কোনো  সিলেবাস নেই। তাই বিসিএসের জন্য যে সিলেবাস দেওয়া আছে, তার প্রায় সব টপিক  ব্যাংকের জন্যও সমাধান করতে হয়।
বিসিএস বা ব্যাংকে একই ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। উভয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।
ব্যাংকে চাকরির প্রস্তুতির জন্য আগারওয়ালের বই কিংবা ওয়েবসাইটভিত্তিক  কিছু সমস্যার সমাধান করতে পারলে খুব ভালো হয়, যা বিসিএস পরীক্ষায়ও কাজে  আসবে। এ ছাড়া মানসিক দক্ষতার ওপর বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায়  যথাক্রমে ১৫ ও ৫০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। তবে ব্যাংকের পরীক্ষায় এ অংশ থেকে  সাধারণ দু-একটি প্রশ্ন আসে।

তথ্যই শক্তি

বিসিএস ও ব্যাংক উভয় চাকরির পরীক্ষায় সফলতার জন্য তথ্যবহুল লেখা  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যানবেইস, ইউএনডিপি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ  ব্যাংক বার্ষিক রিপোর্ট, পরিসংখ্যান ব্যুরো, আদমশুমারির রিপোর্ট প্রভৃতি  উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ উভয় নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও  ভাইভায় কাজে লাগাতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত  পরীক্ষায় বিজ্ঞানের জন্য যথাক্রমে ১৫ ও ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে, যা  ব্যাংকের জন্য পড়তে হয় না।

একই সঙ্গে প্রস্তুতি
9
আমার পরামর্শ হলো—ব্যাংক ও বিসিএসে একই সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।  কারণ নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সাধারণত খুব কাছাকাছি সময়ে বা কিছুটা আগে-পরে হয়।  তাই একটায় যদি উত্তীর্ণ নাও হন, অন্যটির সুযোগ থাকবে।
আমার মতে, ব্যাংকের চাকরিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কারণ বিসিএসের  প্রক্রিয়া শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ ছাড়া ব্যাংকের ক্যারিয়ার গ্রোথটাও  ভালো।
সম্প্রতি প্রকাশিত ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার ফল থেকে দেখা যায়—বাংলাদেশ  ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা  বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এখন নিজের ক্যারিয়ার ভাবনা,  পোস্টিং, বেতন, কাজের ধরন, সামাজিক প্রেক্ষাপট, কাজের চাপ, ব্যক্তিগত ভালো  লাগা অনুযায়ী কেউ ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেবেন, না হয় ব্যাংকার হিসেবে  নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যদিও ব্যক্তিগত ভালো লাগা, দক্ষতা ও  যোগ্যতা অনুযায়ী নিজের ক্যারিয়ার গঠনের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়, তার পরও  সামগ্রিক চাকরির বাজার এবং দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ও  বিসিএসের প্রস্তুতি যুগপৎ নেওয়ার পক্ষে।
///
-দৈনিক কালের কণ্ঠ /চাকরি আছে 
©এম এম  মুজাহিদ উদ্দীন

=============================

৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি 
আজ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস
৪০ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর্তমানবতার সেবা দিয়ে বিশ্বের ৪০টি দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ। ৪০টি দেশে জাতিসংঘের ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন বাংলাদেশি অংশ নিয়েছিলেন। এরমধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫৩ জন এবং পুলিশের ২০ হাজার ৩১৬ জন সদস্য ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনীর ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯০ জন, নৌবাহিনীর ৬ হাজার ১২ জন এবং বিমানবাহিনীর ৭ হাজার ৫৫১ জন ছিলেন। এদের মধ্যে মহিলা শান্তি রক্ষী ছিলেন ২ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৪২৯ জন, নৌবাহিনীর ২২ জন, বিমান বাহিনীর ১১০ ও পুলিশ বাহিনীর ১ হাজার ৬২৩ জন নারী সদস্য। বর্তমানে জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৭৪২ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ৬ হাজার ২৪১ জন এবং পুলিশ সদস্য ৫০১ জন। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৩০৮ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৫ জন এবং বিমান বাহিনীর ৫৮৮ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত আছেন। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি মহিলা শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ২৮৪ জন। এদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ১১৯ জন, নৌবাহিনীর পাঁচ জন, বিমানবাহিনীর ১০ জন ও পুলিশের ১৫০ জন রয়েছেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৫৯ জন শান্তিরক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন। তার পরও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা-মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। তারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জনগণের সঙ্গে মিশে গেছেন। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকায় প্রশংসিত হয়ে সিয়েরালিওন তাদের দেশের প্রধান ভাষা বাংলা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সংবিধান অনুযায়ী করতে না পারায় দেশটির দ্বিতীয় ভাষা এখন বাংলা। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং আমাদের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা-মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোত্সর্গকারী আট বাংলাদেশিসহ বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৯ জন শান্তিরক্ষীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল প্রদান করেছে জাতিসংঘ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পদক দেওয়া হয়। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে বাংলাদেশের ৮ জন শান্তিরক্ষী রয়েছেন, যা একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ বাংলাদেশসহ ৪৪টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের মেডেল তুলে দেন। কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোত্সর্গকারী বাংলাদেশের আট জন শান্তিরক্ষী হলেন- মালিতে নিয়োজিত মিনুস্মা মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার আবদুল মো. হালিম, কঙ্গোতে নিয়োজিত মনুস্কো মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সাইফুল ইমাম ভূঁইয়া, সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট এমডি মোবারক হোসেন ও ল্যান্স কর্পোরাল মো. সাইফুল ইসলাম, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ নিয়োজিত মিনুস্কা মিশনের ল্যান্স কর্পোরাল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সার্জেন্ট মো. ইব্রাহীম এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস্ মিশনের ওয়াসারম্যান নুরুল আমিন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানটিতে আরো অংশগ্রহণ করেন মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ছাদেকুজ্জামান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা-মিশনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোত্সর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমি গর্বভরে স্মরণ করছি এবং শান্তিরক্ষা-মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নিহত শান্তিরক্ষীদের—যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্বদরবারে দেশের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।


★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন