Pages

একুশে ফেব্রুয়ারি.... এক নজরে ভাষা আন্দোলন (১৯১১-১৯৫৬)

যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে  শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সংগঠিত ভাষা আন্দোলনটি একদিনের অর্জন নয়। এই জন্য অনেক আগে থেকেই একটি ধারাবাহিক সংগঠিত আন্দোলন চলে আসছিল। সেই ধারাবাহিক আন্দোলনের কিছু ঘটনা আমার এই লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

১৯১১ঃ সৈয়দ নওয়াব আলি চৌধুরি রংপুর মুসলিম প্রাদেশিক শিক্ষা সম্মিলনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জোর দাবী করে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি এর পেছনে যুক্তিগুলোও তুলে ধরেন। তিনি ঐ সম্মেলনে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন ‘বাংলাভাষা আমাদের মাতৃভাষা’।

১৯১৮ঃ বিশ্বভারতীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতের সাধারণ ভাষা হিসেবে রবি ঠাকুরের প্রস্তাব করা হিন্দি’র বিরোধিতা করে বাংলাভাষার দাবি পেশ করেন।

১৯২১ঃ বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার লিখিত প্রস্তাব দেন সৈয়দ নওয়াব আলি চৌধুরি।

১৯৩৭ঃ দৈনিক আজাদ পত্রিকায় বাংলা কে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়।

১৯৪৭ঃ পুর্ব পাকিস্তানে বাংলা সাহিত্য আন্দোলনকে অব্যাহত রাখতে ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪৭ সেপ্টেম্বর,১৫ঃ তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী পুস্তক ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা না উর্দু’ প্রকাশিত হয়। উক্ত পুস্তকে অধ্যাপক কাজী মোতাহের হোসেন, ইত্তেহাদ সম্পাদক আবুল মন্সুর আহমেদ, অধ্যাপক আবুল কাসেম – এর লেখা সন্নিবেশিত হয়েছিল।

১৯৪৭ নভেম্বর,১২ঃ ফজলুল হক মুসলিম হলে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে তমদ্দুন মজলিসের সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভপতিত্ব করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রি হাবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রি সৈয়দ মোহাম্মদ আফজাল, কবি জসীম ঊদ্দীন, কাজী মোতাহের হোসেন, আধ্যাপক আবুল কাসেম, ডক্টর এনামুল হক, আবুল হাসনাত প্রমুখ।

১৯৪৭, ডিসেম্বর ৬ঃ পাকিস্তান সৃষ্টির ১১৪ দিনের মাথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বেলতলায়’ অধ্যাপক আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

১৯৪৮ ফেব্রুয়ারি ২৫ঃ এই দিনে পাকিস্তান গণ পরিষদে কুমিল্লা হতে নির্বাচিত সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃক উত্থাপিত বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অগ্রাহ্য হয়।

১৯৪৮ মার্চ ০২ঃ ভাষা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ সম্প্রসারন ও পুনর্গঠন করা হয়। তমদ্দুন মজলিস কর্মী জনাব শামসুল হককে সম্প্রসারিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। এই সভায়ই ৭ মার্চ ঢাকা ও ১১ মার্চ সারাদেশে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

১৯৪৮ মার্চ ১১ঃ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রদেশ ব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঢাকায় সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সলিমুল্লাহ হলের ভিপি আব্দুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটং করার সময় পুলিশ ছাত্রদের ভীষণ মারধর করে। সেদিন পিকেটিং এ অংশ নেনে শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ, আব্দুর রহমান চৌধুরী, কাজী গোলাম মাহবুব, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান, গোলাম আযম, খালেক নেওয়াজ, শামসুল আলম, আজিজ আহম্মদ, ডাঃ মিয়া মাযহারুল ইসলাম, নঈমুদ্দীন এবং বায়তুল্লাহ প্রমূখ।

পিকেটং এর প্রথম পর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও পরে কাজী গোলাম মাহবুব গ্রেপ্তার হন। একই দিন তখনকার ডাকসু জি এস গোলাম আযম সহ আরও ১০/১২ গ্রেপ্তার হন। বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়।

১৯৪৮ মার্চ ২১ঃ এই দিন বিকেলে ঢাকার রেইসকোর্স ময়দানে বিশাল নাগরিক সংবর্ধনায় কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর ভাষনে বলেন, ‘উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইবে, অন্য কোন ভাষা নহে‘।

১৯৪৮ মার্চ ২৪ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কনভোকেশন অনুষ্ঠানে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর ভাষনে পুনরায় উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার ঘোষণা দেন। ভাষণের মাঝখানে ছাত্রদের মধ্য থেকে ‘নো নো’ প্রতিবাদ ধবনি ওঠে।

এই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধি দলকে কায়েদে আজম সাক্ষাত দান করেন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

১৯৪৮ নভেম্বর, ১৪ঃ তমদ্দুন মজলিসের বিপ্লবী মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক ‘সৈনিক’ আত্মপ্রকাশ করে। ভাষা আন্দোলনে এটি অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করে। আত্মপ্রকাশের সময় ‘সৈনিক’-এর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন জনাব শাহেদ আলী ও জনাব এনামুল হক। এর পেছনে মূল ভূমিকা ছিল আধ্যাপক আবুল কাসেমের।

১৯৪৮ নভেম্বর, ২৭ঃ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে ডাকসু নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রভাষা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

১৯৫০ মার্চ ১১ঃ এই দিনে ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা জনাব আবদুল মতিন এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়।

১৯৫০ এপ্রিলঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম কমিটি পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্যদের কাছে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করে।

১৯৫২ জানুয়ারি ২৭ঃ ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রি খাজা নাজিমুদ্দীনের ঘোষণা করেন ‘প্রদেশের রাষ্ট্রভাষা কী হবে তা প্রদেশবাসীই স্থির করবেন, কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।’

১৯৫২ জানুয়ারি ৩১ঃ এই দিন বিকেলে ভাষা আন্দোলন পরিচালনার জন্য ঢাকা জেলা লাইব্রেরি হলে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে এক সভায় ৪০ জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ গঠিত হয়। কর্ম পরিষদের সভায় ০৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ধর্মঘট ও ২১ ফেব্রুয়ারি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ হরতাল ও বিক্ষোবের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ০৪ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।

১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ০৬ঃ পূর্ববঙ্গ কর্মীশিবির অফিস ১৫০ নং মোগলটুলীতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ এর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি হরতাল সফল করতে সর্বাত্মক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।

১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২০ঃ ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারী করা হয়। এক মাসের জন্য সভা, শোভাযাত্রা প্রভৃতি নিষিদ্ধ করা হয়।

১৪৪ ধারা জারীর প্রেক্ষিতে ২১ শে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচী সফল করার ব্যপারে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ৯৪ নওয়াবপুর রোড পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সদর দপ্তরে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ এর সভা বসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব আবুল হাশিম। সভায় ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের উপর ভোট গ্রহন করা হলে অলি আহাদ, শামসুল আলম, আবদুল মতিন, গোলাম মাওলা প্রস্তাবের বিপক্ষে অর্থাৎ ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে ভোট দেন। অলি আহাদ ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে বলিষ্ঠ বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ তোহায়া ভোট ডানে বিরত থাকেন। এই সভায় নিরঙ্কুশ ভোটে ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত পাশ হয়।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসমাজ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকার করে। ক্যাম্পাসে গভীর রাত্র পর্যন্ত ২১ শে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচী সফল করার প্রস্তুতি চলতে থাকে।

১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২১ঃ বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় ঐতিহাসিক ছাত্রসভা শুরু হয়। পূর্ব ব্যবস্থা অনুযায়ী সভাপতিত্ব করেন গাজীউল হক। ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ এর পক্ষ থেকে জনাব শামসুল হক তার বক্তব্যে ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার পক্ষে যুক্তি দিয়ে ছাত্রদের বুঝাবার চেষ্টা করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক আব্দুল মতিন ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে জোড়ালো বক্তব্য রাখেন।
শেষে সভাপতির ভাষণে গাজীউল হক ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার আহ্বান জানিয়ে তেজোদীপ্ত বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের পর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।

প্রথমে ছাত্ররা রাস্তায় বের হবার চেষ্টা করে। তাঁদের ক্যাম্পাসের গেইটে অবস্থানরত পুলিশ ট্রাকে তুলে নিতে থাকে। তাই ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার জন্য ছাত্রীরা এগিয়ে যায়। ছাত্রীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তৎকালীন জি এস (ডক্টর) শাফিয়া খাতুন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন (ডক্টর) সুফিয়া আহমেদ, (অধ্যাপিকা) শামসুন্নাহার আহসান, রওশন আরা বাচ্চু, সারা তৈফুর, মাহফিল আরা, খোরশেদী খানম, সুরাইয়া, (ডক্টর) হালিমা প্রমূখ। সেই মিছিলে ঢাকা শহরের অনেক স্কুল কলেজের ছাত্রীরাও ছিলেন। ছাত্রীদের দ্বারা ১৪৪ ধারা ভাঙা সফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ছাত্রদের উত্তাল মিছিল। সে প্রতিবাদী মিছিলে চলে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ ও গুলি।

পুলিশের গুলিতে আবদুল জাব্বার ও রফিকউদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া সালাম, আবুল বরকত সহ আরও অনেকে নিহত হয়। অলিউল্লাহ নামে ৮/৯ বছরের এক শিশুর লাশ পাওয়া যায়। তাছাড়া পুলিশ অনেক লাশ লুকিয়ে ফেলে।

১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২২ঃ পুলিশের জুলুম ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ‘আজাদ’ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন পরিষদ সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন।

১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২৩ঃ রাতে ছাত্রদের তাতক্ষনিক চিন্তার ফলে এক রাতের পরিশ্রমে প্রথম শহীদ মিনার গড়ে উঠে।

১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২৬ঃ এই দিনে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন। এই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শহীদ মিনার ভেঙ্গে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়।

১৯৫৬ ফেব্রুয়ারি ২১ঃ বর্তমান শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন মূখ্যমন্ত্রি আবু হোসেন সরকার, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম।

১৯৫৬ সেপ্টেম্বরঃ প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য হিসেবে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম আইন সভায় বাংলা ভাষাকে অবিলম্বে শিক্ষার মাধ্যম ও সরকারি ভাষারূপে চালু করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। অবশেষে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে শাসনতান্ত্রিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে।

তথ্যসূত্রঃ মোসতফা কামাল রচিত ‘ভাষা আন্দোলনের ডায়েরি’ ।

★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন