▓ ঝম ঝম' ব্যাকরণের কোন রীতিতে ভাষায় ব্যবহৃত হয়? ▓
‘ঝম ঝম’ ব্যাকরণের রীতিতে প্রথমে ‘ধ্বন্যাত্মক অব্যয়’ হিসেবে দ্বিতীয়ত ‘দ্বিরুক্ত শব্দ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অব্যয় পদ চার প্রকার :
১. সমুচ্ছয়ী অব্যয়, ২. অনন্বয়ী অব্যয়, ৩. পদান্বয়ী অব্যয়, ৪. ধ্বন্যাত্মক অব্যয়
১. সমুচ্ছয়ী অব্যয় : একাধিক পদ, বাক্য, বাক্যাংশকে সংজোযন, বিয়োজন বা সংকোচন করা অব্যয় পদই সমুচ্চয়ী অব্যয় পদ। যেমন : এবং, ও আর, তথা ইত্যাদি।
২. অনন্বয়ী অব্যয় : ‘অন্বয়’ মানেই সম্পর্ক। ‘অনন্বয়’ মানেই সম্পর্ক নেই। বাক্যের পদের সাথে সরাসরি যে অব্যয় পদের সম্পর্ক নেই, অথচ বিষ্ময়, ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পায় যে অব্যয় পদে; তা-ই অনন্বয়ী অব্যয়। যেমন : বাহবা, আহা, উঃ, ছি ছি, হায় হায় ইত্যাদি।
৩. পদান্বয়ী অব্যয় : বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে অন্বয় বা সম্পর্ক স্থাপন করে যে অব্যয়, তা-ই পদান্বয়ী অব্যয়। যেমন : সঙ্গে, সহ, বিনা, জন্য মধ্যে ইত্যাদি।
৪. ধ্বন্যাত্মক অব্যয় : অব্যক্ত ধ্বনির অনুকরণে যে অব্যয় গড়ে উঠে, তা-ই ধ্বন্যাত্মক অব্যয়। যেমন : কড়কড়, ঝুম ঝুম, শাঁ, ধপ্ ইত্যাদি।
ধ্বন্যাত্মক অব্যয় আবার দুই প্রকার
একক প্রয়োগ : ‘ধপ্’ করে বাতিটি নিভে গেল। ‘শাঁ’ করে প্লেনটা উড়ে গেল। এখানে ‘ধপ’, ‘শাঁ’ একক ধ্বন্যাত্মক অব্যয়।
দ্বিরুক্ত প্রয়োগ : ‘ভন ভন’ মাছি উড়ছে। ‘ঝম ঝম’ বৃষ্টি পড়ছে। এখানে ‘ভন ভন’, ‘ঝম ঝম’ দ্বিরুক্ত ধ্বন্যাত্মক অব্যয়।
তবে ব্যাকরণের ‘শব্দদ্বৈত’ অংশে ‘দ্বিরুক্ত শব্দ’ হিসেবে এই দ্বিরুক্ত ধ্বন্যাত্মক অব্যয়কে পাওয়া যায়। সেখানে দ্বিরুক্ত ধ্বন্যাত্মক অব্যয় হিসেবেই ‘দ্বিরুক্ত’ শব্দের ব্যবহার। তাই ‘ঝম ঝম’ ‘ভন ভন’ এ জাতীয় শব্দদ্বৈত প্রথমে ‘ধ্বন্যাত্মক অব্যয়’; তার পরে ‘দ্বিরুক্ত শব্দ’।ঝম ঝম' ব্যাকরণের কোন রীতিতে ভাষায় ব্যবহৃত হয়?
‘ঝম ঝম’ ব্যাকরণের রীতিতে প্রথমে ‘ধ্বন্যাত্মক অব্যয়’ হিসেবে দ্বিতীয়ত ‘দ্বিরুক্ত শব্দ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অব্যয় পদ চার প্রকার :
১. সমুচ্ছয়ী অব্যয়, ২. অনন্বয়ী অব্যয়, ৩. পদান্বয়ী অব্যয়, ৪. ধ্বন্যাত্মক অব্যয়
১. সমুচ্ছয়ী অব্যয় : একাধিক পদ, বাক্য, বাক্যাংশকে সংজোযন, বিয়োজন বা সংকোচন করা অব্যয় পদই সমুচ্চয়ী অব্যয় পদ। যেমন : এবং, ও আর, তথা ইত্যাদি।
২. অনন্বয়ী অব্যয় : ‘অন্বয়’ মানেই সম্পর্ক। ‘অনন্বয়’ মানেই সম্পর্ক নেই। বাক্যের পদের সাথে সরাসরি যে অব্যয় পদের সম্পর্ক নেই, অথচ বিষ্ময়, ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পায় যে অব্যয় পদে; তা-ই অনন্বয়ী অব্যয়। যেমন : বাহবা, আহা, উঃ, ছি ছি, হায় হায় ইত্যাদি।
৩. পদান্বয়ী অব্যয় : বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে অন্বয় বা সম্পর্ক স্থাপন করে যে অব্যয়, তা-ই পদান্বয়ী অব্যয়। যেমন : সঙ্গে, সহ, বিনা, জন্য মধ্যে ইত্যাদি।
৪. ধ্বন্যাত্মক অব্যয় : অব্যক্ত ধ্বনির অনুকরণে যে অব্যয় গড়ে উঠে, তা-ই ধ্বন্যাত্মক অব্যয়। যেমন : কড়কড়, ঝুম ঝুম, শাঁ, ধপ্ ইত্যাদি।
ধ্বন্যাত্মক অব্যয় আবার দুই প্রকার
একক প্রয়োগ : ‘ধপ্’ করে বাতিটি নিভে গেল। ‘শাঁ’ করে প্লেনটা উড়ে গেল। এখানে ‘ধপ’, ‘শাঁ’ একক ধ্বন্যাত্মক অব্যয়।
দ্বিরুক্ত প্রয়োগ : ‘ভন ভন’ মাছি উড়ছে। ‘ঝম ঝম’ বৃষ্টি পড়ছে। এখানে ‘ভন ভন’, ‘ঝম ঝম’ দ্বিরুক্ত ধ্বন্যাত্মক অব্যয়।
তবে ব্যাকরণের ‘শব্দদ্বৈত’ অংশে ‘দ্বিরুক্ত শব্দ’ হিসেবে এই দ্বিরুক্ত ধ্বন্যাত্মক অব্যয়কে পাওয়া যায়। সেখানে দ্বিরুক্ত ধ্বন্যাত্মক অব্যয় হিসেবেই ‘দ্বিরুক্ত’ শব্দের ব্যবহার। তাই ‘ঝম ঝম’ ‘ভন ভন’ এ জাতীয় শব্দদ্বৈত প্রথমে ‘ধ্বন্যাত্মক অব্যয়’; তার পরে ‘দ্বিরুক্ত শব্দ’।