বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ
১৬ ডিসেম্বর : পাকিস্তানের আত্মসমপর্ণ - বাংলাদেশের বিজয়
=====
৯ মাস রক্তকক্ষয়ী যুদ্ধের পর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় ছিনিয়ে আনে । চলুন ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের কিছু তথ্য মনে রাখি
আত্মসমর্পণ স্থান : তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
সময় : বিকাল ৪.৩১
পক্ষ : বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তান
আত্মসমর্পণের সময় পাকিস্তানের সেনা সদস্য :৯৩ হাজার ( প্রচলিত তথ্য) ,৯১,৬৩৪ সদস্য ( উইকিপিডিয়া ।
পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। তিনি যৌথবাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক ও ডেপুটি চীফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল করিম খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
।
২২ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারীভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিজয় দিবস রাষ্ট্রিয়ভাবে পালন করা হচ্ছে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সাথে বিশেষ কিছু ঘটনা-
১৯৭১: স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের নাম করণ করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৯৭২: গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সংবিধান প্রকাশিত হয়।
১৯৭২: ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গ্যাজেটের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব ঘোষণা করা হয়।
১৯৯৬: ২৫ বছর পূর্তি উৎসব করা হয়।
২০১৩: জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৭,১১৭ জন স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার লাল এবং সবুজ ব্লক নিয়ে একত্রে জড়ো হয়ে বিশ্বের বৃহত্তম মানব পতাকার নতুন বিশ্ব রেকর্ড করে।
২০২১: স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব । ক্ষুধা - দারিদ্র্যমুক্ত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।