‘সমভিব্যাহার’ শব্দে উপসর্গের ব্যবহার
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
বাংলাভাষায় ব্যবহৃত একটি শব্দ ‘সমভিব্যাহার’। ‘সমভিব্যাহার’ শব্দের অর্থ সঙ্গ, সাহচার্য, একত্রে যাত্রা বা অবস্থান। এই শব্দটি সংস্কৃত তথা তৎসম শব্দ। এ শব্দটির গঠন প্রক্রিয়া জেনে নেই-
‘সমভিব্যাহার’ শব্দে মোট ৪টি উপসর্গ এবং ১টি করে প্রত্যয় ও ধাতু আছে। পুরো শব্দটি ভাঙ্গলে আমরা পাই-
উপসর্গ : ৪টি- সম্, অভি, বি, আ
ধাতু (সংস্কৃত) : ১টি- √হৃ
প্রত্যয় (সংস্কৃত) : ১টি- ঘঞ
ঘঞ-প্রত্যয় কৃদন্ত বিশেষ্য গঠনে ঘ্ এবং ঞ ‘ইৎ’ বা লুপ্ত হয়ে ‘অ’ থাকে। সে ক্ষেত্রে ধাতু √হৃ সাথে যুক্ত হয়। এখানে, √হৃ (হর)+ঘঞ (অ) = ‘হার’ হয়েছে।
এদিকে উপসর্গ ৪টি : সম্+অভি+বি+আ। এই উপসর্গ ৪টি সন্ধিজাত হয়ে ‘সমভিব্যা’ গঠন করেছে। সন্ধির গঠন এমন-
সম্+অভি = সমভি;
বি+আ = ব্যা
সুতরাং সমভিব্যা
এই ‘সমভিব্যা’-এর সাথে ‘হার’ যুক্ত হয়ে পূর্ণ শব্দ ‘সমভিব্যাহার’ গঠন করেছে।
উপসর্গ ব্যবহারের শর্ত, 'শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ গঠন করবে।' এখানে শব্দ হলো ‘হার’। শর্তানুযায়ী এই ‘হার’ শব্দের আগে উপসর্গ ‘সমভিব্যা’ ব্যবহৃত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করেছে ‘সমভিব্যাহার’।
বাক্যে প্রয়োগ- `রাজা অমাত্য সমভিব্যাহারে রাজ্য পরিদর্শনে চললেন।‘
#