মূল্যবোধ ও শিক্ষা
•••••••••••••••••••••••
শিক্ষা মূল্যবোধের সাথে সম্পর্কিত। পরিচর্চা কিংবা প্রতিপালনের মাধ্যমে নিজের মনের কর্ম সম্ভাবনাকে জ্ঞান ও বোধে সক্রিয় করাটাই শিক্ষা। সাধারণভাব জ্ঞানার্জনকে শিক্ষা বলা হয়। শিক্ষা মানুষের জ্ঞানের চেতনাকে সুরক্ষিত করে। মানসিকতাকে উচ্চকিত করে। শিক্ষা মূল্যবোধকেও পরিশীলিত করে মানুষের মন-চেতনাকে জাগ্রত রাখে। মূল্যবোধের বিকাশ-প্রকাশে শিক্ষার ভূমিকা খুবই বড়, খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষের জীবন গড়ার মৌলিক ভিত্তি শিক্ষা। শিক্ষাই সভ্যতায় মানুষকে সুসভ্য বানিয়েছে। মূল্যবোধকে ধারণ করতে শিখিয়েছে। সত্য মিথ্যার ব্যবধান নিরূপণ করতে শিক্ষা মূল্যবোধকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করেছে। সত্যমিথ্যার চিরন্তন লড়াইটা মূল্যবোধই নিয়ন্ত্রণ করে। শিক্ষা সেখানে প্রভাবক মাত্র।
সার্বিকভাবে মূল্যবোধ সমাজ জীবনের ভাল-মন্দ, উচিৎ-অনুচিত, নীতি-নৈতিকতা, আচার-আচরণের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ মাত্র।মূল্যবোধ ও শিক্ষা পরস্পর পরিপূরক। সভ্যতার সৃজনে ব্যক্তিমানস থেকে সামাজিক মানসে মূল্যবোধই ভূমিকা রাখে। মূল্যবোধেই সভ্যতার একটি সমাজ তার উপস্থিতি, তার অস্তিত্ব প্রকাশ করে। অনেক সমাজ বিজ্ঞানী, দার্শনিক বহু গুণিজন মূল্যবোধকে সংজ্ঞায়িত করেছেন স্ব স্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে ।
■ মূল্যবোধের সংজ্ঞা
ফ্রাঙ্কেল : “মূল্যবোধ হলো আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের বোধ।”
M R William : “মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড।”
অ্যান্থনি জি ক্যাটাল : “কোনো সত্তা বা বিশ্বাসের অন্তর্নিহিত মূল্য হলো মূল্যবোধ।”
এম. ডিব্লিউ পাম্পফ্রে : “ব্যক্তি বা সামাজিক দলের প্রত্যাশিত আচার-আচরণের সুবিন্যস্ত প্রকাশই হলো মূল্যবোধ।”
বিক (Beck) : “মূল্যবোধ হলো সেসব কাজ, অভিজ্ঞতা ও নীতি যা মানুষের শুভবুদ্ধির ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন ঘটায়।”