বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
#মুক্তিযুদ্ধ
#জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বলা হয়?
উঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বলা হয় কারন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন আর রাষ্ট্রপতিহচ্ছেন সসস্ত্র বাহিনীর প্রধান, সে কারনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বলা হয়।
#মুক্তিযুদ্ধে যে একটি সংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল ,তা কিভাবে বলবেন?
উঃ ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন আর ভাষা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এর পর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠন আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে অবদান রাখে । সে দিক থেকে বলা ্যায় মুক্তিযুদ্ধ একটি সংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল।
#মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নারীর ভূমিকা কি ?
উঃ মুক্তিযুদ্ধ যদিও কোন লিঙ্গ ভিত্তিক যুদ্ধ ছিল না তবে পুরুষের পাশাপাশি লাখ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই মহান মুক্তি যুদ্ধ।যুদ্ধের সময় নারী শিলপীরা স্বধীন বাংলা বেতারে গান গেয়ে মুক্তি যোদ্ধাদের উজ্জীবীত রেখেছেন।বিভিন্ন এলাকায় গেরিলাদের রান্না করে খাবারের ব্যবস্থআ করেছেন। মুক্তি যুদ্ধে খেতাব প্রাপ্ত নারী বীর প্রতিক ডাঃ; সেতারা বেগম ও তারামন বিবি ।
#আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বলবেন নাকি সত্য মামলা বলবেন? এই মামলার কয়জন আসামি জিবিত আছে?
উঃ স্যার আমার মতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হবে কেননা ১৯৬৮ সালে যখন এই মামলা নথিভুক্ত হয় তখন এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত ছিল এবং এঁর রায় ঘোষণাও হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে। শওকত আলী ।
#একজন কূটনীতিক হিসেবে কিভাবে বাংলাদেশেরমুক্তিযুদ্ধ অন্য দেশের সামনে তুলে ধরবেন?
উঃ পৃথিবীতে মাত্র ২ টি দেশ ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছিল , একটি আমাদের বাংলাদেশ অন্যটি যুক্তরাষ্ট্র । দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দীনির্লজ্জেরমত মাথা নিচু করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় যা পৃথিবীর আর কোন দেশে সম্ভব হয়নি। আমরা বীরের জাত, আমরা ঈসাখাঁ ,মোঘলদের জাত আমরা কারো কাছে মাথা নোয়াবার জন্য নই আর সেটাই প্রমাণ করেছেন আমাদের এই মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার অনুসারীরা।এই মুক্তিযুদ্ধের ফলে পেয়েছি আমাদের আজকের এই স্বাধীন জন্মভূমি ।
#শেখ মুজিব জাতির পিতা হিসেবে কি যথার্থ ? কেন?
উঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা হিসেবে যথার্থ কয়েকটি কারন , ১৯৪৭ সালের পর থেকে বাঙালি জাতি অভিভাবকহীনহয়ে পরলে তিনি বাংলাদেশকেসামনে থেকে নেতৃত্ব দেন , ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট , ৬৬’এর ছয় দফা দাবি, ৬৯’গনভুত্থান ,৭০’এর নির্বাচন , ৭১’এর ৭ মার্চ এঁর ভাষণ এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভুমিকা রাখেন যে কারনে তিনি জাতির পিতা হিসেবে যথার্থ ।
#বাকশাল সরকার যে যৌক্তিক ছিল ,তা কিভাবে বলবেন ?
উঃ স্যার বাকশাল সরকার কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে যথেষ্ট তর্ক - বিতর্ক বিদ্যমান। তবে যেহেতু যৌক্তিকতা বিষয়গুলো হল, বঙ্গবন্ধু কেন বাকশালের মতো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন তা তারঁ বক্তৃতায় বলেছিলেন,
"আমি ফেরেশতা নই। শয়তানও নই। আমি মানুষ, আমি ভুল করবই। আমি ভুল করলে আমার মনে রাখতে হবে, I can rectify myself. আমি যদি rectify করতে পারি, সেখানেই আমার বাহাদুরি। আর যদি গোঁ ধরে বসে থাকি যে না আমি যেটা করেছি সেটাই ভালো, that can’t be human being! ফেরেস্তা হইনি যে সবকিছু ভালো হবে। এই সিস্টেম ইনট্রডিউস করে যদি দেখা যায় যে, খারাপ হচেছ। Alright rectify it. কেননা আমার মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমার বাংলাদেশে শোষণহীন সমাজ গড়তে হবে। Fundamentally আমরা একটা শোষণহীন সমাজ গড়তে চাই, আমরা একটা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি করতে চাই। We do not like to import it from anywhere in the world. এটা আমার মত, মাটির মত। _ _ _”
এটি একটি দল এর নাম নয়। এটি একটি বিপ্লব এর নাম। এটি হলে হয়ত বাংলাদেশেরচেহারা অন্য রকম হত। হয়ত আজকে যে চীনের কথা বলা হচ্ছে সেটাকে ছাড়িয়ে যেতে পারত।
#জাতি সঙ্ঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন কোন বিষয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন ?
উঃ জাতি সঙ্ঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করে সকলের বন্ধু হিসেবে থাকার কথা বলেন ও অর্থনীতির উপর বেশি জোর দিয়েছিলেন । তিনি বাংলাদেশ প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন ।
#২১ নভেম্বর কে কেন সসস্ত্র বাহিনী দিবস বলা হয়?
উঃ ১৯৭১ সালের এই দিন থেকে ৩ বাহিনী ( সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী ) এক সাথে যুদ্ধ করা শুরু করে এবং ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তি বাহিনী আলোচনা শুরু করে বলে ২১ নভেম্বর কে সসস্ত্র বাহিনী দিবস বলা হয়।
#ছয় দফা আন্দোলন কেন প্রয়োজন ছিল?
উঃ ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের কারনে পশ্চিম পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আমাদের এই বাংলা অক্ষত থাকে কিন্তু পাকিস্তান বাংলার সমস্ত সম্পদ নিতে যেত পশ্চিম পাকিস্তানেফলে বাংলার মানুষ কে অনেক কষ্ট পেতে হয় আরা তাছাড়া ছয়দফা ছিল গ্ণ-মানুষের প্রানের দাবী। ভৌগলিকভাবেসম্পুর্ণ আলাদা দুটিরাষ্ট্রের সঠিক পরিচালনার জন্য এটা ছিল একটা বুদ্ধিদীপ্ত প্রস্তাব। আন্দোলন ছাড়া যার গুরুত্ব পাকি সরকারকে বুঝানো যেতো না। উল্লেক্ষ্যযে, বেলুচিস্তান প্রদেশ তাদের স্বাধিকারের আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে এই ছয় দফাকেই আইডল হিসেবে বেছে নিয়েছে।
।।।।
আরেফিন হক পিয়াস