Pages

সাহিত্য রিভিউ 🔷 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: (উপন্যাস)

বই পড়া ভারি মজা
সাহিত্য রিভিউ
হাসনাত রহমান , বুয়েট
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: (উপন্যাস)
বড় দিদি       |       শ্রীকান্ত       |    গৃহদাহ 
পথের দাবী   |      চরিত্রহীন     | দেবদাস 
                          পল্লীসমাজ 
.

_________বড় দিদি(মাধবী দিদি)_________
            ------------------------------------
চরিত্র :  
মাধবী দিদি  |  সুরেন্দ্রনাথ (শিশুসুলভ)  |   শান্তি দেবী
প্রমীলা   | ব্রজরাজ লাহেড়ী  |  শিবচন্দ্র
.

চরিত্র পরিচিতি: 
মাধবী দিদি (ব্রজরাজ লাহেড়ীর বিধবা মেয়ে)
ব্রজরাজ লাহেড়ী (মাধবীর বাবা/জমিদার)
প্রমীলা(মাধবীর ছোট বোন/সুরেন্দ্রনাথের ছাত্রী)
শিবচন্দ্র(মাধবীর ভাই)
মথুরা বাবু(সুরেন্দ্রনথের ম্যানেজার/দূর্নীতিবাজ) 
শান্তি দেবী (সুরেন্দ্রনাথের বউ)
__________________________________
সুরেন্দ্রনাথের বাবা উকিল ৷  সৎ মা তাকে অনেক ভালবাসে এবং শাসন করেও অনেক বেশি ৷ সুরেন্দ্রনাথের খাওয়া দাওয়া কাজ কর্ম সব ক্ষেত্রে তাকে নিয়ন্ত্রন করে ৷
সৎ মা হিসাবে তার প্রতি কখনো অবিচার করেনি ৷
এ শাসন সুরেন্দ্রনাথ সহ্য করতে পারেনি ৷ সে মুক্তির জন্য কলকাতাতে পালিয়ে যায় এবং চিঠি লিখে যায় তাকে খোঁজার কোন দরকার নাই ৷ 

যে টাকা ছিল তাতে কিছুদিন চলে যায় কিন্তু টাকা শেষে কাজের সন্ধানে বের হয় এবং ব্রজরাজ লাহেড়ীর কাছে যায় ৷  সুরেন্দ্রনাথ অনুনয় বিনয় করে ব্রজরাজ লাহেড়ীর বাড়িতে প্রমীলার পড়ানোর দায়িত্ব পায় ৷ সে বাড়িতে কতৃহিসাবে রয়েছে মাধবী অর্থাৎ প্রমীলার বোন ৷ যে বিধবা হয়ে বাবার বাড়িতে থাকে ৷ প্রমীলার মা না থাকাতে সেই বাড়ির সর্বেসর্বা ৷

সুরেন্দ্রনাথের সকল সমস্যা তার বড় দিদি সমাধাণ করে ৷ সুরেন্দ্রনাথের খাওয়া দাওয়া কাপড় কাচা সব কাজ মাধবী দিদি করে থাকে ৷ সুরেন্দ্রনাথও সকল কাজে বড় দিদির মাধ্যমে করে ৷ কিছু দরকার হলে প্রমীলাকে বলে,বড় দিদি করে দেয় ৷ বাড়িতে যে দায়িত্ব মা করত এখানে সে কাজটা বড় দিদি করে ৷ কিন্তু কোন অনুগত্য প্রকাশ করে না তার প্রতি ৷ সব সময় অকৃতজ্ঞের মত আচরণ করে ৷ 

সুরেন্দ্রনাথ কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাধবী কাশি চলে যায় ৷  সুরেন্দ্রনাথ প্রথম দু দিন কিছু বুঝতে পারেনি ৷ কিন্তু দুই দিন পর বুঝতে পারে তার খাওয়া দাওয়া এবং অন্যান্য ব্যাপারে  দিদির অবদান কতটুকু ৷ অনেক মিস করতে থাকে বড় দিদিকে  এবং একটা চিঠি লিখে প্রমীলার মাধ্যমে সেখানে বলে  মাস্টার মশাই তোমাকে আসতে বলেছে ৷ 

বড় দিদি আসলে সে বড় দিদিকে দেখতে বড় দিদির রুমে চলে যায় ৷ সুরেন্দ্রনাথ বলে দিদি তোমাকে ছাড়া অনেক কষ্ট হচ্ছিল ৷ এটা দেখে ঝি ছি! ছি! করতে থাকে ৷ বড় দিদি একটা বিধবা মহিলা ৷ সুরেন্দ্র কিভাবে তার রুমে না বলে কয়ে চলে যেতে পারে!  
[সুরেন্দ্রনাথ বাস্তুত পক্ষে কোন বিচার বিবেচনা করে কাজ করে না, মনের খেয়াল খুশিতে যখন না মনে চায় সে সেটা করে ফেলে]

একদিন প্রমীলাকে জিজ্ঞাস করেছে মাস্টার তোমাকে কি পড়িয়েছে ? প্রমীলা তাকে জানায় তাকে কিছু পড়াইনি 3/4 মাস ধরে ৷ মাধবী তাকে ডেকে বলে তাহলে আপনার আর এ বাড়িতে থেকে কাজ কি?  

অপমানিত হয়ে সুরেন্দ্রনাথ পরদিন বাড়ি থেকে চলে যায় ৷ সুরেন্দ্রনাথ রাস্তায় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে হস্পিটালে যায় ৷ হস্পিটাল থেকে বাবার ঠিকানা নিয়ে তার বাবাকে নিয়ে আসে ৷ 

ডাক্তার বলে তুমি বড় দিদি বড় দিদি করতেছিল সে কে?  
ব্রজরাজ লাহেড়ী আসে ..... জানতে পারে সুরেন্দ্রনাথ কোন ছোট পরিবারের সন্তান নয় ৷ সুরেন্দ্রনাথ আবার বাবার বাড়ি চলে যায়....

সুরেন্দ্রনাথের বাবা ও নানা মারা যায় এর মধ্যে ৷ সে এসে নানার জমিদারির ভার নেয়৷ এটা ছিল পাবনা এলাকাতে যেখানে মাধবী দিদির শশুর বাড়ি অবস্থিত ৷ কিন্তু সুরেন্দ্রনাথ সেটা জানে না ৷

সুরেন্দ্রনাথের ম্যানেজার (মথুরা বাবু) ও কিছু বন্ধু কুটিল প্রকৃতির ৷ সুরেন্দ্রনাথকে বাঈজির কাছে নিয়ে যেত ৷ জোর করে ম্যানেজার খাজনা নিত ৷ গ্রামের সবাই তাকে অপছন্দ করতে থাকে ৷ সুরেন্দ্রনাথের নামে বাজে কথা বলে সকলে ৷ কিন্তু যারা সুরেন্দ্রনাথকে কাছ থেকে জানে তারা সকলে সুরেন্দ্রনাথের প্রশংসা করে ৷ 

এর মধ্যে শান্তি দেবীর সাথে সুরেন্দ্রনাথের বিয়ে হয় ৷ কিন্তু সুরেন্দ্রনাথ শান্তিদেবীকে সে ভাবে এক্সেপ্ট করতে পারে না  সে তার মনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনি ৷ একে অপরকে আপন করে নিতে পারেনি ৷ কিন্তু দায়িত্ব কর্তব্যে কমতি ছিল না ৷

এর মধ্যে মাধবীর বাবা মারা যায় ৷ শিবচন্দ্র যে মাধবীর ভাই সে সেখানের জমিদার হয় ৷ শিবচন্দ্রের বউ কাজে কর্মে মাধবীকে বুঝিয়ে দেয় সে তাদের সংসারে কতৃত্ব ফলায় ৷ মাধবীকে সহ্য করতে পারে না ৷ মাধবী সেটা বুঝতে পারে এবং মাধবী তার ননদের ছেলের সাথে পাবনাতে চলে আসে তার শশুর বাড়িতে ৷ 

গিয়ে দেখে সব সম্পত্তি দখল করে রেখেছে ৷ গ্রাম থেকে জানতে পারে এ গ্রামের জমিদার খারাপ ৷ সে ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে যাবার চেষ্টা করে ৷

সুরেন্দ্রনাথ একদিন জানতে পারে যে তার সকল সম্পত্তি বাজে ভাবে দখল করা হয়েছে তখন তাকে সব ফিরিয়ে দিতে চায় ৷

মাধবী দিদি চলে যাবার জন্য রওনা হয়.....
সুরেন্দ্রনাথও মাধবী দিদির সাথে দেখা করতে রওনা হয় ৷ যেতে গিয়ে সুরেন্দ্রনাথ বড় দিদির কাছে গিয়ে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷ বড় দিদি শশুর বাড়ি চলে আসে সুরেন্দ্রনাথ কে নিয়ে এবং তার সেবা শুশ্রুষা করে ওখানে এনে জ্ঞান ফিরে ৷ 

তারপর সুরেন্দ্রনাথের বাড়ি নিয়ে যায় ৷ সুরেন্দ্রনাথ মাধবী কোলে মাথা রেখে মারা যায়.....কাঁন্নার রোল পড়ে যায় ৷ 

মাধবী দিদির সুরেন্দ্রর প্রতি ভালবাসা এবং সুরেন্দ্রর মাধবী দিদির প্রতি ভালবাসা এখানে এভাবে সুপ্ত অবস্থাতে থেকে যায় ৷
.
.
.
.

____________শ্রীকান্ত(আত্মজীবনী)__________
                  ------------------------------------
উপন্যাসটি মোট চার খণ্ডে সমাপ্ত করেন। সাহিত্য সমালোচকগণ মনে করে থাকেন এটি শরৎ চন্দ্রের আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ ৷ এ উপন্যাসটি কত গুলি বিচ্ছিন্ন কাহিনির সমষ্টি ৷ প্রতি খন্ডে শ্রীকান্তের স্মৃতিচারণ সুত্রে আবদ্ধ ৷ শ্রীকান্তের জীবন বর্ননার ছলে কতগুলি চরিত্রের সমাবেশ ঘটেছে এখানে ৷ মূল দিকটি বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত রাজলক্ষী এবং শ্রীকান্তের প্রণয় কাহিনির শেষ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে এ উপন্যাসে ৷ 

চরিত্র:  
শ্রীকান্ত   |   রাজলক্ষী    |   কমললতা    |   ইন্দ্রনাথ
                       অভয়া     |     রোহিনী 
___________________________________
প্রথম পর্বে:(ইন্দ্রনাথ ও অন্নদা দিদি)  
শ্রীকান্তের ভবঘুরে জীবন বিবৃত করেছেন ৷
ছোট বেলা রাজলক্ষীর সাথে স্মৃতী রোমান্থন ঘটনা ও বিচ্ছেদ ৷
শ্রীনাথ বহুরূপীর উপকাহিনি, সতীর্থ রাজপুত্রের সাথে শিকারে যাওয়া এবং বাঈজীর রূপে রাজলক্ষীর সাথে সাক্ষাত ৷ 
রাজলক্ষী কর্তৃক শ্রীকান্তকে আবিস্কার  এবং বাল্য কালের স্মৃতীর জাগরণ এবং শ্রীকান্তের শরণাপন্য হওয়া এবং তিরস্কার ও বিচ্ছেদ এ পর্বের মূখ্য বিষয় ৷

দ্বিতীয় পর্বে:(অভয়া-রোহিনী)
মাতৃপতিশ্রুতির দায়ে শ্রীকান্তের পুরায় পাটনা গমন এবং সুদীর্ঘকাল পর স্বগ্রামে শ্রীকান্তের অসুস্থতার খবর শুনে রাজলক্ষীর প্রত্যাবর্তন ৷ আর এর মধ্যবর্তী সময়ে শ্রীকান্তের বার্মা গমন এবং অভয়া ও রোহিনীকে নিয়ে এক কাহিনির সমাবেশ ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন  ৷
অভয়া -স্বামী ভক্তি যার মূল প্রেরণা আর রোহিনী ও এক অনন্য সৃষ্টি যে কি না স্বামীর খোঁজে রেঙ্গুন যাচ্ছে ৷  
যাত্রা পথে পরিচয় ঘটে এদের সাথে শ্রীকান্তের ৷ 
শ্রীকান্তের দেখা অধিকাংশ নারী চরিত্র থাকে অসহায় ৷

তৃতীয় পর্বে: (ভ্রজানন্দ ও সুনন্দ)
স্বগ্রাম ত্যাগের সময় শ্রীকান্ত ও রাজলক্ষী অভিমূখে এবং শ্রীকান্তের আত্মসমর্পণ ৷ এবং সদ্য সুস্থ হওয়া শ্রীকান্তের দেখাশোনা করা ৷ পটনা থেকে গঙ্গামাটি গ্রামে গমন ও বসবাস ৷ 

চতুর্থ পর্বে: (কমললতা)
মুরারিপুরের আখড়ায় কমললতার সাথে শ্রীকান্তের পরিচয় ও ঘনিষ্ট পরিচয় সৃষ্টি ৷ সে সময়ের বাংলার অবস্থার চিত্র কিছুটা তুলে ধরেছেন এ পর্বে ৷ কমললতার সাথে শ্রীকান্তের ঘনিষ্টতা সেভাবে উপন্যাসের বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে যায়নি ৷ 

★★★শ্রীকান্ত ও ইন্দ্রোনাথ:  ছোট বেলা থেকে ভবঘুরে জীবন তার ৷ বাবার সাথে ঘুরেছেন কিছুদিন ,একসময় জীবিকার সন্ধানে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান বার্মা ৷ ছোট বেলা ইন্দ্রনাথের সহচর্যে হয়ে উঠেছেন বেখেয়ালি ৷ সে জন্য হয়ত জীবিকা অর্জনের জন্য বার্মা গেলেও ভাল কাজ খুঁজে না পেয়ে আবার দেশে চলে আসতে হয় শ্রীকান্তকে ৷ আবার বার্মা যান এভাবে জীবন পার করতে থাকে সংসার জীবনে আর তার প্রবেশ করা হয় না ৷ 
উপন্যাসের মধ্যে ইন্দ্রনাথ চরিত্রকে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ট কিশোর চরিত্র বলে মনে করা হয়ে থারে ৷ ইন্দ্রনাথের মধ্যে রয়েছে সরলতা ও সাহসের এক অনাবদ্য সৃষ্টি ৷ মাদক সেবন,মাছ চুরি,সাপের সঙ্গে খেলা  সব কাজ করে সে ৷ কিন্তু সব কিছু সে প্রাকাশ্যে করে থাকে ৷ সামাজিক সংস্কার বোধকে একদমই মেনে চলে না সে ৷ শ্রীকান্তের জীবনে ইন্দ্রনাথের ব্যাপক প্রভাব পড়ে ৷ ইন্দ্রনাথের নানা কর্মকাণ্ডে শ্রীকান্ত তার প্রতী বহুলাংশে অকৃষ্ট ছিল ৷

অস্থিরতার জন্য শ্রীকান্ত কোথাও বেশি দিন টিকতে পারেনি ৷ কর্ম কাজের জন্য হলেও তার এদিকে ওদিকে বার বার যেতে হয়েছে ৷ অনেক নারী চরিত্রের সমাগম হয়েছে কিন্তু স্থায়ী হতে পারে নি শ্রীকান্ত কোন নারীর মনে ৷ অনেক নারীর সংস্পর্শে শ্রীকান্ত অনেক নারী সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা লাভ করেছে ৷ 

★★★অভয়া ও রোহিনী:  চরিত্র সমাগমে অভয়া এবং রোহিনী রয়েছে ৷ অভয়া চরিত্রে চিরায়ত বাঙালি নারীর স্বামী ভক্তি এবং রোহিনী তার স্বামীকে পাবার জন্য কতই না ত্যাগ স্বীকার করে এমনকি স্বামীকে খোঁজার জন্য রেঙ্গুন পর্যন্ত গমন করে ৷ পথিমধ্যে সাক্ষাত হয় শ্রীকান্তের সাথে ৷  অন্নদাদিদি, রাজলক্ষ্মী, অভয়া ও কমললতাকে ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখা গেলেও লেখকের পক্ষপাতিত্ব কার দিকে বেশি, তা স্পষ্ট হয় ওই সব চরিত্রের মৌরল বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে।

★★★রাজলক্ষী: সাহসী, দৃঢ় প্রত্যয়ী এক সুন্দরী নারী ৷ সামাজিক পরিস্থিতি তাকে বাঈজীর কাজে বাধ্য করে ৷ কিন্তু শ্রীকান্তের সাথে তার স্মৃতী এবং ভালবাসা ছিল অপরিসীম ৷ তার ভালবাসা শ্রীকান্তকে বার বার কাছে টেনে নিয়ে আসে ৷
.
.
.
.
.
.

.
____________গৃহদাহ (ত্রিভুজ প্রেম)__________
                 ------------------------------------
চরিত্র:     অচলা    |     মহিম   |    সুরেশ    |  মৃণাল

চরিত্র পরিচিতি: 
মহিম- উকিল (গ্রামে একটি জীর্ন ঘর তার সম্বল। কোনো ঘটনাই তাকে বিচলিত করেনা ) 

সুরেশ-ডাক্তার (মহিমের বাল্যকালের বন্ধু। বিপুল সম্পদের অধিকারী। পরম বন্ধুবাৎসল,তবে কখনও কখনও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে) 

অচলা-শিক্ষিত ব্রাহ্ম (মহিমের বাগদত্তা, ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল)

কেদারবাবু- অচলার পিতা (ঋনগ্রস্ত ব্রাহ্ম ব্যক্তি। আর্থিক সংকটের কারনে আত্মকেন্দ্রিক)

মৃণাল- মহিমের আত্মীয়া (আদর্শ বাঙালী গৃহবধুর চিত্র)
___________________________________
গৃহদাহ উপন্যাসে শরৎচন্দ্র অচলা, মহিম, সুরেশ এই ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন। মহিম ও সুরেশের মতো দুই বিপরীত ধর্মী চরিত্রের সংযোজন করে তাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ ঘটিয়ে কাহিনীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে ৷ এ ব্যতীক্রম ধর্মী উপন্যাসটি প্রকাশিক হয় ১৯২০ সালে ৷
_____________________________________
মহিমের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না সে  ছাত্রাবাসে থেকে কোনোরকমে দিনাতিপাত করে পড়ালেখা চালিয়েছে ।
অপর দিকে সুরেশের অার্থিক অবস্থা বেশ ভাল ৷
একটি  সময় তাদের মধ্যে অচলাকে নিয়েও কথা হয়।
মহিম জানায় সে অচলাকে বিয়ে করতে চলেছে ৷

সুরেশ ব্রাহ্মসমাজের মেয়ে অচলার সাথে মহিমের বিয়ে মেনে নিতে পারে না। পরে সুরেশ একদিন অচলার বাড়িতে যায়  এবং এই অচলার প্রতিই প্রথম দেখাতে তার দুর্বলতা জন্মায়। এবং অচলার বাবাকে নানা ভাবে মহিমের প্রতি খেপিয়ে তুলে ৷ এবং অচলাকে নিজের করে পেতে চায় সুরেশ ৷ উপন্যাসের বাকি চরিত্রগুলোও স্ব-মহিমায় প্রোজ্জ্বল। কেদার-বাবু ঋণের দায়ে জর্জরিত, ক্ষনসময়ের জন্য বিবেকবোধ হারানো এক পিতা ৷ মহিম স্বল্পভাষী, আত্মসম্মানবোধ প্রবল। মহিমের এই আচরণের কারণেই অচলা একটু একটু করে সুরেশের দিকে ঝুঁকে পড়ে। 

যা হোক এক পর্যায়ে মহিমের সাথে অচলার বিয়ে হয়েও যায় ৷ অচলা চলে যায় মহিমের গ্রামের বাড়িতে ৷ সেখানে মৃণাল নামে একটি চরিত্রের সমাগম ঘটে ৷ অচলা জানতে পারে মৃণালের সাথে মহিমের বিয়ে হবার কথা ছিল৷ এটা নিয়ে সে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে  ৷ এক পর্যায়ে সুরেশ ও সেখানে যায় ৷ সে মহিমের বাড়ি গোপনে আগুন ধরিয়ে তাকে সর্বশান্ত করে এবং বন্ধু বেশে সে অচলাকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি চলে যায় এতে অচলার বাবার নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ৷ অচলার বাবা প্রথম দিকে সুরেশকে পছন্দ করত কারণ তার দায়ের টাকা সুরেশ দিয়েছিল কিন্তু পরে সে আর তাকে সহ্য করতে পারে না ৷

একদিন অসুস্থ মহিম অচলা সুরেশ ট্রেনে করে ফিরছিল, অসুস্থ মহিমকে রেখে সুরেশ অচলাকে নিয়ে চলে যায় এবং তারা নতুন ভাবে ঘর বাধার চেষ্টা করে ৷ কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি সুরেশের মৃত্যু অচলার জীবনে শান্তি বয়ে আনতে দেয়নি ৷

★★★অচলা- বলা চলে সে-ই সবচে বেশি দ্বিধান্বিত। তার মন একেক সময় একেকজনের দিকে ঝুঁকে গেছে। যাকে ভালবেসেছে, তার সাথে সংসার করতে তার মনে দ্বিধা জেগেছে, আবার ভালো না বেসেও কারো সাথে সে সময় কাটিয়েছে।

★★★ সুরেশ- খলচরিত্র নাকি ভাল চরিত্র সেটা বিচার করাও অপেক্ষিক একটি বিষয় এখানে জড়িয়ে রয়েছে ৷
মহিমকে সে দুই দুইবার আগুনের হাত থেকে বাঁচিয়েছে ৷ বাল্যকালের বন্ধু ৷ মহিমকে সব সময় সঙ্গ দিয়েছে কিন্তু অচলাকে ভোগ করার জন্য সে তার প্রিয় বন্ধু মহিমকে পীড়িত অবস্থায় ট্রেনে ফেলে রেখে পালিয়েছে অচলাকে নিয়ে। আবার যখন তার বিবেকবোধ জাগ্রত হয়েছে তখন অচলার ভার তার কাছে সহ্য হয়নি। অচলাকে সে বলেছে," তখন ভাবতুম কী করে তোমায় পাবো;এখন অহর্নিশ চিন্তা করি, কী উপায়ে তোমাকে মুক্তি দেব। তোমার ভার যেন আমি আর বইতে পারিনে।" বস্তুত সুরেশ যখন বুঝতে পারে যে অচলা তার দেহের অনেক কাছে থেকেও অনেক দূরে তখন অচলার বোঝা তার কাছে অসহ্য বলে মনে হয়।

★★★মহিম এ উপন্যাসের  নিষ্ক্রিয় চরিত্র। তার নিঃস্পৃহ আচরণ অনেক সময় বিরক্তিই জাগায়। আবার একটু গভীরভাবে ভাবতে গেলে সে এমনই স্বল্পভাষী, কিন্তু অচলাকে সে অনেক ভালবাসে কিন্তু তার অর্থিক অবস্থা এবং অচলার দ্বিধাকে অতিক্রম করার সমর্থ তার ছিল না 

★★★মৃণাল আবহমান বাংলার সতী নারীর প্রতিনিধি। এই উপন্যাসে তার অবস্থান কমসময়ের জন্যে হলেও পাঠক তার চরিত্রে মুগ্ধ হবার মত ৷ সে অসুস্থ মহিমের সেবা করা এবং মহিমের সংসার নিয়ন্ত্রন করা ছাড়াও অনেক দায়িত্ব পালন করেছে ৷ যেটা মহিমের প্রিয়তমা অচলা ও করেনি ৷

উপন্যাসের নামকরণ মহিমের বাড়ি পুড়ে যাওয়া নাকি কারো মনের মধ্যে আগুনের দাহ্য গুনের থেকে উপন্যাসের নাম এসেছে সেটা অনেক বড় একটা বিষয় অধিকাংশের মতে এটা এসেছে মনের দহন থেকে "গৃহদাহ" ৷

.
.
.
.

.
.
.

______পথের দাবী (রাজনৈতিক উপন্যাস)_______
         --------------------------------------------------
বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠায় রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের উপাদান। ১৯২৬ সালে বইটি প্রকাশিত হবার পর থেকে তুমুল সমালোচনার জন্ম দেয় ৷ প্রসিকিউটর বইটিকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে 'উস্কানিমূলক' বলে আখ্যা দেন।   অবশেষে ১৯২৭ সালের ৪ জানুয়ারি পথের দাবীকে বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। 
সর্বত্র বই বাজেয়াপ্ত করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আইনসভায় বই কেন বাজেয়াপ্ত করা হবে, এ নিয়ে কথা বলেন হরেন্দ্রনাথ চৌধুরী ও সুভাষচন্দ্র বসুর মত লোকজন । 

পথের দাবীর ওপর ইংরেজরা যাতে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়, তাই রবীন্দ্রনাথ যেন তাদের ওপর চাপ দেন, এ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে চিঠি লিখেছিলেন শরৎচন্দ্র। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে আস্বস্ত করতে পারেনি ৷

চরিত্র ও ঘটনা : 
অসাধারণ বিপ্লবী সব্যসাচী ও তার সাথীদের সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে ব্রিটিশ শাসনামলে লিখিত একটি সাহসী উপন্যাস।

অপূর্ব নামক চরিত্রের মাধ্যমে উপন্যাসের শুরু হয় ৷

নারী চরিত্র:  ভারতী ও সুমিত্রা ৷

সুমিত্রা ছিলেন পাহাড়ের মতো কঠিন আর ভারতী ছিলেন পানির মতো সরল, অপর দিকে অপূর্ব ছিলেন ভীতু প্রকৃতির। 

শরৎচন্দ্রের সময়টা ছিল বৃটিশ শাসিত। পরাধীনতার শেকল ভেঙে এক নতুন জাগ্রত সমাজ তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি তারই প্রতিচ্ছবি পথের দাবী।
__________________________________
শুরু হয়েছে অপূর্ব নামক চরিত্রের রেঙ্গুন গমন দিয়ে, শুরুটা তাকে দিয়ে হলেও মূল চরিত্র ছিলেন  সব্যসাচী যাকে সবাই ‘ডাক্তার’ নামে চিনেন, নারী চরিত্র গুলোর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য ছিল ‘ভারতী’ আর ‘সুমিত্রা’। 

ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সব্যসাচী এর নেতৃত্বে একটি সংগঠন কাজ করতো , অপূর্ব না চাইতেই সে সংগঠনের সদস্য হয়ে যায় তারপরই সে সংগঠনের উত্থান-পতন শুরু হয়। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মানুষদের সচেতন করে তুলার জন্য চেষ্টা করতেন, সেই মানুষরাই অনেক সময় তাঁদের বিরুদ্ধে চলে গিয়ে লোকরা তাঁদের দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। 

এই সব্যসাচী এর মধ্যে সনাতনী চেহারার প্রতিচ্ছবিও পাওয়া যায় । সে পরিবর্তন চায়, কিন্তু পুরাতন শেকল ভেঙে ফেলার জন্য যে বিপ্লবের দরকার, তাতে ভয় করে। 
※ভবিষ্যতের জন্য কেন আজকের সময়গুলো নষ্ট
※কেন আজকের মানুষগুলোর ওপর অন্যায়
※কেন শুধু তথাকথিত এলিট ক্লাস নিয়েই চিন্তা
※কেন প্রান্তিক মানুষগুলো জানতেও পারবে না স্বাধীনতা কী ?
ইত্যাদি নানা প্রশ্ন মাথায় ঘোরে সব্যসাচীর মাথায়।

গল্পের আরেক চরিত্র অপূর্ব। সাধারণ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে সে। পরাধীনতা জনগনের অস্থিমজ্জায় এমনভাবে আছে যে তাদের আর  স্বাধীনতা-পরাধীনতা নিয়ে কোন বোধ শক্তি ছিল না।
হয়তো কখনো কখনো খারাপ লাগে, কিন্তু এত কঠিন বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়ে সময় নষ্ট করে না তারা ৷ নিজের স্বার্থ বাচাতে অপূর্বের দলের বাকিদের সাথে বেইমানি করতেও বাধেনি।

মানুষকে জাগিয়ে তোলার এক প্রেরণা পথের দাবী উপন্যাস। মানুষ তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী চলবে না,অপরের ইচ্ছা যখন তার ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়, তখন ব্যক্তিস্বাধীনতা কোথায় থাকল,জীবন পার করাই জীবনের স্বার্থকতা নয়।
শাসক যখন হয় শুধুমাত্র শোষণের জন্য,এটা রুখে দাঁড়াতে পথের দাবীর দরকার অবশ্যই আছে আমাদের সমাজে ৷
.
.
.
.
.
.
.

    ______________চরিত্রহীন________________ 
               ------------------------------------
চরিত্র:  
সাবিত্রী(বিধবা)   |    সতীশ  |  সরোজিনী(সতীশের স্ত্রী)  সুরবালা(উপেন্দ্রর স্ত্রী)       |        উপেন্দ্র
 কিরণময়ী(হারানের স্ত্রী)    |   দীবাকর(উপেন্দ্রর ভাই)

চরিত্র পরিচিতি: 
সাবিত্রী - বিশুদ্ধ ভালবাসার মানুষ সতীশ যার প্রতি সে অনুগত। (দুঃখি চরিত্র)

সুরোবালা -উপেন্দ্রনাথের স্ত্রী(উপেন্দ্রকে ভালবাসে,শেষে মারা যায় ) 

সরোজিনী- শিক্ষিত এবং এগিয়ে চিন্তাভাবনাতে, কিন্তু পারিবারিক পরিস্থিতিতে এবং একটি বলপূর্বক মা দ্বারা ব্যাহত। তিনি শেষে সতীশকে বিয়ে করেন।

কিরণময়ীই -আকর্ষণীয় চরিত্র। তরুণ এবং অত্যন্ত সুন্দর, তিনি খুব বুদ্ধিমান এবং যুক্তিযুক্ত।তবে তার আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাগুলি সর্বদা বিবাহিত বিষয়গুলির তুলনায় স্বামীকে শিক্ষাদান করার জন্য এবং স্বামী-স্ত্রীর শাশুড়ীর দ্বারা সর্বদা দমন করা হয়। প্রথমে উপেন্দ্রর বন্ধু হারানের স্ত্রী থাকে পরবর্তীতে উপেন্দ্রর ভাই দিবাকরবে নিয়ে পালিয়ে যায় ৷
__________________________________
সতীশ কোলকাতাতে থাকে পড়ালেখার জন্য সেখানে ম্যাসে কাজ করে সাবিত্রী ৷ সাবিত্রী সতীশের দেখাশোনা করে এতে নানা কথা ছড়াতে থাকে ৷ অনেকে ভ্রান্ত ধারণা করে ৷ সাবিত্রী ছিল বিধবা মহিলা কিন্তু বয়স তার অনেক কম ৷ সে সব সময় সতীশকে দেখে রাখে ৷ সতীশের সেবা যত্ন করে ৷ সতীও ও তাকে পছন্দ করে ৷ একদিন সতীশ তার আঁচল ধরে তখন সাবিত্রী তাকে চরিত্রহীন হিসাবে আখ্যা দেয় ৷ 
সাবিত্রীর নানা আচার আচরণে সতীশ এক সময় ম্যাস পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় ৷ সে অন্য আরেকটি ম্যাসে চলে যায় সাবিত্রীকে না জানিয়ে ৷

দীবাকর উপেন্দ্রর ছোট ভাই ৷ উপেন্দ্র তার স্ত্রী সুরবালার বোনের সঙ্গে দিবাকরের বিয়ের কথা ভাবতে থাকে.....

উপেন্দ্র একদিন তার বন্ধু হারান মৃত্যু শয্যায় তাকে দেখতে সতীশকে নিয়ে কোলকাতা তার বাড়িতে যায় ৷ মৃত্যু শয্যায় বন্ধু উকিল উপেনকে তার সমস্ত সম্পত্তি, তার স্ত্রী কিরোন এবং তার বুড়ি  মা কে উপেনেপ হাতে তুলে দিল ৷
সতীশ কিরোনকে সহ্য করতে পারত না কারণ সে মনে করত হারান বাবুর ডাক্তারের সাথে কিরোনের কিছু রয়েছে ৷ এ জন্য উপেন্দ্র থেকে তাকে দূরে রাখার চেষ্টা করত সে ৷ 
আসলে কিরোন অর্থের জন্য,স্বামীর জন্য ডাক্তারের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য হয় যেটা পরে তার নিজের গয়না দিয়ে শোধ করে দেয় এবং তাকে তিরস্কার করে ৷
সতীশ কিরোনের দায়িত্ব নিতে বাধা দিত উপেন্দ্র কে ৷ সে বলত তোমার সংসার ভেঙে যাবে যদি কিরোন এখানে আসে ৷

কোলকাতাতে উপেনের পরিচিত যতীনবাবুর বাড়িতে মেয়ে সরজিনি ৷ সেখানে তারা সতীশের সাথে সরজিনীর বিয়েপ কথা চিন্তা করতে থাকে ৷

হারানের শেষ কাজে উপেন্দ্র, স্ত্রী সুরবালা, ভাই দিবাকর সকলে নিয়ে কোলকাতা যায় ৷ কিন্তু এত লোক কৈ উঠবে সকলে চিন্তা করে সতীশের বাসাতে উঠবে কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পারে তার বাসাতে একটা মেয়ে লোক (সাবিত্রী টাকা ধার নিতে আসে) ৷ তাকে দেখে উপেন্দ্র ভুল বুঝে সতীশ কে এবং সব নিয়ে চলে যায় যতীশবাবুর বাড়িতে সেখানে সবাইকে রেখে উপেন চলে যায় হারানের বাড়িতে ৷
সতীশ জানত না আগে থেকে তার ঘরে সাবিত্রী এসেছে ৷ এরকম পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয় জন্য সতীশ সাবিত্রীকে অনেক ভুল বুঝে ৷

স্বামীর মৃত্যুর পর কিরনময়ী একা হয়ে পড়লে উপেনকে বলে তার ভাই দিবাকরকে তার কাছে রেখে পড়ালেখা করাবে ৷ উপেন এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় ৷ কিরোণময়ীর সাথে দিবাকরের হাসি ঠাট্টার সম্পর্ক তৈরি হতে হতে একে অপরকে ভালবেসে ফেলে ৷ 

উপেন্দ্র এক সময় সবটা জানতে পারে ৷ সে দিবাকরকে ফিরিয়ে নিতে আসলে তখন কিরোণময়ী দিবাকরকে নিয়ে পালিয়ে যায় ৷

উপেনের স্ত্রী (সুরবালা) এরই মাঝে মারা যায় ৷ সতীশের অসুস্থতার কথা শুনে সরজিনীকে নিয়ে সতীশের কাছে রেখে আসে এবং সাবিত্রীকে নিয়ে যায় উপেন্দ্র নিজের কাছে রাখে ৷ উপেন্দ্র নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মত্যু শয্যাতে চলে যায় ৷ সে তার ভাই হারানোর বেদনা এদিকে নিজের স্ত্রীকে হারিয়ে বুঝতে পারে ভালবাসা কতটা নির্মম৷

উপেন মৃত্যু শয্যাতে চলে গেলে সতীশ দিবাকর এবং কিরোণময়ীকে নিয়ে আসতে চায় কিন্তু দিবাকর আসলেও কিরোনময়ী আসে না উপেনের কাছে ৷ শেষে কিরোণময়ী আসে এবং সবার উপস্থিতিকে উপেনের মৃত্যু ঘটে ৷

এভাবে একটি ট্রাজেডির মাধ্যমে এ উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে ৷ 
.
.
.
.
.
.
.
.

_______________দেবদাস ________________
             ------------------------------------
      
পারুর জন্য দেবদাসের বিরহ নিয়ে রচিত এই উপন্যাস অবলম্বনে ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তাদের এ বিরহ কাতর প্রেমের বর্ননা নিয়ে এ উপন্যাসের এক ট্রাজেডিক সমাপ্তি ৷
___________________________________
চরিত্র:  
দেবদাস মুখার্জি   |    পার্বতী/পারো   |  সূর্যমুখী

দেবদাস ব্রাহ্মন জমিদার বংশের সন্তান
পার্বতী এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ৷
সূর্যমুখী -বাঈজি মেয়ে 
___________________________________
তালসোনাপুর গ্ৰামে দেবদাস ও পার্বতীর পরিবারের পাশাপাশি বাসবাসের ফলে ছোটবেলা থেকেই তাদের বন্ধুত্ব যা পরবর্তীতে প্রেমের রূপ নেয়।দেবদাস ও পার্বতী একে অপরকে 'পারো' ও 'দেবদা' বলে। 

উপন্যাসের প্রথম অংশে দেখা যায় তাদের পরস্পরের বন্ধুত্ব এবং প্রেমের ঘনঘটা ৷ একই বিদ্যালয়ে পড়া, পুকুরে মাছ ধরা, ঘুরে বেড়ান সব এক সাথে তারা করে ৷ পার্বতীর ভুলে দেবদা তাকে শাস্তি দিত ৷ পার্বতীকে মারত কিন্তু পার্বতী তাকে অনেক ভালবাসত ৷

একসময় দেবদা পড়ালেখার জন্য কোলকাতা যায় ৷ অনেক বছর পর ছুটিতে সে বাড়ি আসে ৷ দেবদাস দেখে যে তার ছোটবেলার পারো বদলে গেছে। তারা দু জনে বড় হয়ে গিয়েছে ৷ দু জনে অনুভব করে তাদের ভালবসাকে বিবাহে রূপ দানের সময় এসে গিয়েছে ৷ 

পার্বতীর মা দেবদাসের মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব আনলে তিনি আনন্দিত হলেও তিনি পাশের বাড়ি আত্মিয়ের সম্পর্ক করকে রাজি নন ৷ পার্বতীর পরিবারে একটি খারাপ ইতিহাস রয়েছে তারা বরের পরিবার থেকে 'পণ' গ্ৰহনের প্রথা চালু রেখেছে যার জন্য দেবদাসের মা তাই পার্বতীর পরিবারকে "বেচা-কেনা ছোটঘর" মনে করে ৷
দেবদাসের পিতা তাদের ছোট ঘর মনে করে সেও রাজি হয় না বরং পার্বতীর পিতাকে অপমান করেন ৷

পার্বতীর পিতা পার্বতীর জন্য আরও ধনী গৃহে বিয়ে ঠিক করেন। পার্বতী বিয়ের কথা জানলে দেবদাস কিছু ব্যবস্থা করবে এই আশায় রাতের অন্ধকারে তার সাথে দেখা করে। কিন্তু দেবদাস তার বাবাকে বলার পর কোন ফয়দা হয় না ৷
কিছু উপায়ন্ত না পেয়ে দেবদাস বাড়ি থেকে কলকাতায় পালিয়ে যায়। সে চিঠি লিখে পার্বতীকে জানায় যে সে এই সম্পর্ক আর রাখতে চায় না। তাদের বিবাহ কোন দিনও সম্ভব না ৷

পার্বতী বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় কারণ দেবদাসের সাথে তার আর বিয়ে সম্ভব না এটা দেবদাস নিজে জানিয়েছে, এরপর দেবদাস বললেও আর সে ফিরে যেতে চায় না ও কাপুরুষতার জন্য তাকে ধিক্কার জানায়। পার্বতী দেবদাসকে বলে যে তার মৃত্যুর আগে যেন সে দেবদাসকে অন্তত একবার দেখতে পায় এটা নিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
দেবদাস কলকাতা ফিরে যায়......

এর মধ্যে পার্বতীর হাতিপোতা গ্ৰামের এক জমিদারের সাথে বিয়ে হয়। যার সাথে বিয়ে হয় তিনি অনেক বয়স্ক, স্ত্রী মারা গিয়েছে তবে সম্পত্তি অনেক বেশি ....

কলকাতায় দেবদাসের চুনীলালের সাথে বন্ধুত্ব হয় ৷ সে দেবদাসকে চন্দ্রমুখী নামে এক বাঈজীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। সে দেবদাসের প্রেমে পড়ে দেবদাস তাকে ঘৃণা করলেও হতাশাগ্রস্থ হয়ে অত্যধিক মদ্যপান করার ফলে দেবদাস পার্বতীর সাথে চন্দ্রমুখীর তুলনা করতে থাকে ৷ চন্দ্রমুখীকে সে পারোর কথা বলে ৷ লক্ষহীন দেবদাস এক সময় চন্দ্রমুখীর প্রেমে পড়ে যায় ৷ এদিকে অত্যধিক মদ্যপানের কারণ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে হতে শেষের পথে চলে যায় ৷

আসন্ন মৃত্যুর কথা ভেবে দেবদাস, পারোকে দেওয়া কথা রাখতে হাতিপোতা গ্ৰামে পার্বতীর কাছে র‌ওনা হয়। এক রাতে গিয়ে পৌছায় সেখানে এবং রাতেই মৃত্যু ঘরে পার্বতীর শশুর বাড়ির সামনে ৷ দেবদাসের মৃত্যুর খবর শুনে পার্বতী সেখানে ছুটে যায় তাকে একবার দেখার জন্য , কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই, বাড়ির লোকজন তাকে বাড়ির চৌকাঠ অতিক্রম করতে দেয়না। বাড়ির মূল ফটক বন্ধ করে দেয় ৷

এভাবে শ্রেনি বৈষম্যের কারণে একটি প্রেমের শুভ পরিণতী কিভাবে ব্যহত হয় সেটা এ উপন্যাসে উপলব্ধি করা যায় ৷
.
.
.
.
.
.
.
.

______________পল্লীসমাজ_______________
               ------------------------------------
‘পল্লী সমাজ’ উপন্যাসে  পল্লী বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ৷ দুটি পরিবারের পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটি একটি সমাজকে এবং সমাজের চলমান গতিকে দেখিয়েছে ৷ উপন্যাসটি সাধু ভাষায় রচিত এবং এর বিষয়বস্তু তৎকালীন সমাজ তথা সমাজের মানুষগুলো।
_________________________________
চরিত্র: 
বলরাম মুখার্জি(উচু জাত)----->রমা (মেয়ে)
বলরাম ঘোষাল (নিচু জাত)----->রমেশ (ছেলে)

বেণীঘোষাল (বলরাম ঘোষালের ভাই /জমিদার/খল) 
তারিণী ঘোষাল- (বলরাম ঘোষলের ছেলে )
রমেশ গোষাল-(তারিণী ঘোষালের ছেলে)
বেণী ঘোষাল (রমেশের চাচাত ভাই)
বিশ্বেস্বরী (বেণী ঘোঘালের মা) 

কেন্দ্রিয় চরিত্র:
মুখার্জি পরিবারের মেয়ে রমা (বিধবা) 
ঘোষাস পরিবারের ছেলে রমেশ ৷
_________________________________
বলরাম মুখুজ্যে তার বন্ধু বলরাম ঘোষালকে নিয়ে বিক্রমপুর থেকে কুঁয়াপুর গ্রামে আসেন।  কিnন্তু এক সময় বন্ধুত্বে ফাটল ধরে এবং আলাদা হয়ে যায় দুটি পরিবারের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ৷ তাদের পরস্পরের মুখদর্শন বন্ধ থাকলেও মৃত্যুকালে বলরাম মুখার্জি নিজের সমস্ত সম্পদ আপন সন্তান ও বন্ধুর সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেন। 
দু পরিবারই  মোটামুটি  অর্থের পতিপত্তি অর্জন করে ৷ 

এখানে যত বিবাদ দারিদ্রতা এবং সমাজিক কুসংস্কার নিয়ে ৷ উচু নিচু জাতের প্রভাব রয়ে গিয়েছে এই সমাজে ৷

কেন্দ্রীয় চরিত্র রমেশ যে ঘোষার পরিবারের সন্তান এবং রমা যে কিনা মুখার্জি পরিবারের সন্তান ৷ রমেশের বাবার শ্রাদ্ধকে ঘিরেই এ উপন্যাসের সবকিছু আবর্তিত হয়।

রমেশ কলকাতাতে পড়ালেখা করা অবস্থাতে তার বাবা মারা যায় তার সৎকারের জন্য সে গ্রামে ফিরে আসে ৷ এবং গ্রামের সর্বস্তরের মানুষকে সেটাতে আসার জন্য নিমন্ত্রন করেন ৷ যেটা ধর্মিয় দৃষ্টিকোন থেকে তৎকালিন সময়ে সঠিক ছিল না ৷ কারণ নিচু জাতের বা যারা সমাজে ঘৃণিত তাদেক দাওয়াত দেওয়া মানে জাতের অবমাননা ৷ কিন্তু রমেশ সেটা কিছুতে মানতে চাইত না ৷ 

গ্রামে দলাদলিও কম নেই। হিন্দুদের মধ্যেই প্রভাবটা একটু বেশি দেখা যায় ৷ মুসলমানদের মধ্যে নাই বল্লে চলে ৷ এ জন্য লেখক হয়ত মুসলমান ধর্মকে "সজীব" বলেছেন ৷
কোন প্রকার শিক্ষা নাই কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। যে দু একটি পাঠশালা রয়েছে সেটা চালানোর মত অবস্থা রাখা হয়নি ৷ শিক্ষকদের কোন সম্মানি নাই চালানোর মত অবস্থাও নাই ৷ রমেশ এ সকল অবস্থার উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে ৷ গ্রামে অনেকে রমেশকে অনুসরণ ও করতে থাকে ৷  

কিন্তু যারা ভাল কাজ করে তাদের তো আবার শত্রুর অভাব হয় না ৷ বেণী ঘোষালের মত কিছু নিকস্ত আত্মিয়ের সৃষ্টি হয়েছে যারা সব সময় নিজের কথা ভেবেছে ৷ সব সময় রমেশ কে সরিয়ে সবটা দখলের চিন্তাতে থেকেছে ৷ নানা কুটকৌশল চালিয়ে গিয়েছে সামাজিক ভাবে রমেশকে বর্খাস্ত করার জন্য ৷

রমেশ গ্রামের কুসংস্কার ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদের উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের কাজ করে ৷ যেটা দেখে তার পারিবারিক শত্রু পক্ষের মেয়ে রমা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে ৷ এতে লোকজন রমেশ ও রমার মধ্যে বাধা হয়ে দাড়ায় কারণ এখানে রয়েছে জাতভেদের চরম নির্মম পর্যায় ৷

এখানে বিচারালয়েও চলে কুটিলতা ও ওজুহাতের ঘনঘটা। যারা টিকে থাকতে পারে না তারা সমাজ থেকে দূরেই চলে যায়। এসব জটিলতা পার করে রমেশ ঠিকই তার লক্ষে এগিয়ে যায় কিন্তু রমা হেরে যায় ৷ এবং চলে যায় হয়ত অন্য কোন এক সমাজে.....
★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন