বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি
আজ রাত ১০টার পরীক্ষার সিলেবাস থেকে
স্নায়ু যুদ্ধ:---
বিশ্ব রাজনীতিতে স্নায়ু যুদ্ধ একটি আলোচিত ঘটনা। ১৯১৭ সারে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে এর বীজ নিহিত হয়।রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে লেলিন রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯২২ সালে রাশিয়ার নাম দেন Union of Soviet Socilist Republic । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে চলতে থাকে আর্দশগত দন্ধ। ইউরোপে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৯৪৫-১৯৯১ সাল পর্যন্ত যে আর্দশগত দন্ধ চলে তাকেই স্নায়ু যুদ্ধ বলে।
স্নায়ু যুদ্ধের সময় মার্কিন কূটনীতি:--
১)Trueman dogtreen :- ১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ট্রুম্যান ডকট্রিন নীতির মাধ্যমে তুরস্ক ও গ্রীস কে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা করে যাতে ভূ-মধ্য সাগরে সোভিয়েত ইউনিয়ন আদিপত্য বিস্তার করতে না পারে ।
২)মার্শাল প্লান:---
১৯৪৭ যুক্তরাষ্ট্র মার্শাল প্লানের মাধ্যমে ইউরোপের ১৬ টি দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করে । সোভিয়েত ইউনিয়নের চাপে পরে ইউরোপের ৮ টি দেশ মার্শাল প্লান গ্রহণ করতে পারেনি।
৩)সামরিক জোট NATO গঠন:-
৪ এপ্রিল ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা হিসেবে উত্তর আটলান্টিক জোনের ১২ টি দেশ নিয়ে North Atlantic Treaty Organization (NATO)প্রতিষ্ঠা করে । এর বর্তমান সদস্য ২৯ টি সর্বশেষ মন্টিনীগ্রো।
স্নায়ু যুদ্ধের সময় সোভিয়েত কূটনীতি:-
১)কমিনফর্মcominform বা Communist Information Buerau:- সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব ইউরোপে communist সমর্থিত দেশগুলোর সাথে পারস্পরিক সহযোগীতা বৃদ্বির জন্য ১৯৪৭ সালে cominform নীতি গ্রহণ করে ।
২) কমিকন comocon বা Council for the Economic Assistance:-
১৯৪৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিকন অর্থনৈতিক জোট গঠন করে এবং পূর্ব ইউরোপের ৮ টি দেশ কে সহায়তা করে ।
৩) সামরিকজোট WARSAW PACT:-১৯৫৫ সালে ন্যাটো এর বিপক্ষ্যে warsaw pact নামে সামরিক জোট তৈরি করে ।১৯৯১ সালে সোভিএত ইউনিয়নের সর্ব শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ এটি বিলুপ্ত করে।
## স্নায়ু যুদ্ধের প্রভাব:--
১) জার্মান সমস্যা :--স্নায়ু যুদ্ধের প্রভাবে ১৯৪৫ সালে জার্মানি দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় পশ্চিম জার্মানিতে মার্কিন পুজিবাদ সমর্থিত সরকার ও পূর্ব জার্মানিতে সোভিয়েত সমর্থিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় ।১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মানি ১৬১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বার্লিন প্রাচির নির্মান করে।১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচির ভেঙে ফেলা হয় এবং দুই জার্মানি একত্রিত হয় ।
২)কোরিয়া যুদ্ধ:--দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আগ পর্যন্ত কোরিয়া জাপান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জাপান পরাজিত হলে উত্তর কোরিয়া থোকে জাপানিদের উচ্ছেদ করে সোভিয়েত রেড আর্মি এবং দক্ষিণ করিয়া থেকে জাপানিদের উচ্ছেদ করে মার্কিন সামরিক বাহিনী ।১৯৪৮ সালে উত্তর ও দক্ষিণ করিয়া নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয় এবং ৩৮ ডিগ্রী অক্ষরেখায় ভাগ করা হয় ।এই অক্ষ রেখায় রয়েছে পান মুন জম নামে একটি বিরোধ পূর্ন গ্রাম ।২৫ জুন ১৯৫০ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় ।৭ নভেম্বর ১৯৫০ জাতিসংঙ্গের সাধারন পরিষদে শান্তির জন্য ঐক্য The unity for peace resoluation পাশ হয় ।যরার ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালে কোরিয়া অস্ত্র ভিরোতি চুক্তি স্বাক্ষর করে । দুই কোরিয়াকে একত্রিত করার জন্য Sunsine policy নেয়া হলেও ব্যার্থ হয় । ২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়া বিশ্বে অস্টম পারমানবিক শক্তিধর দেশে পরিনত হয় ।
৩) মার্কন -ভিয়েতনাম যুদ্ধ:-১৯৫০ সালে উত্তর ভিয়েতনামে কমিনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দক্ষিন ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । ১৯৫৪ সালে দক্ষিন ভিয়েতনামে মার্কিন সেনা প্ররণ করা হয় এবং যুদ্ধ সংগঠিত হয় ।এই যুদ্ধে ৫৭ হাজার সেনা নিহত হয় । ১৯৭৩ সালে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি হয় । । ১৯৮৬ সালে দুই ভিয়েতনাম একত্রিত হয় ।
৪)কিউবায় মিসাইল সংকট:--১৯৫৯ সালে মুক্তার দেশ কিউবায় ফিদেল কাস্রের নেতৃত্যে সমাজনন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় তাই যুক্তরাষ্ট্র ফিদেল কাস্রোকে ৬৩৮ বার হত্যা করার চেষ্টা করে । সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবার পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ করে ৪৩ টি মিসাইল স্থাপন করে যার ফলে মার্কিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে পরে ।১৯৬২ সালে সোভিয়েতের একটা মিসাইলবাহী যাহাজ মার্কিন সেনারা অবোরোধ করে তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ব কনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ততকালিন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিতাক্রুসেভ কে কিউবা থেকে মিসাইস প্রত্যাহারে বাধ্য করে ।যার মাধ্যমে বিশ্ব একটি পারমানবিক যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পেল ।
#### সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও স্নায়ু যুদ্ধের অবসান:- সোভিয়েতের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ অভিন্ন ইউরোপ গঠনের জন্য ১৯৮৫ ও ৮৬ সালে গ্লাসনস্ত( খোলামেলা আলোচনা) ও পেবস্ট্রইক( উন্নয়ন মূলক সংস্কর) এই দুই নীতী দেয়ার ফলে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৫ টি রাষ্ট্রের জন্ম হয় এবং স্নায়ু যুদ্ধের অবসান ঘটে।
একসাথে অনেকগুলো লেখা টাইপ করাতে কিছু ভূল হতেই পারে এর জ্ন্য ছরি ।
মো: মিজানুর রহমান
