■ মুহুর্ত, মুহূর্ত, মূহুর্ত, মূহূর্ত- কোন বানাটি শুদ্ধ?
এভাবে চারটি বানান দেখলে যে কেউ দ্বন্দ্বে পড়ে যাবে। সহজ বানান অথচ দ্বন্দ্বময়। মুখস্ত করবেন? লাভ নেই। স্মরণের কোষগুলো দ্বন্দ্ব বাঁধিয়ে দেবে আরো বেশি। অনেক দ্বন্দ্বে ভোগার পর অবশেষে বের করেছি একটা সূত্র। আর সে সূত্রের কারণে কখনোও আর অশুদ্ধ হয়নি ওই বানানটা। সূত্রটা একদম সহজ।
একটু খেয়াল করুন। হ-এর সাথে উ-কার (ু) দিলে 'হ' নিজ রূপে থাকে না। উ-কার উপরে উঠে গিয়ে হয় 'হু' এমন। কিন্তু ঊ-কারে (ূ) 'হ' নিজ রূপেই থাকে। ব্যাস সূত্র এটাই। 'হ' ঠিক রাখতে হবে। তার মানে 'হূ' হবে। হ-এর উল্টোটা 'ম'-এ; মানে 'মু'। আর তাতেই হয়ে গেল শুদ্ধ বানান- 'মুহূর্ত'।
'হ'কে তার আসল রূপে রাখতে 'হূ' ব্যবহার করবেন- 'মুহূর্ত' বানান কখখনো অশুদ্ধ হবে না।
■ মুমুর্ষু, মুমুর্ষূ, মুমূর্ষু, মুমূর্ষূ, মূমুর্ষু, মূমুর্ষূ- কোনটি শুদ্ধ?
চোখ তো ছানাবড়া। একটা শব্দের এতগুলো বানান! মস্তিস্কের কোষগুলো দ্বন্দ্বে বাঁধিয়ে দিয়েছে মহা হুলুস্থূল। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এখানেও সহজ সূত্র। প্রথমেই 'মুহূর্তের' সূত্রটা মনে করতে হবে। সে সূত্রমতে প্রথম ম-এ উ-কার (ু)। তারপর ধারাবাহিকভাবে ঊ-কার(ূ), উ-কার ু-কার বসাতে হবে।
তাহলে কী দাঁড়াল? প্রথমটা 'মু' তারপরে 'মূ' তারপরে 'র্ষু' ব্যাস- 'মুমূর্ষু'।
আর যারা নিশ্চিত একটা ঊ-কার(ূ) হবেই। তাদের জন্য আরো সহজ সূত্র। দুই উ- ু-কারকে একসাথে থাকতে দেওয়া যাবে না। ব্যাস মাঝখানে ূ-কার বসিয়ে দুই ু-কারকে দুই দিকে পাঠিয়ে দিলেই শুদ্ধ 'মুমূর্ষু' পাওয়া যাবে।
কত সহজ না সূত্রগুলো? একটু সচেতন হয়ে মনে রাখলে এমন দ্বন্দ্বময় বানানে আর কখনো অশুদ্ধ হবে না।
মনে থাকবে তো বানানদুটো?