Pages

বিসিএস প্রস্তুতি ।। BCS Preparation - Episode Seven

Quad

চতুর্মাত্রিক নিরাপত্তা আলোচনা (VVI)
.
💌 ইংরেজি নাম: Quadrilateral Security Dialogue (Quad)
💌 প্রতিষ্ঠিত: ২০০৭, পুনপ্রতিষ্ঠা ২০১৭
দেশ: 
আমেরিকা
ভারত
জাপান
অস্ট্রেলিয়া
💌 উদ্দেশ্য: দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়ায় গণচিনের প্রভাবকে রুখে দেয়া।
💌 সতীর্থ কর্মসূচি: মালাবার অনুশীলন (Exercise Malabar), এটি হলো আমেরিকা, ভারত ও জাপান এই তিন দেশের ত্রিমাত্রিক সামুদ্রিক মহড়া। 
.
সাম্প্রতিক ঘটনা
২০২০ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে চার দিনব্যাপী কোয়াড দেশসমূহের  যুদ্ধজাহাজ ১ম ধাপের  চব্বিশতম মালাবার নৌ মহড়া শুরু করে। এর লক্ষ্য ছিল- জটিল অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধ এবং অধিক উচ্চতার সমুদ্র উপযোগী অন্যান্য যুদ্ধ কৌশল।  ১৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর এই ওয়ার-গেমের দ্বিতীয় ধাপের মহড়া অনুষ্ঠিত হয় আরব সাগরে, আর  এই ধাপটি ছিল ‘অধিক কার্যকরী শক্তিসম্পন্ন’। দ্বিতীয় ধাপের এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র নৌ-বাহিনীর নিমিটজ স্ট্রাইক গ্রুপ এবং ভারতীয় নৌ-বাহিনীর বিক্রমাদিত্য কেরিয়ার ব্যাটল গ্রুপ অংশ নিয়েছিল। দি ইউএসএস নিমিটজ হ'ল বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধ জাহাজ। ভারত ও আমেরিকা চায় কোয়াডে বাংলাদেশও অংশগ্রহণ করুক। বাংলাদেশ ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করেছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ মে ২০২১ গণচিনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং মন্তব্য করেছেন- বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দিলে বাংলাদেশ-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যতেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত (substantially damaged) হবে।  

.
[Note: মালাবার উপকূল দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের দীর্ঘ, সরু এক উপকূলীয় সমভূমি এলাকা। এটি ভারতের কোলা ও কর্ণাটক অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত। মালাবার উপকূলে ঐতিহাসিক কালিকট, কোচি ও কিলন বন্দর অবস্থি]।
/:
Collected

=============================

বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
ECNEC কী? 
উত্তর: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক (ইংরেজিঃ ECNEC - Executive Committee of National Economic Council) হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনস্ত একটি নির্বাহী কমিটি যা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের যাচাই, বিনিয়োগ, অনুমোদন ও অগ্রগতি তথাপি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তত্ত্বাবধান ও নীতিমালা প্রণয়ন, পর্যালোচনা ও অনুমোদন প্রদান করে।একনেক -এর সভাগুলো সাধারণত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের, পরিকল্পনা বিভাগের অধীনে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠীত হয়ে থাকে।
২০১৪ সালে সর্বশেষ প্রকাশিত বাংলাদেশ সরকারের গেজেট অনুসারে একনেকের কমিটির চেয়ারপারসন থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। 
প্রশ্ন : NICAR (নিকার) আসলে কী?
উত্তর:
NICAR ইংরেজি National Implementation Committee for Administrative Reform এর সংক্ষিপ্ত রুপ। এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ।।
গঠন:- নিকার ১৯৮২ সালে তদানীন্তন সামরিক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়।যার প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন ডেপুটি চিফ-মার্শাল- ল জনাব এম এ খান।
নিকারের কাজ কী: 
সংক্ষেপে নিকারের কাজ হলো:-- নতুন ইউনিয়ন, পৌরসভা,থানা,উপজেলা,জেলা,বিভাগ গঠন সংক্রান্ত প্রশাসনিক কমিটি। পুরো দেশকে কিভাবে সাংগঠনিক কাঠামোতে সাজাতে হবে সেই কাজ করে নিকার। নতুন কোন থানা/ উপজেলা/জেলা হবে কিনা এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন নিকার।
একটি মন্ত্রণালয় কে একাধিক মন্ত্রনালয়ে ভাগ করা বা মন্ত্রনালয়ের মধ্যে একাধিক বিভাগ করার কাজও করে নিকার।
নিকারের এর প্রধান কে?
এর প্রধান বা আহবায়ক হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীগণ এই কমিটির সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও অন্যান্য সচিবেরাও এর সদস্য।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিবেন।

Quadrilateral  dialogue:
চারপক্ষীয় নিরাপত্তা আলোচনা ৷ জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও যাক্তরাষ্ট্রের বর্তমানে চলমান ভারত- প্রশান্ত মহাসাগরীয় (IPS) কর্মসূচিই Quadrilateral  dialogue.
. Quartet: 
এর শাব্দিক অর্থ হলো চার তরবারি নিয়ে এক শত্রুকে ধাওয়া৷ USA, Russia, UN ও EU এই চার পক্ষ মিলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০১ সালে মাদ্রিদে এই জোট গঠন করে৷ 
গ্লাসনস্ত নীতি 
রুশ শব্দ গ্লাসনস্ত এর অর্থ খোলানীতি বা খোলামেলা আলোচনা। সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ এ নীতির প্রবর্তক। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে সমাজতন্ত্র ব্যবস্থায় বা পার্টি ও রাস্টের ক্ষমতাসীন নেতাদের বিরোধিতা বা সমালোচনা করার অবকাশ সম্পূর্ণভাবে রুদ্ধ ছিল। কিন্তু গর্ভাচেভ ক্ষমতাসীন হয়য়েই অভ্যন্তরীণ ও পররাস্ট্রীয় উভয় ক্ষেত্রেই নাটকীয় ভূমিকা গ্রহন করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ঘোষনা করেন যে, অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগন নির্ভয়ে খোলামেলাভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে এবং পার্টি ও রাষ্ট্রীয় নেতাদের কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে লারবেন। গর্বাচেভ নিজেই তার এই নীতিকে গ্লাসনস্ত বলে অভিহিত করেন। অনেকটা এই গ্লাসনস্তের কারবেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায় এবং সমাজতন্ত্রের অবসান  ঘটে।
জিরো টলারেন্স নীতি কি?
উত্তর: জিরো টলারেন্স নীতি হচ্ছে অপরাধের বরদাস্ত না করা, বা কোন ভাবেই ছাড় না দেওয়া। 
অর্থাৎ ,সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
অপরাধী যেই হোক, তাকে ধরা হবে, বিচারের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, এমন একটা অবস্থা’ই হচ্ছে “জিরো টলারেন্স” নীতি।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে মাদক, সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ,  ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে ।
//
=============================

সফল ভাইভা অভিজ্ঞতা
*****  30 মিনিটের কথোপকথন এবং স্বপ্নপূরণের গল্প****
আমার 38 তম বিসিএস এর ভাইভার অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করলাম। কিছুটা উপকৃত হলেও আমি সার্থক।
আব্দুল হান্নান খান
ফিন্যান্স বিভাগ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সহকারী পুলিশ সুপার (৩৮ তম বিসিএস)
ক্যাডার চয়েস: Police, Admin,Tax
বোর্ড: গোপন রাখা হলো
কোয়াটার এন্ড এর রিপোর্টিং এর কাজের প্রেসার ছিল অনেক। আগের রাতেও ব্যাংকে রাত 9 টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে । বাসায় এসে অনেক দ্রুত ফাইল গুলো গুছিয়ে নিলাম । রাত্রে বেলায় শেভ করতে হলো কারণ হয়তো সকালে ঘুম থেকে উঠে সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। ক্লান্তি আর অবসাদে কিছুই যেন (পড়াশোনার বিষয়বস্তু) দেখতে পারলাম না। শুধু একটা জিনিসই মনে হতে থাকলো সবাই কত প্রিপারেশন নিয়েছে আর আমি কোন প্রিপারেশনই নিতে পারলাম না। স্রষ্টার কাছে বললাম হে আল্লাহ আপনি আমাকে কখনোই নিরাশ করেননি। 
ভাইভা বোর্ডে অনুমতি নিয়ে বসতে না বসতেই বললেন এই এপ্লিকেন্ট কপির ছেলেটা কে?? এইটা কি তুমি?? (আসলে এপ্লিকেন্ট কপিতে যে ছবি ছিল সেখানে আমার ছোট ছোট দাঁড়ি ছিল)। আমি বললাম জ্বী স্যার আমি। স্যার বললেন দাড়ি কেন রাখছিলা সুন্নতি দাড়ি নাকি স্টাইল করার জন্য। স্যারকে আমি বললাম আসলে স্যার কোনটাই না ।আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত । আসলে আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তারপর স্যার বসতে বললেন
বোর্ড চেয়ারম্যান স্যার:  এই তুমিতো আজকেও shave করো নাই। কি আমি ঠিক বলছি না?
আমি: জ্বি স্যার আপনি ঠিকই বলেছেন স্যার আমি গতকাল রাত্রে shave করেছ ।(খুবই অবাক হলাম আমার চেয়ার থেকে  স্যারের চেয়ারের দূরত্ব কম নয় তারপরও  স্যার কিভাবে দেখে ফেললেন এত ছোট ছোট দাড়ি ? আর দাড়ি তো আমি মাত্র 6 ঘন্টা আগে কেটেছি ।দুশ্চিন্তার কারণে হয়তো দাড়ি এত বড় হয়ে গেছে। ধরে নিলাম আজকে আমার কপালে খুব খারাপ কিছু আছে । অনেকটা আশা ছেড়ে দিলাম)
বোর্ড চেয়ারম্যান স্যার: আমি সাভারে ক্যাডারদের অনেক ক্লাস নিয়েছি । আমি দেখেই বলে দিতে পারি কে কেমন।(স্যার মনে হল কিছুটা খুশি হলেন আমি আমার ভুল অকপটে স্বীকার করায়)
এক্সটার্নাল 1: চেয়ারম্যান স্যারের দিকে তাকিয়ে বললেন স্যার ও তো দেখি অনেক কেয়ারলেস।
আমি : আই এম এক্সট্রিমলি সরি স্যার। নেক্সট টাইম আই উইল বি ভেরি মাচ কেয়ারফুল।
চেয়ারম্যান স্যার: আচ্ছা তোমার প্রথম চয়েস কি??
আমি: স্যার আমার প্রথম চয়েস বিসিএস পুলিশ ।
চেয়ারম্যান স্যার : why is BCS police your first choice??
আমি : বিসিএস পুলিশ আমার ফার্স্ট চয়েস কারণ...... স্যার বিরক্ত হয়ে বললেন ইংরেজিতে বল। যেহেতু ভাইবার প্রিপারেশন আমি ভালোমতো নিতে পারিনি তাই অনেক কমন প্রশ্ন আমার গুছানো ছিলনা তাই মনে যা ছিল তাই বলতে লাগলাম..... Sir truly to say I have given BCS police as my first choice because of two reasons . First of all my father worked in a disciplined force and from the very childhood of my life I have been very intimate with this disciplined life and uniform service. So I've always dreamt of a life where I can maintain discipline and put on uniform. Secondly a person has attracted my attention so much to join police as profession..... স্যার আমাকে থামিয়ে দিলেন
চেয়ারম্যান স্যার: তোমার বাবা কোন বাহিনীতে ছিলেন???
আমি : স্যার আমার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ছিলেন
চেয়ারম্যান স্যার: তাহলে তো তোমার উচিত ছিল সেনাবাহিনীতে যোগদান করা। কেন তুমি পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করতে চাচ্ছো? (প্রশ্নটা সত্যিকার অর্থেই যৌক্তিক এবং এই প্রশ্নের উত্তরটা আমি আগে ভাবি নি তাই আমাকে তৎক্ষণাৎ বলতে হল)
আমি : আসলে স্যার আর্মি অফিসারে জয়েন করতে হলে ইন্টারমিডিয়েট এর পরপরই জয়েন করতে হয় এবং তখন একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির একটি প্রেসার থাকে। আমি ভেবেছি স্যার দুইটা প্রিপারেশন একসাথে নেওয়া আমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে । আর আসলে ইন্টারমিডিয়েট এর পর পর আমি জীবনের সিদ্ধান্ত ওইভাবে নিতে পারিনি।
চেয়ারম্যান স্যার : ইন্টারমিডিয়েটের পর একটা ছেলে যথেষ্ট ম্যাচিউরড হয় তখন সে তার জীবনের সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নিতে পারে
আমি: আসলে স্যার তখন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের গল্প অনেকের কাছে শুনে আমি অনেক আকর্ষিত হয়েছিলাম। তাই আগ্রহের জায়গাটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয় কে কেন্দ্র করে ছিল স্যার।
চেয়ারম্যান স্যার:  আচ্ছা তুমি বললে একজন ব্যক্তি তোমাকে পুলিশে আসার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তার নাম কি?
আমি: তিনি বর্তমানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ স্যার।
চেয়ারম্যান স্যার : ভেরি গুড । But why is he your icon?? র্যাবের মহাপরিচালক হওয়ার আগে তুমি কি তাকে চিনতে?? কখনো কি তার সাথে পার্সোনালি ইন্টারফেস করার সুযোগ হয়েছে??
আমি: স্যার আসলে যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরের ছাত্র তখন থেকে আমি বেনজির আহমেদ স্যারকে চিনি । অবশ্য তখন তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ছিলেন। কিন্তু তার সাথে কখনো আমার পার্সোনালি কথা বলার সুযোগ হয়নি। টিভি মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে যতটুক চেনা বা বোঝার সুযোগ হয়েছে তাতে মনে হয়েছে সে অনেক স্পষ্টবাদী এবং গুড টিম লিডার।জাতির অনেক সংকটাপন্ন সময়ে তিনি অনেক বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
এক্সটার্নাল 2: যেমন??
আমি : স্যার হেফাজতে ইসলাম যখন মতিঝিল ঘেরাও করল তখন এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি মারাত্মক হুমকি ছিল। সেই পরিস্থিতি তিনি ইন্টেলিজেন্টলি ট্যাকেল দিয়েছিলেন। এছাড়াও হলি আর্টিজানের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেটাও তিনি ভালোমতো মোকাবেলা করতে পেরেছিলেন।
চেয়ারম্যান স্যার:  আচ্ছা বলতো বেনজির আহমেদের পড়াশোনা কোন ডিপার্টমেন্টে??
আমি : স্যার বেনজির আহমেদ ইংরেজি বিভাগের স্টুডেন্ট
চেয়ারম্যান স্যার:  যেহেতু তোমার পছন্দের ব্যক্তি ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেছেন সেহেতু ইংরেজি সাহিত্য সম্পর্কে তুমি নিশ্চয়ই ভালো জানো। 
আমি : (শুধু ঢোক গিলতে লাগলাম। ভাবলাম এতক্ষণ আমি ছিলাম ভালো এখন আমার কি যে হল ,😀😀😀 ) স্যার আমি চেষ্টা করি ইংরেজি সাহিত্য পড়ার জন্য যতটুকু সময় পাই।
চেয়ারম্যান স্যার : who is the writer of a tale of two cities???
আমি: sir the writer of a tale of two cities is the Victorian novelist Charles Dickens.
Chairman sir : what were the names of the two cities???
Me : they were London and Paris
Chairman sir:  good . Do you know the story?
Me: yes sir
Chairman sir:  tell us the gist of the story
Me:  the story is based on   the  French revolution.... স্যার আমাকে থামিয়ে দিলেন
Chairman sir: what is the last book you have studied??
Me : (কিছুই মনে পড়ছিল না দুইটা গল্পের কথা মনে পরল যেগুলা আমার খুব প্রিয়।  বলে দিলাম) the gift of the magi and the last leaf
Chairman sir : who are the authors of those books??
Me: sir the famous American story writer O' Henry
External 1: দ্যা গিফট অফ দ্য ম্যাজাই' গল্পের ক্যারেক্টার কে কে ছিল
আমি : জিম এবং ডেলা বলতে বলতেই চেয়ারম্যান স্যার থামিয়ে দিলেন
Chairman sir: have you heard about the famous book "An apology for poetry"??
Me: yes sir it is a famous book written by Sir Philip Sidney.
Chairman Sir: have you heard about the famous writer Robert Branch??
Me: sorry sir . I have not heard about him.
Chairman sir: তুমি তো দেখি ইংরেজিতে অনেক ভালো । বাংলা সাহিত্য কী পড়া হয়??
আমি: (ভয় ও আতঙ্কের পারদ যেন উপরে উঠতে লাগলো) চেষ্টা করি স্যার
চেয়ারম্যান স্যার: চন্ডিদাসের নাম শুনেছো?? চন্ডীদাসের সমস্যা কি?
আমি: সুন্দর করে বুঝিয়ে বললাম
চেয়ারম্যান স্যার: তার দুইটা কবিতার লাইন বল
আমি: অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই মনে করতে পারলাম না। অবশেষে বললাম স্যরি স্যার আমার মনে পড়ছে না।
চেয়ারম্যান স্যার: তুমিতো ইংরেজিতে অনেক ভালো কিন্তু বাংলা সাহিত্য মনে হয় তুমি কম পড়ো।
আমি: জি স্যার । বাংলা আমার তুলনামূলক একটু কম পড়া হয়
চেয়ারম্যান স্যার: তুমি কি কোথাও জব করছো?
আমি জি স্যার আমি একটি প্রাইভেট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছি
চেয়ারম্যান স্যার:  কত বেতন পাচ্ছ
আমি: ........... টাকা 
চেয়ারম্যান স্যার: এখানে আসলে তো তুমি অনেক কম পাবে
আমি: গদবাধা যত নীতি কথা সব বলে ফেললাম
এক্সটার্নাল 2: what is fifo and lifo? এটা অ্যাকাউন্টিংয়ের কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়
আমি: উত্তর কিছুটা অগোছালো হয়ে গিয়েছিল তারপরেও পুরোটাই বললাম
এক্সটার্নাল 1: what is npv and IRR?
আমি: সুন্দর মত উত্তর বলে দিলাম
এক্সটার্নাল 1: হোয়াট ইস পর্টফলিও?
আমি: চটজলদি মুখস্ত বিদ্যা উদগীরণ করলাম
এক্সটার্নাল 1 : হোয়াট ইস ক্রাউডফান্ডিং?
আমি : সরি স্যার আমার ঠিক মনে পড়ছে না
এক্সটার্নাল 1 :ব্যাংকে জব করেন তারপরও এটার উত্তর জানেন না( মনে মনে ভাবলাম ব্যাংকের তো অনেক ট্রেনিং করলাম কিন্তু এইটা সম্পর্কে তো শুনিনি কখনো।)
আমি: সরি স্যার।
এক্সটার্নাল 1: পিপিপি কি?
আমি: সুন্দর মত বুঝিয়ে বললাম
চেয়ারম্যান স্যার: ধানমন্ডির 32 নম্বরে একটি জাদুঘর আছে সেখানে কি তুমি কখনো গিয়েছো??
আমি: (একই প্রশ্ন আমার বড় ভাই কেউ করা হয়েছিল 35 তম বিসিএস এ তাই উত্তর দিতে দেরি করলাম না) জি স্যার আমি ইতিমধ্যে দুইবার গেছি
চেয়ারম্যান সাব: আচ্ছা আমাকে একটা ব্যাপার বলতো তোমাদের ফিন্যান্সের ছেলেপেলেরা বিসিএসে এত আসছে কেন?? ইকনোমিক্সের ছেলেপেলেদের তো আমি বিসিএসে ইদানিং এত দেখিনা
আমি: স্যারকে ব্যাপারটি পজিটিভলি বুঝিয়ে বললাম।
চেয়ারম্যান স্যার : তুমি কি এমবিএ করোনি??
আমি : না স্যার । আসলে আমার এমবিএ করার সময় জব হয়ে গিয়েছিল এজন্য আর এমবিএ টি কন্টিনিউ করিনি। সত্যি বলতে আমার বাবা 2015 সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছে আর যেহেতু আমি স্যার ফ্যামিলির বড় ছেলে তাই আমার উপর প্রেসার ছিল।
চেয়ারম্যান স্যার : সবার দিকে তাকিয়ে বললেন এখন তাহলে ওকে ছেড়ে দেই ঠিক আছে তুমি আসো যাও
আমি: ঠিক আছে স্যার আসসালামুয়ালাইকুম ।আমার জন্য দোয়া করবেন স্যার। (কয়েক কদম প্রস্থান করতেই এক্সটার্নাল 1 স্যার আমাকে ডাকলেন)
এক্সটার্নাল 1: এই শোনো তুমি যে এমবিএ করছো না তোমার বেশি দেরি হয়ে যাচ্ছে না
আমি : জি স্যার আমার একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু স্যার আমি এই বছরে শুরু করে দেবো। (আবার প্রস্থান করার জন্য প্রস্তুত হলে চেয়ারম্যান স্যার পিছু ডাকলেন)
চেয়ারম্যান স্যার: তোমার দেশের বাড়ি কি টাঙ্গাইল
আমি: জি স্যার আমার দেশের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে
চেয়ারম্যান স্যার:  তুমি কি রণদা প্রসাদ সাহার নাম শুনেছো?? তার দু একটা প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবে??
আমি : জি স্যার আমি তার নাম শুনেছি।  তার উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমুদিনী কলেজ এবং কুমুদিনি হসপিটাল
চেয়ারম্যান স্যার : আর???(তিনি মনে হলো আমার কাছ থেকে আরও কিছু প্রত্যাশা করেছিলেন কিন্তু আমি স্যার কে নিরাশ করলাম)
আমি: কিছুক্ষণ ভেবে কিছু না পেয়ে বলে দিলাম সরি ছাড়া আমার আর কিছু মনে পড়ছে না। (রাতে কম ঘুম হওয়ার কারণে আমার মাথা ঠিকমত কাজ করছিল না)
চেয়ারম্যান স্যার : তুমি মনে হয় বাড়িতে একটু কম যাও
আমি : (অকপটে স্বীকার করে ফেললাম) জি স্যার আমি একটু বাড়িতে কম যাই ।
চেয়ারম্যান স্যার:  ঠিক আছে তুমি তাহলে আসো
আমি: ব্যথিত  হৃদয় নিয়ে আর মাথায় পাহাড়সম বোঝা হালকা হয়েছে অনুভব করে সালাম দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম
***** ( বিসিএস সম্পর্কে কেউ যদি আমার মতামত জানতে চায় তাহলে আমি একটি কথাই বলব বিসিএস আসলে খুবই uncertain এবং কারোর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বিসিএস ক্যাডার হওয়া উচিত নয় । আমাদের পাশাপাশি অনেকগুলো অপশন রাখা উচিত নতুবা অধিক আশা হতাশাতে পরিণত হতে পারে)
***** (আমার রেজাল্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত মনে হয়েছিল হয়তো আমাকে স্যার ফেল করিয়ে দিতে পারেন।  কিন্তু প্রকৃত সত্য কথা এইযে স্যার আসলে আমাকে ভাইবা তো অনেক মার্কস দিয়েছিলেন ।এটা আমি এবং আল্লাহ ভালো জানে)
***** (কখনো কখনো কোন বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা কোন কোন ক্ষেত্রে সফলতার কারণ হতে পারে যেমন আমার ক্ষেত্রে ইংরেজি সাহিত্য এবং ইংরেজি বলার দক্ষতা)

=============================

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির আদ্যোপান্ত: 
কার ক্ষতি, কার লাভ? 
অবশেষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধে বিরতি দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরায়েল, হামাস, ইসলামিক জিহাদি জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মিশর, কাতার ও জাতিসংঘ। জাতিসংঘের আহ্বানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনায় মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। শিগগিরই মিশরের প্রতিনিধি দল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি এসে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর মধ্যরাতেই আনন্দ মিছিল বের করে ফিলিস্তিনিরা। পতাকা হাতে, স্লোগান দিতে দিতে গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের বিভিন্ন স্থানে তারা জড়ো হয় আনন্দ মিছিল করে। আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিরা জড়ো হয়ে নামাজ আদায় করে। যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তি ফিরে ফিলিস্তিনের জনমনে।
এর মধ্য দিয়ে টানা ১১দিনের তাণ্ডব বন্ধ হয়। গেল ১১ দিনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলা ও জেরুজালেম, পশ্চিম তীরসহ অন্যান্য স্থানে চালানো সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২৩৩ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। তার মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশু ও নারী। অন্যদিকে হামাসের চালানো রকেট হামলায় ইসরায়েলে ১২ জন নিহত হয়। তার মধ্যে ২ জন শিশু।
অবশ্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সতর্ক অবস্থায় থাকে। ইসরায়েলে রকেট হামলার সাইরেন বাজানো হয়। বিমানবন্দরগুলোতে বিমান ওঠানামা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয় হামাসের সম্ভাব্য রকেট হামলার আশঙ্কায়। অন্যদিকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজার আকাশে চক্কর দিতে থাকে। এদিনও প্রায় ১০০ স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল।
এবার চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ১১ দিনের এই যুদ্ধের আদ্যোপান্ত। দেখে নেওয়া যাক এই যুদ্ধে কার কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হলো।
১. গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে মে মাসের ১০ তারিখ শুরু হওয়া এই যুদ্ধে মোট ২৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ৬৫ জন শিশু। অন্যদিকে ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ২ জন শিশু। গেল ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আহত হয় ১৯০ জন।
২. জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১১ দিনের যুদ্ধে গাজা উপত্যাকার ৯১ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
৩. গাজা আবাসন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইসরায়েলের চালানো হামলায় ১৬ হাজার ৮০০ বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১০০০ বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণরূপে ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। আর ১ হাজার ৮০০ বাড়ি-ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
৪. হামাসের মিডিয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ৪০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গাজায়। বিভিন্ন কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫. ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে হামাস গেল ১১ দিনে ৪ হাজার ৩০০টি রকেট ছুড়েছে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ রকেট তাদের ‘আয়রন ডোমে’র মাধ্যমে আকাশ পথেই প্রতিরোধ করা হয়েছে।
৬. ইসরায়েলের ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে যুদ্ধের প্রথম তিনদিনে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন ডলারের।
এদিকে ২০১৪ সালের মতো এবারও এই যুদ্ধে উভয় দেশ নিজেদের বিজয়ী ভাবতে শুরু করেছে। হামাস এই যুদ্ধবিরতিকে নিজেদের বিজয় হিসেবে আর ইসরায়েলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পরাজয় হিসেবে দেখছে। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল হাইয়া এমনটাই জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুদ্ধে যেসকল ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই যুদ্ধকে তাদের সামরিক বাহিনীর অভূতপূর্ব সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। যদিও দেশটির ডানপন্থিরা যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে নেয়নি। তারা এটার কড়া সমালোচনা করেছে।
তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই যুদ্ধবিরতি খুব বেশিদিন হয়তো স্থায়ী হবে না। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করছেন ইসরায়েলের দখলদারিত্ব মনোভাব ও আগ্রাসনকে। ইসরায়েল তাদের দখলদারিত্ব ও আগ্রাসন অব্যাহত রাখলে আবার যুদ্ধ শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
//
এসএম আমির, ব্যতিক্রম খবর


=============================

=============================

বিসিএস লিখিত + ভাইভা 
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা কি ‘গণহত্যা’?
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনের জনগণের উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছে। এটা মানবতার চরম লঙ্ঘন। অনেক বিশেষজ্ঞরা এটাকে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, এমনকি দুইটি রাষ্ট্রের বিবাদমান বিষয় হিসেবে অবহিত করেছেন। 

সার্বিক পরিস্থিতি এবং ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ থেকে বলা যায়, এটা স্পষ্টত ‘জেনোসাইড’ বা ‘গণহত্যা’। কোনও একটি ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করতে গেলে তার নির্ধারক রয়েছে আন্তর্জাতিক আইনে।  

চল্লিশের দশকে সারা ইউরোপব্যাপী চলমান সহিংসতা, বিশেষ করে জার্মানির একনায়ক হিটলারের ইহুদি নিধনের মত চরম অন্যায় কাজ বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিল। তবে, গণহত্যার  বিষয়ে কোন আইন না থাকা , এমনকি গণহত্যার সমার্থক ‘জেনোসাইড’ শব্দটিকে আইনের রূপ দান না করায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সংগঠিত অনেক জেনোসাইডের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হইনি। ১৯৪৪ সালে রাফায়েল লেমকিন নামে একজন পোলিশ আইনজ্ঞ তার ‘এক্সিস রুল ইন ওকুপায়েড ইউরোপ’ বইয়ের মাধ্যমে প্রথম জেনোসাইড শব্দটির ব্যবহার করেন। 

১৯৪৪ সালের আগে ‘হত্যা, নৃশংসতা ও বর্বরতাকে প্রকাশের জন্য Massacre, Extermination; Crimes against Humanity- শব্দগুলো ব্যবহারের রীতি প্রচলিত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে বা যারা যুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতন, অন্যায়ভাবে  ভূখণ্ড দখলের মত অন্যায়ের কাজের সাথে জড়িত ছিল, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য গঠিত হয় ‘নুরেমবার্গ ট্রায়ালস’ এবং ‘টোকিও ট্রাইব্যুনাল’। 

১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর  থেকে মোট ১৩টি সামরিক ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ‘নুরেমবার্গ ট্রায়ালস’ এর  বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৯৪৬ সালের ২৯ এপ্রিল ‘টোকিও  ট্রাইব্যুনাল’ কার্যক্রম শুরু হয়। এ আদালতগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন সামরিক ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী, বেসামরিক অন্তর্নিহিত এবং অধিকৃত অঞ্চলগুলির বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক যুদ্ধ, হত্যা ও প্রচলিত যুদ্ধাপরাধ পরিচালনাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এ ’  ট্রাইব্যুনালের  বিচারগুলি একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠার দিকে একটি মাইলফলক হিসাবে গণ্য করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে, জাতিসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে ১৯৪৬ সালের ১১ ডিসেম্বর  ‘ জেনোসাইড শব্দটি আন্তর্জাতিক আইনে অন্তর্ভুক্তকরনের ব্যাপারে করণীয় বিষয়ক একটা রেজুলেশন  [resolution 96 (I)] গৃহীত হয় ।  ১৯৪৮ সালের ০৯ ডিসেম্বর  জাতিসংঘের সাধারণ সভায় Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide (CPPCG) [resolution 260 A (III)] গৃহীত হয় এবং আইনগতভাবে প্রথমবারের মত ‘জেনোসাইড’ শব্দটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  ১৯৫১ সালে ১২ জানুয়ারি থেকে CPPCG  কার্যকরণ শুরু হয়। CPPCG এর ০২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, 

In the present Convention, genocide means any of the following acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnical, racial or religious group, as such:(a) Killing members of the group;(b) Causing serious bodily or mental harm to members of the group;(c) Deliberately inflicting on the group conditions of life calculated to bring about its physical destruction in whole or in part;(d) Imposing measures intended to prevent births within the group;(e) Forcibly transferring children of the group to another group. 

এবং ০৩ নং অনুচ্ছেদে যে অপরাধ গুলো আন্তর্জাতিক আইনে বিচারের আওতায় আনা যাবে, সেগুলো হল- 

The following acts shall be punishable: (a) Genocide; (b) Conspiracy to commit genocide; (c) Direct and public  incitement to commit genocide;(d) Attempt to commit genocide; (e) Complicity in genocide.  

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সময়ে বিভিন্ন জেনোসাইডের বিচারে যেমন- যুগোস্লাভিয়া ট্রায়াল, রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালসহ ‘জেনোসাইড’ অভিযোগে বিচারিক আদালতে CPPCG বিষয়কে বিবেচনা করা হয়েছে। সম্প্রতি ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার আনীত মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চালিত ‘জেনোসাইড’ অভিযোগের বিষয়ে  CPPCG এর ধারাগুলোকে  আমলে নেওয়া হচ্ছে। 

এখন আসা যাক, ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত নির্যাতন এবং আক্রমণ  কেন ‘জেনোসাইড’ বা ‘গণহত্যা’ সে প্রসঙ্গে। 

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের একটি অংশের অবৈধভাবে দখল করে নিজেদেরকে একটি  গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রকাশ করে। এ দখলের জন্য ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের নিজ বাসভূমি থেকে বিতাড়িত করে।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনকে ফিলিস্তিনিরা তাদের জন্য একটি ‘বিপর্যয়’ মনে করে। যে জায়গাটিতে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ( বিবিসি বাংলা, ৬ জুন ২০১৭)। 

১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে (যুদ্ধের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ছয়দিন) অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যার এবং বাস্তচ্যুতির শিকার হয়। ১৯৬৭ সালের পুনরায় ইসরায়েল অন্যায়ভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, মিসরের সিনাই, সিরিয়ার গোলানভূমি ও জর্ডানের ভূমিসহ অনেক এলাকা দখল করে নেয়। ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যা, বর্বরোচিত নির্যাতন, নারী ও শিশু হত্যা, জোরপূর্বক ভূমি দখলের মত নিষ্ঠুর এবং বর্বরোচিত ঘটনার  শিকার হয়। গত চার দশক ধরে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি জনগণের উপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চালাচ্ছে। অবাক করা বিষয়, ফিলিস্তিনের মানচিত্র থেকে ক্রমান্বয়ে ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব হারিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে।  

অবৈধ  দখলদারিত্বের এবং নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের  বিরুদ্ধে যখনই হামাস এবং ফিলিস্তিনি জনগণ সোচ্চার হয়েছে তখনই ফিলিস্তিনের উপর নেমে এসেছে ইসরায়েলের নিষ্ঠুরতা। সর্বশেষ, ২০২১ সালের ১৭ মে থেকে চলমান আক্রমণে আনুমানিক ২১৯ ফিলিস্তিনি নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৬৩ জনই শিশু। ক্রমাগত গোলা বর্ষণ, আকশপথে রকেট নিক্ষেপের ফলে বর্তমানে ফিলিস্তিন হয়ে উঠেছে মৃত্যুপুরী। অনেক বসতবাড়ি ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্থাপনা হামলার শিকার হয়েছে, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক মানুষ প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমুহে আশ্রয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। এভাবে চললে ফিলিস্তিনের জনগণ সম্পূর্ণ বাস্তুচ্যুত হয়ে যাবে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ড হারিয়ে যাবে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। 

CPPCG এর ২ নং অনুচ্ছেদের প্রত্যেকটি বিষয়কে ফিলিস্তিনের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরাইলের বর্বরোচিত নির্যাতন এবং আক্রমণ স্পষ্টত   ‘জেনোসাইড’। গত চার দশক ধরে ইসরায়েলি বাহিনী অনেক ফিলিস্তিনিকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তাদের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, তাদের পক্ষে বেঁচে থাকাটাই কঠিন। ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে হত্যার কারণ, পরবর্তীতে যেন ফিলিস্তিনের জনগণের সংখ্যা বাড়তে না পারে। ক্রমাগত নির্যাতনের ফলে জনগণ বাধ্য হচ্ছে প্রাণের তাগিদে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে। ইসরায়েলের বাহিনী ফিলিস্তিনি জাতিসত্ত্বাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে মত্ত।  এই বর্বরোচিত নির্যাতন এবং আক্রমণের শেষ কোথায় সেটা বলা মুশকিল।  

ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত ‘গণহত্যা’ থেকে রক্ষার জন্য  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী। অবিলম্বে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান এবং নেতানিয়াহু সরকারের এই ধরনের অমানবিক এবং নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক আইনে বিচারের সম্মুখীন করাই পারে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি  চলমান জেনোসাইডকে বন্ধ করতে। পাশাপাশি, বিশ্বমানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য  বিশ্বের সকল রাষ্ট্র ও জনগণকে ইসরাইলের বর্বরোচিত নির্যাতন এবং জেনোসাইড বন্ধের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করা সময়ের দাবী।
জি এম আরিফুজ্জামান ২০ মে, ২০২১
বিডিনিউজ.২৪





★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন