★পৃথিবীতে জাত মহাকাব্য কতটি ও কী কী?
--৪টি(বাল্মীকির রামায়ণ,কৃষ্ণদৈপায়ন ব্যাস ব্যাদের মহাভারত,কবি হোমারের ইলিয়ড ও ওডেসি)
★ভার্জিলের "ইনিড,মিল্টনের "প্যারাডাইস লস্ট,মধুসূদনের"মেঘনাদবধ,
কোন ধরনের মহাকাব্য?
--সাহিত্যিক মহাকাব্য
→মহাকাব্য ২প্রকার,জাত মহাকাব্য(কবি নিজে লেখে নি,অজানা কবির অসংখ্য লেখা একত্র করে একটি বই) ও সাহিত্যিক মহাকাব্য(পুরান থেকে কাহিনি নিয়ে রচিত)।
★হেমচন্দ্র রচিত মহাকাব্যের নাম কী?
--বৃত্রসংহার(১ম খণ্ড-১৮৭৫,২য় খণ্ড ৭৭)
হিন্দু পৌরানিক কাহিনি অবলম্বনে রচিত হিন্দু জাতীয়তাবোধ প্রকাশ পেয়েছে।
বৃত্র নামক অসুরকর্তৃক স্বর্গবিজয় এবং দেবরাজ ইন্দ্রকর্তৃক স্বর্গের অধিকার পুন:স্থাপনা ও বৃত্রাসুরের নিধন এই মহাকাব্যের মূল বিষয়বস্তু।
★হেমচন্দ্রের(১৮৩৮-১৯০৩) উল্লেখযোগ্য রচনা গ্রন্থগুলো কী কী?
→চিন্তাতরঙ্গিণী(১৮৬১)→বীরবাহু(৮২)
→আশাকানন(৭৬)→ছায়াময়ী(৮০)
→দশমহাবিদ্যা(৮২)→চিত্তবিকাশ২(৭০)
→কবিতাবলি(৮০)→বিবিধ কবিতা(৮৩)
★নবীনচন্দ্র সেন(১৮৪৭-১৯০৯) রচিত
ত্রয়ী মহাকাব্যের নাম কী?
→রৈবতক(১৮৮৩)→কুরুক্ষেত্র(১৮৯৩)
→প্রবাস(১৮৯৬)
(রৈবতক কাব্যে শ্রীকৃষ্ণের আদিলীলা;
কুরুক্ষেত্রে মধ্যলীলা;প্রবাসে অন্ত্যলীলা
স্থান পেয়েছে। এসব কাব্যের কেন্দ্রীয় ঘটনা যথাক্রমে সুভদ্রাহরণ,অভিমন্যুবধ,
ও যদুবংশ ধ্বংস)
★নবীনচন্দ্র সেনের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো কী কী?
→১ম অবকাশরঞ্জিনী ২খণ্ড(১৮৭১;৭৮)
→পলাশীর যুদ্ধ(১৮৭৬)এটাই বিখ্যাত
→ক্লিওপেট্রা(১৮৭৭) এটি ক্ষুদ্র কাব্য
→রঙ্গমতি(৮০)স্কটের আদর্শ অনুসরণ
→খৃষ্ট(৯১)যীশুখ্রিস্টের জীবনী অবলম্বনে
→অমৃতাভ(৯৫)বুদ্ধদেবের জীবনী
→প্রবাসের পত্র, ভ্রমণকাহিনি
→আমার জীবনী,৫খণ্ডে রচিত
★মোহাম্মদ কাজেম আলকোরেশীর সাহিত্যক্ষেত্রে কী নামে পরিচিত?
--কায়কোবাদ(১৮৫৮-১৯৫২)
★মহাকবি কায়কোবাদের সুবিশাল মহাকাব্যের নাম কী?
--মহাশ্মশান(১৯০৪)
(সমগ্র কাব্যটি ৩খণ্ডে বিভক্ত।প্রথম খণ্ডে ২৯সর্গ,দ্বিতীয় খণ্ডে ২৪সর্গ,তৃতীয় খণ্ডে ৭সর্গ।মোট ৬০সর্গে ৮৭০পৃষ্ঠা। সমগ্র মহাকাব্য প্রকাশে ১০বছর সময় লেগেছিল। ১৭৬১ সালের পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধে মহারাষ্ট্রীয়দের পরাজয় এবং আহমদ শাহ্ আবদালীর বিজয় বর্ণনাই এ
কাব্যের বিষয়বস্তু)
★মহাকাব্য ছাড়া অন্য সাহিত্যকর্মগুলো কী কী?
→বিরহবিলাস(১৮৭০)১ম রচিত কাব্যগ্রন্থ
→কুসুমকানন(৭৩)কাহিনিকাব্য(এই দুটি)
→অশ্রুমালা(৯৪)প্রতিভার সার্থক পরিচয়
→শিবমন্দির(১৭)→অমিয়ধারা(১৯২৩)
→শশ্মানভষ্ম(২৪)এগুলো আখ্যানকাব্য
→মহরম শরীফ(৩৩)মহাকাব্য বলে পরিচি
★সিরাগঞ্জের কবি সৈয়দ আবু মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী(১৮৭৯-৩১)এর
মহাকাব্যের নাম কী?
--স্পেনবিজয়(১৯১৪)
এই কাব্যে স্পেনের সম্রাট রডারিকের সঙ্গে মুসলমান বীর তারেকের সংগ্রাম কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
#_রমজান_
★ইসমাইল হোসেন সিরাজীর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
--অনল প্রবাহ(১৮৯৯)
কাব্যগ্রন্থটিতে অগ্নিবীণা ভাবের তীব্রতা ও ভাষার ওজস্বীতা-গুণে সমাজের সর্বত্র অভূর্তপূর্ব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ইংরেজি বিদ্বেষী মনোভাব থাকায় ইংরেজ কর্তৃক কাব্যটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
★মহাকাব্যিক ভঙ্গিমায় রচিত হামিদ আলীর(১৮৭৪-৫৪) রচনাগুলো কী কী?
→ভ্রাতৃবিলাপ(১৮৯৮)ভাইয়ের মৃত্যুতে
→কাসেমবধ(১১)→জয়নালোদ্ধার(১৪)
→সোহরাববধ প্রভৃতি।
★যোগিন্দ্রনাথ বসু(১৮৫৪-২৭) রচিত মহাকাব্য দুটির নাম কী?
→পৃথ্বীরাজ(১৫)হিন্দু জাতির পতন বর্ণনা
→শিবাজী(২০)হিন্দু জাতির উত্থান বর্ণনা
সূত্র: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস,
মাহবুবুল আলম(পৃ.৫১৮-৫৭৯)
