বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
টীকা লিখুন : বাংলাদেশের মেরিন ড্রাইভ
মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজারের ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক, যা বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক। ২০১৭ সালের ৬ মে এটি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।।
নির্মানের পরিকল্পনা করা হয় কখন?
এই সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় ১৯৮৯ সালে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন সরকার ৪৮ কিঃমিঃ দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প গ্রহণ করেন। তবে ২ কিঃমিঃ সড়ক নির্মানের পর এর কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং সড়কটি সাগরের প্রবল স্রোতে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তিতে ১৯৯৫ সালে এর নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়। তখন এর নির্মান কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। মাঝে কয়েক বছর কাজ বন্ধ থেকে পুনরায় ২০০৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
নির্মাণ সম্পাদনা করেন কারা?
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে এটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এর নির্মান কাজে নিয়োজিত ছিল।
তিনটি ধাপে মেরিন ড্রাইভটি নির্মাণ করা হয়েছে। যথাঃ
- প্রথম ধাপে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার।
- দ্বিতীয় ধাপে শিলখালী থেকে টেকনাফ সদর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার ও
- শেষ ধাপে শিলখালী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়ক তৈরি করা হয়। এতে মোট খরচ হয় প্রায় ৪৫৬ কোটি টাকা। এর নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক বছর আগেই তা শেষ হয়ে যায়।
নির্মাণের ফলে যেসকল সুবিধা হয়েছেঃ
- পরিবহন খাতে সুবিধা হয়েছে।
- পর্যটন খাত সমৃদ্ধ হয়েছে।
- বাংলাদেশের ব্রান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রা যোগ হয়েছে;
- কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে;
- উপকূলীয় নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে প্রভৃতি।