বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি
★ ইংরেজি ★
বই / গাইডঃ
(১) অ্যাসিউরেন্স (ইংরেজি)
(২) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ইংরেজি প্রথম পত্র বই
(৩) Saifur's হাতে-কলমে Composition Writing & Translation (ঐচ্ছিক)
২০০ নম্বরের ইংরেজি পরীক্ষায় আপনার টার্গেট মার্কস হতে পারে এমনঃ
Thematic questions: 18-22 (30)
Grammar & Usage: 20-25 (30)
Summary: 12-14 (20)
Letter to the Editor: 12-14 (20)
Essay: 28-35 (50)
Translation (Bangla): 12-15 (25)
Translation (English): 12-15 (25)
----- Total: 114-140
এখানে আমি দুই ধরনের টার্গেট মার্কস দিয়েছি। কারো জন্য ১১৪, আবার কারো কারো জন্য ১৪০। ইংরেজিতে যাদের খুব দুর্বলতা থাকে তাদের ১০০ নম্বরেরও নিচে পেতে দেখা যায়। আবার পরীক্ষায় ১৪৫ নম্বর পেয়েছেন এমনও আছে।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন বিসিএস রিটেন পরীক্ষায় নম্বর পাবার সবচেয়ে বেশি বৈষম্য তৈরি হয় এই ইংরেজি পরীক্ষায়। তাই ইংরেজিকে অনেকেই বলেন ক্যাডার নির্ধারণী পরীক্ষা। ইংরেজি পরীক্ষা খারাপ দিয়ে লিখিত পরীক্ষা ছেড়ে দেওয়ারও বহু নজির আছে। তাই ব্যাকগ্রাউন্ড যাই থাকুক না কেনো, নবীনদের শুরু থেকেই ইংরেজি বিষয়ে এক্সট্রা এ্যাটেনশন দেওয়া উচিত।
যাদের ইংরেজিতে দুর্বলতা রয়েছে, শুরুতেই তাদের যা করা উচিত নয়ঃ
* vocabulary, synonym, idioms মুখস্থ করা
* পত্রিকার আর্টিকেল ট্রান্সলেশন করা
* অতিরিক্ত গ্রামার চর্চা করা
এতে প্রচুর সময় অপচয় হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না।
আমি সবসময়ই মনে করি একটি ভাষা শিখতে হলে সে ভাষাটি আগে পড়তে হবে এবং ফ্রি হ্যান্ড প্রাকটিস করতে হবে। কয়েকটি ধাপে আপনাদের করণীয় কী হতে পারে তার একটা খসড়া আমি নিচে উল্লেখ করছি। আপনাদের সক্ষমতার সাথে আমার দিকনির্দেশনা অ্যাডজাস্ট করে নিবেন।
[[ধাপ-০১ (প্রথম মাস)]]
* সপ্তাহে ৩-৪ দিন আপনার পড়ার রুটিনে ইংরেজির জন্য অতিরিক্ত ২ ঘণ্টা সময় রাখা উচিত। প্রয়োজন অনুযায়ী এই তিন চার মাস সময়ের ভেতর কম-বেশি ২০ দিন সময় রাখতে পারেন শুধুই ইংরেজির জন্য।
* শুরুতেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর 'English for Today' বইটি পড়ে ফেলুন। বইটি বেশ কার্যকরী। অজানা শব্দগুলোর অর্থ ডিকশনারি হতে বের করুন এবং বইটিতেই আন্ডারলাইন করে অর্থ লিখে রাখুন। কিছুদিন পর বইটি আবার রিভাইস দিন। যত বেশি রিভাইস দিবেন অটোমেটিকলি আপনার ভোকাবলারি সমৃদ্ধ হবে।
* অ্যাসিউরেন্স গাইডের ট্রান্সলেশন অংশ হতে চর্চা করুন। বাংলা থেকে ইংরেজি এবং ইংরেজি হতে বাংলা দু'টোই করবেন। এবং বইয়ের উত্তরের সাথে মেলাবেন এবং সেখান হতে নতুন নতুন word, phrase, preposition এর ব্যবহার ইত্যাদি দাগিয়ে দাগিয়ে শেখার চেষ্টা করবেন।
* Translation-করার সময় Smart Sentence লেখার চেষ্টা করবেন। কোন গ্রামার বই(নবম-দশম শ্রেণীর অ্যাডভান্স গাইড) থেকে বাক্য গঠনের নিয়ম(Syntax) এবং Simple- Complex- Compound Sentence লেখার structure-গুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
* অ্যাসিউরেন্স গাইড হতে Noun- Verb- Adjective- Adverb অংশটি অর্থ সহকারে মুখস্থের মতো পড়ুন। কঠিনগুলো হাইলাইটার দিয়ে মার্ক করে রাখবেন। পরে রিভিশন দিতে সহজ হবে। পাশাপাশি এ সকল শব্দের বানান প্রাকটিস করুন।
[[ধাপ-০২ (দ্বিতীয় মাস)]]
* রিপোর্ট রাইটিং-এর ফরমেটটা ঝালিয়ে নিন। পরীক্ষায় ২ ধরনের ফরমেটে রিপোর্ট আসতে দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ ৩৫তম ও ৩৬তম বিসিএসের রিপোর্ট রাইটিং ফরমেট দেখুন।
রিপোর্টের ভাষা সাধারণ ভাষার চেয়ে একটু টেকনিক্যাল হয় এবং তথ্যসমৃদ্ধ হয়। এদিকে একটু সজাগ থাকবেন। পাশাপাশি একঘেয়ে রিপোর্ট না লিখে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে ঐ বিষয়ে আপনার কোনো সুপারিশ বা জানা থাকা কোন ডাটা উপস্থাপন করতে পারেন। আমি অবশ্য বানিয়ে বানিয়ে গ্রাফ/চার্ট ব্যবহার করেছি😃। তবে যেটাই করেন তা যেন লজিক্যাল হয়।
* Joining Sentence ও Punctuation-এর নিয়মগুলো গাইড থেকে দেখে নিন বা কোন শিক্ষকের কাছ হতে শিখে নিন। এগুলো প্রাকটিসের মাধ্যমে ক্লিয়ার করতে হবে। কারণ এখানে ফুল মার্কস পাওয়া সহজ।
* এবার অ্যাসিউরেন্স গাইডের শুরুতে যে মডেল কোয়েশ্চেন আছে এবং ৩৫তম বিসিএস হতে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত রিটেন কোয়েশ্চেনের passage(part-A) অংশগুলো ঘরে বসে বসে পরীক্ষা দিন। এরপর উত্তরের সাথে মিলিয়ে নিজেকে ইমপ্রুভ করুন। কারণ এখানেই ১০০ মার্কস। পাশাপাশি ভোকাবলারি শেখার চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে এ চর্চায় সপ্তাহে অন্তত একদিন ২-৩ ঘণ্টা করে সময় দিবেন। এতে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং প্রাকটিসটাও হবে।
* মডেল কোয়েশ্চেন সলভ করার সময় Words, phrases বা synonym দিয়ে making Sentence এর ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখবেন। এখানে সচরাচর ১৫ নম্বর আসে। ১২-১৩ অনায়াসে পাওয়া যায়।
>>> আরো যা করা প্রয়োজনঃ
(১) এখন synonym/antonym পড়তে পারেন। তবে এখানে ফুল নম্বর আশা করবেন না। অনেক ইংরেজ বিশারদও এখানে ফুল মার্কস পান না।
(২) শুদ্ধ বানান ও সঠিক বাক্য গঠন করা ইংরেজি পরীক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দু'টো বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন, না হলে অনেক লিখেও নম্বর কম পাবেন।
(৩) খুব বেশি কমপ্লেক্স বাক্য বা বোম্বাস্টিক ওয়ার্ডস ব্যবহার করতেই হবে এমন টেনডেন্সি অনেকের থাকে।এতে বেশি নম্বর পাবেন বলে তারা ভাবতে পারেন। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। সহজ, প্রচলিত ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপনা করাটাই উত্তম।
>>> যারা খুব ভালো নম্বর পেতে চানঃ
(১) Thematic questions গুলোতে ৩ নম্বর থাকে। এগুলোর স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড উত্তর দিবেন। আর উত্তরগুলো করার সময় টেকনিক্যাল ওয়ার্ড ছাড়া passage হতে পারত পক্ষে কোন একটি শব্দও ধার করবেন না। নিজের ভাষায় লিখুন। সম্ভব হলে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে উপস্থাপনা করুন। উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য আনতে সর্বদা চেষ্টা করবেন।
(২) Grammar & Usage অংশটি বিশেষ চর্চা করবেন। চেষ্টা থাকলে এখানে ৩০ নম্বরে ২৫+ পাওয়া যাবে।
(৩) বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয় আর্টিকেল ট্রান্সলেশন করলে আপনার ভাষাগত সমৃদ্ধি আসবে। এক্ষেত্রে গ্রুপ ওয়ার্ক করলে উপকার পাবেন।
এবার আসি essay বিষয়ে। রচনা পড়বেন সবার শেষে অথবা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী প্রিপারেশন সম্পন্ন হবার পর।
বিগত বছরের প্রশ্নের আলোকে সাজেশন্স করে ৫টি রচনা পড়লেই সাধারণত কমন পরে। যেহেতু কমন পড়ে, তাই রচনার উত্তর হতে হবে কিছুটা ব্যতিক্রমী। রচনার ভেতর সংশ্লিষ্টতা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত, কোটেশন, চিত্র, ম্যাপ, গ্রাফ, পাই-চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারলে ভালো নম্বর পাবেন। আর যদি ইংরেজি ভাষায় আপনার ভালো কমান্ড থাকে, তাহলে রচনার ৩টি অপশন হতে আনকমন রচনাটি উত্তর করা হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।
That's all for today. Always try to realize your potentials and boost your imagination.
Best wishes.
Saiful Huda Nazat
Assistant Commissioner & Executive Magistrate
(37 BCS)