কণা নিয়ে কথা
••••••••••••••••••
কণাটা কী- বলতে পারি আমরা? কণা হলো- মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ। এই ক্ষুদ্রতম অংশ কণা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এই কণাকে রাসায়নিকভাবে পরমাণু বা এটম বলে।
পরমাণু / এটম
পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ‘পরমাণু বা এটম’ নামকরণ করেন ডেমোক্রিটাস। ‘এটম’ শব্দের অর্থ অখণ্ডনীয়, যা আর ভাগ করা যায় না। ব্রিটিশ স্কুলশিক্ষক জন ডাল্টন ১৮০৩ সালে পরমাণু সম্পর্কে ধারণা দেন- পরমাণুকে আর ভাঙ্গা যায় না। এটাই পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা।
তবে পরবর্তীতে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড গবেষণায় এটম বা পরমাণুকে আরো ভেঙ্গে বিভিন্ন মৌলিক কণা- ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন ইত্যাদি-র অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
পরমাণুর কেন্দ্র হচ্ছে নিউক্লিয়াস। পরমাণু সবসময় চার্জ নিরপেক্ষ। পরমাণুর ওজন ও আয়তন উভয়ই আছে। যেমন- মৌলিক পদার্থ হাইড্রোজেন (H2)। এর ক্ষুদ্রতম অংশ হচ্ছে হাইড্রোজেন পরমাণু (H)।
অণু
অণু মৌলিক বা যৌগিক উভয় পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যা ঐ বস্তুর ধর্মাবলি অক্ষুণ্ণ রেখে স্বাধীনভাবে অবস্থান করতে পারে। অণু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না। বিজ্ঞানী অ্যাভোগ্যাড্রো অণু’র ধারণা প্রদান করেন। যেমন- মৌলিক পদার্থ অক্সিজেন-এর ক্ষুদ্রতম অংশ (যা স্বাধীনভাবে অবস্থান করে) হচ্ছে অক্সিজেন অণু O2। পানির অণু H2O । পানি একটি যৌগিক পদার্থ।
মনে রাখতে হবে
অণু ও পরমাণুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- উভয়ই ক্ষুদ্রতম কণা তবে অণু স্বাধীনভাবে বিরাজ করতে পারে, কিন্তু পরমাণু তা পারে না।