বিসিএসের সাধারণ যেকোনো পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটু ধের্য নিয়ে পড়ুন। আজকের বিষয়- রাষ্ট্রবিজ্ঞান। বিসিএস ও কলেজ নিবন্ধন পরীক্ষার ভাইভা
------------------------------------------------------------------
>[ ভাইভা পরীক্ষার জন্য একটি কাল্পনিক ও পূর্ণাঙ্গ ভবিষ্যৎ ভাইভা পরীক্ষা ]
* প্রার্থী: আমি কি ভিতরে আসতে পারি স্যার/ম্যাডাম?
স্যার: হে, আসুন।
প্রার্থী: আসসালামু আলাইকুম।
স্যার: ওয়ালাইকুম সালাম। বসুন।
প্রার্থী : ধন্যবাদ স্যার।
স্যার: আপনার নাম তো ' শফিউল ইসলাম'?
প্রার্থী : জ্বি স্যার।
স্যার: আচ্ছা, বলুন তো আপনার নামের সাথে প্রায় মিলে যায় এমন কেউ কি মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ছিলো?
প্রার্থী: জ্বি, মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ।
স্যার: গুড। তাহলে উনি কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন?
প্রার্থী : ৩নং সেক্টর।
স্যার: আপনার জন্মস্থান তো দেখছি ঢাকায়। আচ্ছা বলুন তো ঢাকা কত নং সেক্টরে ছিলো?
প্রার্থী: ২নং সেক্টরে ছিলো।
স্যারঃ মশা মারতে কামান দাগা! সাম্প্রতিক সময়ে এই কথার তাৎপর্য ও বাস্তবতা অতি সংক্ষেপে তুলে ধরুন।
প্রার্থীঃ আসলে স্যার বর্তমানে এডিস মশার উপদ্রবে ডেঙ্গু জ্বরের যে প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, তা দমনে কামান দাগার মতোনই আওয়াজ তুলতে হবে। সম্প্রতি ২০ আগস্ট, ২০১৯ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এই প্রথম আমাদের দেশেও 'বিশ্ব মশা দিবস' পালিত হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্ক নয়; চাই সম্মিলিত প্রতিরোধ। যদি চাই সুস্থ জীবন, সদা চলুক মশা নিধন। আর এই মশা নিধনে শুধু কামানই নয় বরং প্রয়োজনে এরচেয়েও বড় কিছু ব্যবহার করার মতো যন্ত্র থাকলে সেটাই আমাদের আশু ব্যবহার করতে হবে।
স্যার: very good. I see, you studied at DU. Now can you tell me plz, what's the contribution of DU during the Liberation War in 1971?
প্রার্থী : The contribution of DU is undoubtedly beggars description, such as it is regarded as the source of freedom of speech, freedom of thought, democracy & human rights . No others universities in this world can be compared to the DU which containing a vital role in the beginning of a nation & building up a state.
স্যার: হুম। আচ্ছা আপনি তো রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়েছেন। এই রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর চারজন বাবা রয়েছেন। তারা কারা জানেনকি?
প্রার্থী : জ্বি, সক্রেটিস> প্লেটো > এরিস্টটল > আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট
স্যারঃ রুশোর 'General Will' নিয়ে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখুন।
প্রার্থী: রুশো 'সোসাল কন্ট্রাক্ট ' গ্রন্থে 'সাধারণ ইচ্ছা ' বলতে মূলত দীর্ঘস্থায়ী, টিকসই ও জনকল্যাণমূলক ইচ্ছাকে বুঝিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, প্রাচীন গ্রীসে 'কর্কিরা' ও 'করিন্থ' নামক দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হলে যুদ্ধে করিন্থ পরাজয় বরণ করে। কর্কিরা সৈন্যরা করিন্থে এক খণ্ড স্বর্ণের টুকরা পায়। এরা যেহেতু নিজেদের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছে সুতরাং এটা তাদের জন্য ব্যবহার করার দাবী সবচেয়ে অগ্রগণ্য। তবে বাঁধ সাজে দেশের জনগণ। তারা বলে সৈন্যরা যেহেতু তাদের অর্থে পরিচালিত হয় সুতরাং এই স্বর্ণ খণ্ডের প্রকৃত হকদার তারাই। অন্য এক পক্ষ, বলে উঠে যে, এটা কাউকেই দেওয়ার দরকার নেই বরং এর বিক্রিত অর্থ দিয়ে একটা রণতরী কেনা হোক; যাতে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো জোরদার হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো যুদ্ধ বাঁধলে দেশের সৈন্য ও জনগণের কম ক্ষতি হয়। রুশো এখানে ১ম মতকে অর্থাৎ সৈন্যদেরকে দাবীকে Minority will, ২য় মতকে অর্থাৎ জনগণের দাবীকে Majority will এবং সর্বশেষ মত তথা ৩য় পক্ষের দাবীকে General will বলে গণ্য করেছেন। তাঁকে গণ-সার্বভৌমত্বের উদগাতা বলা হয়। তিনি আরো বলেন- "Man is born free, but everywhere he is in chains. "
স্যার: আপনার রেজাল্ট তো ভারী চমৎকার। কিন্তু রেজাল্টই কি একজন ভালো টিচারের যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি?
প্রার্থী : রেজাল্টই একজন টিচারের একমাত্র মাপকাঠি হওয়া উচিত নয়। কারন আমি আমার লেখাপড়ার জীবনে দেখেছি, যাঁরা একাডেমিকভাবে ভালো রেজাল্টধারী তাঁরা অনেকেই ক্লাসে ভালো পড়াতে পারতেন না ; আবার অনেকেই ভালো পড়াতেন যদিও তাঁদের রেজাল্ট ভালো ছিলো না। আসলে মেধা ও অন্যকে বুঝানোর ক্ষমতার কলাকৌশলসমূহের সমন্বয়সাধন হলেই একজন টিচার হিসেবে তাঁর সার্থকতা ফুটে উঠে।
স্যার: বর্তমান সরকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সফলতাগুলো কি কি?
প্রার্থী : এই সরকারের ১ম মেয়াদের উল্লেখযোগ্য সফলতাগুলোর মধ্যে রয়েছে- মায়ানমারের সাথে সমুদ্রজয়, ভারতের সাথে সমুদ্রজয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন প্রভৃতি আর ২য় মেয়াদের উল্লেখযোগ্য সফলতাগুলোর মধ্যে রয়েছে - ভারতের সাথে ছিটমহল সমস্যা দূরীকরণ, বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নতকরণ, মেট্রোরেল প্রকল্প, দেশীয় অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়ে নেওয়া প্রভৃতি।
# স্যার (০১) এখন পাশে বসা অন্য একজন স্যারকে আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করার জন্য বললেন*
স্যার (০২): আপনি বর্তমান বিশ্বের কিছু প্রধান প্রধান সমস্যার কথা বলুন আর পাশাপাশি বাংলাদেশের কিছু আগামীর চ্যালেঞ্জ বলুন।
প্রার্থী : বিশ্বের অন্যতম সমস্যাগুলো হলো- চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট ইস্যু, ফিলিস্তিন সংকট, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, ইয়েমেন সংকট, কাশ্মীর সংকট, কোরিয় সংকট, কাতার-সৌদিআরব দ্বন্দ্ব, ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক বাকবিতণ্ডা প্রভৃতি। আর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে - রোহিঙ্গা সংকট, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণ, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, ভারতের সাথে পানি বণ্টন, কোটার যৌক্তিক সংস্কার বা সমাধান, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতির মূলোৎপাটন, বেকারত্ব দূরীকরণ প্রভৃতি।
স্যার (০২): আচ্ছা আপনি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল নিয়ে কিছু বলুন।
প্রার্থী : মূলত এই যুদ্ধের সূচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৮ সালে তিনি চীনা পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন এবং পরবর্তীতে তা কার্যকরও করেন। নতুন করে আরো চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। ফলে চীনও পাল্টা প্রতিশোধ নিতে আমেরিকা খনিজ পণ্য রপ্তানি বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের অন্যতম দুটি কারণ হলো- চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের অসম বিনিময় হার। এই দু'দেশের বাণিজ্যে চীনকে মূলত 'নিট রপ্তানিকারক' এবং যুক্তরাষ্ট্রকে 'নিট আমদানিকারক' দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে বর্তমানে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি দৃশ্যমান হলেও দীর্ঘকালীন এভাবে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের ক্ষতিই বেশি হবে। চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব কম-বেশি সারা বিশ্বেই পড়বে। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয়ের দিকই রয়েছে। তবে এর প্রভাবে যে, সারা বিশ্বে পণ্যমূল্যের দাম বেড়ে যাবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
স্যার (০২): ফিলিস্তিন সংকট কাটিয়ে উঠতে সম্প্রতি প্রকাশিত ' ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি 'র ভূমিকা কতটুকু বাস্তবসম্ভবত?
প্রার্থী : বেলফোর ঘোষণা'১৯১৭ এর ভিত্তিতে ১৯৪৮সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সহায়তায় অবৈধভাবে 'ইসরায়েল ' নামক এক তথাকথিত রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এনিয়ে এযাবৎ চারবার আরব-ইসারায়েল যুদ্ধ হয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ফিলিস্তিনের সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হলেও ইসরায়েলের অবৈধ দখলনীতি ও দমননীতির কারনে তা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। অতি সম্প্রতি ২০১৯ সালের জুনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যা তিনি 'Deal of the Century ' বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। এই চুক্তির বিভিন্ন দিকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন নামে কোনো দেশই থাকবে না। এর নতুন নাম হবে ' নিউ প্যালেস্টাইন'। চুক্তিতে ফিলিস্তিননির নেতৃত্ব বা জনগণের সম্মতি বা সংলাপের কোনো অবকাশ রাখা হয়নি। এর সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক থাকবে ইসরায়েল। নিউ প্যালেস্টাইনের কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না। ফলে বিদেশি আগ্রাসন রক্ষায় সহযোগিতার জন্যে ইসরায়েলকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এই চুক্তির আর একটি ভয়াবহ দিক হলো- চুক্তি না মানলে প্রয়োজনে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি নেতাদের হত্যা করতে পারবে এবং ইসরায়েলের সকল প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। যাইহোক, স্বাভাবিকভাবেই ফিলিস্তিন এই চুক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্যার (০২): তাহলে কি ফিলিস্তিনের সংকট উত্তরণের কোনো শান্তিপূর্ণ রাস্তা খোলা নেই?
প্রার্থী : জ্বি অবশ্যই রয়েছে।
স্যার (০২): যেমন-
প্রার্থী : ডোনাল্ড ট্রাম্প 'ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি'র মতো একটি অবাস্তব চুক্তির কথা বললেও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৬৭সালে তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পূর্বের সীমানা বরাবর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হতে হবে। এই প্রস্তাবে আরব জাতিগুলো, এমনকি ফিলিস্তিনও মেনে নেয়।
স্যার (০২): একটা বিষয় ক্লিয়ার করেন তো, ইসরাইলের সাথে সৌদির এতো সখ্যতার মূল কারণ কি?
প্রার্থী: মূলত দুটি কারণ। ১মত, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদির দহরম মহরম আর ২য়ত, ইরানের সাথে ইসরাইলের বৈরিতা। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটা কথা আছে- 'আপনার শত্রুর শত্রু আপনার বন্ধু।' অর্থাৎ আমরা যদি এই নীতিটা মধ্যপ্রাচ্যে প্রয়োগ করি তাহলে দেখবো, সৌদির সাথে ইরানের বিভিন্ন ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মনস্তাত্ত্বিক মতবিরোধ রয়েছে, অপরদিকে ইরানের সাথে ইসরাইলের শত্রুতা রয়েছে ;ফলে স্বাভাবিকভাবেই সৌদি ও ইসরাইলের মধ্যে এক ঊষ্ণ বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কারণ তাদের উভয়ের অভিন্ন উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বলয় হ্রাস/দূর করা। এসব সম্পর্কগুলোতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ছাড়াও আঞ্চলিক রাজনীতি, কূটনীতি, ধর্মনীতি,অর্থনীতি, ব্যবসায়িক স্বার্থ, সামরিকনীতি প্রভৃতি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
স্যার (০২): ব্রেক্সিট ইস্যুতে এপর্যন্ত কতজন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন?
প্রার্থীঃ দুজন। ডেভিড ক্যামেরন ও থেরেসা মে।
স্যার(০২): আচ্ছা আপনি বলুন তো, কোনটি আগে দরকার - গণতন্ত্র নাকি উন্নয়ন?
প্রার্থী : আসলে একটি রাষ্ট্রের সুষম অবস্থা বিদ্যমান রাখার জন্য উভয়েই সমভাবে প্রয়োজন। কারন শরীরের বৃদ্ধির পাশাপাশি মনেরও উন্নতির দরকার রয়েছে।
স্যার(০২): আপনি কি এমন কোনো তিনটি দেশের নাম বলতে পারবেন, যারা আগে গণতন্ত্রে সমৃদ্ধ হয়ে পরে উন্নয়ন করেছে আবার এর বিপরীতটাও; অর্থাৎ আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র।
প্রার্থী : জ্বি, পৃথিবীর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের দেশগুলো যথা- আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন ও নরওয়ে এসব দেশগুলোতে গণতন্ত্র আগে উন্নত হয়েছে আর উন্নয়ন হয়েছে পরে। তবে আবার এমন কিছু দেশ রয়েছে ;যারা আগে উন্নয়ন সাধন করেছে এবং পরে গণতন্ত্রে উন্নতি করেছে। যেমন- জাপান, দঃ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি।
স্যার (০২): আপনি চীনের কথা কেন বললেন না? যারা প্রায় সবদিক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে!
প্রার্থী: স্যার চীনকে বুঝতে হলে! সরি স্যার, আমি ভুল বুঝে থাকলে আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইলো ; আসলে চীনের গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গতানুগতিক গণতান্ত্রিক তত্ত্বের বাইরে গিয়ে বিবেচনা করতে হবে। কারণ এখানে ১৯৪৯ সালে 'কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না 'নামে যে রাজনৈতিক দলটি ক্ষমতায় এসেছিলো তারা আজও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিদ্যমান। সাংবিধানিকভাবেও সেখানে উক্ত দলের বাইরে ভিন্ন দল গঠনের বিভিন্ন বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। তাই বলা যায়- চীন হয়তো এখন উন্নয়নের মহাসড়কে পরিভ্রমণরত তবে তার গণতন্ত্র এখনো সুদূর আকাশের তারার মতোই যোজন যোজন দূরেই রয়ে গেছে নতুবা পৃথিবী থেকে বহুদূরে অবস্থিত নক্ষত্রের মিটমিট ক্ষীণ আলোর প্রজ্বলনমাত্র।
স্যার(০২): very smart answer. আচ্ছা বলুন তো, সিরিয়া সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় কি?
প্রার্থী : সদিচ্ছা।
স্যার: যেমন
প্রার্থী : বিশ্বের পরাশক্তি বা মোড়ল রাষ্ট্র বলতে আমরা যেসব দেশকে বুঝি তাদের মধ্যে যদি সংকট সমাধানের সৎ ইচ্ছে/অভিপ্রায় থাকে তাহলে এটা অচিরেই সমাধান করা সম্ভব। তবে সেই আন্তরিকতা এখন পর্যন্ত একটুও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে আপাতত সিরিয়া সংকট সমাধানের কোনো সম্ভাবনাই দেখছি না।
স্যার(০২): ভারত প্রায়ই অভিযোগ করে তার অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতার জন্য পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বিশেষ করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দায়ী। আপনি কি সত্যই মনে করেন, বাংলাদেশের মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো ভারতের জন্য হুমকিস্বরুপ?
প্রার্থী : আগে আমাদেরকে জানতে হবে মৌলবাদী গোষ্ঠী কি? প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই মৌলবাদী। সুতরাং এটা নিয়ে আমাদের কারো দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই ; কেননা- আমরা সবাই কোনো না কোনো আদর্শে বা মতবাদে বিশ্বাসী। তবে হা, কথাটি মৌলবাদী না হয়ে উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদী বা জঙ্গীবাদী বলা যেতে পারে। তাহলে আমি বলবো, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান নয় বরং ভারত নিজেই নিজের জন্য চরম হুমকি; পাশাপাশি আমাদের জন্যও। বেশিদূর যাবো না, বর্তমানে বিজেপির নেতৃত্বে ভারতে যে সরকার রয়েছে তার অন্যতম শরীকদল হলো 'শিবসেনা' যাদের মূলমন্ত্রই হলো ভারত থেকে মুসলিম তাড়াও । ভারতের প্রায় প্রত্যেকটি জাতিগত দাঙ্গায় এই শিবসেনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। বাহ্যিকভাবে শিবসেনা মূলত মুসলিম বিদ্বেষী মনে হলেও তারা হিন্দুস্তানে কেবল হিন্দুদেরকেই দেখতে চায় ফলে তারা শুধু মুসলমানদের জন্যই নয় অন্যান্য ধর্মের মানুষদের জন্যও চরম বিপদজনক। তাছাড়া ভারতের কাশ্মীর সংকট ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে দীর্ঘকাল ধরে স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, মাওবাদী আন্দোলন বা বিভিন্ন আঞ্চলিক মতবিরোধ লেগেই আছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ অনুযায়ী কাশ্মীর পাকিস্তানের অন্তভুর্ক্ত হওয়ার কথা থাকলেও ভারত তা একরকম জবরদস্তিভাবেই দখল করে আছে। এখন কাশ্মীরের জনগণ পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন করলে সেটাকে দেশদ্রোহী বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, ফিলিস্তিনে যখন মানবাধিকার লঙ্খিত হওয়ার দরুণ কেউ অস্ত্র হাতে তুলে নেয় তাকে জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করা হয় অথচ এসব জায়গায় যারা মানবতার বাণীকে কবর দিচ্ছে তাদের নামেই উল্টা প্রশংসার ফুলছুঁড়ি গাওয়া হচ্ছে। ধিক, মানবতার গ্লানি। কয়েকদিন আগে, বিজেপির এক কংগ্রেস সদস্য বলেছিলেন- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকে জন্ম দেয়াই নাকি ওনাদের বড় ভুল হয়েছে। আমরা বলবো- বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র হওয়ার জন্য আপনেরা বেঁচে গেছেন এবং বেঁচে আছেন। নইলে শান্তিতে এতোটা ঘুমাইতে পারতেন না বরং না ঘুমিয়ে থাকতে থাকতে ইতিমধ্যে পরপারে পাড়ি জমাইতেন। ১৯৭১ সালে আমাদের যেমন ভারতের সাহায্যের প্রয়োজন ছিলো ঠিক তেমনি আঞ্চলিকক্ষেত্রে প্রভাববিস্তারের জন্য চিরশত্রু পাকিস্তানকে ভাঙ্গাটাও ভারতের প্রয়োজন ছিলো। শুধুমাত্র আমাদের প্রয়োজনে ভারত কখনোই এগিয়ে আসেনি এবং এখনো নয়। তবে আমাদের রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মূলকথা হলো- 'কারো সাথে বৈরিতা নয়, সকলের সাথেই বন্ধুত্ব।' সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদ সকলের জন্যই হুমকি। সুতরাং পরস্পরকে কোনো দোষারোপ নয় বরং মুরুব্বিয়ানা মনোভাব পরিহার করে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতাই আমাদের সকলের অস্তিত্ব এবং বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরো প্রসারিত ও সুদৃঢ় করতে পারে।
স্যার(০২): Fine. Can you tell me, what will be the democracy of BD coming days? Explain me with proofs.
প্রার্থী : it's very excellent.
স্যার(০২): How?
প্রার্থী : plz let me finish . According to Article 7(A) - No body/one come into governing with force not elected, if one wishes it without election / mandating of people ; it/they will be faced towards supreme punishment.
# স্যার(০২) এর প্রশ্ন টেনে নিয়ে স্যার(০১)*
স্যার: আপনি কি এখানে বসে থাকা সবাইকে আওয়ামীলীগ মনে করেন?
প্রার্থী : না স্যার। plz don't mind. আমি এখানে সবাইকে বিএনপি বা বিরোধীদলেরও ভাবতে পারি না।
স্যার: আপনি কাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক মনে করেন এবং কেন? এক্ষেত্রে আপনার বিস্তারিত মতামত আশা করি।
প্রার্থী : অবশ্যই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা, রাজনীতির কবি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ হতে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার ডাকটি পাঠের পর আমাদের মাঝে যে এক উদ্বুদ্ধকরণ গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিলো এটা কিন্তু কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। একজন লিডার হিসেবে বঙ্গবন্ধু অবশ্যই সুপ্রিম তবে একজন সৈনিক হিসেবে জিয়াউর রহমানও কোনো অংশে কম নন। কারণ আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, উনি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন সেক্টর কমান্ডার ও জেট ফোর্সের প্রধান ছিলেন। সর্বোপরি 'বীরউত্তম ' উপাধি পাওয়া একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আসলে আমাদের দেশের জন্য অতি আওয়ামীলীগপন্থী ও অতি বিএনপিপন্থী উভয়টাই ক্ষতিকর; যার জন্য আমরা আমাদের দেশের সঠিক ইতিহাসটা সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে মাঝেমধ্যে কঠিনতর হয়ে পড়ে। একপক্ষ যেমন বঙ্গবন্ধুর জায়গায় জিয়াউর রহমানকে বসানোর পাঁয়তারা করছে আবার আরেকপক্ষ জিয়াউর রহমানের মতো একজন মহান মুক্তিযোদ্ধাকে স্বীকারই করেন না। প্রকৃতপক্ষে বড় দুই দলের কাদা ছুড়াছুঁড়িতে আজও আমরা আমাদের দেশের ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হচ্ছি। গ্রাম্য ভাষায় একটা কথা বলে- "পাডা ফোতার ঘষাঘষিতে মরিচের জান শেষ।"
স্যার: হাহাহা.... এর মানে কি?
প্রার্থী: এর মানে হলো স্যার- বড় দুই দলের রেষারেষিতে আমাদের সাধারণ জনগণের জীবন যায় যায় অবস্থা! অনেকটা এরকম - রাজায় রাজায় লড়াই, আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ আশা করি, সবাই প্রকৃত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একতাবদ্ধ হলে অর্থাৎ 'ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে দেশ বড় ' এই নীতিতে প্রলুব্ধ হলে আমাদের দেশ আরো দ্রুত উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
স্যার: আপনার কথায় শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে যেসব উপাধি /খ্যাতি ফুটে উঠেছে সেগুলোর তারিখসহ বলুন।
প্রার্থী : শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু উপাধি পান- ১৯৬৯সালে, জাতিরপিতা উপাধি পান-১৯৭১সালে, রাজনীতির কবি খ্যাতি পান-১৯৭১ সালেই আর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি খেতাব লাভ করেন ২০০৪ সালে।
স্যার: বঙ্গবন্ধু নিয়ে কিছু ছন্দ/ কবিতা বলতে পারবেন?
প্রার্থী : একটু চেষ্টা করি-
" তুমি জন্ম নিয়েছিলে বলে
জন্ম নিয়েছে এই দেশ।
বঙ্গবন্ধু তোমার আরেক নাম
স্বাধীন বাংলাদেশ।"
স্যার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার একটি গান রয়েছে। যদি শুনতে চান একটু শোনাতে পারি।
স্যার: সত্যি! ওকে, একটু শোনানতো শুনি।
প্রার্থীঃ চোখের জলেতে মনের খাতায়
লিখে দিলাম একটি নাম....
তুমি জাতিরপিতা, বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবুর রহমান।
আকাশের নীলে, সাগরের জলে
এঁকে দিলাম একটি নাম.....
তুমি জাতিরপিতা, বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবুর রহমান।
নদীর স্রোত ঝর্ণা ধারায়, ছন্দ ছড়ায়
যে-ই নাম......
তুমি জাতিরপিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তুমি জাতিরপিতা,বিশ্ববন্ধু, শেখ মুজিবুর রহমান।
স্যার: খুব ভালো লাগলো। বঙ্গবন্ধুর 'জাতিরপিতা ' খেতাব নিয়ে আপনার নিজস্ব কোনো অভিমত অাছে কি?
প্রার্থী : স্যার এবিষয়ে আমি শুধু এতোটুকু বলবো- বঙ্গবন্ধুকে শুধুমাত্র স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে বাঙালি জাতির 'জাতিরপিতা ' বলা হয়। কারণ আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের জাতিরপিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ) আর আমরা বাঙালি হিসেবে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে আমাদের জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু। এখানে অনেকেই ধর্মকে অপব্যবহার করছে অথচ মুসলিম বিশ্বসহ পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই তাদের নিজস্ব একজন করে জাতিরপিতা রয়েছেন। কারন 'মুসলমান ' ও 'বাঙালি ' দুটো ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটা নিয়ে রাজনীতির নামে পেটনীতি/চালনীতির কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
# স্যার (০১) এখন স্যার (০৩) কে দেখিয়ে বলছে আপনি কিছু জিজ্ঞেস করুন।*
স্যার(০৩): আপনিতো দেখছি, রাজনীতির বিষয়ে খুব ভালো খোঁজখবরই রাখেন! ওকে, আমাকে বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে কিছু বলুন।
প্রার্থী: হাহাহা... আসলে আমি ছাত্রজীবনে কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না এবং এখনো আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নই। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর একজন ছাত্র হিসেবে আমি বলবো - আমরা কেউই রাজনীতির বাইরে নই।
স্যার: আমার প্রশ্নের জবাব দিন।
প্রার্থী : জ্বি স্যার। আসলে কারো মামলার বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে আমাদের কারোরই দ্বিমত, সমালোচনা বা মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে এক্ষেত্রে আমি রাষ্ট্রযন্ত্রকে একটা কথা বলতে চাই- আমাদের সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী -" আইনের চেখে সবাই সমান।" যদি তাই হয় তাহলে রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্বত্রই আইনের শাসন সমভাবে প্রযোজ্য।
স্যার (০৩): সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক বাতিল হয়ে যাওয়াটা আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন?
প্রার্থী: স্যার, আপনি আমাকে এখন যে প্রশ্নটা করছেন তা দুভাবেই ভাবা যায়।
স্যার (০৩): যেমন-
প্রার্থী : আপনি যদি সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদ ধারণ করেন যেখানে বলা হয়েছে - 'জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।' সেক্ষেত্রে আমি বলবো, সংবিধানের ১৬ তম সংশোধনী ঠিকই ছিলো অর্থাৎ জাতীয় সংসদের হাতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবার আপনি যদি সংবিধানের ২২নং অনুচ্ছেদ ধারণ করেন তাহলে বলবো- সুশাসনের অন্যতম উপাদান হিসেবে স্বাধীন বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সাম্প্রতিক কালে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক বাতিল হয়ে যাওয়া বিস্ময়কর কিছু নয়। এটা আসলে আমাদের শুধু উপলব্ধির বিষয়ই নয়; অনুধাবনের বিষয়ও বটে। তবে আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর একজন ছাত্র হিসেবে মনে করি, সরকারের তিনটি অঙ্গের মধ্যে (আইনবিভাগ, শাসনবিভাগ ও বিচারবিভাগ) Separation of power or decenralization of power অর্থাৎ ক্ষমতার check and balance এর বড় ঘাটতি ও চরম সমন্বয়হীনতা রয়েছে।
স্যার(০৩): রোহিঙ্গা সংকট দূরীকরণে আপনার একটা পরামর্শ বলুন।
প্রার্থী: আমাদের প্রতিবেশী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর সাথে শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গড়ে তোলার পাশাপাশি বারবার পতাকা বৈঠক নামে নিজেদের ভাবমূর্তি ধূলিসাৎ করে দুর্বলতার পরিচায়ক আচরণ পরিহার করতে হবে।
# এবার স্যার (০১)*
স্যার: আপনাকে আমি লাস্ট একটা প্রশ্ন করবো।
প্রার্থী : জ্বি করুন।
স্যার: বাংলাদেশকে কোন দেশ সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ স্বীকৃতি দিয়েছিলো?
প্রার্থী : ভুটান বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়। তবে চীন বাংলাদেশকে সর্বশেষ স্বীকৃতি দিয়েছিলো।
স্যার: ok, you may go now.
প্রার্থী : Thanks a lot to all. Asslamu alaikum.
# মোঃ দেলোয়ার হোসেন
প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ডেমরা কলেজ, ডেমরা বাজার
ঢাকা-১৩৬০।
**** বিশেষ দ্রষ্টব্যঃপরীক্ষার্থীদের বিশেষ প্রয়োজন মনে করে এটি দীর্ঘায়িত করেছি তবে ভাইভা পরীক্ষা সাধারণত এতো দীর্ঘ হয় না। উক্ত আলোচনাটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এতে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না এবং অনুগ্রহপূর্বক আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না। একজন সাধারণ পরীক্ষার্থীর কাল্পনিক ভাইভা হিসেবে আশা করি, ভুলত্রুটি হলেও সবাই আমার উক্ত ভাইভা পরীক্ষাটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ মানুষ মাত্রই ভুল হয়। ধন্যবাদ সবাইকে।