Pages

বিসিএস প্রস্তুতি ।। BCS Preparation - Episode Two

বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ

১। বর্তমান ঢাকা প্রাচীন কালে কোন জনপদের অন্তর্গত ছিল?

ক) সমতট
খ) পুণ্ড্র
গ) বঙ্গ
ঘ) হরিকেল

উত্তর:- গ) বঙ্গ

ব্যাখা :-  ফরিদপুর,  বরিশাল,  পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি, পাবনা,  ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিমাঞ্চল,  ঢাকা,  ফরিদপুর  ,  কুষ্টিয়া " বঙ্গ " নামে পরিচিত। 

সমতট:- কুমিল্লা ও নোয়াখালী।

পুন্ড্র :- বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলা।

হরিকেল:- সিলেট ( শ্রীহট্ট) ও চট্টগ্রামের অর্শ বিশেষ।

২।আর্যদের ধর্ম গ্রন্থের নাম কি ছিল ?

ক) পুরান
খ) বেদ
গ) গীতা
ঘ) রামায়ন

উত্তর:- খ) বেদ

ব্যাখা:-আর্যরা এদেশে এসেছে ইরানের ইউরাল পর্বতের দক্ষিণের তৃণভূমি অঞ্চল হতে। এদের ধর্ম সনাতন এবং ধর্মগ্রন্থ ছিল বেদ।

৩। মৌর্য বংশ প্রতিষ্টা করেন কে?

ক) অশোক
খ) লক্ষণ সেন
গ) চন্দ্রগুপ্ত
ঘ) শশাংক

উত্তর:- গ) চন্দ্রগুপ্ত

ব্যাখা :- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য খ্রিষ্টপূর্ব ৩২১ অব্দে ভারতে মৌর্য বংশ প্রতিষ্টা করেন। সম্রাট অশোক মৌর্য বংশের সম্রাট যিনি কলিঙ্গের যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেন।

৪। "কর্ণসুবর্ণ " রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্টা করেন কে?

ক) শশাঙ্ক
খ) চন্দ্রগুপ্ত
গ) হেমন্ত সেন
ঘ) অশোক

উত্তর:- ক) শশাঙ্ক

ব্যাখা:- সর্বপ্রথম বাঙালী রাজা শশাঙ্ক  যিনি বাংলার জনপদগুলোকে গৌড় নামে একত্রিত করেন এবং রাজধানী করেন কর্ণসুবর্ণ।

৫। "পৌন্দ্রিক " শব্দের অর্থ কি?

ক) আখ
খ) পেয়ারা
গ) আনারস
ঘ) যব

উত্তর:- ক) আখ

ব্যাখা :-" পৌন্দ্রিক " শব্দের অর্থ আখ বা চিনি।  " পৌন্দ্রিক " শব্দ থেকে পুন্ড্রবর্ধন  নামের উৎপত্তি।

৬। প্রাচীন বাংলায় কতটি রাজ্য ছিলো?

ক) ২ টি
খ) ৩ টি
গ) ৪ টি
ঘ) ৫ টি

উত্তর:- ক) ২ টি

ব্যাখা:- প্রাচীন বাংলার রাজ্য ছিলো দুইটি - ১.  স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য এবং ২. স্বাধীন  গৌড় রাজ্য।

৭। সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ কোনটি? 

ক) গৌড়
খ) বঙ্গ
গ) তাম্র
ঘ) পুন্ড

উত্তর:- ঘ) পুন্ড্র

ব্যাখা :- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য  খ্রিষ্টপূর্ব  ৩২১ অব্দে পুন্ড্রনগরে মৌর্যবংশ প্রতিষ্টা করেন।  পুন্ড্রবর্ধন নামে সে আমলে পরিচিত এলাকাটির বর্তমান নাম মহাস্থানগড়।

৮।" বঙ্গ " নামের উল্লেখ পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে?

ক) ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে
খ) বাঙালীর ইতিহাস গ্রন্থে
গ) চর্যাপদে
ঘ) কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ গ্রন্থে

উত্তর:- ক) ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে

ব্যাখা:- সর্বপ্রথম "বঙ্গ " দেশের  উল্লেখ পাওয়া যায়  খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে।  এবং বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগদের লেখা " ঐতরেয় আরণ্যক " গ্রন্থের( ২-১-১)  শ্লোকে।

৯। " ফা - হিয়েন " কার আমলে বাংলায় আসেন?

ক) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
খ) দিত্বীয় চন্দ্রগুপ্ত
গ) অশোক
ঘ) শশাংক

উত্তর:- খ) দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

ব্যাখা :- সর্বপ্রথম চীনা পরিব্রাজক " ফা- হিয়েন " ৩৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারতবর্ষে আগমন করেন।  তার আগমনের সময় বাংলার রাজা ছিলেন " দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত "।

১০। বাংলা নামের উৎপত্তি সম্বন্ধীয় উল্লেখ  পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে?

ক) চর্যাপদে
খ) আকবরনামায়
গ) তুজুক- ই - আকবর
ঘ) আইন - ই আকবরী

উত্তর:- ঘ) আইন - ই - আকবরী

ব্যাখা:- আবুল ফজলের লেখা "  আইন - ই - আকবরী " গ্রন্থে  সর্বপ্রথম বাংলা নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে উল্লেখ করা হয়।  ঋগদের লেখা "  ঐতরেয় আরণ্যক " এর শ্লোক (২-১-১) এ বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।

                        লেকচার - ২

১। স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন কে?

ক) হর্ষবর্ধন
খ) রাজ্যবর্ধন
গ) ধর্মপাল
ঘ) শশাংক

উত্তর:- ঘ) শশাংক

ব্যাখা :-
গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর ছয় শতকে ‘পরবর্তী গুপ্ত বংশ’ বলে পরিচিত গুপ্ত উপাধিধারী রাজাগণ উত্তর বাংলা, পশ্চিম বাংলার উত্তরাংশ ও মগধে ক্ষমতা বিস্তার করেছিলেন। ছয় শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলই গৌড় জনপদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মৌখরী ও পরবর্তী গুপ্তবংশীয় রাজাদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ বছর পুরুষানুক্রমিক সংঘর্ষ এবং উত্তর থেকে তিব্বতীয় ও দাক্ষিণাত্য থেকে চালুক্যরাজগণের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে বাংলায় গুপ্তবংশীয় রাজাগণ দুর্বল হয়ে পড়েন। এ অবস্থার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে শশাংক নামে জনৈক সামন্ত সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে গৌড় অঞ্চলে ক্ষমতা দখন করেন এবং স্বাধীন গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।

২। শশাংক কোন ধর্মের উপাসক ছিলেন?

ক) শৈব
খ) বৈদিক
গ) বৌদ্ধ
ঘ) কোনটি নয়

উত্তর:- ক)  শৈব

ব্যাখা:-

শশাংক শৈব ধর্মের উপাসক ছিলেন। হিউয়েন-সাং তাঁকে বৌদ্ধ ধর্ম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে তেমন কোনো জোরালো প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি। সাত শতকে বাংলার ইতিহাসে শশাংক একটি বিশিষ্ট নাম। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে তিনিই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সার্বভৌম শাসক।

৩। "মাৎসান্যায় " যুগ কত বছর চলে?

ক) ৫০ বছর
খ) ১০০ বছর
গ) ১৫০ বছর
ঘ) ২০০ বছর

উত্তর:- খ) ১০০ বছর

ব্যাখা :- শশাংকের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে এক দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকারময় যুগের সূচনা হয়। দীর্ঘদিন বাংলায় কোন যোগ্য শাসক ছিলেন না। ফলে, রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা দেখা দেয়। একদিকে হর্ষবর্ধন ও ভাস্করবর্মণের হাতে গৌড় রাজ্য ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়, অন্যদিকে ভূ-স্বামীরা প্রত্যেকেই বাংলার রাজা হওয়ার কল্পনায় একে অন্যের সাথে সংঘাতে মেতে উঠে। কেন্দ্রীয় শাসন শক্ত হাতে ধরার মতো তখন কেউ ছিলেন না। এ অরাজকতার সময়কালকে পাল তাম্রশাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘মাৎসান্যায়’ বলে। পুকুরে বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলে ‘মাৎসান্যায়’। বাংলার সবল অধিপতিরা এমনি করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোকে গ্রাস করছিল। এ অরাজকতার যুগ চলে একশত বছরব্যাপী। আট শতকের মাঝমাঝি এ অরাজকতার অবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থানের মধ্য দিয়ে।

৪।  গোপাল কিভাবে রাজপদে নির্বাচিত হলেন?

ক) ক্ষমতার জোরে
খ) যুদ্ধের মাধ্যমে
গ) সর্বজন স্বীকৃত
ঘ) কোনটি নয়

উত্তর:- গ) সর্বজন স্বীকৃত

ব্যাখা:-
চরম দুঃখ-দুর্দশা হতে মুক্তি লাভের জন্য দেশের প্রবীণ নেতাগণ স্থির করলেন যে তারা পরস্পর বিবাদ-বিসম্বাদ ভুলে একজনকে রাজপদে নির্বাচিত করবেন এবং সকলেই স্বেচ্ছায় তাঁর প্রভুত্ব স্বীকার করবেন। দেশের জনসাধারণও এ মত সানন্দে গ্রহণ করে। এর ফলে গোপাল নামক এক ব্যক্তি রাজপদে নির্বাচিত হলেন।

৫। ৭৫৬-৭৮১ কার শাষনামল ছিল?

ক) ধর্মপাল
খ) গোবিন্দরাজ
গ) দেবপাল
ঘ) গোপাল

উত্তর:- ঘ) গোপাল

ব্যাখা :-
গোপাল সিংহাসনে আরোহণ করে রাজ্য বিস্তারে মনোযোগ দেন। তিনি বাংলার উত্তর এবং পূর্ব অংশের প্রায় সমগ্র অঞ্চলই রাজ্যভুক্ত করেন। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা গোপালের শাসনের বাইরে থেকে যায়। অনেকের মতে গোপাল ২৭ বৎসর শাসন করেছিলেন। কিন্তু আধুনিক গবেষকগণ মনে করেন, তিনি ৭৫৬ থেকে ৭৮১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দেশ শাসন করেন।
গোপালের মৃত্যুর পর ধর্মপাল (৭৮১-৮২১ খ্রিঃ) বাংলার সিংহাসনে বসেন।

ধর্মপালের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র দেবপাল (৮২১ খ্রিঃ-৮৬১ খ্রিঃ) সিংহাসনে বসেন। তিনি পিতার যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন।

৬। ইতিহাসে " ত্রি-শক্তির সংঘর্ষ " নামে পরিচিত যুদ্ধ শুরু হয় কবে?

ক) সপ্তম শতকের শেষ  দিকে
খ) অষ্টম শতকের শেষ দিকে
গ) অষ্টম শতকের শুরুর দিকে
ঘ) কোনটি নয়

উত্তর:- গ) অষ্টম শতকের শুরুর দিকে

ব্যাখা:- উত্তর ভারতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সময়ে তিনটি রাজবংশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল। একটি বাংলার পাল, অন্যটি রাজপুতনার গুর্জরপ্রতিহার ও তৃতীয়টি দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট। ইতিহাসে এ যুদ্ধ ‘ত্রি-শক্তির সংঘর্ষ’ বলে পরিচিত। আট শতকের শেষ দিকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। প্রথম যুদ্ধ হয় ধর্মপাল ও প্রতিহার বংশের রাজা বৎসরাজার মধ্যে। এ যুদ্ধে ধর্মপাল পরাজিত হন। তবুও ধর্মপাল এ সময় বাংলার বাইরে বেশকিছু অঞ্চল জয় করেছিলেন। তিনি বারাণসী ও প্রয়াগ জয় করে গঙ্গা-যমুনার মধ্যবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেন। ত্রি-শক্তির সংঘর্ষের প্রথম দিকে ধর্মপাল পরাজিত হলেও তাঁর বিশেষ কোন ক্ষতি হয়নি। কারণ, বিজয়ের পর রাষ্ট্রকূটরাজ দাক্ষিণাত্যে ফিরে যান। এ সুযোগে ধর্মপাল কনৌজ অধিকার করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিহাররাজ দ্বিতীয় নাগভট্ট কনৌজ দখল করেন। ফলে, ধর্মপালের সাথে তাঁর যুদ্ধ বাঁধে। এ যুদ্ধে ধর্মপাল পরাজিত হন। এ পরাজয়েও ধর্মপালের কোনো ক্ষতি হয়নি।

সপ্তম শতকের শেষের দিকে গোপাল রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন।

৭। বৌদ্ধধর্ম শিক্ষার জন্য ধর্মপাল কতটি শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রতিষ্টা করেন??

ক) ৫০ টি
খ) ৫১ টি
গ) ২০ টি
ঘ) ২১ টি

উত্তর:- ৫০ টি

ব্যাখা :-
ভাগলপুরের ২৪ মাইল পূর্বে তিনি একটি বৌদ্ধ বিহার বা মঠ নির্মাণ করেন। বিক্রমশীল তাঁর দ্বিতীয় নাম বা উপাধি অনুসারে এটি ‘বিক্রমশীল বিহার’ নামে খ্যাত ছিল। নালন্দার মতো বিক্রমশীল বিহারও ভারতবর্ষের সর্বত্র ও ভারতবর্ষের বাইরে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। নবম শতক থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত এটি সমগ্র ভারতবর্ষের একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। তিব্বতের বহু বৌদ্ধ ভিক্ষু এখানে অধ্যয়ন করতে আসতেন এবং এখানকার অনেক প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ আচার্য তিব্বতে বিশুদ্ধ বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেছিলেন। নাটোর জেলার পাহাড়পুর নামক স্থানেও ধর্মপাল এক বিশাল বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। ইহা সোমপুর বিহার নামে পরিচিত। এই স্থাপত্য কর্মটি জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বসভ্যতার নিদর্শন হিসেবে (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ) স্বীকৃত হয়েছে। এর ন্যায় প্রকাণ্ড বিহার ভারতবর্ষের আর কোথাও এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। ওদন্তপুরেও (বিহার) তিনি সম্ভবত একটি বিহার নির্মাণ করেন। তারনাথের মতে, ধর্মপাল বৌদ্ধধর্ম শিক্ষার জন্য ৫০টি শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৮। পালবংশেরর শেষ রাজা কে ছিলেন?

ক) রামপাল
খ) তৃতীয় গোপাল
গ) কুমারপাল
ঘ) মদনপাল

উত্তর:- ঘ) মদনপাল

ব্যাখা:-
পাল বংশের দুর্ভাগ্য রামপালের পরবর্তী শাসকগণ ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল। ফলে তাঁদের পক্ষে পালবংশের হাল শক্ত হাতে ধরা সম্ভব ছিল না। রামপালের পর কুমারপাল (আঃ ১১২৪-১১২৯খ্রিঃ), তৃতীয় গোপাল (১১২৯-১১৪৩ খ্রিঃ) ও মদনপাল (আঃ ১১৪৩-১১৬১ খ্রিঃ) একে একে পাল সিংহাসনে বসেন। এ সময় যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকত। অবশেষে দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বিজয় সেন পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটিয়ে বাংলায় সেন বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।

৯।" কর্মান্ত বাসক " কাদের রাজধানী ছিলো ?

ক) খড়গ বংশ
খ) দেববংশ
গ) বর্ম রাজবংশ
ঘ) চন্দ্রবংশ

উত্তর:- ক) খড়গ বংশ

ব্যাখা :-
সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে মগধ ও গৌড়ে পরবর্তী গুপ্তবংশীয় রাজাগণ প্রভুত্ব স্থাপন করেন। এ সময় খড়গ বংশের রাজারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় একটি স্বাধীন রাজ্যের সৃষ্টি করেন। তাঁদের রাজধানীর নাম ছিল কর্মান্ত বাসক। কুমিল- জেলার বড় কামতার প্রাচীন নামই সম্ভবত এ কর্মান্ত বাসক। খড়গদের অধিকার ত্রিপুরা ও নোয়াখালী অঞ্চলের উপর বিস্তৃত ছিল।

১০। কোন বংশের রাজারা নিজেদের খুব শক্তিধর মনে করতেন?

ক) সেনবংশ
খ) পাল বংশ
গ) দেববংশ
ঘ) সবগুলো

উত্তর:- গ) দেব বংশ

ব্যাখা:- দেব রাজারা নিজেদের খুব শক্তিধর মনে করতেন। তাই তাঁরা তাদের নামের সাথে যুক্ত করতেন বড় বড় উপাধি। যেমন- পরম সৌগত, পরম ভট্টারক, পরমেশ্বর মহারাজাধিরাজ ইত্যাদি। তাঁদের রাজধানী ছিল দেবপর্বতে। কুমিল-র নিকটা ময়নামতির কাছে ছিল এ দেবপর্বত। দেবদের রাজত্ব বিস্তৃত ছিল সমগ্র সমতট অঞ্চলে। আনুমানিক ৭৪০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দেব রাজারা শাসন করেন।

                      লেকচার -৩

১। কে সেনবংশের শাষন প্রতিষ্টা করেন?

ক) বিজয় সেন
খ) হেমন্ত সেন
গ) লক্ষণ সেন
ঘ) বল্লল সেন

উত্তর:- ক) বিজয় সেন

ব্যাখা :-দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বিজয় সেন পাল বংশের সর্বশেষ রাজা মদনপাল কে পরাজিত করে সেন বংশের প্রতিষ্টা করেন। লক্ষণ সেন সেন বংশের সর্বশেষ রাজা।

২।"  দানসাগর  " ও অদ্ভুদসাগর" গ্রন্থ কে রচনা করেন?

ক) বিজয়সেন
খ) বল্লল সেন
গ) হেমন্ত সেন
ঘ) সবাই মিলে

উত্তর:- খ) বল্ললসেন

ব্যাখা:-বল্লল   সেন অত্যন্ত সুপণ্ডিত ছিলেন। বিদ্যা ও বিদ্বানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। তিনি বেদ, স্মৃতি, পুরাণ প্রভৃতিা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছিলেন। তাঁর একটি বিরাট গ্রন্থালয় ছিল। কবি বা লেখক হিসেবে সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর দান অপরিসীম। তাঁর পূর্বে বাংলার কোনো প্রাচীন রাজা এরূপ লেখনি প্রতিভার পরিচয় দিতে পারেননি। তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। অবশ্য ‘অদ্ভুতসাগর’ গ্রন্থের অসমাপ্ত অংশ তাঁর পুত্র লক্ষণ সেন সম্পূর্ণ করেছিলেন। এ গ্রন্থদ্বয় তাঁর আমলের ইতিহাসের অতীব মূল্যবান উপকরণ।

৩। লক্ষণ সেনের শাষনামল কোনটি?

ক) ১১৬১-১১৭৪
খ) ১১৭৫-১২০৪
গ) ১১৭৮-১২০৫
ঘ) ১১৭৮-১২০০

উত্তর:- গ) ১১৭৮-১২০৫

ব্যাখা :- বল্লল সেনের পুত্র লক্ষণ সেন ১১৭৮থেকে -১২০৫ সাল পর্যন্ত শাষন করেন।  তিনি ৬০ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করেন।  সেন বংশের স্থায়ী কাল হলো ১১৬১-১২০৪ সাল পর্যন্ত।

৪। কোন শাষনব্যবস্থা সময় রাজা ও রাজত্ব কোনটি ছিলনা?

ক) গুপ্ত শাষনামলে
খ) মৌর্য শাষনামলে
গ) কৌম শাষনামলে
ঘ) কোনটি নয়

উত্তর:- কৌম শাষনামলে

ব্যাখা:-
গুপ্ত শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বে কৌম সমাজই ছিল সর্বেসর্বা। তখন রাজা ছিল না, রাজত্ব ছিল না। তবু শাসন-পদ্ধতি সামান্য মাত্রায় ছিল। তখন মানুষ একসাথে বসবাস করত। কোমদের মধ্যে পঞ্চায়েতী প্রথায় পঞ্চায়েত দ্বারা নির্বাচিত দলনেতা স্থানীয় কৌম শাসনব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতেন। বাংলার এ কৌম ব্যবস্থা চিরস্থায়ী হয়নি।

৫। গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে সবচেয় বড় বিভাগের নাম কি ছিল?

ক) গ্রাম
খ) বিথী
গ) মন্ডল
ঘ) ভূক্তি

উত্তর:- ঘ) ভূক্তি

ব্যাখা :- বাংলাদেশের যে অংশ সরাসরি গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে ছিল তা কয়েকটি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত ছিল। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিভাগের নাম ছিল ‘ভুক্তি’। প্রত্যেক ‘ভুক্তি’ আবার কয়েকটি বিষয়ে, প্রত্যেক বিষয় কয়েকটি মণ্ডলে, প্রত্যেক মণ্ডল কয়েকটি বীথিতে এবং প্রত্যেকটি বীথি কয়েকটি গ্রামে বিভক্ত ছিল। গ্রামই ছিল সবচেয়ে ছোট শাসন বিভাগ।

৬।  পাল যুগের শাষন ব্যবস্থার মুলকথা কি ছিল?

ক) সমাজতন্ত্র
খ) রাজতন্ত্র
গ) সামন্ততান্ত্রিক
ঘ) সবগুলো

উত্তর:- খ) রাজতন্ত্র

ব্যাখা:-আট শতকের মাঝামাঝি সময়ে পাল বংশের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গের নতুন যুগের শুরু হয়। পাল বংশের চার শতাব্দীর রাজত্বকালে বঙ্গে তাদের শাসন-ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাল যুগে শাসন-ব্যবস্থার মূল কথা হলো রাজতন্ত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন বিভাগের সর্বোচ্চ ছিলেন রাজা স্বয়ং।

৭। সেন রাজত্বকালে রাষ্ট্র শাষনের আদর্শ হিসেবে কাদের শাষন  মেনে চলত?

ক) গুপ্ত দের
খ) মৌর্যদের
গ) পালদের
ঘ) সবগুলো

উত্তর:- গ) পালদের

ব্যাখা :-পাল রাজ্যে যে শাসন-পদ্ধতি প্রচলিত হয়েছিল তা পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজবংশ ও সেন রাজত্বকালে রাষ্ট্র শাসনের আদর্শ হিসেবে স্বীকৃত লাভ করে। অবশ্য কোনো কোনো বিষয়ে কিছু কিছু পরিবর্তন ঘটেছিল।

৮। কোন শাষনব্যবস্থায় রাণীকে রাজকীয় মর্যাদা দেওয়া হয়েছে? 

ক) সেন শাষনব্যবস্থা
খ) মৌর্য শাষনব্যবস্থা
গ) পাল শাষনব্যবস্থা
ঘ) গুপ্ত শাষনব্যবস্থা

উত্তর:- ক) সেন শাষন ব্যবস্থা

ব্যাখা:- সেন  রাজাদের শাষনামলে রানীকে রাজকীয় মর্যাদা দেয়া হয়েছে। শাসনকার্যে যুবরাজদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। জ্যৈষ্ঠ রাজকুমার যুবরাজ হতেন।

৯। দক্ষিণ বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী স্বাধীন রাজবংশ কোনটি?

ক) খড়গ বংশ
খ) দেববংশ
গ) বর্ম রাজবংশ
ঘ) চন্দ্রবংশ

উত্তর:- ঘ) চন্দ্রবংশ

ব্যাখা :-দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী স্বাধীন রাজবংশ ছিল চন্দ্র বংশ। দশম শতকের শুরু হতে একাদশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত দেড়শত বছর এ বংশের রাজারা শাসন করেন। চন্দ্রবংশের প্রথম নৃপতি পূর্ণচন্দ্র ও তৎপুত্র সুবর্ণচন্দ্র সম্ভবত রোহিতগিরির ভূ-স্বামী ছিলেন।

১০। চন্দ্রবংশের রাজাদের মুল কেন্দ্র ছিল ___

ক) লালমাই পাহাড়
খ) বর্ধমান
গ) দেবপর্বত
ঘ) সবগুলো

উত্তর:- ক) লালমাই পাহাড়

ব্যাখা:-
লালমাই পাহাড় ছিল চন্দ্র রাজাদের মূল কেন্দ্র। এ পাহাড় প্রাচীনকালে রোহিতগিরি নামে পরিচিত ছিল। আনুমানিক ত্রিশ বছরকাল (৯০০-৯৩০ খ্রি:) পূর্ণচন্দ্র এখানে রাজত্ব করেন।

=============================

বিসিএস প্রস্তুতিতে নোটখাতার ব্যবহার
মাহমুদ হাসান হৃদয়
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
১. বিসিএস প্রস্তুতিতে নোটখাতা তৈরি ও ব্যবহার কার্যকর একটি বিষয়। যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে মলাটবদ্ধ করে রাখবে।
২. প্রতিটি বিষয়ের জন্য কমপক্ষে ১ টি করে নোটখাতা তৈরি করুন।
৩. নোটখাতায় বিভিন্ন টপিক অনুসারে পৃষ্ঠা ভাগ করবেন।
৪. পত্রিকা, ইন্টারনেট বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নোটখাতায় তুলে রাখবেন।
৫. পেপার কাটিং স্ট্যাপলিং করে কালেশনে রাখার জন্যও একটি নোট খাতা রাখতে পারেন।
৬. বিজ্ঞানের চিত্র অংকন ও সংরক্ষণের জন্য একটি নোটখাতা অবশ্যই রাখবেন।
৭. এছাড়া কোটেশন, সম্পাদকীয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি সংগ্রহে রাখার জন্য নোটখাতা খুব প্রয়োজনীয়।
৮. খাতায় গণিত প্র‍্যাকটিস অবশ্যই করবেন, গণিত মুখস্থ করতে যাবেন না।
৯. ম্যাপ অংকন ও সংরক্ষণের জন্য একটি নোটখাতা রাখতে পারেন।
১০. নোটখাতার গুরুত্ব পরীক্ষার দিন কয়েক আগে বেশি অনুভব হয়। কারণ, আপনার অনেক কষ্ট করে গোছানো নোটখাতাটি পরীক্ষার আগে চোখ বুলিয়ে গেলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়।
শুভকামনা রইলো।
//

=============================

সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকারস সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত সাতটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ হবে সমন্বিত পরীক্ষার মাধ্যমে। এই নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি ও প্রস্তুতি নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তুতিমূলক পরামর্শ দিয়েছেন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র অফিসার মো. আলমগীর মাহমুদ পলাশ ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র অফিসার মাহফুজ জামি। লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
যেভাবে পরীক্ষা
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অফিসার পদের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে (এমসিকিউ পদ্ধতিতে)। দ্বিতীয় ধাপে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং সব শেষে ২৫ নম্বরের ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা)। প্রিলিমিনারি বা বাছাই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটারের ওপর মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এ ক্ষেত্রে গণিতে ৩০, ইংরেজিতে ২৫, বাংলায় ২০, সাধারণ জ্ঞানে ১৫ এবং কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তিতে থাকবে ১০ নম্বর।
প্রিলির বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
♦ বাংলার প্রস্তুতি যেভাবে : সাধারণত বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্যের ওপর প্রশ্ন করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন হয় ব্যাকরণের ওপর। ব্যাকরণের প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বইয়ের ওপর দখল থাকা জরুরি। এই প্রস্তুতি অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায়ও কাজে দেবে। ভাষা, ধ্বনি, বর্ণ, সমাস, কারক ও বিভক্তি, সন্ধিবিচ্ছেদ, বচন, শব্দের প্রকারভেদ, লিঙ্গান্তর, বাক্য, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ ইত্যাদির ওপর প্রশ্ন বেশি থাকে। তাই এই বিষয়গুলোয় বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে, যেগুলো শুধু নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইয়ের ওপর সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, আরো বিস্তর পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে ড. হায়াৎ মামুদের ভাষা শিক্ষা বইটি পড়া যেতে পারে—সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগধারা, বানান, শব্দের প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, এককথায় প্রকাশ, প্রবাদ প্রবচন প্রভৃতি। ব্যাকরণ ও সাহিত্যের কিছু বিষয় মনে থাকে না। সেগুলোর কৌশলে বা ছন্দ আকারে মনে রাখার জন্য এম এম মহিউদ্দীনের লেখা ‘শর্ট টেকনিক’ বইটি পড়া যেতে পারে। সাহিত্য অংশে প্রস্তুতির জন্য বাজারের ভালো মানের একটি গাইড বই অনুসরণ করা যেতে পারে। সাহিত্য অংশে বিগত সালের বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো পড়লে সাধারণত কমন পাওয়া যায়। কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, সাহিত্যকর্ম, তাঁদের বিভিন্ন কবিতা ও উপন্যাস, উক্তি, বিখ্যাত পত্রিকার সম্পাদকদের নাম ও প্রকাশের সাল, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক, উপন্যাস প্রভৃতি সম্পর্কে প্রশ্ন হতে পারে।
♦ ইংরেজিতে জোর দিন : অন্যান্য চাকরি পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নের সঙ্গে ব্যাংকের ইংরেজি প্রশ্নের কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়। এ জন্য বুঝে-শুনে প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যাংকে ইংরেজি অংশে মূলত দুই ধরনের প্রশ্ন হয়—1. Vocabulary Based,
2. Grammar Based
আবার Vocabulary-তেও দুই ধরনের প্রশ্ন হয়, যেমন—1. General Vocabulary, 2.  Contextual Vocabulary.
যে ধরনের প্রশ্নই হোক না কেন, মূলত কিছু কমন টাইপ প্রশ্নই করা হয়। Vocabulary-নির্ভর টপিকগুলো হলো—Synonyms & Antonyms, One word Substitution, Replacing underlined word, Analogy, Odd man out, Spelling, Sentence Completion Group verb, Appropriate preposition, Idioms & Phrase.
আর গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো হলো—Error Finding, Sentence Correction, Correct Sentence Choice, Rearrange Sentence Parts, Grammar Based Fill in the blanks।
প্রিলিমিনারি বা বাছাই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটারের ওপর মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এ ক্ষেত্রে গণিতে ৩০, ইংরেজিতে ২৫, বাংলায় ২০, সাধারণ জ্ঞানে ১৫ এবং কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তিতে থাকবে ১০ নম্বর
ভোকাবুলারির প্রস্তুতির জন্য প্রথমে মহিউদ্দীনের লেখা Mini Job Vocabulary বইটি থেকে সব ভোকাবুলারি মুখস্থ করতে পারেন। বইটা ছোট, তবে ভোকাবুলারির সবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখবেন হয়তোবা অনেকগুলোই আপনি পারেন। এরপর Word Smart বই থেকেও ভোকাবুলারি দেখতে পারেন। গ্রামার অংশের জন্য Cliff’s toefl বই পুরোটা পড়ে ফেলুন। ইংরেজিতে লেখা হলেও বইটির ভাষা সহজ ও সাবলীল। ভালো করে পড়তে পারলে গ্রামারের কাজ অনেকটাই হয়ে যাবে। তা ছাড়া গ্রামারের বিগত সালের প্রশ্ন অনুশীলন করার জন্য বাজারের ভালো মানের একটা গাইড বই অনুসরণ করা যেতে পারে।
♦ চাকরির জন্য গণিত : ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার জন্য গণিতে দক্ষ হওয়ার বিকল্প নেই। তাই গণিতকে হেলাফেলা না করে দুর্বলতা থাকলে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য আজ থেকেই চেষ্টা করতে হবে। পাটিগণিত অংশে সময় ও কাজ, সময় ও দূরত্ব (নৌকা, ট্রেন), লাভ-ক্ষতি, বয়স, নল ও চৌবাচ্চা, অনুপাত-সমানুপাত, শতকরা, সুদকষা, পরিমাপ ও একক, গড়, অংশীদারিত্ব ও ভাজ্য, মিশ্র ও দ্রবণ, বিন্যাস-সমাবেশ প্রভৃতি। বীজগণিতের রাশিমালা, সূচক, সমীকরণ, লগারিদম, সেট, সিরিজ প্রভৃতি টপিক থেকে প্রশ্ন বেশি এসে থাকে। জ্যামিতির ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বহুভুজ, স্থানাঙ্ক ও দূরত্ব প্রভৃতি। এ ছাড়া পরিমিতি ও ত্রিকোণমিতি থেকেও মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাংকের গণিতের প্রস্তুতির জন্য আগারওয়ালের Quantitative Aptitude for competitive Examinations বইটা দারুণ কাজে দেয়। যেসব টপিক থেকে প্রশ্ন বেশি আসে, শুধু সেসব টপিক থেকেই গণিত অনুশীলন করতে হবে। এ ছাড়া ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকেও প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। আর যাঁদের গণিতের বেসিক বেশি ভালো না, তাঁদের সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড গণিত বই প্রথমে অনুশীলন করে গণিতের বেসিক ঝালাই করে নিতে হবে। এ ছাড়া বাজারের ভালো মানের অন্যান্য গণিত বইও অনুশীলন করা যেতে পারে। তবে ব্যাংকে যেহেতু গণিত ইংরেজি মাধ্যমে আসে তাই ইংরেজি মাধ্যমে গণিত অনুশীলন করলে পরীক্ষার হলে সহজে উত্তর দেওয়া যাবে।
♦ সাধারণ জ্ঞান অসাধারণ কিছু নয়
সাধারণ জ্ঞান বিষয়টা সাধারণই। তবে বিষয়টাকে হেলাফেলা করা যাবে না। সাধারণ জ্ঞানে দুই ধরনের প্রশ্ন হয়। এক ধরনের প্রশ্ন হয় সাম্প্রতিক বিষয়গুলো থেকে, আরেক ধরনের প্রশ্ন হয় স্থায়ী বিষয়গুলোকে নিয়ে। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্র বিশাল, তাই নির্দিষ্ট টপিক বলাটা কষ্টকর। তার পরও বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—কিছু বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। সেগুলো হলো—সমসাময়িক রাজনীতি, নারীনীতি, সমাজনীতি, পরিবেশনীতি, নির্বাচন, খেলাধুলা, পুরস্কার প্রভৃতি। এ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষাবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য (জিডিপি, মাথাপিছু আয়, মুদ্রা), জাতীয় ব্যাংকের নাম, জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকসহ এদের সব অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও ব্যাবসায়িক চুক্তি এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯৪৭-১৯৭১ সাল পর্যন্ত। সাধারণ জ্ঞানে ভালো প্রস্তুতির জন্য দৈনিক পত্রিকার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পাতা, আন্তর্জাতিক পাতা, উপসম্পাদকীয় পাতা ও খেলাধুলার পাতা নিয়মিত পড়তে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত খাতায় নোট করে রাখা যেতে পারে। বিবিসি ও সিএনএনের খবর শুনতে পারলে ভালো কাজে দেবে। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত সাধারণ জ্ঞানের ভালো মানের একটি বই পড়া যেতে পারে।
♦ কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তির প্রস্তুতি হোক জোরালো
কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি অংশে প্রস্তুতির জন্য মাধ্যমিকের কম্পিউটার বইটি পড়া যেতে পারে। তা ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের তথ্য-প্রযুক্তি বইটা পড়তে পারলে ভালো হয়। আর গাইড বইয়ের ক্ষেত্রে ইজি কম্পিউটার বা বাজারের ভালো মানের যেকোনো বই পড়া যেতে পারে। কম্পিউটারের ইতিহাস, কম্পিউটারের প্রকারভেদ, ক্রমবিবর্তন, সংগঠন, সিস্টেম ইউনিট, আউটপুট ইউনিট, মেমোরি, স্টোরেড ডিভাইস, কম্পিউটার বাস, কম্পিউটার সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ডাটাবেইস, ডিজিটাল লজিক, সেলুলার ফোন, কমিউটার নেটওয়ার্ক, ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টারনেট, ই-মেইল, ই-কমার্স, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিলিটি প্রগ্রাম, এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল প্রভৃতি টপিক থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। বিগত সালে ব্যাংকসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো বেশি চর্চা করতে হবে। এ ছাড়া দৈনিক পত্রিকাগুলোর তথ্য-প্রযুক্তি পাতা পড়া যেতে পারে।
কোথায় কত পদ
সোনালী ব্যাংক-২৩৭টি, জনতা ব্যাংক-৪৪০টি, রূপালী ব্যাংক-৭৭টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-৯টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-৩৪টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-৩২টি, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক-২৪টি ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন-১৫টি।
-দৈনিক কালের কণ্ঠ / চাকরি আছে
©এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

=============================

বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
বিসিএস ভাইভার সাধারণ কিছু দিক
শাহ মোহাম্মদ সজীব
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার (দ্বিতীয় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।
লিখিত ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভাইভা শুরু হয়ে যায়। তাই সময় অপচয় না করে অতি দ্রুতই ভাইভার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এতে আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। মনে রাখবেন, বিসিএস ভাইভায় ভালো করতে হলে প্রবল আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। আর আত্মবিশ্বাস এমনি এমনি বাড়ে না। এর জন্য বিসিএস ভাইভার পদ্ধতি/প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা ও বেশ কিছু পড়াশোনা করা প্রয়োজন। নিচে ভাইভা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো।
ক. বিগত কয়েকটি বিসিএসের ভাইভার অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, ভাইভা অনুষ্ঠানের ক্রম হলো প্রথমে সাধারণ ক্যাডার, তারপর বোথ ক্যাডার এবং শেষে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডার।
খ. ভাইভায় সর্বমোট নম্বর হলো ২০০ এবং এই নম্বরের মধ্যে কোন উপবিভাগ নেই। ২০০ নম্বরের মধ্যে যদি আপনি শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর মানে ১০০ পান, তবে পাস করেছেন। এতে ক্যাডার আসবে কি না, বলা যায় না। তবে নন-ক্যাডার লিস্টে নাম থাকবে—এটা নিশ্চিত! এতে পরে হয়তো অন্য কোনো সরকারি চাকরিতে আপনি সুপারিশকৃত হতে পারেন।
গ. সাধারণত নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টায় ভাইভা শুরু হয়। আপনাকে ৩০ মিনিট আগে যেতে হবে। নিচতলার একটা বড় কক্ষে সবাইকে জড়ো করা হয়। তারপর অফিস সহায়ক এসে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন ধরে কাঙ্ক্ষিত বোর্ডে নিয়ে যাবে। এখানে মনে রাখা দরকার, বোর্ড সিলেকশন করা হয় এলোপাতাড়ি এবং ওই দিন সকালেই। সুতরাং কোনো ধরনের অসমতা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর সাধারণত প্রতি বোর্ডে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদিন ভাইভা দেন।
ঘ. যাঁর বোর্ডে ভাইভা দেবেন, তাঁর অফিস সহকারী কক্ষে ঢোকার আগেই আপনার কাগজপত্র নিয়ে নেবেন। শুধু মূল কিছু সনদ নিয়ে আপনি ভেতরে যাবেন।
ঙ. বোর্ডের ধরন দুইটা। একটি প্রেসিডেনশিয়াল এবং অন্যটি সাধারণ ভাইভা বোর্ড। প্রেসিডেনশিয়াল বোর্ডে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য থাকেন। এটা প্রথম কয়েক দিন চলে। আর সাধারণ বোর্ডে পিএসসির প্রত্যেক সদস্য চেয়ারম্যান হন ও দুজন বাইরের এক্সপার্ট থাকেন। অর্থাৎ, তিনজন মিলে বোর্ড গঠিত হয়।
চ. সাধারণ অর্থে মোট বোর্ড হয় ১৫টি। কারণ, চেয়ারম্যানসহ পিএসসির সদস্যসংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ জন।
ছ. কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ভাইভার সময় সাধারণত সাবজেক্ট এক্সপার্ট থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশি আমন্ত্রণ করা হয়। তাই প্রস্তুতি ভালো নিতে হবে।
জ. ২৭তম বিসিএস থেকে থেকে বোর্ডের সামনে আপনার লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকে না। অর্থাৎ, আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে শুধু ২০০ নম্বরের ওপর। আগে কী করেছেন এবং ভবিষ্যতে কী করবেন, তা বিবেচ্য বিষয় না।
ঝ. আপনি বোর্ড থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দিষ্ট স্থানে চেয়ারম্যান সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নম্বর দিয়ে দেন। এটি পরে করা হয় না।
ঞ. পোশাক ছেলেরা স্যুট–টাইসহ ফরমাল পরবেন। সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট উত্তম। জুতো কালো রং হওয়াই ভালো। ফিতেওয়ালা অক্সফোর্ড শু হলে আরও ভালো। মেয়েরা মানানসই শাড়ি পরবেন। ভেতরে ভালো মানের এসি আছে বিধায় গরম ও পোশাকের মধ্যে সংঘর্ষ হবে না।
ট. কেউ চাইলে টুপি, পায়জামা-পাঞ্জাবি, পরেও যেতে পারেন। তবে দেখেছি, যাঁরা খুব ধার্মিক তাঁরা এমন পোশাক পরেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
ঠ. পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চুল আদর্শ মান পর্যন্ত ছেঁটে রাখা উচিত। পরিচ্ছন্নতা আপনার রুচির পরিচায়ক। মেয়েদের ক্ষেত্রেও আদর্শ মান বজায় রাখা উচিত।
ড. কক্ষে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকবেন। সাধারণ আদর্শগুলো মেনে চলবেন। যেমন: অনুমতি নেওয়া, সালাম দেওয়া, নম্রভাবে হাঁটা ইত্যাদি সহজ কাজ। কিন্তু অনেকেই ভুলে যান।
ঢ. বোর্ডে যে ধর্মের লোকই থাকুক, মুসলিম প্রার্থী সালাম দেবেন, হিন্দু প্রার্থী নমস্কার দেবেন এবং অন্য ধর্মের প্রার্থীরা নিজের রীতি মেনে বলবেন। কারণ, আপনি বোর্ডের সবার ধর্ম সম্পর্কে জানেন না।
ণ, সালাম তিনজনকেই দেবেন না। শুধু বোর্ডের সভাপতিকে লক্ষ্য করে একবার দেবেন।
ত. সাধারণত গড়ে ২০ মিনিটের মতো আপনাকে বোর্ডের সামনে থাকতে হতে পারে। আমার জানামতে, ৩৪তম–তে একজনকে ৪৫ মিনিট রেখেছিল। তবে এটা ব্যতিক্রম। ভয়ের কিছু নেই।
থ. বোর্ডের চেয়ারম্যান বা সদস্য নারী হলেও স্যার সম্বোধন করবেন। আর পুরুষদের তো স্যারই বলবেনই।
দ. আপনার গলার স্বর কখনো অধিক উচ্চ বা অধিক নিম্ন হবে না। আদর্শ মান বজায় রেখে কথা বলবেন। ৩৫তম–তে এক প্রার্থী জোরে সালাম দেওয়ায় বোর্ড রেগে গিয়েছিল। আর একটা বিষয়, কথা বলার গতি খুব দ্রুত বা ধীর যেন না হয়। এতে বিরক্ত হন অনেকে। কথার মাঝখানে অ্যা, হুম, উহ্ উচ্চারণ করা যাবে না।
ধ. বাংলা প্রশ্ন বাংলায় উত্তর, ইংরেজি প্রশ্ন ইংরেজিতে উত্তর এবং ইংরেজি-বাংলা মিশ্রিত প্রশ্নের উত্তর মিশিয়েই দেবেন।
ন. যদি বাংলায় কথা বলেন কোনোভাবেই ইংরেজি শব্দ টেনে আনবেন না। এতে সমস্যা হতে পারে। তবে টেকনিক্যাল শব্দ ব্যবহার করতে পারেন।
প. অনেক সময় ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর বাংলায় দিতে চাইলে অনুমতি নিয়ে নেবেন। বোর্ড অনুমতি দিলেই কেবল বলবেন। অন্যথায় নয়। তবে অনেক বোর্ড বাংলা বলার অনুমতি দেয় না।
ফ. উত্তর খুব সহজ ভাষায় উপস্থাপন করুন। পারলে পয়েন্ট আকারে বলবেন। একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা জিজ্ঞাসা করল তার বেশি বলতে যাবেন না।
ব. একটা কথা মনে রাখবেন, বোর্ড আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না। আপনি বোর্ডকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। কীভাবে? ধরুন আপনার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়াতে। তাহলে আপনাকে লালন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে বেশি।
ভ. বোর্ড যদি কারও সঙ্গে খুব বেশি আন্তরিকতা প্রকাশ করে তবে ধরে নেওয়া হয় ইতিবাচক একটা নম্বর আসতে পারে। ‘তুমি’ সম্বোধনও অনেক সময় ইতিবাচক। তবে এটি কোনো প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়!
ম. কথা বলার সময় হাত নাড়াবেন না এবং পা ঝাঁকাবেন না। মাথা প্রয়োজন অনুযায়ী মুভ করবেন। চেয়ারে হেলান দিয়ে আরাম করে বসতে যাবেন না।
য. যাঁদের হাত কথা বলার সময় ওপরে উঠে যায়ই, তাঁরা এক হাতের আঙুল দিয়ে অন্য হাতের আঙুল পরস্পর আটকে রাখবেন। এতে আর হাত উঠবে না!
র. বিসিএস পরীক্ষা বিজ্ঞাপনে যেসব কাগজপত্র নিয়ে ভাইভায় উপস্থিত হতে বলেছে, তা অবশ্যই বিনা ব্যর্থতায় আগেই জোগাড় করে ওই দিন নিয়ে যান।
ল. ২০০–এর মধ্যে কত দিতে পারে, তা বলা খুবই কঠিন। এটা বোর্ড ও আপনার পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে। ভালো করলে ১৮০ ও দিতে পারে।
শ. ভাইভায় ফেল বা কম নম্বর পাওয়ার প্রধান কারণ হলো, ১. বেয়াদবি করা ২. বেশি জানার ভাব করা ৩. নার্ভাস থাকা ৪. অসতর্ক আচরণ করা ৫. উচ্চারণে আঞ্চলিকতা থাকা ৬. আই কন্ট্রাক্ট না থাকা ৭. ব্যর্থতা স্বীকার না করা ৮. সন্তোষজনক উত্তর কম দেওয়া ইত্যাদি।
এই বিষয়গুলো মাথায় থাকলে ভাইভা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া বা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পরবর্তী দুটি পর্বে ভাইভায় কী পড়বেন, কোথা থেকে পড়বেন, কোন বই ও গাইড পড়বেন, উত্তর দেওয়ার কৌশল, ইংরেজির গুরুত্ব, শেখার কৌশলসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সবার জন্য শুভকামনা।
=============================

৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
নারীর ক্ষমতায়ন
অর্থনীতিতে নারীর অবদান বাড়ছে
রেজাউল করিম খোকন
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০ সালে যেখানে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ছিল ১৬ দশমিক ২ লাখ, সেখানে ২০১৬-১৭ সালে এসে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৬ লাখ।

১৯৭৪ সালে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি শ্রমবাজারে পুরুষ শ্রমিকের হার বৃদ্ধির তুলনায় বেশি।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী বিগত বছরগুলোতে শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর একটি হচ্ছে শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ। ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, গ্রামীণ নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার শহরের নারীর তুলনায় বেশি। আবার পোশাক খাত ছাড়াও এখন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, যোগাযোগ খাত, রিয়েল স্টেট সেবা, টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংকিং, ইনসিওরেন্স খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)-এর জরিপ অনুযায়ী দেশের মোট ৪২ লাখ ২০ হাজার পোশাকশ্রমিকের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৯৮ হাজার। পোশাক খাতের পরই প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নারী শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬ জন নারী প্রবাসে কাজ করতে গেছেন। নানা রকম নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রতি বছর এই নারীরা সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার, ওমানসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাচ্ছেন।

কৃষি খাতেও নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখ করার মতো। কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে, দেশে মোট কর্মক্ষম নারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কৃষিকাজে নিয়োজিত। নারী শ্রমশক্তির ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়োজিত কৃষিকাজে। আশার কথা হচ্ছে, প্রবাসী আয় প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম। আর এ অবস্থান নিয়ে যেতে দেশের নারী শ্রমিকেরাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তারাও। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সূত্রে, বর্তমানে দেশে ৩ লাখ মানুষ অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আর এদের অর্ধেকই নারী ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা। এই উদোক্তারা নিজের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে মাসে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।

দেশে গত এক দশকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বাড়তি শ্রমশক্তির মধ্যে ৫০ লাখই নারী। কিন্তু এর পরও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এখনো দেশে নারী-পুরুষের বেতনবৈষম্য রয়েছে। নারীর জন্য এখনো নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। কর্মজীবী মায়ের সন্তানের জন্য ডে-কেয়ার সুবিধা খুবই সীমিত। এ ছাড়া অপর্যাপ্ত টয়লেটের সুবিধা এবং নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত না করায় কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ধরে রাখা কষ্টকর। দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনো দেশে ৮৫ শতাংশ নারীর নিজের ইচ্ছায় উপার্জনের স্বাধীনতা নেই। আর যারা আয় করেন, তাদের প্রায় ২৪ শতাংশেরই নিজের আয়ের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। এই পোশাক খাত নিয়েই বিশ্ববাজারে একটি ভালো স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। হিসাব বলছে, শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩২ শতাংশ, আর ভারতে এই হার মাত্র ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পেছনে নারীর এই অগ্রগতি মুখ্য ভূমিকা রাখছে। তাদের মতে, রাজনৈতিকভাবে সরকারের বড় দর্শন কাজ করছে যে, নারীকে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে, বিশেষ করে সরকারি চাকরিতে সুযোগ করে দেওয়া। সচিব, সিনিয়র সচিবসহ সরকারের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখন নারী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন—পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীতেও উচ্চপদে নারীর অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। অর্থাত্, এখন পুরুষ সমকক্ষ কর্মক্ষেত্রগুলোতে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সরকার যদি রাজনৈতিক এই অবস্থা ধরে রাখে এবং বেসরকারি খাতকে যদি জেন্ডার সমতাবিষয়ক নীতিগত সিদ্ধান্ত পালনে বাধ্য করে, তাহলে পুরুষ সমকক্ষ কাজেও সমভাবে দেখা যাবে নারীর অংশগ্রহণ। বিগত এক দশকে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ ক্রমেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে।
/
ইত্তেফাক , ২৯ মে

★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন