শব্দোত্তর তরঙ্গের ব্যবহার
সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়, হিমশৈল, ডুবোজাহাজ ইত্যাদির অবস্থান নির্ণয়; ধাতব পিন্ড বা ধাতবপাতে সূক্ষ্মতম ফাটল অনুসন্ধান; সূক্ষ্ম ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরি, ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা, বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায়, অমিশ্রনীয় তরল যেমন পানি ও পারদের মিশ্রণ তৈরিসহ প্রভৃতি কাজে শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়।
শব্দের প্রতিধ্বনি
শব্দ কোন উৎস থেকে সৃষ্ট হয়ে যদি দূরবর্তী কোন মাধ্যমে বাধা পেয়ে উৎসের কাছে ফিরে আসে তবে, মূল শব্দের যে পুনরাবৃত্তি হয় তাকে শব্দের প্রতিধ্বনি (Echosound) বলে।
• শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে সমুদ্র ও কুপের গভীরতা নির্ণয় করা হয়।
• শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যবর্তী দূরত্ব ন্যূনতম 16.6 মিটার হওয়া দরকার।
শ্রাব্যতার পাল্লা
মানুষের কানের শ্রবণের সীমা অর্থ্যাৎ শ্রাব্যতার পাল্লা হচ্ছে 20 Hz থেকে 20,000 Hz। যদি শব্দের উৎসের কম্পাঙ্ক 20 Hz থেকে 20,000 Hz এর মধ্যে হয়, তবেই আমরা সেই শব্দ শুনতে পারবো।
শব্দোত্তর (Infrasonic) তরঙ্গ / শব্দেত্তর কম্পাঙ্ক
যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক 20 Hz এর কম তাকে শব্দেত্তর কম্পাঙ্ক বলে।
শব্দোত্তর তরঙ্গ / শ্রবণোত্তর তরঙ্গ (Untrasonic / Supersonic waves)
যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক 20,000 Hz বা তার বেশি তাকে শব্দোত্তর তরঙ্গ / শ্রবণোত্তর তরঙ্গ বলে।
• শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ মানুষ শুনতে না পেলেও বাদুর, কুকুর, মৌমাছি প্রভৃতি কিছু প্রাণী এই শব্দ শুনতে পায়।
সনিক বুম
শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলমান কোন বিমান বা ক্ষেপনাস্ত্র কর্তৃক উদ্ভূত তরঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট তীব্র কম্পাঙ্ককে সনিক বুম বলে। এফ-16, মিগ-29 প্রভৃতি বিমান এই ধরনের শব্দ উৎপন্ন করে।
সুপারসনিক বিমান
শব্দের গতির চেয়ে যে বিমান দ্রুতগতিতে চলে তাকে সুপারসনিক বিমান বলে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি যাত্রীবাহী সুপারসনিক বিমান হচ্ছে ‘কনকর্ড’।