Pages

বিসিএস প্রস্তুতি ।। BCS Preparation - Episode Six

বিসিএস প্রিলি + রিটেনের জন্য

...........................................
ইংলিশ শব্দের suffix (প্রত্যয়) বা prefix (উপসর্গ) দেখে Parts of speech ও antonym চেনার সহজ কয়েকটি উপায় ও মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক...
-------------------------------------------
1) যে সকল word বা শব্দের শেষে ce, cy, ity, ty, ness, hood, dom, tion, sion, ance, age, ment, th, ইত্যাদি suffix বা প্রত্যয় যুক্ত থাকে তখন উহা সাধারণত Noun হয়।
অর্থাৎ যেসব Word এর শেষে tion,ce,ty,age ... dom,cy,ry,gy. ment,ness,ism,ist ! ex,hood,cm,th. এছাড়া Verb+al,er,ing থাকলে সেই Word টি NOUN হবে।
#মনে_রাখার_টেকনিকঃ শুন(tion) ছি(sy) তাই(ty) আগে(aga) দম(doom) ছাই(cy) রাই(ry) যাই(gy)। মেন্ট(ment) নেস ইজম ইষ্ট এক্স হুড সিএম টিস(th)।
যেমনঃ
☆ ― tion : action ☆ ― sion: confusion ☆ ― er : driver ☆ ― or : actor ☆ ― dom: freedom ☆ ― hood: childhood ☆ ― ness: kindness ☆ ― th: growth ☆ ― let: booklet ☆ ― ock : bullock
☆ ― ment : management ☆ ― age : marriage ☆ ― ance : innocence ☆ ― cy : accuracy
☆ ― tude : servitude ☆ ― ice : service ☆ ― ure : pleasure ☆ ― y : victory ☆ ― ry : dispensary
2) শব্দের শেষে able, ous, ant, ent, le, al, ful, er, est, ive, ইত্যাদি থাকলে উহা Adjective হয়।শব্দের পূর্বে more/most/less/least থাকলে,উহা Adjective হয়।
অর্থাৎ যদি কোন word এর শেষঅংশে ble,ful,ous,less ic,al,ant,ent tive,sive. ইত্যাদি suffix থাকে তবে সাধারণত [ADJECTIVE] হয়।
#ছন্দঃ- বল,ফুল,আওস,লেছ, ইক,আল,অ্যান্ট,য়েন্ট, টিভ,সিভ।
যেমনঃ ble(বল)=favourable, ful(ফুল)=powerful, ous(আওস)=continuous, less=aimless, ic=economic, al=conditional, tive=Communicative, sive=Possessive.
☆ ― al : national ☆ ― ic, ical : historic , historical ☆ ―ish: Turkish ☆ ―istic: fantastic , optimistic ☆ ―ive : active , attentive ☆ ―ian, an : Indian , American ☆ ―ary : necessary, documentary ☆ ―ed : learned , talented ☆ ―ate : Fortunate , talented ☆ ―able : drinkable , movable ☆ ―ible : sensible , edible ☆ ―ful : beautiful, hopeful ☆ ―less : fearless, helpless ☆ ―ly : friendly, manly, heavenly ☆ ―y : healthy, wealthy ,
যেমনঃ Beautiful, Best, Important, ইত্যাদি।His friend will not do illegal matter.
3) Adjective এর শেষে ly যোগ করে সাধারণত Adverb হয়। আবার ly বাদ দিলে উহা Adjective হয়।
যেমনঃ slow → slowly, slowly → slow. Example: He did not it slowly. It was slow.
4) শব্দের শেষে te, d, ed, ain, fy, e, en, ize, se, ing, ইত্যাদি থাকলে উহা verb হয়।যেমনঃ build, beautify, made ইত্যাদি।
5) শব্দের প্রথমে de, dis, il, im, in, ir, un, miss,ইত্যাদি Prefix বা উপসর্গ থাকলে উহা বাদ দিলে বিপরীত অর্থবোধক বা antonym হয়।
যেমনঃDecontaminate(দূষণ হতে মুক্ত করা) Contaminate(দূষণ করা) Disconnect (পৃথক করা) Connect(পৃথক) Immortal (অমরনশিল) Mortal(মরণশীল
6) যে সকল verb এর আগে be, en, em, im, ইত্যাদি prefix বা উপসর্গ থাকে তখন উহা বাদ দিলে noun/adjective হয়।
যেমনঃBeflower (ফুল দ্বারা আচ্ছাদিত করা) Flower (ফুল) Enable ( সামর্থ্য হওয়া ) Able ( সামর্থ্য)
7) যে সকল verb এর পরে en, ify, ize, ইত্যাদি suffix বা প্রত্যয় যোগ থাকে উহা বাদ দিলে noun/adjective হয়।
যেমনঃ broaden (প্রশস্থ করা) broad( প্রশস্থ) signify(চিহ্নিত করা) sing(চিহ্ন)
😎 verb এর শেষে e থাকলে e বাদ দিয়ে ‘or’ suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।
যেমনঃ calculate (গণনা করা ) calculator (যে গণনা করে )
9) verb এর শেষে de থাকলে de বাদ দিয়ে ‘sion’ suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।
যেমনঃconclude(সমাপ্ত করা ) conclusion(সমাপ্ত)
10) verb এর শেষে y থাকলে y বাদ দিয়ে ier, suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।
যেমনঃcarry (বহন করা) carrier (বহনকারী)
11) verb এর শেষে se থাকল e বাদ দিয়ে ‘ion’ suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।
যেমনঃTelevise(টেলিভিশনে প্রচার করা) Television (দূরদর্শন )
12) verb এর শেষে rt থাকলে t বাদ দিয়ে ‘sion’ suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।
যেমনঃDivert (চিত্ত-বিনোদন করা) Diversion (চিত্তবিনোদন)
13) verb এর শেষে nt থাকলে t বাদ দিয়ে ‘sion’ suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।
যেমনঃAscent(আরোহণ করা) Ascension(আরোহণ)
14) verb এর শেষে it থাকলে t বাদ দিয়ে ‘ssion’ suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।
যেমনঃAdmit(ভর্তি করা) Admission(ভর্তি)
15) verb এর শেষে ate থাকলে e বাদ দিয়ে ‘ion’ suffix যোগ করে noun গঠন করা হয়।যেমনঃAccelerate(অধিকতর দ্রুত চলা) Acceleration(বেগ বিদ্ধি)
16) verb এর শেষে e থাকলে e বাদ দিয়ে ‘able’ suffix যোগ করে Adjective গঠন করা হয়।যেমনঃmeasure(পরিমাপ করা) measurable (যাহা পরিমাপ করা যায় এমন)
17) verb এর শেষে ate থাকলে ate বাদ দিয়ে ‘able’ suffix যোগ করে Adjective গঠন করা হয়।যেমনঃAppreciate(প্রশংসা করা) Appreciation(প্রশংসনীয়)
18) verb এর শেষে fy থাকলে y বাদ দিয়ে ‘iable’ suffix যোগ করে Adjective গঠন করা হয়।যেমনঃClassify (শ্রেণী বিভাগ করা) Classifiable(শ্রেণী বিভাগের যোগ্য)
19) 20 . verb এর শেষে y থাকলে y বাদ দিয়ে ‘ied’ suffix যোগ করে Adjective গঠন করা হয়।যেমনঃstratify(স্তরে স্তরেগথিত হওয়া) stratified(স্তরিভুত)
20) Verb এর শেষে ge, se, de, থাকলে ge, se, de বাদ দিয়ে ‘sive’ suffix যোগ করে Adjective গঠন করা হয়।যেমনঃDiffuse(ছাড়াইয়া দেওয়া) Diffusive(ব্যাপক)
21) verb এর শেষে duce থাকলে e বাদ দিয়ে ‘tive’ suffix যোগ করে Adjective গঠন করা হয়।যেমনঃproduce (উৎপাদন করা) productive(উৎপাদন
22) কিছু শব্দের suffix বা প্রত্যয় বাদ দিলে তার পার্ট অফ স্পিচ ও পরিবর্তন হয়ে যায় তেমনি কিছু নিয়মঃ
a) শব্দের শেষে ce/cy বাদ দিয়ে t/te যোগ করলে Adjective হয়। যেমনঃ Importance →Important.
//
=============================

বিসিএস লিখিত + ভাইভা
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ও করোনা মোকাবেলায় চ্যালেঞ্জ
ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ

হাসান হাফিজুর রহমানের একটি কবিতার অংশবিশেষ ছিল এ রকম, ‘এখন রুদ্ধশ্বাসে বলা; কি করে এসেছি এখানে; এসেছি ঠিক, জানি না কিভাবে; জীবন একইসঙ্গে জ্বরতপ্ত আর ঊষর; অপেক্ষাই শুধু; অপেক্ষা কিছু একটার জন্য; অপেক্ষা করলেই সেটা আসবে; তারপর; কিছুই না, আবার অপেক্ষা?’ করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে শেষ হওয়ার অপেক্ষায় পথ গুনছি সবাই। এই লকডাউনে ঢাকার গলিপথে বের হলেই দেখা যায়, রিকশাওয়ালার অপেক্ষা, হকারদের অপেক্ষা, ছোট্ট তরকারির দোকানদারের অপেক্ষা। করোনা মহামারী শেষের অপেক্ষা। কবে পাব মুক্তি? অপেক্ষায় থাকতে থাকতে শীতকালে মনে হলো শেষ হলো, কিন্তু না। এখন আবার লকডাউন শেষের অপেক্ষা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীরা জানেন না বা এখনো বলতে পারেননি কবে শেষ হবে এ মহামারী। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। এর ফলে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ আধিবেশনে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিলবে। এদিকে করোনা মহামারী। কীভাবে হবে এ অবস্থায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ? কী হতে পারত আমাদের জন্য করণীয়?

উন্নয়নশীল দেশ হতে শর্ত কী?    

কী শর্ত পূরণ করেছি আমরা? প্রধানত, তিনটি মূল শর্ত পূরণ করতে হয় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য। তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে এগিয়ে গেছে। উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের ২০২০ সালে ছিল ১৮২৭ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় শর্ত, মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশে হতে লাগে ৬৬ পয়েন্ট। সেখানে বাংলাদেশ এরই মধ্যে ৭৫.৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে কোনো দেশ ৩৬-এর বেশি হলে তাকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দেয়া হয় না। ৩২-এ আসার পর থেকে নিচের দিকে যত কম হবে তত ভালো। বাংলাদেশের এ পয়েন্ট এখন ২৫.২। সুতরাং করোনা মহামারীর মধ্যেও এ ধারা ধরে রাখতে হবে। এসব উন্নয়নের কারণেই পৃথিবীর বিখ্যাত ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ষাঁড় উল্লেখ করেছে। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? এখানে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের দেশের মানবসম্পদ। এটাকে অর্থনীতির ভাষায় বলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা বাংলায় জনমিতিক লভ্যাংশ।

জনমিতিক লভ্যাংশ কী?

একটি দেশের মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার পরিমাণ যদি কর্মহীন জনসংখ্যার তুলনায় বেশি হয়, তাহলে এ অবস্থাকে জনমিতিক লভ্যাংশ বলে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে একটি দেশের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ যদি কর্মক্ষম হয় তাহলে দেশটি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাচ্ছে বলে ধরে নেয়া হয়। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উন্নয়ন তহবিলের স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট অনুসারে, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের কর্মক্ষম বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশে ২০০৭ সালে মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ মানুষের বয়স ছিল এই সীমার মধ্যে, যা ২০২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬৮ শতাংশ। কিন্তু জনমিতিক লভ্যাংশের এ সুবিধা মাত্র ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বজায় থাকবে এবং তারপর কমতে থাকবে। সুতরাং এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে না এগিয়ে নিতে পারলে আরো অনেক দিন পিছিয়ে যাব। এর আগে সিঙ্গাপুর বা দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গেছে অনেক দূর। কিন্তু নাইজেরিয়া কাজে লাগাতে পারেনি। সুতরাং, ভাবতে হবে কীভাবে করোনা মহামারীর মধ্যেও জনমিতিক লভ্যাংশ কাজে লাগানো এবং উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ধারা ধরে রাখা সম্ভব?

লকডাউন কতটা কার্যকর?

লকডাউনের জন্ম হয় ৫২৭-৫৬৫ খ্রি. জাস্টিয়ান যুগে প্লেগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। তত্কালীন সময়ে মানুষ জানত না কীভাবে রোগটি ছড়ায়। ফলে এটাই ছিল একমাত্র পদ্ধতি। কিন্তু এ পুঁজিবাদের যুগে জনমিতিক লভ্যাংশের একটি দেশে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এত কর্মক্ষম মানুষকে আটকে রাখা কঠিন। কারণ মানুষ করোনায় মৃত্যু বা আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে কাজ করে খেয়ে বেঁচে থাকাটাকে বেশি প্রয়োজন ভাবছে। এছাড়া গণমাধ্যমের সংবাদের ভিত্তিতে বলা যায়, এরই মধ্যে নতুন করে আরো দুই কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। ফলে লকডাউন গত বছর মানুষ মানলেও এবার মানার প্রবণতা কম দেখা যাচ্ছে। আমাদের আরো কিছুদিন করোনা মহামারীর মধ্যে বসবাস করতে হবে ধরে নিয়েই স্থায়ী পদ্ধতি নিতে হবে। কী হতে পারে? এরই মধ্যে অনেক দেশ করোনা ভালোভাবে মোকাবেলা করেছে। তার মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম। সেই ভিত্তিতেই কিছু বলব।

জাপানিজ পদ্ধতি কী?

কেউ ভাবতেই পারেন জাপান যেহেতু অনেক উন্নত, সুতরাং অনেক ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা বাংলাদেশে সম্ভব না। যদিও দেখা যাচ্ছে আবার কিছুটা বেড়েছে জাপানে। জাপানে সরকার থেকে মাত্র তিনটি নির্দেশনা ছিল। মানুষ সেটা মেনে নিয়েছে এবং তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। প্রথম নির্দেশনা ছিল মাস্ক পরা। মানুষ সামান্য হাঁচি হলেই এমনকি এমনিতেই মাস্ক পরে। এ অভ্যাস তারা করেছিল ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু থেকে। এমনিতেই তারা কম-বেশি মাস্ক ব্যবহার করে। তবে কোনোরূপ জ্বর বা হাঁচি হলে তো আর কথাই নেই। জাপানে মাস্ক না পরা রীতিমতো সামাজিক অভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে। দ্বিতীয় নিয়ম মানতে বলেছে হাত ধুতে। অবশ্য সদ্য প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনো বস্তু থেকে করোনা ছড়াচ্ছে না। তাই হাত ধোয়া কতটা জরুরি সেটা নতুন করে ভাবতে হবে। তৃতীয় হলো ভিড় এড়িয়ে ৩-৬ ফুট দূরত্ব মেনে চলা। এটিও বর্তমানে ভুল প্রমাণ করেছে আমেরিকার সাময়িকী পিএনএস। তাদের ভাষ্যমতে, এর চেয়ে দূরে যেতে পারে এ ভাইরাস। এটি নির্ভর করে বায়ুপ্রবাহ, কতজন একটি বদ্ধ জায়গায় আছে তার ওপর। এছাড়া আমাদের দেশে এ দূরত্ব মেনে চলা রাস্তা, বাজার বা যেকোনো ভিড়ের জায়গায় অসম্ভব।

দক্ষিণ কোরিয়ার পদ্ধতি কী?

তিনটি টি-এর ওপর ভিত্তি করে তারা করোনা মোকাবেলা করেছে। টেস্ট, ট্রেস ও ট্রিটমেন্ট। প্রতিদিন ৬০০-এর অধিক ল্যাবে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করেছে। যারা আক্রান্ত তাদের স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা আলাদা করা হয়েছে। এরপর যাদের অবস্থা খারাপ তাদের ট্রিটমেন্ট দেয়া। এছাড়া এয়ারপোর্টে আসার পর পরীক্ষা করে আলাদা রাখা।

বাংলাদেশ কী করতে পারে?

প্রথম যেটা করা যেত কম খরচে অনেক বেশি টেস্ট করা। কীভাবে? এটা ঠিক যে রিয়েল টাইম পিসিআর পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো। কিন্তু এ পদ্ধতিতে সময়, অর্থ ও দক্ষ জনবল লাগে। বর্তমানে আমাদের সক্ষমতা আছে ৩০-৪০ হাজার পরীক্ষা করার। গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, অনেকেই পরীক্ষা করাতে পারছে না। ফলে আরো ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। রিয়েল টাইম পিসিআরে সময় বেশি লাগার কারণে আরো বেশি ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয় এবং ৩৬টি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। অ্যান্টিজেন কিট অত সেনসিটিভ না হলেও সময় লাগে ১৫-৩০ মিনিট। খরচ হয় ৩০০-৭০০ টাকার মতো। এছাড়া পরীক্ষা করতে অভিজ্ঞ ব্যক্তির প্রয়োজন হয় না। ফলে থানা পর্যায়েও এটি ছড়িয়ে দেয়া যেত।

মাস্ক পরার আইন পাস করা

সরকার ২০ কোটি মানুষকে ৫০ টাকা করে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে সবাইকে মাস্ক বিতরণ করতে পারে। এর পরও কেউ বাইরে মাস্ক ছাড়া এলে তাকে জরিমানা করে মাস্ক দেয়া। এরই মধ্যে আমরা জেনেছি তিন স্তরের কাপড়ের মাস্ক সবচেয়ে ভালো। এ মাস্ক এন-৯৫-এর মতো প্রায় ৯৫ শতাংশ করোনা প্রতিরোধ করে। যদিও রাস্তায় সার্জিকাল মাস্কই বেশি দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় যে লেখা ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ স্লোগান কি সত্যিকার অর্থে মানতে পারি না? আমেরিকান সিডিসির তথ্য মতে, একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ১০-১৫ মিনিট মাস্কবিহীন থাকলেই করোনা ছড়ায়। এছাড়া ল্যানসেটে প্রকাশিত যে করোনা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায় না। ভালো ভেন্টিলেশন হলে কম ছড়াবে। ফলে বুঝতেই পারছি মাস্ক কতটা জরুরি। ফলে পার্টিগুলোতে আরো বেশি ছড়াবে। যেহেতু ভেতরে বেশি ছড়ায়। উপসর্গবিহীন ব্যক্তিরাই ৫৯ ভাগ রোগ ছড়ায়। সুতরাং বাতাস যে প্রধান মাধ্যম তা প্রমাণিত। তবে এটি কোনো গবেষণা না। ফলে পুরোটাই বিশ্বাসযোগ্য না। যেমন বলা হয়েছে পাশাপাশি রুমে হতে পারে, এটির সম্ভাবনা কম। ফলে মাস্কই পারে পূর্ণ মোকাবেলা করতে, যদি সঠিক নিয়মে পরা হয়। এখনো অনেকে জানে না, নাক আর মুখই হলো প্রধান মাধ্যম করোনা শরীরে প্রবেশের।

টিকা নিজেদের বানানো

যেহেতু আমরা জানি না টিকা ঠিক কতদিন কাজ করবে, ফলে নিজেদের দেশে টিকা তৈরি করতে হবে। কারণ সবাইকে টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন মিউট্যান্ট এলেও যাতে আমরা সমস্যায় না পড়ি। উপসংহারে বলব, পরীক্ষা, মাস্ক আর টিকা এই তিনটি হলো বাংলাদেশের জন্য করোনা থেকে মুক্তির উপায়। অন্যগুলো প্রয়োজন, তবে অতটা নয়।

ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ: চেয়ারম্যান, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও সহযোগী পরিচালক, জেনোম সেন্টার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বণিক বার্তা , ২৩ মে

=============================

৪৩তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি
মানব দেহ" নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর একনজরে
বিষয়ঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
১। হাড় সংখ্যা - ২০৬
২। পেশী সংখ্যা - ৬৩৯
৩। কিডনি সংখ্যা - ২
৪। দুধ দাঁতের সংখ্যা - ২০
৫। পাঁজড় সংখ্যা - ২৪ (১২ জোড়া)
৬। হৃদয়ের চেম্বার সংখ্যা - ৪
৭। স্বাভাবিক রক্তচাপ - ১২০/৮০
৮। রক্তের PH - ৭.৪
৯। মেরুদন্ড মেরুদন্ডের সংখ্যা - ৩৩
১০। নেক মধ্যে Vertebrae সংখ্যা - ৭ টি
১১। মাঝারি কানের হাড়ের সংখ্যা - ৬
১২। মুখে হাড় সংখ্যা - ১৪
১৩। স্কাল মধ্যে হাড় সংখ্যা - ২২
১৪। বুকে হাড় সংখ্যা - ২৫
১৫। অস্ত্র হাড় সংখ্যা - ৬
১৬। মানুষের প্রতিটি কানের ভিতরে ৩টি করে হাড় থাকে। এগুলোর নাম হলঃ ম্যালিয়াস, ইনকাস, স্টেপিস (কানের বাহির থেকে ভিতরের দিকে সিরিয়াল অনুযায়ী। মনে রাখার সূত্র: MIS।)
২ কানে মোট ৬ টি হাড় থাকে। এগুলোর মধ্যে স্টেপিস হল মানব দেহের ক্ষুদ্রতম হাড়।
১৭। মানুষের বাহুতে পেশীর সংখ্যা - ৭২
১৮। হৃদয়ের পাম্প সংখ্যা - ২
১৯। বৃহত্তম অঙ্গ - চামড়া
২০। বৃহত্তম গ্রান্তি - লিভার
২১। ছোট কোষ - রক্তের কোষ
২২। বৃহত্তম কোষ - ডিম সেল (ডিম্ব)
২৩। ছোট হাড় - স্ট্যাপ
২৪। সর্বাধিক ধমনী - বারোটাবারোটা
২৫। আমাদের দেহের রক্তে একটি সমুদ্রের সম পরিমাণ লবন রয়েছে।
২৬। দৈনিক আমাদের হৃদপিণ্ড ১০০বার করে আমাদের দেহে রক্ত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রবাহিত করে।
২৭। আমাদের চোখের একটি পাপড়ি ১৫০ দিন বেঁচে থাকে। এর পর নিজে থেকেই ঝড়ে পড়ে।
২৮। আমাদের চোখের ওপর ভ্রুতে তে ৫০০ টি লোম আছে।
২৯। ১০০ বিলিয়ন এর অদিক নার্ভ সেল নিয়ে আমাদের দেহ গঠিত।
৩০। মানুষ চোখ খুলে হাঁচি দিতে পারেনা।
৩১। পাথর থেকে মানুষের দেহের হাড় ৪ গুণ বেশি শক্তিশালী।
৩২। আমরা যখন খাবার খাই আমাদের মুখে সে খাবারের স্বাদ ১০ দিন পর্যন্ত থাকে।
৩৩। মানুষ হাঁটুর ক্যাপ ছাড়া জন্মগ্রহণ করে এবং তা ২ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত দেখা যায়না।
৩৪। মানব শিশু বসন্ত কালে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৩৫। আমাদের চোখ সবসময় একই রকম থাকে কিন্তু কান ও নাক বৃদ্ধি পাওয়া কখনোই থেমে থাকেনা।
৩৬। আমরা জন্মগ্রহণ করি ৩০০ হাড় নিয়ে কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর আমাদের দেহে ২০৬ টি হাড় থাকে।
৩৬। আমাদের মাথার খুলি ২৬ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন হাড় দিয়ে তৈরি।
৩৮। আমাদের হাতের নখে যেই পদার্থ আছে ঠিক সেই পদার্থ দিয়ে আমাদের চুল তৈরি হয়ে থাকে, ফলে হাত এবং চুল উভয়ই একই জিনিস তবে দুইটির ঘনত্ব আলাদা।
৩৯। অবাক হবেন না, আমরা যখন হাঁচি দেই তখন আমাদের শরীরের ভিতর সমস্ত ধরণের কাজ বন্ধ হয়ে যায় এমনকি হার্টবীটও থেমে যায়।
৪০। মানুষের দেহের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশি হচ্ছে জিহ্বা।
৪১। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন ৬ বার বাথরুমে যায়।
৪২। আমাদের মুখ থেকে পেটে খাদ্য পৌছাতে মাত্র ৭ সেকেন্ড সময় লাগে।
৪৩। প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শিশুদের মুখে যেকোন খাবারের স্বাদ থাকে বেশি।
৪৪। মানুষ হাঁচি দিলে যে বাতাস বের হয় তা প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে বাহির হয়।
৪৫।মানব দেহের সবচেয়ে বড় হাড় হল উরুর হাড় (Thighbone)। এর নাম হল ফিমার।
৪৬। আমাদের শরীরের ক্ষুদ্রতম হাড় হল কানের হাড়।
৪৭। রাতের তুলনায় সকালে আমাদের দেহ লম্বা হয় দ্রুত।
৪৮।মুত্র প্রস্তুত হয় কিডনীতে। মুত্র হলুদ দেখায় বিলিরুবিনের জন্য।
৪৯। নার্ভের মাধ্যমে প্রবাহিত আবেগের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১২৫ মিটার।
৫০। একজন সুস্থ মানুষের একটি হৃদ কম্পন সম্পূর্ণ হতে কত সময় ০.৪ সেকেন্ড।

মোঃ আনিছুর রহমান, সদস্য, জাকির বিসিএস স্পেশাল

তথ্যঃ সংগৃহীত
//

=============================

১৯৪৮ থেকে ২০২১। ফিলিস্তিন সংকট - সানাউল হক সানি, লেখক ও সাংবাদিক।। 
অন্তত অর্ধশতবার ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ হয়েছে। প্রতিবারই ধ্বংসযজ্ঞ শেষে যুদ্ধবিরতি, ক্ষতি হয়েছে ফিলিস্তিনের। উল্টো দিন দিন দখলদারিত্ব বেড়েছে ইসরাইলের।
আবারও যুদ্ধ বিরতি, তবে খুশি হওয়ার কারণ নেই। কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু। খাদ্য-বাসস্থান সংকট। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার যুদ্ধ হবে। আরও নতুন এলাকা হস্তগত করবে ইসরাইল। অতীত তাই বলে।
মায়াকান্নায় কোনো লাভ নেই। লড়াইটা বিজ্ঞানের, ঢিলা-কুলুপের না। আয়রন ডোম আর মারনাস্ত্রের সামনে ঢিল ছুড়ে বিজয় হয় না। আবেগে অনেক কিছু বলা যায়। ফিলিস্তিনের যে অস্তিত্বের লড়াই পুরো কৃতিত্বটা কেবলই তাদের, সীমিত সামর্থোর মধ্যেও তারা প্রতিরোধ জারি রেখেছে। বাকি মুসলিম বিশ্বের কেবল হম্বিতম্বি।
উনিশশো আটচল্লিশে প্রথম লড়াই। এরপর গত ৭৪ বছরে ফিলিস্তিনের কিয়দংশ বাদে সব জায়গা কিন্তু ইসরাইলিরা দখলে নিয়েছে। কেবল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধেই পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গোলান মালভূমি, গাযা, সিনাই অঞ্চল পর্যন্ত দখল করে নেয়। গাযা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করলেও ইসরায়েল কিন্তু এখনো পশ্চিম তীরের দখলে। গত ৫০ বছর ধরে এসব দখলীকৃত জায়গায় ছয় লাখের বেশি ইহুদী বসতি স্থাপণ করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে তখনই যায়, যখন নিজেদের লাভ দেখে। এবারও কি তাই !
নাহ, এবার কিছু ভিন্ন প্রেক্ষাপটও রয়েছে।
সংকট সৃষ্টির গোড়া থেকেই ইসরায়েলের পাশে থেকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে এ আঁতাত আরও ঘনিষ্ঠ হয়। বাইডেনও পূর্বসূরিদের মতোই তাঁর সুর অপরিবর্তিত রেখেছেন। কিন্তু এবার বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্দর থেকেই শর্তহীন সমর্থনের বিষয়ে আপত্তি ওঠা শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেছেন বাইডেন।
ফিলিস্তিনের পক্ষে নতুন মুখ হয়ে উঠেছে মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাশিদা তালেব। এবারের যুদ্ধবিরতি করার ক্ষেত্রে রাশিদা তালেবের সূক্ষ্ম কূটনীতিরও বড় ভূমিকা রয়েছে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত এ নারী জো বাইডেনের মুখোমুখি হয়ে ইসরায়েলের প্রতি একপেশে মার্কিন নীতির প্রতিবাদ করেন। আবেগঘন বক্তব্যে রাখেন কংগ্রেস বৈঠকেও।  কংগ্রেসের অনেক সদস্যদেরও তিনি ফিলিস্তিনের পক্ষে আনতে সমর্থ হন। আর এ কাজে তার পাশে সবসময় পাশে ছিলেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসম্যান ইমান জোদেহ এবং কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর।
ভূমিকা রয়েছে হোয়াইট হাউসের আইন প্রণয়নবিষয়ক উপপরিচালক ফিলিস্তিনের রিমা দোদিরও। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জো বাইডেনের নিকটজন হিসেবে পরিচিত।
অবাক করা তথ্য, এবারের হামলার বিরোধীতায় নেমেছেন ইহুদিরাও। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ইহুদিরা গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধের আহবান জানান। এমনকি গুগলের একদল ইহুদি কর্মী সংস্থাটির সিই্ও সুন্দর পিচাইকে প্রকাশ্যে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিতে চিঠি লেখেন। সে চিঠিতে ২৫০ জন কর্মী স্বাক্ষর করেছেন। ‘জিউশ ডায়াস্পোরা ইন টেক’ নামের কর্মীদের ওই সংগঠন চিঠিতে ফিলিস্তিনি গুগলকর্মীদের কথা শোনা, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সরবরাহের জন্য তহবিল প্রদান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যেকোনো ধরনের চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গুগলে কর্মরত ফিলিস্তিনিরা গাযার বাস্তবতা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পেরেছিলেন ইহুদি কর্মীদের সামনে, ফলে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।
কঠিন বাস্তবতায় ফিলিস্তিনের মানুষেরা ঠিকই শিখছে। ইউরোপ-আমেরিকার উচ্চপদে চাকরির পাশাপাশি বসেছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতেও। দুজন মার্কিন কংগ্রেসম্যানও নির্বাচিত হয়েছে। হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও রয়েছে। গুগলের মত প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি তরুণ। গত বছর মালয়েশিয়ায় বসবাসরত একজন তরুণ বিজ্ঞানীকে গুলি করে হত্যা করে মোসাদ। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানীদের সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়, মোসাদের নিশানায়। এরপরেও তাদের বিজ্ঞানচর্চা থেমে নেই। ইরান, লেবানন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা অনিশ্চয়তা নিয়েই গবেষণা করছেন।
একদিন সময় বদলাবে। এবং সেটি করবে ফিলিস্তিনিরাই। আমাদের মতো ঢিলা-কুলুপ তৈরির সিস্টেম শিখে সেই বদলে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবনা।
প্রতি গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠছে কওমি ঘরণার মাদ্রাসা। যেখানে সরকারি অনুমোদন লাগেনা। দুর্নীতিবাজরা অবৈধ টাকা ঢালেন এখানে। ভাবেন, বেহেশত নিশ্চিত। নামাজে এক লাইন মুসুল্লী না থাকলেও সৃদৃশ্য বহুতল মসজিদ বানান। কিন্তু চাইলেই এসব মসজিদ-মাদ্রাসাকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক কমপ্লেক্স করা সম্ভব। হুজুরদের প্রতি আনুগত্যকে কাজে লাগিয়ে এদেরকে বিজ্ঞানমুখী করা যায়। একেকটা মসজিদ মাদ্রাসাকে সম্ভব জ্ঞান-বিজ্ঞানের তীর্থ কেন্দ্র বানানো।  ছোট ছোট শিশুদের ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি নানা উদ্যোগ নিয়ে বিজ্ঞানচর্চায়ও আকর্ষণ করা যায়। ইসলাম কখনোই এসব কাজকে নিরুৎসাহিত করেনি।
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে যখন সভ্যতার আলোই পৌঁছায়নি, আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের আমলে তখন মুসলিমরা মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছিল উচ্চতর গবেষণাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মানমন্দির। পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় আল-কারাউইনও মুসলিমদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত। হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র দারুল আরকাম।
বড় বড় বিক্ষোভ-সমাবেশের চেয়ে ২/৪ জন মার্কিন কংগ্রেসম্যান, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা বা বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর কথার মূল্য বেশি। আবেগি কান্নার চেয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি কলাম বেশি প্রভাব রাখতে পারে..
এমন সহজ সত্য বুঝার জন্য ওলী-আউলিয়া হওয়ার দরকার নেই..

=============================

৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
#লিখিতগাণিতিকযুক্তিপ্রস্তুতি
ক.বীজগণিত:
1।নবম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের-2,3,4(4.3বাদে),5,11,12,13
কঠিন প্রস্তুতির জন্য নিচের গুলো দেখতে পারেন
2।নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের-5.1,5.2,5.3,5.5,6.1,6.2,7,9.1,9.2 (সুচক ও লগ সম্পর্কিত গুলো)
খ.ত্রিকোনমিতি,পরিমিত ও ঘন জ্যামিতি:
1।নবম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের-9,10,16
কঠিন প্রস্তুতির জন্য
2।নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের-8,13
গ.স্থানাঙ্ক জ্যামিতি :নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের 11 অধ্যায় এবং একাদশ শ্রেণির প্রথম পত্রের 3 অধ্যায়
ঘ।বিন্যাস ও সমাবেশ:একাদশ শ্রেণির প্রথম পত্রের 5 অধ্যায়
ঙ।সম্ভাবনা:নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের 14 অধ্যায় এবং একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় পত্র বইয়ের 10 (😎 অধ্যায়।
*** একাদশ শ্রেণির গণিত বই অসীম কুমার সাহা স্যারের
চ।পাটিগণিত:
অনুপাত,শতকরা,লাভক্ষতি,সরল ও যৌগিক মুনাফা,ঐকিক নিয়ম,লসাগু ও গসাগু এবং সংখ্যার ধারণা।পছন্দ মত যে কোন বই থেকে দেখুন।
ছ।জ্যামিতি:(অপশনাল)
ত্রিভুজ ও বৃত্ত সম্পর্কিত উপপাদ্য ও তাদের অনুশীলন।
বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো পড়ুন।এর বাইরে পড়ার দরকার নেই।।
///
মোঃ সেলিম রেজা

=============================

৪২তম বিশেষ বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার ভাইভা প্রস্তুতি
© ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসেন ও রবিউল আলম লুইপা
======================================

৪২তম বিসিএসের (বিশেষ) মাধ্যমে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাই ভাইভার প্রস্তুতিতে মেডিক্যাল সায়েন্সের বিষয়বস্তুর ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি নিজের জেলা সম্পর্কিত তথ্য, রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় বিষয়াবলি, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু এবং সংবিধানের মতো সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত তথ্যও জানতে হবে।


💊 স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কিত প্রশ্ন

১. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে, বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবাসমূহ এবং কী কী ওষুধ দেওয়া হয়—এগুলো জানতে হবে।


২. নিয়োগের পর একজন নবীন সহকারী সার্জনকে প্রথমেই উপজেলা পর্যায়ে পোস্টিং দেওয়া হয়। সেখানে রোগীর রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে সম্ভাব্য কী কী সমস্যায় পড়তে হতে পারে এবং এর প্রতিকার কিভাবে করা যেতে পারে; ভাইভায় এসংক্রান্ত প্রশ্ন করা হতে পারে। উপজেলা পর্যায়ে সাধারণত কোন ধরনের রোগী বেশি আসে এবং কোন পর্যায়ে গেলে তাকে হায়ার সেন্টারে পাঠাতে হবে—এগুলো সম্পর্কেও খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।

৩. বিশেষ (স্বাস্থ্য) বিসিএসের ভাইভা বোর্ডে একজন মেডিক্যাল সায়েন্স স্পেশালিস্ট এক্সটার্নাল সদস্য থাকেন। অনেক সময় ভাইভা বোর্ডের সামনে একটি ইনস্ট্রুুমেন্ট ট্রেতে নিত্য ব্যবহার্য সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন ধরনের স্যালাইন থাকে। এ ক্ষেত্রে ইনস্ট্রুুমেন্টগুলোর ব্যবহার, স্যালাইনের কম্পোজিশন, কোনটা কখন প্রয়োগ করতে হবে, রং দেখে কিভাবে চেনা যায়—এগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।

৪. বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তরে—প্রার্থী কোন বিষয়ে অধ্যয়ন বা ট্রেনিং করেছে বা পছন্দের বিষয় আছে কি না জানতে চাওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর উত্তরের ওপর ভিত্তি করেই সাধারণত পরবর্তী প্রশ্ন করা হয়।

আবার অনেক সময় পরীক্ষক যে বিষয়ে স্পেশালিস্ট (যেমন—মেডিসিন/সার্জারি/গাইনি/বেসিক), সে বিষয়েও কিছু প্রশ্ন করেন। তবে প্রার্থী সেই বিষয়ে অধ্যয়নরত না হলে বা খুব ভালো না পারলে খুব বেশি প্রশ্ন করা হয় না।

৫. মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিগুলো (সার্জিক্যাল/মেডিসিন/গাইনি/চোখ) থেকেও বিভিন্ন প্রশ্ন হতে পারে। প্রত্যেক সিস্টেমের কমন রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যা যা পড়তে বা জানতে হবে—

সিস্টেমভিত্তিক (প্রত্যেকটি সিস্টেমের কমন বিষয় বা সচরাচর প্রশ্ন)

কার্ডিও (MI, HTN, হার্ট ফেইলিওর ইত্যাদির ম্যানেজমেন্ট ও ড্রাগ)

রেসপিরেটরি (Asthma ও COPD-এর স্বরূপ, এদের পার্থক্য ও চিকিৎসাসহ বিস্তারিত)

এন্ডোক্রাইন (DM, থাইরয়েডের পাশাপাশি ইনসুলিন ও ওরাল ড্রাগ সম্পর্কিত তথ্য)

রেনাল (একিউট ও ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর)

ডাইজেস্টিভ (PUD খুব কমন বিষয়, তবে এ ক্ষেত্রে সিনারিও দেখাও গুরুত্বপূর্ণ)।

এ ছাড়া হেড ইনজুরি ও স্ট্রোক—অ্যাক্সিডেন্টাল ইনজুরিতে উপজেলায় কিভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। ATLS প্রটোকল ও ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টও গুরুত্বপূর্ণ টপিক। জিসিএস ও ম্যানেজমেন্ট, আই, ইএনটি, স্কিন, সাইকিয়াট্রির সাধারণ ও কমন সমস্যাগুলো জানতে হবে।

৬. ‘সকালে কী খেয়ে এসেছেন?’ প্রশ্ন দিয়ে ভাইভার প্রশ্ন শুরু হলেও এর উত্তরে যেসব খাদ্যের নাম বলবেন, সেগুলোর প্রকরণের ধরন নিয়েও পরবর্তী প্রশ্ন হতে পারে। নার্ভাস সিস্টেম, সিমপ্যাথেটিক ও প্যারাসিমপ্যাথেটিক সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করা হয়। ‘পয়জনিং’ একটি কমন বিষয়। উপজেলায় সাধারণত কী কী পয়জনিং শনাক্ত হয়, OPC ও সিডেটিভ পয়জনিং কী—প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয়। প্রসঙ্গক্রমে বিএমআই নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে।

৭. নারী প্রার্থীদের গাইনি বিষয়ে প্রশ্ন করার সম্ভাবনা বেশি। এ ক্ষেত্রে গর্ভকালীন জটিলতা এবং এর ম্যানেজমেন্ট খুবই কমন প্রশ্ন। পেডিয়াট্রিকস, বাচ্চাদের ডায়রিয়া, ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট, শিশুমৃত্যুর কারণ, ইপিআই শিডিউল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

৮. ৪২তম বিসিএস যেহেতু করোনাকালীন স্পেশাল বিসিএস, তাই ইনফেকশাস ডিজিজ সম্পর্কে প্রশ্ন হবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। করোনার উৎপত্তি, করোনাভাইরাসের গঠন, ইমিউনোলজিতে টিকার ভূমিকা, করোনার টিকাগুলোর ধরন-বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। পাশাপাশি করোনা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক গাইডলাইন, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ, আরো কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—এমন তথ্য ও মতামত জানাতে হতে পারে।


৯. MDG ও SDG-তে স্বাস্থ্য সেক্টরে লক্ষ্যসীমা এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নিয়েও প্রশ্ন হতে পারে।

১০. স্বাস্থ্য ক্যাডারের পদসোপান, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কার্যাবলি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকের নাম, স্বনামধন্য ডাক্তারদের পরিচিতি সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নেবেন।

🧲 সাধারণ প্রশ্ন

১. আপনার নিজের নামের অর্থ, ওই নামে বিখ্যাত কোনো ব্যক্তি থাকলে তাঁর বিস্তারিত পরিচিতি, নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য, নিজ জেলা (নামকরণের ইতিহাস, প্রসিদ্ধ স্থান, বিখ্যাত ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি) সম্পর্কে সচরাচর প্রশ্ন করা হয়।

২. বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় চার নেতা ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাজারে প্রচলিত বিসিএস প্রস্তুতির বই এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা রেফারেন্স বই আপনার কাজে আসবে।

৩. জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়েও প্রশ্ন হতে পারে। বিস্তারিত তথ্য পেতে আরিফ খানের সংবিধানের ব্যাখ্যাসংবলিত বইটি দেখতে পারেন।

৪. জাতীয় বিষয়াবলি থেকে রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষাসমূহ, সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে যাবেন।

৫. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাম্প্রতিক  আলোচিত বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে আপনার কাছে তথ্য কিংবা মতামত চাওয়া হতে পারে।

(দৈনিক কালের কন্ঠ, ২২ মে, ২০২১ থেকে নেয়া হয়েছে)

=============================

ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান কোন্ পথে

গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনী এবং ইসরাইলী সেনা বাহিনীর মধ্যে হামলা পাল্টাহামলা তীব্র আকার ধারণ করেছে। দশ মে সোমবার রাতে গাজায় ইসরাইলী বিমান হামলা শুরু হয়েছিল গাজা থেকে ইসরাইলের ভেতর হামাসের রকেট এসে পড়ার পর। রোজার ভেতর জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ এবং আশপাশে ফিলিস্তিনীদের ওপর চাপানো নানা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, কট্টরপন্থী ইহুদীদের উস্কানি বন্ধ এবং জেরুজালেমের শেখ জারা এলাকা থেকে ছয়টি ফিলিস্তিনী পরিবারকে উৎখাতের উদ্যোগ বন্ধের জন্য ইসরাইল সরকারকে ১০ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়। ইসরাইল তার তোয়াক্কা না করলে গাজা থেকে একঝাঁক রকেট এসে পড়ে জেরুজালেমের উপকণ্ঠসহ দক্ষিণ ইসরাইলের কয়েকটি শহরে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গাজায় শুরু হয় ইসরাইলের বিমান হামলা, যে তা-বের মাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে এবং কবে তা শেষ হবে তার কোন স্পষ্ট ইঙ্গিত এখনও নেই।

রক্তক্ষয়ী হামলায় গাজায় একটি মিডিয়া টাওয়ারসহ বেশ কয়েকটি টাওয়ার ইসরাইলী হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ১১ তলাবিশিষ্ট মিডিয়া টাওয়ারে আলজাজিরা ও এপিসহ আরও কয়েকটি মিডিয়ার অফিস ছিল। ছিল কিছু আবাসিক এ্যাপার্টমেন্টও। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘যুদ্ধবিরতির’ আহ্বানের পরও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই লেখা তৈরি পর্যন্ত টানা ১০দিন ধরে গাজায় সংঘাত চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলী হামলায় অন্তত ২২০ ফিলিস্তিনী নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৩ শিশুও রয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলী হামলায় প্রায় ৪৫০ ভবন ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অপাদিকে, দুই শিশুসহ ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলছে, গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনী জঙ্গীরা ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিন হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছে।


ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলী দখলদার বাহিনীর সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে খোদ ইসরাইলের ভেতরেই। এতে অংশ নিচ্ছেন ইসরাইলে বসবাসকারী ফিলিস্তিনী নাগরিকরা। তবে এর জন্য কম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না তাদের। দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ব্যাপক ধরপাকড় আর নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। এই প্রতিবাদে ইসরাইলের বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে পাচ্ছেন ফিলিস্তিনীরা। সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করছে তারা।

ইসরাইলী ভূমিতে প্রায় ১৬ লাখ ফিলিস্তিনী বসবাস করেন, যা সেখানকার মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের মতো। কিন্তু গত এক যুগ ধরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শাসনামলে ইসরাইলের সবচেয়ে অরক্ষিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছেন এই মুসলিমরা।


বিবিসির জেরুসালেমের সাংবাদিক হরিন্দর মিশ্র জানিয়েছেন, গত সাত বছরের মধ্যে ১০ মে প্রথম জেরুজালেমে জনগণকে সতর্ক করতে কয়েকবার সাইরেন বেজেছে। শহরের পরিস্থিতি থমথমে। শহরের পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মোড়ে মোড়ে এবং স্পর্শকাতর প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বাইরে প্রচুর পুলিশ। অনেক বছর পর জেরুজালেমে এরকম টান টান উত্তেজনা। ইসরাইলী বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, ইসরাইলী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পাঁচ হাজার রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েনের এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যে কোন সময় এই সেনা মোতায়েন করতে পারে তারা। এসব লক্ষণ বলছে, আবারও একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দিকে দুটি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত টোর ওয়েন্সল্যান্ড বলেছেন, দুই পক্ষেই ‘পরিস্থিতি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে চলে যাচ্ছে।’ যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ‘শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়াস দ্বিগুণ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় গাজার শত শত বাসিন্দা বলছেন, ইসরাইলের টানা বোমার যে ধ্বংসযজ্ঞ তা নজিরবিহীন। অনেকে লিখছেন, যে কোন সময় প্রাণ যেতে পারে এই আশঙ্কায় পরিবারের সব সদস্য এখন বাড়ির একটি ঘরের মধ্যে থাকছেন যাতে মরলে তারা একসঙ্গে মরতে পারেন। সাংবাদিকরাও লিখছেন ২০১৪ সালে যখন ইসরাইল গাজায় স্থল অভিযান চালিয়েছিল তখনও পরিস্থিতি এত ভীতিকর হয়নি।

আরব বিশ্বের অবস্থান : এমন একটি প্রাণঘাতী হামলার পর বিশ্বজুড়েই ক্ষোভ ও নিন্দা ঝড় বইবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে পশ্চিমা বিশ্বের শহরে শহরেও। অথচ ক্ষমতাধর এবং ইসরাইলের মিত্র মুসলিম রাষ্ট্রগুলো প্রথমদিকে নিশ্চুপ। নিরীহ ফিলিস্তিনীদের ওপর দখলদার ইসরাইলের হামলায় অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করছে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। দু’পক্ষের লড়াইয়ের নিন্দা আর সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েই যেন তাদের দায়িত্ব শেষ। অথচ মুসলিম দেশগুলো শক্ত অবস্থান নিতে পারলেই ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের শক্তি অনেক বেড়ে যেত। ফিলিস্তিনীদের দুঃখ যেন আরব বিশ্বের চোখেই পড়ছে না। রাজনীতি, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গেছে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো। এক্ষেত্রে অন্যতম সৌদি আরব। ফিলিস্তিনের পাশে সৌদির মতো একটি দেশ শক্ত অবস্থান নিলেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যেত। কিন্তু তারাও ভিন্ন পথেই হাঁটছে। নিন্দা প্রকাশ করেই ক্ষান্ত তারা। গত মঙ্গলবার সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফরহান বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে পুরো অঞ্চলকে ভুল পথে ধাবিত করছে। তিনি সামরিক সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

অপরদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইসলামিক সংস্থা দুনিয়া মেলায়েউ দুনিয়া ইসলাম (ডিএমডিআই)। ১৬ মে এক বিবৃতিতে ডিএমডিআই নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা উচিত। ১০ মে সকালে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরাইলী পুলিশী অভিযান, তারপর সেই রাতেই ইসরাইলকে লক্ষ্য করে গাজা থেকে রকেট ছোড়া এবং গাজায় ইসরাইলী বিমান হামলার পর সংঘাত যে বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে, তা ২০১৮ সালের পর দেখা যায়নি। ২০১৮ সালের ১৪ মে ছিল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনীদের রক্তাক্ত ইতিহাসের একটি বিষাদময় দিন। যুক্তরাষ্ট্র সেদিন জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করছিল। আর সেদিন গাজা পরিণত হয়েছিল এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। ফিলিস্তিনী কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী ইসরাইলী সেনাদের গুলিতে সেদিন গাজায় নিহত হয় ৫৮ জন। আহত হয় আরও প্রায় তিন হাজার। কিন্তু এবারের সংঘাত সেটাকে ছাড়িয়ে ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের ঘরবাড়ি বোমা মেরে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ইসরাইল। প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ সেই যুদ্ধে নিহত হয়।

সংঘাতের পেছনের কারণ : পূর্ব জেরুজালেমে পাহাড়ের ওপর পবিত্র একটি স্থানে ফিলিস্তিনী ও ইসরাইলী পুলিশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে সহিংসতা বৃদ্ধির জেরেই ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে এই সংঘাত শুরু হয়। এই স্থানটি মুসলিম এবং ইহুদী দুই ধর্মের মানুষের কাছেই পবিত্র। মুসলিমদের কাছে এটি হারাম আল-শরীফ এবং ইহুদীদের কাছে এটি টেম্পল মাউন্ট। সেখান থেকে ইহুদী বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করতে চায়।

বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা জেরেমি বোওয়েন এই সংঘাতের একটি বিবরণ তুলে ধরেছেন গণমাধ্যমটির অনলাইনে। সেখানে তিনি বলছেন, দশকের পর দশক ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের মূলে যেসব কারণ, সেগুলোর কোন সমাধান এতদিনেও হয়নি বলেই ঘুরে ফিরে এই সংঘাত ঘটে। এবারের সংঘাতের কেন্দ্রে জেরুজালেম।

বহুদিন ধরেই ফিলিস্তিনীদের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে যে ইসারাইলী দক্ষিণপন্থীরা জেরুজালেম থেকে ছলেবলে তাদের উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর। শেখ জারাহ থেকে ওই পরিবারগুলোকে বাড়িছাড়া করার সিদ্ধান্ত সেই ছকেরই অংশ। শেখ জারায় যে জমির ওপর ওই চার ফিলিস্তিনী পরিবার গত প্রায় ৭০ বছর ধরে বসবাস করছেন। অথচ হঠাৎ তার মালিকানা দাবি করে কয়েকজন কট্টরপন্থী ইহুদী। জেরুজালেম নগর কর্তৃপক্ষ এবং শহরের একটি নিম্ন আদালত সেই দাবি মেনেও নেয়। ফিলিস্তিনীদের ক্ষোভের সূচনা সেখান থেকেই। এ নিয়ে শেখ জারাহ এবং জেরুজালেমের পুরনো এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনী কিশোর তরুণদের সঙ্গে লেহাবা এবং আরও কিছু কট্টর ইহুদী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে হাতাহাতি, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় কিংবা গালিগালাজ বিনিময় চলছিল। এরই মধ্যে রোজার শুরুতে পুলিশ জেরুজালেমে ফিলিস্তিনীদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ বসালে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

যেমন, বহুদিন ধরেই রোজার সময় পুরনো শহরের দামেস্ক গেটের চত্বরে সন্ধ্যায় জমা হয়ে ইফতার করে অনেক ফিলিস্তিনী। এবার ইসরাইলী পুলিশ তা নিষিদ্ধ করে- যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই সঙ্গে যোগ হয় কট্টর ইহুদীদের ‘জেরুজালেম দিবস’ কুচকাওয়াজ নিয়ে উত্তেজনা।

১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখলের ঘটনাকে ইসরাইলী দক্ষিণপন্থীরা প্রতিবছর উদ্যাপন করে। প্রতিবছর ১০ মে এই উপলক্ষে কয়েক হাজার ইহুদী পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনী এলাকার ভেতর দিয়ে মিছিল করে। এ বছর ঘটনাক্রমে দিনটি পড়েছে রোজার ভেতর। ফিলিস্তিনীরা চেয়েছিল এবার যেন ওই মিছিলের রুট বদলানো হয়। কিন্তু ইসরাইলী পুলিশ বা নগর কর্তৃপক্ষ তাতে কান দেয়নি যা নিয়ে ফিলিস্তিনীরা ক্ষুব্ধ ছিল। অবশ্য ১০ মে শেষ মুহূর্তের এক সিদ্ধান্তে মিছিলটি ফিলিস্তিনী এলাকায় যেতে দেয়া হয়নি।

যুদ্ধবিরতির জন্য তোড়জোড় : মধ্যস্থতার একটি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। গাজায় নির্ভরযোগ্য ফিলিস্তিনী সূত্র উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিসর এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিশ্ব মোড়লরা রাজনৈতিক সমাধানের পথে না গিয়ে বরং আরও একটি যুদ্ধবিরতি নিয়েই তোড়জোড় শুরু করেছেন। ১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনে চলমান বিমান হামলার আটদিন পর উভয়পক্ষকে ‘যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানান। ফোন কলের মাধ্যমে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

গত ১০ মে সহিংসতা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তৃতীয়বারের মতো ১৮ মে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন দেন এবং যুদ্ধবিরতির জন্য সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেফ বোরেলও ইইউভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সের পর যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আবার আমেরিকার চিরাচরিত ভাষায় কথা বলেছেন। তারা জোর দিয়ে বলেছেন ফিলিস্তিনী রকেট হামলার মুখে ইসরাইলের আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রয়েছে। ইসরাইলী বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ব্লিঙ্কেন উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তিনি দুই পক্ষের হামলাকারীদের মধ্যে ‘একটা পরিষ্কার পার্থক্য রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন ‘একটি হলো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন যারা বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করছে এবং ইসরাইল হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে।’

এ সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল-ফিলিন্তিন বিষয়টি উত্থাপন করতে বাধা দিলেও বাইডেন প্রশাসনকে কূটনৈতিক পর্যায়ে তাদের ভূমিকা তুলে ধরার জন্য দ্রুত মাঠে নামতে হচ্ছে। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন এর জন্য তাদের পুরো কোন টিম তৈরি নেই, এমনকি ইসরাইল রাষ্ট্রদূত হিসেবে তারা কাউকে মনোনয়নও করেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন এবং অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা ইসরাইলের পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা বলছেন। আরব দেশগুলোর প্রতি জরুরী আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা মিসরের নেতৃত্বে আঞ্চলিকভাবে একটা পদক্ষেপের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করে।

অর্থাৎ গাজায় হামাসকে লক্ষ্য করে ইসরাইলের বিমান হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুকে জো বাইডেন তার কার্যসূচীতে অন্তত অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু তিনি মানবাধিকারের বিষয়কে যেভাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, সেটা ফিলিস্তিনীদের ক্ষেত্রে কতটা প্রয়োগ করতে উদ্যোগী হবেন- তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এবারের সংঘাতে দুটি বিষয় নতুন। এক. জেরুজালেমে অসন্তোষের স্ফুলিঙ্গ থেকে এই যুদ্ধের দাবানল তৈরি হয়েছে। অপরটি হলো, এই ঘটনার জেরে ইসরাইলের ফিলিস্তিনী বংশোদ্ভূত নাগরিকদের মধ্যেও প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে এবং এর ফলে ইসরাইলের যেসব শহরে আরব ও ইহুদী জনগোষ্ঠী একসঙ্গে বসবাস করে সেখানে প্রতিবাদ উদ্বেগজনক দাঙ্গায় রূপ নেয়।

এই সংঘাত আবার মনে করিয়ে দিয়েছে যে, দানা বাঁধা অসন্তোষের জেরে এবারের যুদ্ধ শুরু হলেও এটা আরও ব্যাপকভিত্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু নিয়ে লড়াই। তাই অগ্নিগর্ভ এই পরিস্থিতি একসময় থিতিয়ে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরাইল-ফিলিস্তিনী সংঘাতের প্রশ্নে বাইডেন প্রশাসনকে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। কিন্তু সেখানে সফল হতে গেলে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ভেঙ্গে পড়া সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে তার প্রশাসনকে মনোযোগী হতে হবে এবং ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটা সফল ও কার্যকর ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র গঠনের প্রতি মৌখিকভাবে তার প্রশাসনের সমর্থন প্রকাশ করতে হবে।

জেরুজালেম শহরের দখল ইসরাইল নেয় ১৯৬৭ সালে। ফিলিস্তিনীরা দাবি করে শহরের পূর্বাঞ্চলটা তাদের। শহরের ওই অংশ দুই পক্ষের জন্যই পবিত্র স্থান এবং এই অংশ নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। শহরের এই অংশের ভবিষ্যত কী হবে সেটাই হলো আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল বিষয়। এই অবস্থায় বাইডেন প্রশাসনের উচিত জেরুজালেমে লাল রেখা টেনে দেয়া। ইসরাইলী সরকারকে বলা, ‘এখানে থামতে হবে!’ আর বেশিদূর যাওয়া যাবে না। তাদের বলতে হবে, আমরা ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি কিন্তু এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে হবে। আর জেরুজালেম যেহেতু তিনটি ধর্মের পবিত্র নগরী। তাই জেরুজালেমকে একটি নিরপেক্ষ নগরী হিসেবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে টিকিয়ে রাখতে হবে। যাতে সেখানে সব ধর্মের মানুষই শ্রদ্ধা নিবেদনে যেতে পারে।

ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বা ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু- এই দুজনের কেউই যে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য দরকষাকষিতে কোন ছাড় দেবেন- সেটা কেউই বিশ্বাস করেন না। তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে সংঘাত ও রক্তক্ষয় বাড়তেই থাকবে। সমাধান আসতে হবে বাইরের হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই। তাৎক্ষণিক সমাধান হলো যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা। দ্রুত দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা। এটা একমাত্র হতে পারে বাইরের হস্তক্ষেপে। সম্ভবত সবচেয়ে ভাল ফল আসতে পারে মিসর হস্তক্ষেপ করলে। স্থায়ী সমাধানের জন্য জাতিসংঘের মাধ্যস্থতায় আরব বিশ্ব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বসে দুই দেশের মধ্যে বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতার আলোকে একটি সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারে। সেই সীমানায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে একটি স্থায়ী সীমানা প্রাচীর গড়ে তোলা যেতে পারে।

১৯.০৫.২০২১, জনকণ্ঠ
কাওসার রহমান
লেখক : সাংবাদিক

=============================

বিসিএস লিখিত+!ভাইভা প্রস্তুতি
- মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষিত।

২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) থান টে (Than Htay)-এর নেতৃত্বাধীন ও TATMADAW (মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী) সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) বিরুদ্ধে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে ভূমিধস বিজয় অর্জন করে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ফল প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন তা বিবেচনায় না নিয়ে সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতির কাজ করছিল। মূলত দুটি কারণ সামরিক বাহিনীকে সেনা অভ্যুত্থানের দিকে পরিচালিত করেছিল-

ক. নির্বাচন কমিশন সামরিক বাহিনীর অভিযোগগুলো বিবেচনায় না নেওয়ায় তা তাদের অহংবোধে হানে; ফলে তারা অসন্তুষ্ট হয়েছিল।

খ. সামরিক বাহিনী বুঝতে পেরেছিল, সু চি যদি সরকার গঠন করেন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর অসামরিক সরকার দেশ পরিচালনা করে, তবে রাজনীতিতে এবং দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে) সামরিক বাহিনীর প্রভাব মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে। সুতরাং, কিছু করতে হলে এখনই না হলে আর কখনই তা সম্ভব হবে না। ফলে ১ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লার নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী সেনা অভ্যুত্থান করে।

২. সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং একজন বামার (মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়)। তিনি সামরিক বাহিনীতে একজন মধ্যমমানের অফিসার হলেও শান্ত, দৃঢ় এবং লক্ষ্য অর্জনে অটল হিসাবে পরিচিত। এ ছাড়া তিনি কিছুটা অহংকারীও বটে। ২০০৮ সালের সংবিধানে (সামরিক বাহিনী প্রণীত) প্রদত্ত ক্ষমতা অপব্যবহার করে তিনি নিজের মেয়াদ পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়ে নিয়েছিলেন, যা ২০২১ সালে শেষ হবে।

২০১১ সালে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, আমাদের একটি অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর তীব্র নির্যাতন-নিপীড়ন দেখেছি। ২০১৭ সালে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলকরণের পর যখন পশ্চিমা ও বিশ্ব সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সচেষ্ট ছিল, তখন তার মন্তব্য ছিল-আমরা তাদের বিতাড়িত করেছি ফেরত আনার জন্য নয়। মিয়ানমারের এ শক্তিশালী মানুষটি TATMADAW নামক এমন একটি সংস্থাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা শুধু একটি সশস্ত্র বাহিনী নয়, তার চেয়েও সম্ভবত অধিক শক্তিশালী একটি সংগঠন।

৩. TATMADAW প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিগত সাত দশক ধরে মিয়ানমার শাসন করছে। দীর্ঘ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামরিক শাসনের অধীনে সামরিক বাহিনী দানবে পরিণত হয়ে থাকে এবং TATMADAWI এর ব্যতিক্রম নয়। এটি প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিসংবলিত জ্ঞান ও মেধাভিত্তিক এমন একটি সংস্থা, যা মিয়ানমারের অন্যান্য সংস্থার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এমন দানবীয় মনোভাবসম্পন্ন ও সঙ্গে মেধার সংমিশ্রণযুক্ত সংস্থা যে কোনো দেশের জন্য বিপজ্জনক। তারা বিশাল ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে অর্থনীতিকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করাসহ প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও ইমিগ্রেশন (সীমান্ত) মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে।

পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তাদের প্রভাব রয়েছে। সংবিধানে TATMADAW সমর্থিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনে অর্জিত আসনের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর জন্য পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দের বিধান রয়েছে। জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কাউন্সিল হলো দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী সংস্থা, যা প্রয়োজনে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

এ কাউন্সিলটি সামরিক সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃত্বাধীন। মিয়ানমারের জেনারেলরা অত্যন্ত চতুর, তারা যেভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুটি সামাল দিয়েছিলেন এবং এমনভাবে উভয় আঞ্চলিক শক্তি এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের দুই স্থায়ী সদস্যকে তাদের পক্ষে নিয়েছিলেন যে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। তাদের ভূ-রাজনীতি ও ভূ-কৌশল প্রশংসনীয়। যখন কেউ TATMADAW জেনারেলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন, তখন তিনি কেবল কোনো সামরিক ব্যক্তির সঙ্গে বসেন না, একজন বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং একটি শক্তিশালী সংগঠনের নেতার সঙ্গে বসেন- যাদের কয়েক দশক ধরে দেশ পরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান রয়েছে। তারা বলে কম, শোনে বেশি এবং তাদের প্রকাশ খুব কম। রোহিঙ্গা ইস্যুর ক্ষেত্রে আমাদের বুঝতে হবে যে, আমরা পেশাদারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি তুখোড় কূটকৌশলীর বিপক্ষে কাজ করছি।

৪. অং সান সু চি নব্বইয়ের দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠেন। সামরিক জান্তা কর্তৃক ১৯৮৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তিনি ১৫ বছরই গৃহবন্দি ছিলেন এবং ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে ২৫ বছর পর মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে তার দল এনএলডি বিজয়ী হয়েছিল।

২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক ক্র্যাকডাউনের নিন্দা না করায় তিনি সারা বিশ্বে সমালোচিত হন। তার পশ্চিমা সংযোগ, গণতন্ত্র এবং শান্তির পক্ষে লড়াই তাকে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করেছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন বর্ণবাদী, ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদ। এটি বলার কারণ-

ক. ২০১৪ সালে আমি যুক্তরাজ্যের স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারি একাডেমিতে তার বক্তব্য শুনতে গিয়েছিলাম। বক্তব্যের পর তার দেশে বিশেষত রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে তার অবস্থান জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু উভয়েই ‘ভয়ে’ রয়েছে এবং এটি আসলেই ভয়ের বিষয়।

তাই এ সম্পর্কে তার কোনো মন্তব্য নেই। তিনি এমন একজন ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদ, যিনি ২০১৫ সালে আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভের জন্য রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বা TATMADAW-এর বিরুদ্ধে যাননি বা তাদের অখুশি করতে চাননি।

খ. ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে গণহত্যা ও জাতিগত ‘নির্মূলকরণের’ অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। আইসিজে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে তিনি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তখন মিয়ানমারের প্রতিটি অঞ্চলে সু চির পেছনে TATMADAW জেনারেলদের ছবিসংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন করা হয় এবং তাতে লেখা ছিল: ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি’। তিনি ২০২০ সালের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের ও ক্ষমতার লোভে গণতন্ত্র ও শান্তির নায়ক হিসাবে অর্জিত তার খ্যাতিকেও ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিলেন।

আইসিজে আদালত কক্ষে আমরা তার কাছ থেকে মাত্র ২০ ফুট দূরে বসেছিলাম। গাম্বিয়া কর্তৃক উপস্থাপিত গণহত্যার প্রমাণ উপস্থাপনকালে তিনি শান্ত ও উদাসীন ছিলেন। গাম্বিয়ান আইনজীবী যখন পর্দায় ওহহ উরহ গ্রামে গণহত্যার ছবি দেখালেন, যেখানে রোহিঙ্গা পুরুষদের একসঙ্গে হাঁটু গেড়ে বসানোর ছবি এবং পরবর্তী সময়ে তাদের শিরশ্ছেদ করা ছবিটি দেখানো হলো, তা আদালত কক্ষের প্রায় সবাইকে স্পর্শ করেছিল। কিছু রোহিঙ্গা বিধবাও আদালত কক্ষে ছিলেন, যাদের ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠা আদালতের পরিবেশকে ভারী করে তুলেছিল। কিন্তু আমি লক্ষ করলাম, গণতন্ত্র ও শান্তির তথাকথিত জননী সু চির সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তার মুখে ছিল উদাসীনতার হাসি।

গ. ২০১৩ সালে বিবিসির উপস্থাপিকা মিশাল হোসেন সু চির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিষয়টি উল্লেখ করে তা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ না করায় একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সু চিকে চাপ দিচ্ছিলেন। সু চি বিড়বিড় করে তার সেই চিরচেনা বক্তব্য (দুই পক্ষই ভয়ে আছে) দিয়েছিলেন এবং মিশাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি কোণঠাসা হয়ে ওঠেন।

এ সাক্ষাৎকারের পর সু চি তার একজন সহযোগীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘কেউ আমাকে বলেনি যে আমাকে একজন মুসলমানের দ্বারা সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।’ এরকম আচরণ গণতন্ত্রের জননী, মানবতার আইকন এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর হতে পারেন না। এই আচরণ একজন খাঁটি বর্ণবাদীর। তিনি একজন ক্ষমতালোভী বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ, যিনি বামার আধিপত্য দ্বারা আক্রান্ত। তিনি রোহিঙ্গাদের ঘৃণা করেন। তিনি একজন কৌশলী রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ঞঅঞগঅউঅড তার চেয়ে অধিক কৌশলী।

৫. ২০১৯ সালে চীন সফরকালে সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রেসিডেন্ট শি বলেন, মিয়ানমার চীনের কৌশলগত অংশীদার (কৌশলগত অংশীদার উন্নয়ন অংশীদারও বটে, তবে উন্নয়ন অংশীদার অবশ্যই কৌশলগত অংশীদার নয়, বাংলাদেশ চীনের একটি উন্নয়ন অংশীদার)।

উত্তরে সিনিয়র জেনারেল বলেছিলেন, TATMADAW সর্বদা চীনের পাশে থাকবে। এ শব্দভান্ডারের গভীর অর্থ রয়েছে। চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা একটি কৌশলগত ইস্যু এবং চীনা অর্থনৈতিক বিকাশের মূল কেন্দ্র। চীনের গ্যাস ও তেল পাইপলাইন মিয়ানমারের কিউকফিউ (সিট্যুয়ে) বন্দর থেকে রাখাইন রাজ্যের (যেখানে রোহিঙ্গাদের আবাস ছিল) বেশির ভাগ অংশ হয়ে কুনমিং (চীন) পর্যন্ত বিস্তৃত। চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য মিয়ানমারকে দরকার। চীন যতটা সম্ভব মালাক্কা প্রণালি এবং দক্ষিণ চীন সাগর এড়াতে চাইবে। ফলে সামরিক জান্তাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে চীনের বিবেচনা কৌশলগত, উপরন্তু কোনো নৈতিক দ্বিধাও নেই।

৬. মিয়ানমারে চীনের পর বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রয়কারী দেশ রাশিয়া। তাদের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা অত্যন্ত দৃঢ় ও গভীর। সেনা অভ্যুত্থানের পর ২০২১ সালের ২৭ মার্চ মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজে রাশিয়ার একটি কন্টিনজেন্ট অংশ নিয়েছিল। এমনকি রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়ার এ অংশগ্রহণকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। সার্বিক বিবেচনায় রাশিয়ারও জান্তাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে নৈতিক দ্বিধা নেই।

৭. ভারতের কালাদান বহুমুখী ট্রানজিট পরিবহণ প্রকল্পটি বঙ্গোপসাগর, কালাদান নদী এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য দিয়ে তার পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ। ভারত এ প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ভারত ও তার পশ্চিমা মিত্ররা চায় না মিয়ানমার চীন দ্বারা পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রিত হোক। রোহিঙ্গা ইস্যুতে, ভূ-রাজনৈতিক কারণে ভারত তার নৈতিক দ্বিধা লুকিয়েছিল; কিন্তু মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের ঘটনায় তার নৈতিক দ্বিধা গোপন করতে পারেনি।

৮. সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কী? যতক্ষণ চীন ও রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে ততক্ষণ মিয়ানমার সামরিক বাহিনী দুটি কারণে ক্ষমতায় থাকবে-ক. তারা চাপে পড়ে হাল ছেড়ে দিলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশ পরিচালনায় তাদের আধিপত্য চিরদিনের জন্য খর্ব হয়ে যাবে। খ. TATMADAW মনে করে সামরিক বাহিনী ছাড়া মিয়ানমার খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যাবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হবে ও অচল হয়ে পড়বে।

৯. এনএলডির নেতৃত্বের আওতায় গঠন করা হয়েছে ঐক্য সরকার (Unity government)। এ উদ্যোগ জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নাগরিক অবাধ্যতাকে (Civil Disobedience) আরও বেশি গতি দেবে, কিন্তু জান্তা অপসারণে কোনো অগ্রগতি করতে পারবে না বলে অনুমেয়। ASEAN ইতোমধ্যে সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য মিন অং হ্লাইংকে আমন্ত্রণ জানিয়ে জান্তা সরকারকে বৈধতা দিয়েছে।

তবে ঐক্য সরকার তার সামরিক শাখাসহ (সব জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপকে একত্রিত করে) TATMADAW-এর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারলে জান্তার অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। এটি মনে রাখতে হবে যে, নিষ্ঠুর শক্তি কেবল নিষ্ঠুর শক্তিকেই আমলে নেয়। আন্তর্জাতিক চাপ, নিষেধাজ্ঞা বা আলোচনার মাধ্যমে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান হবে না বলে অনুমেয়। অতীতে এসব চাপ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অবনত করতে পারেনি।

১০. ASEAN কর্তৃক শান্তি সমঝোতা মিয়ানমারের নাগরিক অবাধ্যতার বিরুদ্ধে TATMADAW-এর বর্বরতা হ্রাস করতে পারে; তবে সামরিক বাহিনী এনএলডির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবে না। TATMADAW মনে করে, এ অপশনটি তাদের শক্তি হ্রাসপূর্বক অসামরিক/রাজনৈতিক শক্তির অধীনস্থ করবে, যাতে তারা সম্মত নয়। তবে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে আবারও অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি পূরণের বিনিময়ে তারা সু চিসহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হতে পারে।

তবে যতক্ষণ পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুটি স্থায়ী সদস্য তাদের পক্ষে রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য থেকে সরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলস্বরূপ গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যেখানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার স্বার্থও ক্ষুণ্ন হবে আর সম্পদ সমৃদ্ধ মিয়ানমার দরিদ্র হয়ে পড়বে।

১১. বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা হুমকি কতটা। বর্তমানে TATMADAW-এর দৃষ্টি ক্ষমতায় টিকে থাকার ওপর নিবদ্ধ রয়েছে বিধায় সব বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র দল অত্যন্ত সক্রিয় থাকবে। রাখাইনে আরাকান আর্মিও সক্রিয় থাকবে। রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপকে রাখাইনে আরও শক্তিশালী অবস্থায় দেখা যেতে পারে। আরাকান আর্মি এবং রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নীতি অনুসরণ করে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্যারেন, কাচিন, শান প্রদেশের সশস্ত্র গ্রুপগুলো একই কাজ করবে। তবে যখন TATMADAW দেখবে তাদের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে উঠছে, তখন ইউনিয়নের ত্রাণকর্তা হিসাবে তাদের প্রাসঙ্গিকতা প্রমাণ করার জন্য রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর মনোনিবেশ করতে পারে। কারণ চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তে অন্যান্য সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে TATMADAW অভিযান পরিচালনা করতে দ্বিধাবোধ করবে।

কিন্তু রাখাইনসংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক অভিযান পরিচালনার অতীত অভিজ্ঞতা বলে, তারা কোনোরূপ দ্বিধাবোধ করবে না। এ পরিস্থিতিতে আমাদের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের দুর্গম অঞ্চলে বাড়তি প্রভাব (Spillover effect) পড়তে পারে। অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি লক্ষ করা যেতে পারে। যখন নেপিদো, ইয়াঙ্গুন ও মান্ডালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তখন রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে TATMADAW কর্তৃক সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।

১২. সম্ভাব্য করণীয়-ক. প্রতিবেশী দেশকে অস্থিতিশীল করতে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারকারী বিদেশি সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করে তা বজায় রাখা উচিত। খ. সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি এবং গোয়েন্দা তৎপরতা আরও বাড়ানো যেতে পারে (to avoid being surprise)। তবে মিয়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ সাবধানতার সঙ্গে অগ্রসর হতে পারে এবং দ্রুতই কোনো পদক্ষেপ বা পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে।

গ. এ পরিস্থিতিতে নীরবতা বা মৌন সমর্থনের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার জন্য TATMADAW নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে Track Two কূটনৈতিক উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া Track Two-এর আওতায় রোহিঙ্গাদের সংস্থাকে এনএলডি নেতৃত্বাধীন ঐক্য সরকারের সঙ্গে সংহতি জানাতে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে এনএলডি নেতৃত্বাধীন ঐক্য সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখাতে পারে। ঘ. মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান/গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ যথাযথ সম্মান অর্জন করেছে। এ মহতী উদ্যোগ যাতে বাংলাদেশের ওপর বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়। সব রোহিঙ্গার অধিকারপূর্ণ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন আজ দুরাশার শামিল। তথাপি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই হবে বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য, যা নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যা বা বিষয়ের আদলে সমাধা করা যাবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা TATMADAW-এর মতো চতুর ও চৌকস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছি।

১৩. ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যা কেন? মিয়ানমারের দাবি অনুযায়ী, এটি কি শুধু তথাকথিত আরসা কর্তৃক মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আক্রমণের প্রতিশোধ ছিল? আঞ্চলিক শক্তিগুলো রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরব কেন? কেন প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের দ্বন্দ্ব? অন্য কোনো লেখায়/প্রবন্ধে এ বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করার আশা রাখি।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান (এলপিআর) : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও)
ধন্যবাদান্তে
অন্তিম কুমার রুপাই

★ লিংক: ইসলামিক লাইব্রেরি PDF (Google Drive)

bcspedia.blogspot.com

১। স্বপ্ন যাদের বিসিএস – অভিজ্ঞদের পরামর্শ


২। বিসিএস নিয়ে প্রচলিত ১০ ভুল ধারণা


৩। বিসিএস (প্রশাসন)-কে কেন সকল ক্যাডার এর রাজা বলা হয়


৪। যদি কূটনীতিক হতে চাও


৫। বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা


৬। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ


৭। ইংরেজির ভয় করতে জয় যা মানতে হয়


৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ইংরেজি সাহিত্য


৯। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: গণিত


১০। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি


১১। বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশল: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি


১২। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ভালো করার উপায়


১৩। সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল


১৪। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা


১৫। বিসিএসের প্রস্তুতি: গাণিতিক যুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


১৬। ভূগোল ও নৈতিকতায় ভালো করতে চাইলে


১৭। বিসিএসের বই পড়াই সব নয়


১৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে



https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/08/effective-sentence.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2022/03/all-about-completing-sentences.html
https://english-grammarblog.blogspot.com/2020/12/rules-of-changing-voice-active-to-passive.html
https://www.google.com/search?q=site%3Aenglish-grammarblog.blogspot.com
★ From Google Drive —

BCS Exam Syllabus (Download Now):

BCS Preliminary Test 

Download PDF

BCS Written Exam

Download PDF

https://bcspedia.blogspot.com/2022/04/preposition-shortcut-rules-techniques.html

https://bcspedia.blogspot.com/2020/10/blog-post_222.html

https://t.me/englishgrammarblog

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/full-guidelines-for-bcs-written-examination.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/1st-world-war-and-2nd-world-war.html

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%20-%20Motivation

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/why-do-muslims-commit-terrorism.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/01/transformation-of-sentences.html

https://bcspedia.blogspot.com/2022/03/bcs-preliminary-test-last-minute-preparation-and-suggestion.html

🔔

https://bcspedia.blogspot.com/search/label/Earn%20Money

 

👍 CATEGORIES ⚝⚝⚝

#ওসমানি #আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান #মিশর #Egypt ১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ১. হ্যান্ডনোট এবং তথ্যবহুল চিত্র ১০. নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন ১১. বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৪০০টি প্রশ্নোত্তর: কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-প্রযুক্তি 43rd BCS ৫. ভাইভা বোর্ড ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ৫২ থেকে ৭১ ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ৭ মার্চ ৭. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ৮. গাণিতিক যুক্তি ৯. মানসিক দক্ষতা অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণা - Motivation আইনকানুন আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়: সীমারেখা আন্তর্জাতিক সীমারেখা আপডেট আপডেট তথ্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক আলোচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনাবলী ইংরেজি ইংরেজি সাহিত্য উপাধি ও ছদ্মনাম এটর্নি জেনারেল এবার যাদের প্রথম বিসিএস কম্পিউটার কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি গণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ পরিচিতি চর্যাপদ চর্যাপদের কবিগণ জাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা এবং জনক জ্যামিতিক সূত্র দেশী বিজ্ঞানীরা নদ-নদী নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পত্রিকা এবং ছদ্মনাম পদ প্রকরণ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শ পরামর্শ V. V. V. I. পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিমিতির (Mensuration) সূত্রাবলিসমূহ পাঁচমিশালী তথ্য + সাধারণ জ্ঞান পারিভাষিক শব্দ পুরাতন ও নতুন নাম প্রতিশব্দ প্রথম প্রকাশিত প্রস্তুতিহীন বিসিএস যাত্রা ফলা এবং যুক্তাক্ষর ফাঁদ প্রশ্ন ফিলিস্তিন Palestine ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলা বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মিলবন্ধন বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলা শব্দার্থ বাংলা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ বিষয়াবলি বাগধারা বানান শুদ্ধিকরণ বিগত পরীক্ষাসমূহ বিপ্লব বিভক্তি বিসিএস পরামর্শ বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভাষা আন্দোলন ভূগোল ভৌগোলিক উপনাম ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং বাংলাদেশ মডেল টেস্ট মডেলটেস্ট মহাকাশ মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যকর্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ খেতাব মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যভাণ্ডার যুক্ত বর্ণ লিখিত গাইডলাইন লিখিত পরীক্ষা লেখা ও লেখক শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও পরামর্শ শ্রেষ্ঠ বাঙালি ✏️✏️ সংবিধান সংবিধান সংশোধনী সদর-দপ্তর সভ্যতা সমাস সাজেশন সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সাহিত্য-উৎসর্গ সাহিত্যিক সাহিত্যে কনফিউশন স্থাপত্য ও স্থপতি স্পোকেন ইংলিশ All Things Review Bangladesh Constitution BCS Preliminary Question Analysis BCS Preparation Special Episodes BCS Questions Earn Money Eat Chew Drink Take Have ? English Grammar English Grammar Exercises with Answers English Grammar Test English Literature Essay Writing General Science ICT Idioms and Phrases International financial institutions Love Stories in Literature Nobel Prize One Word Substitution Preposition Quiz Redundancy বাহুল্য (দোষ) Shortcut to Preposition Spoken English Terrorism Transformation of Sentences 👍 Translation United Nations Vocabulary Warrant of Precedence World Wars

এটি বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ:


Literary Terms 


1. Simile (উপমা):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে as, like, resemble, the same as ইত্যাদি শব্দগুলাের উল্লেখ করে সরাসরি তুলনা করাকে simile বলে। 

Example -

• I wandered lonely as a cloud. 

• Youth (is) like summer morn.

• My heart is like a singing bird. 

• He is as cunning as a fox. 


2. Metaphor (রূপক):

দুটি আলাদা বস্তু বা দুইজন ব্যক্তির মধ্যে comparision এর শব্দসমূহ (যেমন: as, such, like ইত্যাদি) ব্যবহার না করেই তুলনা করাকে metaphor বলে। 

Example -

• Liza is a rose.

• Life is but a walking shadow. 

• Nazrul is fire.

• My brother was boiling mad. 


Note: একই জাতীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে তুলনা হলে ......... Read More 


📓 পুরো আর্টিকেল/পোস্টটি পড়ুন