বিসিএস বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স
বাংলাদেশের দ্বীপ/পাহাড়-পর্বত-পর্বতমালা/সীমানা/অন্যান্য ভৌগোলিক তথ্য
দ্বীপ
1. পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ- বাংলাদেশ
2. বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপ- সুন্দরবন
3. বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ- ভোলা (৩৪০৩ বর্গকিমি)
4. বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা- ভোলা
5. সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ- ছেঁড়া দ্বীপ (না থাকলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ)
[প্রকৃতপক্ষে, ছেঁড়া দ্বীপ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সর্ব দক্ষিণের অংশ । তবে জোয়ারের সময় এটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে আলাদা হয়ে যায় ।]
6. একমাত্র সামুদ্রিক প্রবাল দ্বীপ- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
7. নিঝুম দ্বীপ অবস্থিত- মেঘনা নদীর মোহনায়
8. নিঝুম দ্বীপের পুরোনো নাম- বাউলার চর
9. দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত- সাতক্ষীরা জেলায় (আয়তন- ৮ বর্গকিমি)
10. দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত- হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায়
11. দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অপর নাম- নিউমুর বা পূর্বাশা দ্বীপ (ভারতে এ নামে পরিচিত)
12. দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে বিরোধ- বাংলাদেশ ও ভারতের
13. ভারতীয় নৌ-বাহিনী জোরপূর্বক দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নেয়- ১৯৮১ সালে
14. একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ- মহেশখালি
15. মন্দির আছে- মহেশখালিতে (আদিনাথ মন্দির)
16. মনপুরা দ্বীপ অবস্থিত- ভোলা জেলায়
17. হিরণ পয়েন্ট ও টাইগার পয়েন্ট- সুন্দরবনে অবস্থিত
18. বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত- কুতুবদিয়া
19. প্রাচীনকালে সামুদ্রিক জাহাজ তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল- সন্দ্বীপ
1. বৃহত্তম দ্বীপ একমাত্র দ্বীপ জেলা
ভোলা
2. সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ
ছেঁড়া দ্বীপ
3. সামুদ্রিক প্রবাল দ্বীপ পূর্বনাম/ অপর নাম- নারিকেল জিঞ্জিরা
সেন্ট মার্টিন
4. পাহাড়ি দ্বীপ আদিনাথ মন্দির অবস্থিত
মহেশখালি
5. বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত
কুতুবদিয়া
6. মনপুরা দ্বীপ অবস্থিত
ভোলা জেলায়
7. সুন্দরবনে অবস্থিত
হিরণ পয়েন্ট
8. সুন্দরবনে অবস্থিত
টাইগার পয়েন্ট
9. সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত একসঙ্গে দেখা যায় যে দ্বীপ থেকে
কুয়াকাটা
পাহাড়-পর্বত-পর্বতমালা
[মাটির উঁচু স্তর বা স্তুপকে বলে পর্বত । অপেক্ষাকৃত কম উঁচু মাটির স্তুপকে বলে পাহাড় । আর তারচেয়েও ছোট যেগুলো, সেগুলোকে বলা হয় টিলা । আর অনেকগুলো পর্বতকে একসঙ্গে বলা হয় পর্বতমালা ।]
[তবে পরীক্ষায় সাধারণত পাহাড় বলতেও পর্বতই বুঝিয়ে থাকে; পাহাড় বলতে আলাদা করে পাহাড় নির্দেশ করে না । এ সকল ক্ষেত্রে উত্তর দেয়ার সময় অপশনগুলো ভালোমতো খেয়াল করে উত্তর দিতে হবে । উচ্চতম পাহাড় কোনটি- এই প্রশ্নের উত্তরের অপশনে যদি গারো পাহাড় থাকে, তবে অবশ্যই গারো পাহাড় উত্তর করতে হবে ।]
1. বাংলাদেশের পাহাড়সমূহ গঠিত- টারশিয়ারী যুগে
2. বাংলাদেশের পাহাড়গুলো- ভাঁজ পর্বত
3. দেশের বৃহত্তম/উচ্চতম পাহাড়- গারো পাহাড়
4. গারো পাহাড়- ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত
5. বাংলাদেশের পাহাড়ের গড় উচ্চতা- ৬১০ মিটার বা ২০০০ ফুট
6. ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে- কুলাউড়া পাহাড়ে (মৌলভীবাজার)
7. চন্দ্রনাথের পাহাড় অবস্থিত- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে (হিন্দুদের তীর্থস্থান)
8. লালমাই পাহাড়- কুমিল্লা
9. চিম্বুক পাহাড়- বান্দরবান
10. চিম্বুক পাহাড়ে বাস করে- মারমা উপজাতিরা
11. সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ- তাজিনডং
12. তাজিনডংয়ের অপর নাম- বিজয়
13. তাজিনডং মারমা শব্দ; মানে- গভীর অরণ্যে পাহাড়
14. তাজিনডং- বান্দরবান জেলায় অবস্থিত
15. তাজিনডংয়ের উচ্চতা- ৩১৮৫ ফুট
16. দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ- কেওকারাডং (উচ্চতা- ২৯২৮ ফুট)
17. কেওকারাডং- বান্দরবান জেলায় অবস্থিত
18. তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ- চিম্বুক পর্বতশৃ্ঙ্গ (বান্দরবান জেলায় অবস্থিত)
বন
1. বনাঞ্চলকে- ৪ ভাগে ভাগ করা যায়
2. সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী- ১৯৭৯ সালে
3. জাতীয় বননীতি- ১৯৯৪ সালে
4. বন আইন - ১৯৯২ ও ২০০২ সালে
5. রাষ্ট্রীয় বন নেই- ২৮টি জেলায়
6. দীর্ঘতম বৃক্ষ- বৈলাম বৃক্ষ(বান্দরবানে জন্মে)
7. বন গবেষণা কেন্দ্র- চট্টগ্রামে
8. হরিণ প্রজনন কেন্দ্র- কক্সবাজারের ডুলাহাজরায়
9. শাল গাছের জন্য বিখ্যাত- ভাওয়াল ও মধুপুরের বন
10. বরেন্দ্রভূমি- রাজশাহীতে
সুন্দরবন
1. বাংলাদেশের জাতীয় বন- সুন্দরবন
2. বিশ্ব ঐতিহ্য (World Heritage)- সুন্দরবন
3. সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে- UNESCO (১৯৯৭ সালে) (৫২২তম)
4. মোট বনভূমি- ২৫ লক্ষ হেক্টর/ ২৫ হাজার বর্গকিমি
5. বনভূমি মোট ভূমির- ১৭.৫০%
6. সুন্দরবনের আয়তন - ৫৭৪৭ বর্গকিমি(অথবা ৫৫৭৫ বর্গকিমি)/ ২৪০০ বর্গমাইল
7. বাংলাদেশে সুন্দরবনের- ৬২% (বাকি ৩৮% ভারতে)
8. সুন্দরবনকে স্পর্শ করেছে- ৫টি জেলা
9. পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন- সুন্দরবন (সুন্দরবন টাইডাল বনও বটে)
10. সুন্দরবনের ৩টি এলাকাকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
11. সুন্দরবনের প্রধান গাছ- সুন্দরী
বিভিন্ন স্থানের পুরাতন নাম
বিভিন্ন স্থানের পুরাতন নাম
1. বর্তমান নাম --> ঢাকা
2. পুরাতন নাম --> জাহাঙ্গীরনগর
1. বর্তমান নাম --> চট্টগ্রাম
2. পুরাতন নাম --> ইসলামাবাদ/চট্টলা/চাটগাঁ
1. বর্তমান নাম --> বরিশাল
2. পুরাতন নাম --> চন্দ্রদ্বীপ/বাকলা
1. বর্তমান নাম --> নোয়াখালী
2. পুরাতন নাম --> সুধারামপুর/ভুলুয়া
1. বর্তমান নাম --> ময়মনসিংহ
2. পুরাতন নাম --> নাসিরাবাদ
1. বর্তমান নাম --> কুমিল্লা
2. পুরাতন নাম --> ত্রিপুরা
1. বর্তমান নাম --> সিলেট
2. পুরাতন নাম --> শ্রীহট্ট/জালালাবাদ
1. বর্তমান নাম --> কুষ্টিয়া
2. পুরাতন নাম --> নদীয়া
1. বর্তমান নাম --> খুলনা
2. পুরাতন নাম --> জাহানাবাদ
1. বর্তমান নাম --> বাগেরহাট
2. পুরাতন নাম --> খলিফাতাবাদ
1. বর্তমান নাম --> সাতক্ষীরা
2. পুরাতন নাম --> সাতঘরিয়া
1. বর্তমান নাম --> রাঙামাটি
2. পুরাতন নাম --> হরিকেল
1. বর্তমান নাম --> ফরিদপুর
2. পুরাতন নাম --> ফতেহাবাদ
1. বর্তমান নাম --> কক্সবাজার
2. পুরাতন নাম --> ফালকিং
1. বর্তমান নাম --> ফেনী
2. পুরাতন নাম --> শমসের নগর
1. বর্তমান নাম --> জামালপুর
2. পুরাতন নাম --> সিংহজানী
1. বর্তমান নাম --> গাইবান্ধা
2. পুরাতন নাম --> ভবানীগঞ্জ
1. বর্তমান নাম --> দিনাজপুর
2. পুরাতন নাম --> গণ্ডোয়ানাল্যান্ড
1. বর্তমান নাম --> রাজবাড়ি
2. পুরাতন নাম --> গোয়ালন্দ
1. বর্তমান নাম --> ভোলা
2. পুরাতন নাম --> শাহবাজপুর
1. বর্তমান নাম --> মুন্সিগঞ্জ
2. পুরাতন নাম --> বিক্রমপুর
1. বর্তমান নাম --> চাঁপাই নবাবগঞ্জ
2. পুরাতন নাম --> গৌড়
1. বর্তমান নাম --> সোনারগাঁও
2. পুরাতন নাম --> সুবর্ণগ্রাম
1. বর্তমান নাম --> প্রধানমন্ত্রীর ভবন
2. পুরাতন নাম --> গণভবন (করতোয়া)
1. বর্তমান নাম --> বঙ্গভবন
2. পুরাতন নাম --> গভর্নর হাউজ
সীমানা
বাংলাদেশের সীমানা-
1. উত্তরে- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশ
2. পূর্বে- ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম প্রদেশ ও মায়ানমার
3. পশ্চিমে-ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ
4. দক্ষিণে- বঙ্গোপসাগর
5. সীমান্ত আছে- ২টি দেশের সঙ্গে (ভারত ও মায়ানমার)
6. বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের মোট রাজ্য- ৫টি
7. বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত নয়- মণিপুর রাজ্য (টিপাইমুখ বাঁধ)
8. বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা- ৩২টি
9. ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলা- ৩০টি
10. ভারত ও মায়ানমার দু’টি দেশের সঙ্গেই সীমান্ত আছে- রাঙামাটি জেলার
11. মোট সীমান্ত- ৫১৩৮ কিমি (অথবা ৪৭১৯ কিমি)
12. মোট স্থলসীমা- ৪৪২৭ কিমি
13. ভারতের সাথে সীমান্ত- ৪১৪৪ কিমি (অথবা ৩৭১৫ কিমি)
14. মায়ানমারের সাথে সীমান্ত- ২৮৩ কিমি
15. সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য- ৭১১ কিমি
16. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য- ১৫৫ কিমি (পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত)
17. অর্থনৈতিক সমুদ্র সীমা- ২০০ নটিক্যাল মাইল
18. রাজনৈতিক সমুদ্র সীমা- ১২ নটিক্যাল মাইল
19. সীমান্ত থেকে ফারাক্কা বাঁধের দূরত্ব- ১৬.৫ কিমি/ ১১ মাইল
20. ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল- ৫১টি (পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়)
21. বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ছিটমহল- ১১১টি (লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীতে)
22. সবচেয়ে বেশি ছিটমহল- লালমনিরহাটে (৫৯টি)
23. স্বাধীনতার ৩০ বছর পর বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিএসএফের কাছ থেকে উদ্ধার করে- সিলেটের পাদুয়া
24. বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১৬ মে, ১৯৭৪ (শেখ মুজিব ও ইন্দিরা গান্ধী)
25. সর্ব উত্তরের জেলা- পঞ্চগড় (থানা- তেঁতুলিয়া)
26. সর্ব দক্ষিণের জেলা- কক্সবাজার (থানা- টেকনাফ)
27. সর্ব পশ্চিমের জেলা- চাঁপাই নবাবগঞ্জ (থানা- শিবগঞ্জ)
28. সর্ব পূর্বের জেলা- বান্দরবান (থানা- থানচি)
ছিটমহল
1. ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল- ৫১টি
2. বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ছিটমহল- ১১১টি
3. ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল- ৭১টি
4. বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ছিটমহল- ১০২টি
5. বাংলাদেশ-ভারতের মোট কাউন্টার ছিটমহল আছে- ২৮টি
6. বাংলাদেশ-ভারতের মোট কাউন্টার-কাউন্টার ছিটমহল আছে- ১টি
7. মুজিব-ইন্দিরা গান্ধী চুক্তি এবং বেড়ুবাড়ী-তিনবিঘা করিডোর প্রসঙ্গ
8. মুজিব-ইন্দিরা গান্ধী সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৭৪ সালে
9. চুক্তি অনুযায়ী- বাংলাদেশ ভারতকে দক্ষিণ বেড়ুবাড়ী ছিটমহল দিয়ে দেবে । বিনিময়ে তিনবিঘা করিডোর পাবে । তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশের সঙ্গে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ।
10. বাংলাদেশকে ভারতের কাছে দক্ষিণ বেড়ুবাড়ী হস্তান্তর করে- ১৯৭৪ সালে
11. ভারত বাংলাদেশের জন্য তিনবিঘা করিডোর খুলে দেয়- ২৬ জুন, ১৯৯২ (প্রতিদিন ১২ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকতো)
12. বেড়ুবাড়ী ছিটমহল- পঞ্চগড় জেলায়
13. ভারত বাংলাদেশের কাছে তিনবিঘা করিডোর লিজ দেয়- ২০১১ সালে
14. ভারত বাংলাদেশকে তিনবিঘা করিডোর লিজ দিলেও দক্ষিণ বেড়ুবাড়ী ভারতের দখলে আছে
15. তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশের জন্য ২৪ ঘণ্টা খুলে দেয়ার জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়- ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১
16. দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের মানুষের জন্য তিনবিঘা করিডোর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (১৯ অক্টোবর ২০১১)
17. স্বাধীনতার ৩০ বছর পর বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিএসএফের কাছ থেকে উদ্ধার করে- সিলেটের পাদুয়া
নদ-নদী
1. মোট নদ-নদী- প্রায় ৭০০টি
2. ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা নদী- ৫৫টি
3. মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা নদী- ৩টি
4. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী- ১টি (পদ্মা)
5. মোট আন্তঃসীমান্ত নদী- ৫৮টি
6. বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া নদী- ১টি (কুলিখ)
7. বাংলাদেশে উৎপত্তি ও সমাপ্তি এমন নদী- ২টি (হালদা ও সাঙ্গু)
8. বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- আত্রাই
9. বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী- নাফ
10. বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা
11. হাড়িয়াভাঙ্গার মোহনায় অবস্থিত- দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ (ভারতে নাম পূর্বাশা, এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।)
12. প্রধান নদী- পদ্মা
13. দীর্ঘতম নদী- সুরমা (৩৯৯কিমি)
14. দীর্ঘতম নদ- ব্রহ্মপুত্র (একমাত্র নদ) (দীর্ঘতম নদীর উত্তরে ব্রহ্মপুত্র থাকলে ব্রহ্মপুত্র-ই উত্তর হবে)
15. প্রশস্ততম নদী- যমুনা
16. সবচেয়ে খরস্রোতা নদী- কর্ণফুলী
17. বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক নদী- পদ্মা
18. চলন বিলের মধ্য দিয় প্রবাহিত নদী- আত্রাই
19. জোয়ার-ভাঁটা হয় না- গোমতী নদীতে
20. প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র- হালদা নদী
21. বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী- নাফ
22. বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা
23. বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- আত্রাই
24. বরাক নদী বাংলাদেশে ঢুকেছে- সুরমা হয়ে (পরে মেঘনায় গিয়ে মিশেছে)
25. যমুনার সৃষ্টি হয়- ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে
বিভিন্ন নদীর পূর্বনাম
1. বর্তমান নাম --> যমুনা
2. পূর্বনাম --> জোনাই নদী
1. বর্তমান নাম --> বুড়িগঙ্গা
2. পূর্বনাম --> দোলাই নদী (দোলাই খাল)
1. বর্তমান নাম --> ব্রহ্মপুত্র
2. পূর্বনাম --> লৌহিত্য
26. নদী সিকস্তি- নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত
27. নদী পয়স্তি- নদীর চরে যারা চাষাবাদ করে
28. ফারাক্কা বাঁধ- গঙ্গা নদীর উপরে (বাংলাদেশে এসে গঙ্গা ‘পদ্মা’ নাম নিয়েছে)
29. বাকল্যান্ড বাঁধ- বুড়িগঙ্গার তীরে (১৮৬৪ সালে নির্মিত)
30. টিপাইমুখ বাঁধ- বরাক নদীর উপরে (ভারতের মণিপুর রাজ্যে)
31. কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র- কর্ণফুলী নদীর উপর (১৯৬২ সালে নির্মিত)
32. চট্টগ্রাম বন্দর- কর্ণফুলী নদীর তীরে
33. মংলা (খুলনা) বন্দর- পশুর নদীর তীরে
34. মাওয়া ফেরিঘাট- পদ্মার তীরে
35. প্রধান নদীবন্দর- নারায়ণগঞ্জ
36. নদী গবেষণা ইন্সটিটউট- ফরিদপুর
37. নদী উন্নয়ন বোর্ড- ঢাকায়
বিভিন্ন নদীর উৎপত্তিস্থল-
1. নদী --> পদ্মা
2. উৎপত্তিস্থল --> হিমালয়ের গঙ্গৌত্রি হিমবাহ
1. নদী --> ব্রহ্মপুত্র
2. উৎপত্তিস্থল --> তিব্বতের মানস সরোবর
1. নদী --> যমুনা
2. উৎপত্তিস্থল --> তিব্বতের মানস সরোবার
1. নদী --> মেঘনা
2. উৎপত্তিস্থল --> আসামের লুসাই পাহাড়
1. নদী --> কর্ণফুলী
2. উৎপত্তিস্থল --> মিজোরামের লুসাই পাহাড়
নদী তীরবর্তী শহর ও গুরুত্বপূর্ণ/ঐতিহাসিক জায়গা-
1. শহর/জায়গা --> ঢাকা
2. নদী --> বুড়িগঙ্গা
1. শহর/জায়গা --> চট্টগ্রাম
2. নদী --> কর্ণফুলী
1. শহর/জায়গা --> কুমিল্লা
2. নদী --> গোমতী
1. শহর/জায়গা --> রাজশাহী
2. নদী --> পদ্মা
1. শহর/জায়গা --> মহাস্থানগড়
2. নদী --> করতোয়া
1. শহর/জায়গা --> বরিশাল
2. নদী --> কীর্তনখোলা
1. শহর/জায়গা --> খুলনা
2. নদী --> রূপসা
1. শহর/জায়গা --> টঙ্গী
2. নদী --> তুরাগ
1. শহর/জায়গা --> চাঁদপুর
2. নদী --> মেঘনা
1. শহর/জায়গা --> গাজীপুর
2. নদী --> তুরাগ
1. শহর/জায়গা --> সুনামগঞ্জ
2. নদী --> সুরমা
1. শহর/জায়গা --> মংলা
2. নদী --> পশুর
1. শহর/জায়গা --> ভৈরব
2. নদী --> মেঘনা
1. শহর/জায়গা --> রংপুর
2. নদী --> তিস্তা
1. শহর/জায়গা --> টাঙ্গাইল
2. নদী --> যমুনা
1. শহর/জায়গা --> পঞ্চগড়
2. নদী --> করতোয়া
1. শহর/জায়গা --> কক্সবাজার
2. নদী --> নাফ
1. শহর/জায়গা --> নাটোর
2. নদী --> আত্রাই
1. শহর/জায়গা --> দৌলতদিয়া
2. নদী --> পদ্মা
1. শহর/জায়গা --> কুষ্টিয়া
2. নদী --> গড়াই
অন্যান্য ভৌগোলিক তথ্য
বিল
1. সর্ববৃহৎ বিল- চলনবিল
2. চলনবিল- পাবনা ও নাটোরে অবস্থিত
3. চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী- আত্রাই
4. মিঠাপানির মাছের প্রধান উৎস- চলনবিল
5. তামাবিল- সিলেটে
6. বিল ডাকাতিয়া- খুলনায়
7. আড়িয়াল বিল- শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)
হাওড়
1. সবচেয়ে বড় হাওড়- টাঙ্গুয়ার হাওড়
2. টাঙ্গুয়ার হাওড়- সুনামগঞ্জে
3. টাঙ্গুয়ার হাওড়- World Heritage (UNESCO ঘোষিত)
4. টাঙ্গুয়ার হাওড়কে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বলে ঘোষণা করে- ২০০০ সালে
5. হাকালুকি হাওড়- মৌলভীবাজার
[বিল ও হাওড়ের পার্থক্য মূলত- বিলে সারা বছর পানি থাকে, কিন্তু হাওড়ে সারা বছর পানি থাকে না । শীতকালে হাওড় শুকিয়ে যায়, আবার বর্ষাকালে পানিতে ভরে যায় । বিলের পানির স্তর মাটির স্তরের নিচে থাকে, তাই বিলে সারা বছর পানি থাকে । আর হাওড়ের পানির স্তর থাকে মাটির স্তরের উপরে; মূলত আশেপাশের তুলনায় নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে ভরা নদীর পানি হাওড়ে এসে জড়ো হয় । শীতকালে নদীর পানি কমে গেলে হাওড়-ও শুকিয়ে যায় ।]
ঝরনা
1. শীতল পানির ঝরনা- কক্সবাজারের হিমছড়ি পাহাড়ে
2. গরম পানির ঝরনা- সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে
3. শুভলং ঝরনা- রাঙামাটিতে অবস্থিত
4. রিসাং ঝরনা- খাগড়াছড়িতে অবস্থিত
জলপ্রপাত
1. প্রধান/বিখ্যাত জলপ্রপাত- মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
2. মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত- মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবস্থিত
3. উচ্চতা- ২৫০ ফুট
4. নতুন আবিষ্কৃত জলপ্রপাত- হামহাম জলপ্রপাত
5. হামহাম জলপ্রপাত- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবস্থিত
উপত্যকা
1. ভেঙ্গী ভ্যালি- কাপ্তাই থেকে প্লাবিত রাঙামাটি
2. হালদা ভ্যালি- খাগড়াছড়ি
3. নাপিতখালি ভ্যালি- কক্সবাজার